জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

বেঁচে নেই জমিদার। নেই তাঁদের জমিদারি, বাসগৃহ, অতিথিশালা, রাজদরবার আর হাতিশালা। তাঁদের স্থাপনার নেই কোনো চিহ্ন। এরপরেও সবাই জানে এটি জমিদার বাড়ি। বলছিলাম বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ির কথা। সংরক্ষণ আর উদ্যোগের অভাবে জমিদার বাড়ির নানা স্থাপনার কোনো চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই এখানে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এখন প্রবীণদের গল্পের খোরাকে পরিণত হয়েছে জমিদার বাড়ির ইতিহাস-ঐতিহ্য।
সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে ঐতিহাসিক এ জমিদার বাড়ির অবস্থান। যদিও এটি বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়িতে জমিদারের বসবাসের জন্য ছিল বাসগৃহ, অতিথিদের জন্য অতিথিশালা, রাজকার্য পরিচালনার জন্য রাজদরবার, ধর্ম চর্চার জন্য ছিল দুর্গা মন্দির, তিনটি পিরামিড সদৃশ মঠ, খাজনা আদায়ে ট্রেজারি, গো-শালা ও হাতি রাখার জন্য হাতিশালা। আর এসব স্থাপনা তৈরি হয়েছিল ইট, সুরকি ও লোহা দিয়ে। এ জমিদার বাড়িতে দিঘি ছিল তিনটি। একটি দিঘিতে সারা রাত সোনার চালুনি ও আরেকটি দিঘিতে কালো পাথর ভেসে থাকত। বলা হয়, কালো পাথর ভাসাকালে পানির রংও কালো হয়ে থাকত। আর সোনার চালুন ও কালো পাথরের ভয়ে দিঘিতে অনেকে নামতে ভয় পেত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে ঐতিহাসিক এ জমিদার বাড়িটির অবকাঠামো, রাজ দরবার, ট্রেজারি, অতিথিশালা, দুর্গা মন্দির, মঠ, গো-শালা, হাতিশালা ও প্রাচীরসহ দৃশ্যমান কোন স্মৃতিচিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই। অনেক আগেই বাসগৃহ, অতিথিশালা, রাজদরবার, দুর্গামন্দির, মঠ, ট্রেজারিসহ অন্যান্য নিদর্শনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে হাতিশালাটিও ভেঙে ফেলা হয়। আর এ হাতিশালা ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
বর্তমানে জমিদার বাড়ির জমিতে সর্বানন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মসজিদ, প্রাথমিক স্কুল, দু'টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও একটি বাজার রয়েছে। খাসজমির মধ্যে ৪৭ দশমিক ২৪ একর জমি ১৬৮ জনকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে ও ৩৫ শতাংশ জমি এখনো কোন বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি বলে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়। পুকুর তিনটির মধ্যে একটিতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের লোকজন মাছ চাষ করেন এবং বাকি দুটি সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের নিয়ন্ত্রণে আছে।
জমিদারদের সঙ্গে মিশতেন এমন শতবর্ষী প্রবীণ ব্যক্তি আবু বকর সিদ্দিক স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেন, 'জমিদার শরৎ রায় চৌধুরী, তাঁর মেয়ে জমিদার সুমতি বালা চৌধুরী (সুনীতি), জমিদার বীপিন রায় চৌধুরী, তাঁর দুই ছেলে জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরী ও জমিদার জগৎ রায় চৌধুরী এদের সবারই জমিদারি দেখেছি আমি। তাঁরা হিন্দু হলেও আমাকে খুব স্নেহ করতেন, প্রজাদেরকেও ভালোবাসতেন। জমিদারি চলে যাওয়ার পর জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরীসহ অন্যান্যরা এক এক করে কলকাতা চলে যান ও জমিদার জগৎ রায় এখানেই মারা যান। তবে বাড়ি-ঘরগুলো ভেঙে ফেলায় খুব কষ্ট পেয়েছি।'
এ জমিদারি বাড়ির গোড়াপত্তনের ইতিহাস সঠিক জানা না গেলেও জমিদার কৃষ্ণ কান্ত রায় চৌধুরীই যে বামনডাঙ্গার প্রথম জমিদার ছিলেন এবং তিনিই এ জমিদার বাড়ির পত্তন করেছিলেন তা জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে। জনশ্রুতি রয়েছে, গৌড় বংশীয় ব্রাহ্মণ কৃষ্ণ কান্ত রায় চৌধুরী সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় বসতি স্থাপনের পাশাপাশি জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময়ে বামনডাঙ্গা জমিদারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রজাদের মনে সুখ ও শান্তি বিরাজমান থাকায় এলাকাটির নামকরণ হয়ে যায় সর্বানন্দ।
বামনডাঙ্গা জমিদার পরিবারের অতীত বংশধরদের সঠিক নাম পরিচয় না জানা গেলেও নবম কিংবা দশম বংশধরের নাম ব্রজেশ্বর রায় চৌধুরী। তিনি একসময় জমিদারি লাভ করেন। তার মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে নবীন চন্দ্র রায় চৌধুরী জমিদারি গ্রহণ করেন। মূলত তাঁর জমিদারি আমলেই বামনডাঙ্গা জমিদারের খ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নবীন চন্দ্র রায়ের দুই ছেলে শরৎ চন্দ্র রায় চৌধুরী ও বিপীন চন্দ্র রায় চৌধুরী। বাবা নবীন রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর শরৎ রায় চৌধুরী ও বিপীন রায় চৌধুরী বামনডাঙ্গার জমিদারি লাভ করেন। দুই ভাই বামনডাঙ্গার জমিদারিকে দু'ভাগ করে পৃথক পৃথকভাবে জমিদারি পরিচালনা করেন। জমিদার শরৎ চন্দ্র রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর একমাত্র মেয়ে সুনীতি বালা দেবী জমিদারি লাভ করেন। জমিদারি লাভের আগেই সুনীতি বালা দেবীর বিয়ে হয়েছিল দিনাজপুর জেলার ভাতুরিয়ার প্রিয়নাথ পাকড়াশীর সঙ্গে। বলা হয়, সুনীতি বালা দেবীর একটি গাভি ছিল। ওই গাভিকে কলাপাতায় লবণ না খাওয়ালে সে দুধও দিত না। হাতিতে চড়ে সুনীতি বালা দেবী শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসার সময় এক শ হাতির বহর থাকত সঙ্গে।
অন্যদিকে, জমিদার বীপিন চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ চন্দ্র রায় চৌধুরী বাবা বীপিন চৌধুরীর জমিদারিকে দুই ভাগে ভাগ করে পৃথক পৃথকভাবে জমিদারি পরিচালনা করেন। এর মধ্য দিয়ে বামনডাঙ্গার জমিদার বংশের জমিদারি মূলত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে, জমিদার মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ রায় চৌধুরী তাঁদের জমিদারি সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারলেও সুনীতি বালা দেবী তাঁর জমিদারি সফলভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। ফলে জমিদার সুনীতি বালা দেবী ব্রিটিশ সরকারকে খাজনা প্রদানে ব্যর্থ হন। সে কারণে ১৯৪৬ সালে সুনীতি বালা দেবীর জমিদারি নিলামে ওঠে এবং পুর্ণিয়ার মহারাজা কৃষাণ লাল সিংহ তা ক্রয় করেন।
এদিকে, দুই ভাই মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ রায় চৌধুরী সাফল্যের সঙ্গে জমিদারি চালাতে থাকেন। কিন্তু ভারতবর্ষ ভাগের পর ১৯৫০ সালে পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে ঐতিহ্যবাহী এ জমিদার বংশের জমিদারির যবনিকাপাত ঘটে। জমিদারি চলে যাওয়ার পরে বড় ভাই জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরী ভারতের আসামে চলে যান ও ছোট ভাই জমিদার জগৎচন্দ্র রায় চৌধুরী এ জমিদার বাড়িতেই থেকে যান। এ বাড়িতেই ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। জমিদার জগৎ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পরে জমিদারের বংশধররা পালাক্রমে ভারতে চলে যান। আর বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় তাঁদের সব সম্পদ।

বেঁচে নেই জমিদার। নেই তাঁদের জমিদারি, বাসগৃহ, অতিথিশালা, রাজদরবার আর হাতিশালা। তাঁদের স্থাপনার নেই কোনো চিহ্ন। এরপরেও সবাই জানে এটি জমিদার বাড়ি। বলছিলাম বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ির কথা। সংরক্ষণ আর উদ্যোগের অভাবে জমিদার বাড়ির নানা স্থাপনার কোনো চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই এখানে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এখন প্রবীণদের গল্পের খোরাকে পরিণত হয়েছে জমিদার বাড়ির ইতিহাস-ঐতিহ্য।
সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে ঐতিহাসিক এ জমিদার বাড়ির অবস্থান। যদিও এটি বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়িতে জমিদারের বসবাসের জন্য ছিল বাসগৃহ, অতিথিদের জন্য অতিথিশালা, রাজকার্য পরিচালনার জন্য রাজদরবার, ধর্ম চর্চার জন্য ছিল দুর্গা মন্দির, তিনটি পিরামিড সদৃশ মঠ, খাজনা আদায়ে ট্রেজারি, গো-শালা ও হাতি রাখার জন্য হাতিশালা। আর এসব স্থাপনা তৈরি হয়েছিল ইট, সুরকি ও লোহা দিয়ে। এ জমিদার বাড়িতে দিঘি ছিল তিনটি। একটি দিঘিতে সারা রাত সোনার চালুনি ও আরেকটি দিঘিতে কালো পাথর ভেসে থাকত। বলা হয়, কালো পাথর ভাসাকালে পানির রংও কালো হয়ে থাকত। আর সোনার চালুন ও কালো পাথরের ভয়ে দিঘিতে অনেকে নামতে ভয় পেত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে ঐতিহাসিক এ জমিদার বাড়িটির অবকাঠামো, রাজ দরবার, ট্রেজারি, অতিথিশালা, দুর্গা মন্দির, মঠ, গো-শালা, হাতিশালা ও প্রাচীরসহ দৃশ্যমান কোন স্মৃতিচিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই। অনেক আগেই বাসগৃহ, অতিথিশালা, রাজদরবার, দুর্গামন্দির, মঠ, ট্রেজারিসহ অন্যান্য নিদর্শনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে হাতিশালাটিও ভেঙে ফেলা হয়। আর এ হাতিশালা ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
বর্তমানে জমিদার বাড়ির জমিতে সর্বানন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মসজিদ, প্রাথমিক স্কুল, দু'টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও একটি বাজার রয়েছে। খাসজমির মধ্যে ৪৭ দশমিক ২৪ একর জমি ১৬৮ জনকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে ও ৩৫ শতাংশ জমি এখনো কোন বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি বলে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়। পুকুর তিনটির মধ্যে একটিতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের লোকজন মাছ চাষ করেন এবং বাকি দুটি সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের নিয়ন্ত্রণে আছে।
জমিদারদের সঙ্গে মিশতেন এমন শতবর্ষী প্রবীণ ব্যক্তি আবু বকর সিদ্দিক স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেন, 'জমিদার শরৎ রায় চৌধুরী, তাঁর মেয়ে জমিদার সুমতি বালা চৌধুরী (সুনীতি), জমিদার বীপিন রায় চৌধুরী, তাঁর দুই ছেলে জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরী ও জমিদার জগৎ রায় চৌধুরী এদের সবারই জমিদারি দেখেছি আমি। তাঁরা হিন্দু হলেও আমাকে খুব স্নেহ করতেন, প্রজাদেরকেও ভালোবাসতেন। জমিদারি চলে যাওয়ার পর জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরীসহ অন্যান্যরা এক এক করে কলকাতা চলে যান ও জমিদার জগৎ রায় এখানেই মারা যান। তবে বাড়ি-ঘরগুলো ভেঙে ফেলায় খুব কষ্ট পেয়েছি।'
এ জমিদারি বাড়ির গোড়াপত্তনের ইতিহাস সঠিক জানা না গেলেও জমিদার কৃষ্ণ কান্ত রায় চৌধুরীই যে বামনডাঙ্গার প্রথম জমিদার ছিলেন এবং তিনিই এ জমিদার বাড়ির পত্তন করেছিলেন তা জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে। জনশ্রুতি রয়েছে, গৌড় বংশীয় ব্রাহ্মণ কৃষ্ণ কান্ত রায় চৌধুরী সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় বসতি স্থাপনের পাশাপাশি জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময়ে বামনডাঙ্গা জমিদারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রজাদের মনে সুখ ও শান্তি বিরাজমান থাকায় এলাকাটির নামকরণ হয়ে যায় সর্বানন্দ।
বামনডাঙ্গা জমিদার পরিবারের অতীত বংশধরদের সঠিক নাম পরিচয় না জানা গেলেও নবম কিংবা দশম বংশধরের নাম ব্রজেশ্বর রায় চৌধুরী। তিনি একসময় জমিদারি লাভ করেন। তার মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে নবীন চন্দ্র রায় চৌধুরী জমিদারি গ্রহণ করেন। মূলত তাঁর জমিদারি আমলেই বামনডাঙ্গা জমিদারের খ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নবীন চন্দ্র রায়ের দুই ছেলে শরৎ চন্দ্র রায় চৌধুরী ও বিপীন চন্দ্র রায় চৌধুরী। বাবা নবীন রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর শরৎ রায় চৌধুরী ও বিপীন রায় চৌধুরী বামনডাঙ্গার জমিদারি লাভ করেন। দুই ভাই বামনডাঙ্গার জমিদারিকে দু'ভাগ করে পৃথক পৃথকভাবে জমিদারি পরিচালনা করেন। জমিদার শরৎ চন্দ্র রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর একমাত্র মেয়ে সুনীতি বালা দেবী জমিদারি লাভ করেন। জমিদারি লাভের আগেই সুনীতি বালা দেবীর বিয়ে হয়েছিল দিনাজপুর জেলার ভাতুরিয়ার প্রিয়নাথ পাকড়াশীর সঙ্গে। বলা হয়, সুনীতি বালা দেবীর একটি গাভি ছিল। ওই গাভিকে কলাপাতায় লবণ না খাওয়ালে সে দুধও দিত না। হাতিতে চড়ে সুনীতি বালা দেবী শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসার সময় এক শ হাতির বহর থাকত সঙ্গে।
অন্যদিকে, জমিদার বীপিন চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ চন্দ্র রায় চৌধুরী বাবা বীপিন চৌধুরীর জমিদারিকে দুই ভাগে ভাগ করে পৃথক পৃথকভাবে জমিদারি পরিচালনা করেন। এর মধ্য দিয়ে বামনডাঙ্গার জমিদার বংশের জমিদারি মূলত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে, জমিদার মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ রায় চৌধুরী তাঁদের জমিদারি সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারলেও সুনীতি বালা দেবী তাঁর জমিদারি সফলভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। ফলে জমিদার সুনীতি বালা দেবী ব্রিটিশ সরকারকে খাজনা প্রদানে ব্যর্থ হন। সে কারণে ১৯৪৬ সালে সুনীতি বালা দেবীর জমিদারি নিলামে ওঠে এবং পুর্ণিয়ার মহারাজা কৃষাণ লাল সিংহ তা ক্রয় করেন।
এদিকে, দুই ভাই মনিন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী ও জগৎ রায় চৌধুরী সাফল্যের সঙ্গে জমিদারি চালাতে থাকেন। কিন্তু ভারতবর্ষ ভাগের পর ১৯৫০ সালে পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে ঐতিহ্যবাহী এ জমিদার বংশের জমিদারির যবনিকাপাত ঘটে। জমিদারি চলে যাওয়ার পরে বড় ভাই জমিদার মনিন্দ্র রায় চৌধুরী ভারতের আসামে চলে যান ও ছোট ভাই জমিদার জগৎচন্দ্র রায় চৌধুরী এ জমিদার বাড়িতেই থেকে যান। এ বাড়িতেই ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। জমিদার জগৎ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পরে জমিদারের বংশধররা পালাক্রমে ভারতে চলে যান। আর বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় তাঁদের সব সম্পদ।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
২২ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩৭ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলাজুড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া জেলায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে একটানা সূর্যের দেখা মেলেনি। ২৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও বুধবার একলাফে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করে চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু এবং ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় এখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এবং এই পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। রাস্তাঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
চা-দোকানি আলফাজ আলী বলেন, ‘ঠান্ডার চোটে সকালে দোকান খোলাই দায় হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, বেচাকেনাও খুব কম।’
দিনমজুর হারেজ আলী বলেন, ‘হাতে-পায়ে বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না, তাই এই শীতেও বের হতে হচ্ছে।’
সদর উপজেলার একটি ইটভাটার শ্রমিক আফতাব হক বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। বাতাসের ঝাপটায় হাত অবশ হয়ে আসে, কাজ এগোয় না।’
টানা কুয়াশা ও সূর্যের অনুপস্থিতিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। হাটকালুগঞ্জ গ্রামের ধানচাষি ফরজ আলী জানান, তীব্র ঠান্ডায় ধানের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বীজতলা রক্ষায় সকালে দড়ি টেনে কুয়াশার পানি ঝরিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ফসল সুরক্ষায় ছত্রাকনাশক ও পরিমিত সেচ জরুরি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন আউটডোরে শত শত শিশু ও বৃদ্ধ রোগী নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে আসছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলাজুড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া জেলায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে একটানা সূর্যের দেখা মেলেনি। ২৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও বুধবার একলাফে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করে চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু এবং ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় এখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এবং এই পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। রাস্তাঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
চা-দোকানি আলফাজ আলী বলেন, ‘ঠান্ডার চোটে সকালে দোকান খোলাই দায় হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, বেচাকেনাও খুব কম।’
দিনমজুর হারেজ আলী বলেন, ‘হাতে-পায়ে বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না, তাই এই শীতেও বের হতে হচ্ছে।’
সদর উপজেলার একটি ইটভাটার শ্রমিক আফতাব হক বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। বাতাসের ঝাপটায় হাত অবশ হয়ে আসে, কাজ এগোয় না।’
টানা কুয়াশা ও সূর্যের অনুপস্থিতিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। হাটকালুগঞ্জ গ্রামের ধানচাষি ফরজ আলী জানান, তীব্র ঠান্ডায় ধানের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বীজতলা রক্ষায় সকালে দড়ি টেনে কুয়াশার পানি ঝরিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ফসল সুরক্ষায় ছত্রাকনাশক ও পরিমিত সেচ জরুরি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন আউটডোরে শত শত শিশু ও বৃদ্ধ রোগী নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে আসছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে
০২ আগস্ট ২০২১
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩৭ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আজকেও (+৯৬৬৫৪৮৬৮০৪৩৬) এই নম্বর থেকে হত্যার হুমকি আসছে। আবার নতুন করে প্রতিদিন হত্যার হুমকি শুরু হয়েছে। পুড়িয়ে মারবে, কুপিয়ে মারবে—এ ধরনের কথা বলছে। আপনাদের বিচলিত করতে চাই না বলে এত দিন জানাচ্ছিলাম না। কিন্তু জোটে ইলেকশন করব—এ খবর জানার পর একদম বানোয়াট ও উদ্ভট গল্প বানিয়ে চরিত্র হনন শুরু করেছে। জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি না, বিচলিতও নই। আপনারাও বিচলিত হবেন না। ওদের লেখাগুলো পড়ার দরকার নেই। আল্লাহ ভরসা। আমার স্বামী বলছে—এটা তো শুরু, সামনে এআই ভিডিও, ন্যুড ও এডিটেড ছবি ছড়ানোর চেষ্টাও হতে পারে। দোয়ার আরজি রইল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাহমুদা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি এসেছিল। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এই প্রথম এমন হুমকি এসেছে।’ তিনি জানান, শুধু হুমকি নয়, তাঁকে নিয়ে মিথ্যা বদনাম রটানোর চেষ্টাও চলছে।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আইনি সহায়তা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এ ধরনের হুমকি-ধমকি আসছেই।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আজকেও (+৯৬৬৫৪৮৬৮০৪৩৬) এই নম্বর থেকে হত্যার হুমকি আসছে। আবার নতুন করে প্রতিদিন হত্যার হুমকি শুরু হয়েছে। পুড়িয়ে মারবে, কুপিয়ে মারবে—এ ধরনের কথা বলছে। আপনাদের বিচলিত করতে চাই না বলে এত দিন জানাচ্ছিলাম না। কিন্তু জোটে ইলেকশন করব—এ খবর জানার পর একদম বানোয়াট ও উদ্ভট গল্প বানিয়ে চরিত্র হনন শুরু করেছে। জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি না, বিচলিতও নই। আপনারাও বিচলিত হবেন না। ওদের লেখাগুলো পড়ার দরকার নেই। আল্লাহ ভরসা। আমার স্বামী বলছে—এটা তো শুরু, সামনে এআই ভিডিও, ন্যুড ও এডিটেড ছবি ছড়ানোর চেষ্টাও হতে পারে। দোয়ার আরজি রইল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাহমুদা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি এসেছিল। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এই প্রথম এমন হুমকি এসেছে।’ তিনি জানান, শুধু হুমকি নয়, তাঁকে নিয়ে মিথ্যা বদনাম রটানোর চেষ্টাও চলছে।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আইনি সহায়তা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এ ধরনের হুমকি-ধমকি আসছেই।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে
০২ আগস্ট ২০২১
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
২২ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজশাহী কাঁপছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই নেমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ। ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এদিকে তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় আয় নেই। আবার শীত নিবারণের পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে ভোরে কাজের আশায় রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় আসেন দিনমজুর নাজমুল। কিন্তু শীতের কারণে কাজের দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, ‘আজ খুব বেশি ঠান্ডা। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তাই কাজও পাওয়া যায়নি। আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কাজ মিলত, এখন এই শীতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই কাজ পাওয়া যায় না।’
রিকশাচালক জাকির আলী বলেন, ‘হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রিকশা চালাতে গেলে শরীর জমে আসে। যাত্রী কম, আয়ও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে। কয়দিন এই অবস্থা থাকবে কে জানে!’
এদিকে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে নগরজীবনেও। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার ভয়ে মানুষ দ্রুত ঘরে ফিরছে। আর সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাট। যেন পুরো শহর আগেভাগেই নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট আরও বেশি। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা তুষার আলম জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা মাঠ, নদী আর কুয়াশার কারণে ঠান্ডা যেন হাড়ে হাড়ে ঢুকে পড়ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বুধবার ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’

কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজশাহী কাঁপছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই নেমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ। ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এদিকে তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় আয় নেই। আবার শীত নিবারণের পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে ভোরে কাজের আশায় রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় আসেন দিনমজুর নাজমুল। কিন্তু শীতের কারণে কাজের দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, ‘আজ খুব বেশি ঠান্ডা। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তাই কাজও পাওয়া যায়নি। আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কাজ মিলত, এখন এই শীতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই কাজ পাওয়া যায় না।’
রিকশাচালক জাকির আলী বলেন, ‘হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রিকশা চালাতে গেলে শরীর জমে আসে। যাত্রী কম, আয়ও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে। কয়দিন এই অবস্থা থাকবে কে জানে!’
এদিকে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে নগরজীবনেও। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার ভয়ে মানুষ দ্রুত ঘরে ফিরছে। আর সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাট। যেন পুরো শহর আগেভাগেই নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট আরও বেশি। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা তুষার আলম জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা মাঠ, নদী আর কুয়াশার কারণে ঠান্ডা যেন হাড়ে হাড়ে ঢুকে পড়ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বুধবার ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’

সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে
০২ আগস্ট ২০২১
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
২২ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩৭ মিনিট আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।
মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।
মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো এ জায়গাটি। এতে একদিকে যেমন সম্যক ধারণা পেত দর্শনার্থীরা তেমনি অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ হতো রাজস্ব আয়ে
০২ আগস্ট ২০২১
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
২২ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩৭ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে