নাজমুল হাসান সাগর, বগুড়া থেকে

জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার হিসাবের নিষ্পত্তি না হতেই নতুন করে বারবার নেতৃত্ব বাছাইয়ের পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে বগুড়া সদরবাসীদের। যেন ভোট দিতে দিতেই ‘ক্লান্ত’ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দখলে থাকা এই আসনের ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় রাজনীতির বাইরে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বগুড়া সদরের মানুষের চাওয়া তেমন পূরণ করেননি।
রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তৃতীয়বারের মতো ভোট দেবেন বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটাররা। পাঁচ বছর না গড়াতেই তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটা বিরক্তই তাঁরা। একের পর এক ভোটাররা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ পর্যন্ত যেতে পারছেন না শুধু দলীয় রাজনীতি চিন্তা করে। দলীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে নেতৃত্বশূন্য হয়ে অনেকটাই শোকাতুর, ক্ষুব্ধ ও হতাশ এই আসনের মানুষ। সংসদে গিয়ে তাঁদের চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা বলার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপও জানিয়েছেন বগুড়া সদরের মানুষ।
বগুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথা। কাছেই বগুড়া জেলা স্কুলের মূল ফটক। এই ফটকের পাশেই বেশ কিছু চায়ের দোকান। সেখানে নির্বাচন নিয়ে তুমুল আলাপে মজেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে তাঁদের আলোচনায় আগামীকালের ভোটের থেকে বিগত কয়েকবার ভোট দিয়ে তাঁরা কী পেলেন এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল বেশি।
এই এলাকাতেই ছোটখাটো ব্যবসা করেন এমদাদুল হক। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বললেন, ‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন? এখন আবার দলের রাজনীতির জন্য পদত্যাগ করছে। আমরা ভোট দেব। আবার কেউ নির্বাচিত হবে। কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হলেইবা কী হবে! এক বছরও সময় নাই। এই ভোট দিয়েইবা কী হবে!’
অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট এক যুবক এমদাদুলের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, ‘আপনি আছেন গত চার বছরের আলাপ নিয়ে। গত ১২-১৩ বছরে এই এলাকায় কী হয়েছে? এখন থেকে ১৫ বছর আগে বগুড়া উন্নত ছিল এইটা ঠিক। কিন্তু তখন অন্যান্য যে জেলা শহর বগুড়ার থেকে অনুন্নত ছিল, সেগুলো এখন বগুড়ার থেকে অনেক অনেক বেশি উন্নত। আমরা এক জায়গায় দাঁড়ায় আছি। তাই শুধু গত চার বছরে না, আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত। আমাদের জন্য কথা বলার মানুষ নাই। আমরা ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করি তাঁরা আমাদের কথা বলেন না।’
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ তোলেন কিনা উল্লাহ নামে বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্যহীনভাবে তিনি বলছিলেন, ‘এবার ভোট দিলে আমরা এমপি পাব বড়জোর সাত মাসের জন্য। শপথ নিতে নিতেই তাঁদের সময় শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আমাদের নিয়ে ভাবারই সময় পাবেন না। আমরা যেই হতভাগা সেই হতভাগাই থাকব।’ এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এমদাদুল হক আবার বললেন, কেউ কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। খালি ভোট চাচ্ছে। কোনো প্রার্থীর কোনো ম্যান্ডেট নাই। নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এইটা। এসব কথাই যেন বগুড়া-৬ আসনের প্রতিটি সাধারণ ভোটারের মনের কথা।
এবারের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন। আলোচনায় আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং একতারা প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় টানানো পোস্টারেও উল্লেখিত প্রার্থীদের কোনো প্রতিশ্রুতি দেখা যায়নি। সাধারণ ভোটারদের এসব ক্ষোভ, হতাশা, প্রত্যাশা ও প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় থাকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া সদরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এটা সত্য কথা। তবে ভোট দিতে দিতে তাঁরা বিরক্ত এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং মানুষ তাঁদের ভোটটা দিতে পারবেন কি না। এটা নিয়েই মনে হয় তাঁরা বেশি শঙ্কিত। কাল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে কি না এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।’
জনগণের জন্য কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচন করছেন? এমন প্রশ্নে তাঁর কৌশলী উত্তর, ‘আমি আগেও পার্লামেন্টে ছিলাম। এবার যেতে পারলে পুরোনো কাজগুলো সম্পন্ন করব। নতুন করে কিছু ভাবিনি।’ তবে তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে ‘আধুনিক সদর উপজেলা গড়ার’ কথা লেখা আছে।
একই প্রশ্ন নিয়ে কথা হয় একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার বঞ্চিত বগুড়াবাসীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সংসদে হিরো আলম যাবে। আমি নির্বাচিত হলে যথাসাধ্য কাজের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘আমার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এই সাত মাসে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কিছুই করতে পারব না। অযথা জনগণকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু করতে না পারলে সেটা বেইমানি হবে। তবে, এই এলাকায় যদি বড় বড় ১০টা সমস্যা থাকে, তাহলে সেখান থেকে একটা আমি বেছে নেব এবং সেটা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসানের সঙ্গে সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন, দুই ঘণ্টা পরে কল দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা হয় বগুড়ার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এই এলাকা নিয়ে এক ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে। আমাদের বগুড়া সদরের হয়ে কোনো সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা নেতা নেই যাঁরা এই এলাকার জনগণের হয়ে কথা বলবেন, সমস্যাগুলো সংসদে তুলে ধরবেন। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আমরা বগুড়া সদরবাসী নিদারুণ কষ্টে আছি।’
বারবার সংসদ নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা ও বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধরেন, একটা ধারণা বলি। এটা হবে কি হবে না, সেটা পরের ব্যাপার। এই যে হিরো আলম, দুই আসনে নির্বাচন করছেন। যদি দুই আসনেই হিরো আলম নির্বাচিত হন, নির্বাচিত হওয়ার পর যদি সদর আসন ছেড়ে দেন, তাহলে তো এখানে আবার নির্বাচন হবে। হবে না? আসলে বর্তমানে বগুড়া সদর আসন হাসির খোরাক হয়ে গেছে। আসলে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জন, পদত্যাগ বা শপথ না নেওয়ার মতো কাজ করেন নেতারা। কিন্তু এগুলো জনগণ ভালোভাবে নেয় না।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই যে কয়টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সব সময় বিএনপির দখলে ছিল এই আসন। বেশির ভাগ সময় নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। এবার বগুড়া-৬ আসনে মোট ১৪৩টি ভোটকেন্দ্র। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে সকাল থেকেই। এখন শুধু দিন গড়িয়ে রাত পোহানোর অপেক্ষা।

জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার হিসাবের নিষ্পত্তি না হতেই নতুন করে বারবার নেতৃত্ব বাছাইয়ের পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে বগুড়া সদরবাসীদের। যেন ভোট দিতে দিতেই ‘ক্লান্ত’ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দখলে থাকা এই আসনের ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় রাজনীতির বাইরে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বগুড়া সদরের মানুষের চাওয়া তেমন পূরণ করেননি।
রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তৃতীয়বারের মতো ভোট দেবেন বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটাররা। পাঁচ বছর না গড়াতেই তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটা বিরক্তই তাঁরা। একের পর এক ভোটাররা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ পর্যন্ত যেতে পারছেন না শুধু দলীয় রাজনীতি চিন্তা করে। দলীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে নেতৃত্বশূন্য হয়ে অনেকটাই শোকাতুর, ক্ষুব্ধ ও হতাশ এই আসনের মানুষ। সংসদে গিয়ে তাঁদের চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা বলার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপও জানিয়েছেন বগুড়া সদরের মানুষ।
বগুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথা। কাছেই বগুড়া জেলা স্কুলের মূল ফটক। এই ফটকের পাশেই বেশ কিছু চায়ের দোকান। সেখানে নির্বাচন নিয়ে তুমুল আলাপে মজেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে তাঁদের আলোচনায় আগামীকালের ভোটের থেকে বিগত কয়েকবার ভোট দিয়ে তাঁরা কী পেলেন এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল বেশি।
এই এলাকাতেই ছোটখাটো ব্যবসা করেন এমদাদুল হক। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বললেন, ‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন? এখন আবার দলের রাজনীতির জন্য পদত্যাগ করছে। আমরা ভোট দেব। আবার কেউ নির্বাচিত হবে। কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হলেইবা কী হবে! এক বছরও সময় নাই। এই ভোট দিয়েইবা কী হবে!’
অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট এক যুবক এমদাদুলের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, ‘আপনি আছেন গত চার বছরের আলাপ নিয়ে। গত ১২-১৩ বছরে এই এলাকায় কী হয়েছে? এখন থেকে ১৫ বছর আগে বগুড়া উন্নত ছিল এইটা ঠিক। কিন্তু তখন অন্যান্য যে জেলা শহর বগুড়ার থেকে অনুন্নত ছিল, সেগুলো এখন বগুড়ার থেকে অনেক অনেক বেশি উন্নত। আমরা এক জায়গায় দাঁড়ায় আছি। তাই শুধু গত চার বছরে না, আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত। আমাদের জন্য কথা বলার মানুষ নাই। আমরা ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করি তাঁরা আমাদের কথা বলেন না।’
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ তোলেন কিনা উল্লাহ নামে বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্যহীনভাবে তিনি বলছিলেন, ‘এবার ভোট দিলে আমরা এমপি পাব বড়জোর সাত মাসের জন্য। শপথ নিতে নিতেই তাঁদের সময় শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আমাদের নিয়ে ভাবারই সময় পাবেন না। আমরা যেই হতভাগা সেই হতভাগাই থাকব।’ এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এমদাদুল হক আবার বললেন, কেউ কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। খালি ভোট চাচ্ছে। কোনো প্রার্থীর কোনো ম্যান্ডেট নাই। নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এইটা। এসব কথাই যেন বগুড়া-৬ আসনের প্রতিটি সাধারণ ভোটারের মনের কথা।
এবারের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন। আলোচনায় আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং একতারা প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় টানানো পোস্টারেও উল্লেখিত প্রার্থীদের কোনো প্রতিশ্রুতি দেখা যায়নি। সাধারণ ভোটারদের এসব ক্ষোভ, হতাশা, প্রত্যাশা ও প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় থাকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া সদরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এটা সত্য কথা। তবে ভোট দিতে দিতে তাঁরা বিরক্ত এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং মানুষ তাঁদের ভোটটা দিতে পারবেন কি না। এটা নিয়েই মনে হয় তাঁরা বেশি শঙ্কিত। কাল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে কি না এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।’
জনগণের জন্য কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচন করছেন? এমন প্রশ্নে তাঁর কৌশলী উত্তর, ‘আমি আগেও পার্লামেন্টে ছিলাম। এবার যেতে পারলে পুরোনো কাজগুলো সম্পন্ন করব। নতুন করে কিছু ভাবিনি।’ তবে তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে ‘আধুনিক সদর উপজেলা গড়ার’ কথা লেখা আছে।
একই প্রশ্ন নিয়ে কথা হয় একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার বঞ্চিত বগুড়াবাসীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সংসদে হিরো আলম যাবে। আমি নির্বাচিত হলে যথাসাধ্য কাজের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘আমার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এই সাত মাসে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কিছুই করতে পারব না। অযথা জনগণকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু করতে না পারলে সেটা বেইমানি হবে। তবে, এই এলাকায় যদি বড় বড় ১০টা সমস্যা থাকে, তাহলে সেখান থেকে একটা আমি বেছে নেব এবং সেটা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসানের সঙ্গে সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন, দুই ঘণ্টা পরে কল দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা হয় বগুড়ার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এই এলাকা নিয়ে এক ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে। আমাদের বগুড়া সদরের হয়ে কোনো সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা নেতা নেই যাঁরা এই এলাকার জনগণের হয়ে কথা বলবেন, সমস্যাগুলো সংসদে তুলে ধরবেন। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আমরা বগুড়া সদরবাসী নিদারুণ কষ্টে আছি।’
বারবার সংসদ নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা ও বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধরেন, একটা ধারণা বলি। এটা হবে কি হবে না, সেটা পরের ব্যাপার। এই যে হিরো আলম, দুই আসনে নির্বাচন করছেন। যদি দুই আসনেই হিরো আলম নির্বাচিত হন, নির্বাচিত হওয়ার পর যদি সদর আসন ছেড়ে দেন, তাহলে তো এখানে আবার নির্বাচন হবে। হবে না? আসলে বর্তমানে বগুড়া সদর আসন হাসির খোরাক হয়ে গেছে। আসলে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জন, পদত্যাগ বা শপথ না নেওয়ার মতো কাজ করেন নেতারা। কিন্তু এগুলো জনগণ ভালোভাবে নেয় না।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই যে কয়টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সব সময় বিএনপির দখলে ছিল এই আসন। বেশির ভাগ সময় নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। এবার বগুড়া-৬ আসনে মোট ১৪৩টি ভোটকেন্দ্র। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে সকাল থেকেই। এখন শুধু দিন গড়িয়ে রাত পোহানোর অপেক্ষা।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে