Ajker Patrika

সব বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে, ক্লাসে একা নার্গিসের চোখমুখে আতঙ্ক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩১
সব বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে, ক্লাসে একা নার্গিসের চোখমুখে আতঙ্ক

করোনার মহামারিতে প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দমবন্ধ অবস্থা থেকে যেন মুক্তির আনন্দে মেতেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নার্গিস নাহারের মনটা বিষণ্ন। শ্রেণিটিতে একমাত্র ছাত্রী সে। ফলে ছেলে সহপাঠীদের সঙ্গে একা বসতে হচ্ছে। একদিকে অস্বস্তি। কারণ এভাবে একা কখনো বসেনি সে। অন্যদিকে চোখেমুখে আতঙ্ক, কারণ আট বান্ধবীর সবার বিয়ে হয়ে গেছে। তার ভাগ্যে কী আছে কে জানে!

মহামারির কারণে দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিম্ন আয়ের মানুষেরা মেয়েকে ঘরে বসিয়ে রাখার ‘ঝুঁকি’ নিতে চাননি। শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চেয়েছেন তাঁরা। নার্গিস নাহারের বান্ধবীদের সেই নিয়তিই বরণ করতে হয়েছে। নূরবানু খাতুন, নাজমা খাতুন, স্বপ্না খাতুন, হেলেনা খাতুন, চম্পা খাতুন, লুৎফা খাতুন, চাঁদনী খাতুন এবং আরফিনা খাতুন (ছদ্মনাম) সবারই বিয়ে গেছে। একই অবস্থা নার্গিসের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিরও। ওই শ্রেণিতে চার ছাত্রীর মধ্যে জেসমিন ছাড়া বাকি তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির একজন, সপ্তম শ্রেণির দু’জন, অষ্টম শ্রেণির চারজনকে পরিবার গোপনে বিয়ে দিয়েছে। 

নার্গিস নাহার জানায়, দেড় বছরের মধ্যে আমার আট বান্ধবীর বিয়ে হয়েছে। এখন শুধু আমিই বাকি। স্কুল খোলার পর আমার বান্ধবীদের বিয়ের কথা জানতে পারি। আমি আমার বাবা-মাকে বলেছি সেই কথা। তাদের এও বলেছি, আমার পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি করে নিজের অবস্থা তৈরি করেই বিয়ে করব। এর আগে নয়। নিজে স্বাবলম্বী না হয়ে অন্যের কাছে বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। 

এই এলাকার বাসিন্দা নাজিম আলী বলেন, ‘মেয়ে লোকের ফুট ভাসলে বিয়ে দিতে হয়। আমাদের সরকার কি কবাইছে জানে ২১,২২, ২৩,১৮, ১৯,২০ বছর হলে কে নিবে মেয়েকে? কেউ নেবেন নয়। মেয়ে যত বড় হবে-দু, আড়াই, তিন, পাঁচ লাখ ডিমান্ড হবে। মেয়ের একটু বয়স হলেই কয় এক লাখে হবার নয়, হাত-পায়ের সোনা দেওয়া নাগবে। সে জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দেয় বাবা-মা।’ 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ চৌধুরী বলেন, নবম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে নয় জন ছাত্রী আর ২৭ জন ছাত্র। স্কুল খোলার পর বাল্যবিয়ের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি মেয়েদের পড়ালেখামুখী করতে। 

নার্গিসের সব বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছেসারডোব উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ২২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩ জন ছাত্রী। প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমান বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ ছাত্রী এবং ৭০ শতাংশ ছাত্র বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে। বাকিদের খোঁজ খবর নিতে শিক্ষকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যালয়ে না আসার প্রকৃত কারণ তুলে ধরবেন। 

একই এলাকার উত্তর হলোখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৪২ ছাত্রীর মধ্যে ২ জন,৭ম শ্রেণিতে ৪৫ ছাত্রীর মধ্যে ২ জন এবং ৮ম শ্রেণিতে ৩৩ জন ছাত্রীর মধ্যে ৫ জনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা জানা গেছে। 

এভাবে কিশোরীদের বিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে একই এলাকার বাসিন্দা বুলবুলি বেগম বলেন, তাড়াতাড়ি বিয়ে দিই, হামরা গরিব মানুষ। মেয়ে ছইল যত বড় হইবো তত ডিমান্ড (যৌতুক) হার বাড়বো। মেয়ে যদি মেট্রিক পাস করাই, তাইলে ছেলে নেওয়া লাগব ইন্টার পাস। সেই সামর্থ্য যদি হামরা করবার না পারি সে জন্য ছোটতে মেয়ের বিয়ে দিই। 

একই এলাকার আহাম্মদ আলী বলেন, বাল্যবিয়ে তো এলাকায় হয় না। মেয়ে পক্ষের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয় গোপনে। কেউ এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়ন, আবার কেউ উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়। বিয়ের কথা সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ না করে পনেরো দিন, এক মাস পর প্রকাশ করে বাবা-মা। 

ইউনিয়নের ৪ নং ইউপি সদস্য বাহিনুর রহমান জানান, জেলা সদর হলেও হলোখানা ইউনিয়নে ওই ওয়ার্ড ধরলা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। আর বাল্যবিয়েও হয় গোপনে। এ কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও সেখবর পৌঁছায় না। এই এলাকায় বাল্যবিয়ের সমস্যা নিরসনে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন তিনি। 

এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, সদরের পাঁচটি স্কুল পর্যবেক্ষণ করে ৬৩ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা জেনেছেন তাঁরা। শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া কন্যা শিশুদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এ হিসাবে জেলায় গত দেড় বছরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। অন্য স্কুলগুলোর অবস্থা জানতে উপজেলাতে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে জেলার প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে বলে জানান তিনি। 

এই তথ্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উত্থাপন করে বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজিদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং বাল্যবিয়ে রোধ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম। 

বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত কুড়িগ্রামে মোট বিয়ে সংগঠিত হয়েছে ২২ হাজার ৩৯১ টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত বিয়ে ১৯ হাজার ২২১টি এবং অনিবন্ধিত বিয়ে ৩ হাজার ১৭০ টি। জেলার নয়টি উপজেলায় বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়েছে ৩ হাজার ১৯ টি। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ৭৩০ টি, রাজারহাটে ৭৪ টি, উলিপুরে ২৬১ টি, চিলমারীতে ১৪৬ টি, রৌমারী ৮৮ টি, রাজিবপুর ৫০ টি, নাগেশ্বরী ১ হাজার ১৪০ টি, ফুলবাড়ী ২৯১ টি, ভূরুঙ্গামারীতে ২৩৯টি বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়েছে। এ ছাড়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ হয়েছে ১ হাজার ১৩৬ টি। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রকাশ পেতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ের ভয়াবহ চিত্র। অভিভাবক মহল বলছে-দারিদ্র্য, যোগাযোগ বিচ্ছন্নতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য বাল্যবিয়ের হার বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানার কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গেছে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহাসড়কের ধীরগতির লেন দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা আলোকিত মধুপুর নামে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক ছেড়ে ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন।

দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানতে পেরেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানায় সহকর্মীর গুলিতে বজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৭টায় উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় লাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আনসার সদস্য বজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। দুজনই সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানাটিতে ২০ জন আনসার সদস্য কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসেছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগান থেকে গুলি বের হলে বজেন্দ্র দাসের বাঁ ঊরুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নড়াইলে দুটি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

নড়াইল প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৪
নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ আবদুল ছালাম জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নড়াইল-১ আসনে ১৫ জন প্রার্থী এবং নড়াইল-২ আসনে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নড়াইল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাওলানা মো. ওবায়দুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আব্দুল আজিজ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মিলটন মোল্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন, সুকেশ সাহা আনন্দসহ ১৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আতাউর রহমান বাচ্চু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ প্রার্থী হিসেবে নূর ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিনসহ ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আচরণবিধি মেনে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ৫

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার ভোরে নগরীর লবণচরা থানার মতিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লবণচরা থানার মতিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে ইমন শরীফ, একই এলাকার বাসিন্দা আজিজুলের ছেলে সবুজ সাহা, সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা হাবিব হাওলাদারের ছেলে ফারুখ হোসেন, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার কাউখালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাহরিয়ার এবং জয়কুল এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদের ছেলে সজল খান।

জানতে চাইলে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিনুজ্জামান বলেন, মেজর মাসুকের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী শিপইয়ার্ড এলাকার মতিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত আসমিদের আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে শটগানের ৬টি গুলি, ২টি বিদেশি মদের বোতল, ২টি ধারলো ছুরি এবং ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে। আসামিরা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁদেরকে পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত