Ajker Patrika

একসঙ্গে মৃত্যুর পর আলাদা হলেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বামনশিকড় গ্রামে মিনারুল ও তাঁর ছেলে মাহিমের জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বামনশিকড় গ্রামে মিনারুল ও তাঁর ছেলে মাহিমের জানাজা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাড়ির সামনে, উঠোনে বসে আছেন নারীরা। তাঁরা মুখে কাপড় দিয়ে কান্না আড়াল করছেন। ভেজা চোখে স্বজনদের কেউ কেউ আবার বিলাপ করছেন। দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে তাঁরা স্মৃতিচারণা করছেন মিনারুল, মনিরা, মাহিম আর ছোট্ট মিথিলাকে নিয়ে। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুলের বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে বামনশিকড় গ্রাম। প্রতিবেশীরা বলেছেন, একসঙ্গে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর মতো এমন মর্মান্তিক ঘটনা তাঁরা দেখেননি। একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু হলেও তাঁদের লাশ পৃথক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বামনশিকড় গ্রামের গোরস্থানে আজ বিকেলে মিনারুল ইসলাম (৩০) ও তাঁর ছেলে মাহিমকে (১৪) পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়। আর মিনারুলের শ্বশুরবাড়ির ইচ্ছা অনুযায়ী, স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৮) ও মেয়ে মিথিলাকে (৩) দাফন করা হয় রাজশাহী নগরের টিকাপাড়া গোরস্থানে।

গতকাল শুক্রবার লাশ চারটি বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ তাঁর বাবা রুস্তম আলী এবং বড় ভাই রুহুল আমিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর মনিরা এবং তাঁর মেয়ে মিথিলার লাশ তাঁর বাবা আব্দুস সালাম এবং মা শিউলী বেগম তাঁদের রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি এলাকার বাড়ি নিয়ে যান।

পবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শায়েদ আলী মোর্শেদ বলেন, ‘আব্দুস সালাম এবং শিউলী বেগমসহ নিকটাত্মীয়রা মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের নিজ এলাকায় দাফনের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁরা তাঁদের মেয়ে এবং নাতনির লাশ নিজ এলাকায় দাফন করলে মানসিক শান্তি পাবেন বলছিলেন। তাই মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের দেওয়া হয়। মিনারুল আর তাঁর ছেলের লাশ বাবাকে দেওয়া হয়। তাঁরা গ্রামে লাশ দাফন করেন।’

আজ বিকেলে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ বামনশিকড় গ্রামে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। শুরু হয় শোকের মাতম। বাবা ও ছেলেকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। কয়েক শ মানুষ চোখের পানি ফেলে বাবা-ছেলের জানাজায় অংশ নেন।

শোকার্ত মিনারুলের বাবা রুস্তম আলী বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। আমরা চারজনেরই লাশ চেয়েছি। ইচ্ছে ছিল, তাদের দাফন একসঙ্গেই হবে। কিন্তু সেটি আর হলো না। মৃত্যুর পরেও তারা ঠাঁই ঠাঁই হয়ে গেল। একসঙ্গে থাকতে পারল না। মনিরার বাবা-মায়ের অনুরোধে আমরা পৃথক স্থানে দাফনের বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’

ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি-নাতনিদের হারিয়ে শোকে কাতর দাদি আঞ্জুয়ারা বেগম। ছোট্ট মিথিলা আধো আধো শব্দে কথা বলত। তার জন্য দাদি আঞ্জুয়ারা বেগমের ছিল অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসা। মিথিলার যেকোনো ছোট্ট আবদারও নিমেষেই পূরণ করতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদরের মিথিলা দাদির কাছে মাছ খাওয়ার বায়না ধরেছিল। কিন্তু এটিই যে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে হয়ে থাকবে, তা ভাবতেও পারেননি দাদি। নাতনির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আঞ্জুয়ারা। বারবার বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘দাদু আমার মাছ খেতে খুব ভালোবাসত। আগের দিন দুপুরে আমাকে মাছ রান্না করে দিতে বলেছিল। কিন্তু তখন বাড়িতে মাছ ছিল না। তাই সকালেই বাজার থেকে মাছ কিনে এনেছিলাম। সকাল ৭টার মধ্যে রান্না শেষও করেছিলাম। কিন্তু মিথিলা আর ওঠেনি। তার মাছ খাওয়ার শেষ ইচ্ছে আমি পূরণ করতে পারিনি।’

গতকাল শুক্রবার সকালে মিনারুল, তাঁর স্ত্রী মনিরা, ছেলে মাহিম ও মেয়ে মিথিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি ঘরের বিছানায় ছিল মনিরা ও মিথিলার লাশ। আর পাশের ঘরের বিছানায় ছিল মাহিমের লাশ। এ ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন মিনারুল। ঘর থেকে দুই পাতার একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এটি মিনারুল লিখে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এ কারণে যে আমি একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার বউ, ছেলে, মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো হলো।’ এতে আরও লেখা আছে, ‘আমি মিনারুল প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিনকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।’

মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের এমন মৃত্যু নিয়েই গ্রামে সর্বত্র আলোচনা চলছে। মিনারুলের আচার-ব্যবহার, মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা আর চলাফেরা নিয়ে কথা বলছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘মিনারুল খুব ভালো ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশত না, খুব ভদ্র ছিল। মাথা নিচু করে চলত। কিন্তু ঋণের কারণে, এক কথা এনজিওর চাপে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মিনারুল এমনটি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলে এনজিওর লোকেরা মিনারুলের বাড়িতে এসে বসে থাকত। যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা না দিত, ততক্ষণ উঠতেন না। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্তও তাঁরা বসে থাকতেন। এগুলো নিয়ে মিনারুল খুব বিব্রত হতো। তারও মানইজ্জত ছিল। এটি নিয়ে মিনারুল লজ্জা পেত। কিস্তি দিতে গিয়ে অভাব লেগে থাকত। শুনেছি, অনেক টাকা ঋণও ছিল। এ কারণেই হয়তো মিনারুল পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেল।’

এদিকে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা। গতকাল শুক্রবার রাতেই রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, মিনারুলের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। আর মনিরা, মাহিম ও মিথিলাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন মনিরার মা শিউলী বেগম। তবে আসামি হিসেবে মামলা দুটিতে কারও নাম উল্লেখ নেই। আসামি অজ্ঞাত। তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত