Ajker Patrika

৩৫% শেয়ার কিনে ভবন দখল এমপি ফারুকের

  • ভয় দেখিয়ে অংশীদারদের বের করে দিয়েছেন
  • মালিকানা নিয়ে পুরোনো মামলা সচল হয়েছে
  • ঋণ পরিশোধ না করায় ভবন উঠছে নিলামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ওমর ফারুক চৌধুরী
ওমর ফারুক চৌধুরী

মাত্র ৩৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে রাজশাহীতে ১০ তলা একটি ভবন দখল করেছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। ভবনটির নাম থিম ওমর প্লাজা। রাজশাহী নিউমার্কেটের সামনের এই ভবনের প্রথম থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত শপিং মল। আর অষ্টম থেকে দশম তলা পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্ট।
থিম রিয়েল এস্টেট নামের একটি লিমিটেড কোম্পানি করে ফারুক চৌধুরীর ৩০ কাঠা জমির ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কোম্পানি গঠনের সময় ওমর ফারুক চৌধুরীর ৩৫ শতাংশ এবং থিম রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের মালিকানা নির্ধারণ করা হয় ২৫ শতাংশ। ২০ শতাংশ করে বাকি ৪০ শতাংশ ছিল অন্য দুই অংশীদারের। তবে ভবন নির্মাণের পর সবাইকে বিতাড়িত করে সবই দখল করেছিলেন ফারুক চৌধুরী। সরকারের পতনের পর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে পুরোনো মামলা সম্প্রতি সচল হয়েছে।

ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের টানা চারবারের এমপি। ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করে ভবন উদ্ধার করতে পারেননি অন্য অংশীদারেরা। মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৯ সালে একটি মামলা করলেও ফারুক চৌধুরী প্রভাব খাটিয়ে এত দিন সেই মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি আদালত স্থগিতাদেশ ‘ভ্যাকেট’ করে মামলার কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই জমির বিপরীতে একটি ব্যাংক থেকে আগেই প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। বিষয়টি গোপন রেখে ২০১১ সালে থিম রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে ভবন নির্মাণের চুক্তি করেন তিনি। ২০১২ সালে ভবনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ শুরুর পর শর্তানুযায়ী টাকা দিচ্ছিলেন না ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে কাজ শেষ করতে কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকার ধানমন্ডি শাখা থেকে প্রকল্পটির ওপর ২০১৫ সালের আগস্টে ২৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এরপর ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। নির্মাণ শেষ হতেই নিজের আসল রূপ দেখান ফারুক চৌধুরী। কোম্পানির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে দিয়ে ভবন দখল করেন তিনি। নিজেকে ঘোষণা করেন ভবনের একক মালিক। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকাও শোধ করেননি।

নথি থেকে জানা যায়, ২৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান থাকার সময় ১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। তবে ২০১৮ সালে ভবনটি দখল হওয়ার পরে আর একটি টাকাও ব্যাংককে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সুদ-আসলে ঋণের পরিমাণ ২১ কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৬ টাকা ৫০ পয়সা। এই টাকা পরিশোধে সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। টাকা পরিশোধ করা না হলে বিধি অনুযায়ী ভবন নিলামে তোলা হবে বলেও জানানো হয়েছে এতে।

কীভাবে ভবন দখল হয়—এ বিষয়ে জানতে চাইলে থিম রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের মে মাসে ঈদের আগে তিনি রাজশাহী থেকে ঢাকায় যান। যাওয়ার পরদিন শুনতে পান, ফারুক চৌধুরীর লোকজন গিয়ে কোম্পানির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে দিয়ে নিজেকে ভবনের একক মালিক ঘোষণা করেছেন। এই ভবনের মালিকানা দাবি করে কেউ এলে আর ফিরে যেতে পারবে না বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে তাঁরা আর যেতে পারেননি।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০১৮ সালেই ভবনের আনুমানিক মূল্য ছিল ১০০ কোটি টাকা। ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হিসেবে ফারুক চৌধুরীর বিনিয়োগ ধরা যায় ৩৫ কোটি। কিন্তু ফারুক চৌধুরী দোকান ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির একটি টাকাও তাঁদের দেননি। এখন পর্যন্ত কোনো দোকানের ভাড়াও তাঁরা পাননি।

মোস্তাফিজুর রহমান ওই ভবন থেকে বিতাড়িত হলেও সম্প্রতি প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেয়েছেন। তিনি জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভবনটি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ধানমন্ডি জোনের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপক হাসিবুল আসাদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমি প্রিমিয়ার ব্যাংক ছেড়ে অন্যত্র জয়েন করেছি। সর্বশেষ যতটুকু জানি, থিম ওমর প্লাজা নিলামের শেষ পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। ঋণ পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত।’

বেয়াই বাড়িতে ফারুক চৌধুরী?

ফারুক চৌধুরীর বড় মেয়ে নাফিজা হক চৌধুরীর শ্বশুর জামালপুরের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক রশিদুজ্জামান মিল্লাত। মিল্লাতের ছেলে ও ফারুক চৌধুরীর জামাতা শাহাদাত বিন জামান শোভন বর্তমানে রাজশাহীর এই পলাতক নেতার ব্যবসা ও সম্পত্তির দেখভাল করছেন বলে জানা গেছে। ফারুক চৌধুরীর ব্যবসায়িক অংশীদার মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ঢাকার গুলশানে বেয়াই বাড়িতেই সপরিবারে লুকিয়ে আছেন সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এ বিষয়ে জানতে শাহাদাত বিন জামান শোভনকে ফোন করে পরিচয় দিলেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ঘন কুয়াশা, ৮ ফ্লাইট নামল চট্টগ্রাম-কলকাতায়-ব্যাংককে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ সম্ভব না হওয়ায় ৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রাম, ভারতের কলকাতা এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এ ফ্লাইট ডাইভারশন হয় বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে রানওয়েতে দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডাইভার্ট করা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে তিনটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, চারটি ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে এবং একটি ফ্লাইট ব্যাংকক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সকল ফ্লাইট অপারেশন পুনরায় স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডাইভার্ট ও বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও হোটেল সুবিধা প্রদান করছে। যাত্রীদের ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এদিকে, কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশনের ঘটনায় কিছু যাত্রীকে ভোগান্তিতে পড়তে হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ফ্লাইট সূচি ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা দ্বিতীয় দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে, ঠান্ডা বাতাসে দুর্বিষহ জীবন

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৫
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছেন শ্রমজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছেন শ্রমজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরেছে হাড়ে। এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শীত প্রভাব বিস্তার করেছে পশুপাখি ও কৃষিতেও।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায় তাদের। হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। তবে ঘর থেকে বের হয়েও কাজ মিলছে না শ্রমজীবী মানুষের।

যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। তীব্র শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা অবধি অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়।

বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতে এক দিন কাজ পাই তো, তিন দিন পাই না। এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’

শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণশ্রমিক মো. মিনহাজ বলেন, ‘শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমতো কাজও পাচ্ছি না।’

মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলছে মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলছে মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রমজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের রঙের কাজ করি। কাজের সন্ধানে এসেছি। এখানে বসে আছি। এখনো কাজ পাইনি। শীতের ভেতরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি। কাজ পাব কি না জানি না।’

শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, ‘শীতে ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে খুবই কম। এ জন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয়রোজগারও কমেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ: ভাই-বোনসহ নিহত ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০১
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), কেশবপুর উপজেলার চালতী বাড়ী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) এবং তাঁর বোন বিউটি (৩০)। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি।

স্থানীয় ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা-পুলিশ, স্থানীয় থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন হলেও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু

রাজবাড়ী প্রতি‌নি‌ধি
আজ সকাল পৌ‌নে ১০টায় কুয়াশা কে‌টে গে‌লে ফে‌রি চলাচল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল পৌ‌নে ১০টায় কুয়াশা কে‌টে গে‌লে ফে‌রি চলাচল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘন কুয়াশায় সা‌ড়ে ১৪ ঘণ্টা ব‌ন্ধ থাকার পর দৌল‌তদিয়া-পাটু‌রিয়া নৌ-রু‌টে ফে‌রি চলাচল শুরু হ‌য়ে‌ছে। শ‌নিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌ‌নে ১০টায় কুয়াশা কে‌টে গে‌লে ফে‌রি চলাচল শুরু হয়।

এর আগে গতকাল সন্ধ‌্যা সোয়া ৭টা থে‌কে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়া‌তে ফে‌রি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফে‌রি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা প‌ড়ে। এতে ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়েন চালক ও যা‌ত্রীরা।

বিআইড‌ব্লিউটিসি দৌলত‌দিয়া ঘাট শাখার ব‌্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন ব‌লেন, ‘শুক্রবার সন্ধ‌্যার পর থে‌কেই কুয়াশা পড়‌তে থা‌কে। সোয়া ৭টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হ‌য়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়া‌তে এই নৌ-রু‌টে ফে‌রি চলাচল বন্ধ ক‌রে দেওয়া হয়। ফে‌রি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় ‌কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আজ সকাল পৌ‌নে ১০টায় কুয়াশা কে‌টে গে‌লে ফে‌রি চলাচল শুরু হয়। ঘা‌টে আট‌কে থাকা যানবাহনগু‌লো দ্রুত পারাপা‌রের চেষ্টা চল‌ছে। দৌলত‌দিয়া-পাটু‌রিয়া নৌ-রু‌টে ছোট-বড় মি‌লিয়ে ১৫টি ফে‌রি চলাচল কর‌ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত