রিমন রহমান, রাজশাহী

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ইশতেহারে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন।
রাকসুর সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভিন্ন প্যানেল থেকে দেওয়া হয়েছে ইশতেহার। এসেছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।
রাকসু নির্বাচনে মোট প্যানেল ১১টি। ছাত্রদল, বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ, সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খানের নেতৃত্বে আসা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সাবেক দুই সমন্বয়ক মেহেদী সজিব ও সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে আসা আধিপত্যবিরোধী ঐক্য ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ এবং গণঅধিকার ও ছাত্র ফেডারেশন-সমর্থিত রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার দিয়েছে। বাকিরা আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণা না করলেও নির্বাচনী প্রচারপত্রে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজভিত্তিক ছাত্র সংসদের মেয়াদ সাধারণত এক বছর ধরা হয়। অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদ এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে। এই সময়ের মধ্যে এত সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এগুলো শুনতে অনেকটা রূপকথার মতো। তাদের আকৃষ্ট করার জন্যই বিভিন্ন প্যানেল এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে অবাস্তব ও উচ্চাভিলাষী নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্র-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ইশতেহারে বলা হয়েছে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান, লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা উন্নয়নসহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হবে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘১২ মাস, ২৪ সংস্কার’ শীর্ষক ইশতেহার দিয়েছে। তারা জয়ী হলে রাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ তাদের ইশতেহারে লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, হলগুলোর ক্যানটিনের পাশাপাশি প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চালু রাখা, রাবি মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, এসব ইশতেহারের বেশির ভাগই এক বছরের মেয়াদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কারের মতো কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা ইচ্ছা থাকলে এক বছরের মধ্যেই সম্ভব করা যায়।
জানতে চাইলে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছি, তা এক বছরে বাস্তবায়ন করা অনেকটাই সম্ভব। রেলস্টেশন সংস্কার, লাইব্রেরি আধুনিকায়নের বিষয়গুলোসহ অন্যান্য যে ইশতেহার আছে, তা কয়েক মাসেই করা সম্ভব হবে।’
ক্ষমতার কেন্দ্র উপাচার্য
রাকসুর প্রথম গঠনতন্ত্র হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা, মতামত ও দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, পাঠদান, পরীক্ষা, হলজীবন, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পরিবহন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তদারকি করা। আর গঠনতন্ত্রের ৭(১)(ই) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, সভাপতির (উপাচার্য) অনুমোদন ছাড়া নির্বাহী কমিটির কোনো সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যাঁদের ভোটে নির্বাচিত করবেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুধু উপাচার্যের অনুমোদনের পরই। এ প্রসঙ্গে রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন না করে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তায় থাকবে তিন বাহিনী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা, বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরাও নিরাপত্তা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি), র্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সমন্বয় সভা শেষে এসব তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কিছু বস্তি এলাকা রয়েছে, যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। সেই এলাকাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হবে। এ ছাড়া আবাসিক হলে যেন কোনো বহিরাগত অবস্থান না করে, সে বিষয়েও আমরা নজরদারি করছি।’

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ইশতেহারে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন।
রাকসুর সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভিন্ন প্যানেল থেকে দেওয়া হয়েছে ইশতেহার। এসেছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।
রাকসু নির্বাচনে মোট প্যানেল ১১টি। ছাত্রদল, বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ, সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খানের নেতৃত্বে আসা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সাবেক দুই সমন্বয়ক মেহেদী সজিব ও সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে আসা আধিপত্যবিরোধী ঐক্য ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ এবং গণঅধিকার ও ছাত্র ফেডারেশন-সমর্থিত রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার দিয়েছে। বাকিরা আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণা না করলেও নির্বাচনী প্রচারপত্রে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজভিত্তিক ছাত্র সংসদের মেয়াদ সাধারণত এক বছর ধরা হয়। অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদ এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে। এই সময়ের মধ্যে এত সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এগুলো শুনতে অনেকটা রূপকথার মতো। তাদের আকৃষ্ট করার জন্যই বিভিন্ন প্যানেল এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে অবাস্তব ও উচ্চাভিলাষী নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্র-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ইশতেহারে বলা হয়েছে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান, লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা উন্নয়নসহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হবে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘১২ মাস, ২৪ সংস্কার’ শীর্ষক ইশতেহার দিয়েছে। তারা জয়ী হলে রাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ তাদের ইশতেহারে লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, হলগুলোর ক্যানটিনের পাশাপাশি প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চালু রাখা, রাবি মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, এসব ইশতেহারের বেশির ভাগই এক বছরের মেয়াদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কারের মতো কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা ইচ্ছা থাকলে এক বছরের মধ্যেই সম্ভব করা যায়।
জানতে চাইলে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছি, তা এক বছরে বাস্তবায়ন করা অনেকটাই সম্ভব। রেলস্টেশন সংস্কার, লাইব্রেরি আধুনিকায়নের বিষয়গুলোসহ অন্যান্য যে ইশতেহার আছে, তা কয়েক মাসেই করা সম্ভব হবে।’
ক্ষমতার কেন্দ্র উপাচার্য
রাকসুর প্রথম গঠনতন্ত্র হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা, মতামত ও দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, পাঠদান, পরীক্ষা, হলজীবন, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পরিবহন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তদারকি করা। আর গঠনতন্ত্রের ৭(১)(ই) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, সভাপতির (উপাচার্য) অনুমোদন ছাড়া নির্বাহী কমিটির কোনো সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যাঁদের ভোটে নির্বাচিত করবেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুধু উপাচার্যের অনুমোদনের পরই। এ প্রসঙ্গে রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন না করে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তায় থাকবে তিন বাহিনী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা, বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরাও নিরাপত্তা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি), র্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সমন্বয় সভা শেষে এসব তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কিছু বস্তি এলাকা রয়েছে, যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। সেই এলাকাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হবে। এ ছাড়া আবাসিক হলে যেন কোনো বহিরাগত অবস্থান না করে, সে বিষয়েও আমরা নজরদারি করছি।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ইশতেহারে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন।
রাকসুর সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভিন্ন প্যানেল থেকে দেওয়া হয়েছে ইশতেহার। এসেছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।
রাকসু নির্বাচনে মোট প্যানেল ১১টি। ছাত্রদল, বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ, সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খানের নেতৃত্বে আসা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সাবেক দুই সমন্বয়ক মেহেদী সজিব ও সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে আসা আধিপত্যবিরোধী ঐক্য ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ এবং গণঅধিকার ও ছাত্র ফেডারেশন-সমর্থিত রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার দিয়েছে। বাকিরা আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণা না করলেও নির্বাচনী প্রচারপত্রে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজভিত্তিক ছাত্র সংসদের মেয়াদ সাধারণত এক বছর ধরা হয়। অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদ এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে। এই সময়ের মধ্যে এত সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এগুলো শুনতে অনেকটা রূপকথার মতো। তাদের আকৃষ্ট করার জন্যই বিভিন্ন প্যানেল এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে অবাস্তব ও উচ্চাভিলাষী নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্র-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ইশতেহারে বলা হয়েছে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান, লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা উন্নয়নসহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হবে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘১২ মাস, ২৪ সংস্কার’ শীর্ষক ইশতেহার দিয়েছে। তারা জয়ী হলে রাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ তাদের ইশতেহারে লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, হলগুলোর ক্যানটিনের পাশাপাশি প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চালু রাখা, রাবি মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, এসব ইশতেহারের বেশির ভাগই এক বছরের মেয়াদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কারের মতো কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা ইচ্ছা থাকলে এক বছরের মধ্যেই সম্ভব করা যায়।
জানতে চাইলে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছি, তা এক বছরে বাস্তবায়ন করা অনেকটাই সম্ভব। রেলস্টেশন সংস্কার, লাইব্রেরি আধুনিকায়নের বিষয়গুলোসহ অন্যান্য যে ইশতেহার আছে, তা কয়েক মাসেই করা সম্ভব হবে।’
ক্ষমতার কেন্দ্র উপাচার্য
রাকসুর প্রথম গঠনতন্ত্র হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা, মতামত ও দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, পাঠদান, পরীক্ষা, হলজীবন, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পরিবহন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তদারকি করা। আর গঠনতন্ত্রের ৭(১)(ই) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, সভাপতির (উপাচার্য) অনুমোদন ছাড়া নির্বাহী কমিটির কোনো সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যাঁদের ভোটে নির্বাচিত করবেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুধু উপাচার্যের অনুমোদনের পরই। এ প্রসঙ্গে রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন না করে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তায় থাকবে তিন বাহিনী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা, বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরাও নিরাপত্তা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি), র্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সমন্বয় সভা শেষে এসব তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কিছু বস্তি এলাকা রয়েছে, যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। সেই এলাকাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হবে। এ ছাড়া আবাসিক হলে যেন কোনো বহিরাগত অবস্থান না করে, সে বিষয়েও আমরা নজরদারি করছি।’

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ইশতেহারে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন।
রাকসুর সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভিন্ন প্যানেল থেকে দেওয়া হয়েছে ইশতেহার। এসেছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।
রাকসু নির্বাচনে মোট প্যানেল ১১টি। ছাত্রদল, বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ, সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খানের নেতৃত্বে আসা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সাবেক দুই সমন্বয়ক মেহেদী সজিব ও সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে আসা আধিপত্যবিরোধী ঐক্য ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ এবং গণঅধিকার ও ছাত্র ফেডারেশন-সমর্থিত রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার দিয়েছে। বাকিরা আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণা না করলেও নির্বাচনী প্রচারপত্রে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজভিত্তিক ছাত্র সংসদের মেয়াদ সাধারণত এক বছর ধরা হয়। অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদ এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে। এই সময়ের মধ্যে এত সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এগুলো শুনতে অনেকটা রূপকথার মতো। তাদের আকৃষ্ট করার জন্যই বিভিন্ন প্যানেল এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে অবাস্তব ও উচ্চাভিলাষী নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্র-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ইশতেহারে বলা হয়েছে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান, লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা উন্নয়নসহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হবে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘১২ মাস, ২৪ সংস্কার’ শীর্ষক ইশতেহার দিয়েছে। তারা জয়ী হলে রাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ তাদের ইশতেহারে লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, হলগুলোর ক্যানটিনের পাশাপাশি প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চালু রাখা, রাবি মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, এসব ইশতেহারের বেশির ভাগই এক বছরের মেয়াদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কারের মতো কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা ইচ্ছা থাকলে এক বছরের মধ্যেই সম্ভব করা যায়।
জানতে চাইলে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছি, তা এক বছরে বাস্তবায়ন করা অনেকটাই সম্ভব। রেলস্টেশন সংস্কার, লাইব্রেরি আধুনিকায়নের বিষয়গুলোসহ অন্যান্য যে ইশতেহার আছে, তা কয়েক মাসেই করা সম্ভব হবে।’
ক্ষমতার কেন্দ্র উপাচার্য
রাকসুর প্রথম গঠনতন্ত্র হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা, মতামত ও দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, পাঠদান, পরীক্ষা, হলজীবন, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পরিবহন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তদারকি করা। আর গঠনতন্ত্রের ৭(১)(ই) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, সভাপতির (উপাচার্য) অনুমোদন ছাড়া নির্বাহী কমিটির কোনো সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যাঁদের ভোটে নির্বাচিত করবেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুধু উপাচার্যের অনুমোদনের পরই। এ প্রসঙ্গে রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন না করে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তায় থাকবে তিন বাহিনী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা, বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরাও নিরাপত্তা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি), র্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সমন্বয় সভা শেষে এসব তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কিছু বস্তি এলাকা রয়েছে, যেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। সেই এলাকাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হবে। এ ছাড়া আবাসিক হলে যেন কোনো বহিরাগত অবস্থান না করে, সে বিষয়েও আমরা নজরদারি করছি।’

ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকা হারানোকে কেন্দ্র করে চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, আজ বুধবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, আজ বুধবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ
১৪ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকা হারানোকে কেন্দ্র করে চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ
১৪ অক্টোবর ২০২৫
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩২ মিনিট আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকা হারানোকে কেন্দ্র করে চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ
১৪ অক্টোবর ২০২৫
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকা হারানোকে কেন্দ্র করে চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ
১৪ অক্টোবর ২০২৫
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে