Ajker Patrika

গাইবান্ধা পাঁচ সংসদীয় আসনে নৌকা পেতে চান ৫২ জন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ০৯
গাইবান্ধা পাঁচ সংসদীয় আসনে নৌকা পেতে চান ৫২ জন

গাইবান্ধায় সাত উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন পাঁচটি। নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৫২ জন। তারা সবাই গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে, কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি সেটি জানতে ভোটারদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। 

জানা গেছে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দশজন, গাইবান্ধা-২ (সদর) সাতজন, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে ১৩ জন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৪ জন ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আটজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। 

গাইবান্ধা-১: উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী মোস্তফা মাসুম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল, জেলা পরিষদের সদস্য মো. এমদাদুল হক নাদিম এবং মো. মতিউর রহমান সালু। 

গাইবান্ধা-২: বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হিরু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা আওয়ামী সহসভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুর জামান রিংকু। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনির আপন ছোট ভাই শামসুল আলম টিটুলও এই আসনের নৌকার মাঝি হতে চান। 

গাইবান্ধা-৩: বর্তমান সংসদ সদস্য কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জরিদুল হক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহারিয়া খান বিপ্লব, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) মো. জাকারিয়া খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সহীদুল্যাহেল কবির ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ এসএম আব্দুর রহমান। 

গাইবান্ধা-৪: বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. নাজমুল হাসান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইবনে আজিজ মো. নুরুল হুদা ফরহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহজাহান আলী সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর নূর, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম প্রধান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. কামরুল হাসান ফাহিয়ান। 

গাইবান্ধা-৫: বর্তমান সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামশীল আরেফিন টিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মাহবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং সাঘাটা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সুশীল চন্দ্র সরকার। 

এদিকে গাইবান্ধা-১ আসনের (সুন্দরগঞ্জ) প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী এবং স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি দুজনই নৌকা মাঝি হতে চান। ননদ–ভাবি দুজনই লিটনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাইলেও ভোটের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরাকান আর্মিদের জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৫০০ মশারি, আটক ৫

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।

জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নলছিটি লঞ্চঘাট ওসমান হাদির নামে নামকরণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
নলছিটি লঞ্চঘাট ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
নলছিটি লঞ্চঘাট । ছবি: আজকের পত্রিকা

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।

আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।

নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।

ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’

ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’

ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত