সরকারি মোটরসাইকেল শ্যালককে ব্যবহার করতে দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫৫
Thumbnail image

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দুলাভাইয়ের সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন তাঁর শ্যালক। সেটার তেল খরচও দেয় প্রাণিসম্পদ অফিস। সেই মোটরসাইকেল রাখতেও দিয়েছেন শ্যালকের বাড়িতে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে । 

জানা গেছে, মদন কুমার রায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে বছর দু-এক আগে এ উপজেলায় যোগদান করেন। উপজেলার গয়াবাড়ী এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর শ্যালকের নাম শংকর সরকার। তিনি উপজেলার দক্ষিণ গয়াবাড়ী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরকারি গাড়ি নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাতায়াত করেন তিনি।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য লাল রঙের একটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমলা উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়। মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেখার জন্য মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করবেন ভেটেরিনারি সার্জন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তাঁর শ্যালক ব্যক্তিগত কাজে এই মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন। সেটায় চড়ে তিনি প্রতিদিন বাসা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে স্কুলে যাতায়াত করেন।

তিন-চার দিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে একটি টিনের চালার নিচে দুলাভাইয়ের সরকারি মোটরসাইকেলটি রেখে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন শংকর। ছুটি শেষে আবার মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়িতে চলে যান। 

সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে শংকর সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাড়িটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের। তবে গত এক মাস যাবৎ তিনি ব্যবহার করছেন। বিষয়টি তাঁর দুলাভাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার জানেন।

অন্য সরকারি কার্যালয়ের মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক হয়নি। গাড়িটি ফেরত দিয়ে দেব।’ 

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকাসরকারি মোটরসাইকেল স্বজনদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায় বলেন, ‘গাড়িটির যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই মেরামত করে আপাতত নিজ জিম্মায় রেখেছি। কয়েক দিন থেকে শ্যালক গাড়িটি ব্যবহার করছেন।’ 

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, সরকারি গাড়ি নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের বিধান নেই। তারপরও যদি এমন করে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত