Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের কাছে ‘বটবৃক্ষ’ ছিলেন রাবি শিক্ষক পুরনজিত

রিপন চন্দ্র রায়, রাবি 
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৪
পুরনজিত মহালদার। ছবি: সংগৃহীত
পুরনজিত মহালদার। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরনজিত মহালদার। মুখে সর্বদাই হাসি লেগে থাকত তাঁর। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ধরন ও আন্তরিকতার কারণে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুরো ক্যাম্পাসেও ছিলেন পরিচিত মুখ। যে কোনো বিপদে সবার আগে যাঁর কাছে ছুটে যেতেন, তাঁর মৃত্যুতে একজন আদর্শ শিক্ষক হারালেন শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে বের হয়েছিলেন পুরনজিত মহালদার। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে আর বাসায় ফেরা হয়নি। রাজশাহী নগরের ছোট বনগ্রাম এলাকার বারো রাস্তার মোড়ে স্কুটার নিয়ে বালুর ওপর পড়ে গিয়ে একটি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা খান। তাতে মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তাঁকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুরনজিত মহালদারের মরদেহ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মু. শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে আনা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এই প্রয়াণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। মরদেহ বিভাগের সামনে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বন্ধুজন অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করে শোক প্রকাশ ও স্মৃতিচারণ করেছেন।

পুরনজিত মহালদার শিক্ষার্থীদের পিতার মতো আগলে রাখতেন মন্তব্য করে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এরশাদ আলম বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই কাঁধে হাত রেখে বলতেন, “কেমন আছিস বাবা?” আমাদের পরিবারের খোঁজও নিতেন তিনি। ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে শুরু করে সব ধরনের কথা শেয়ার করা যেত স্যারের সঙ্গে। আর একজন দায়িত্বশীল পিতার মতো আমাদের সহযোগিতা করতেন তিনি। স্যারের এ বিদায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

মাস্টার্সের আরেক শিক্ষার্থী সুমন রায় বলেন, ‘বিভাগের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যার ছিলেন পুরনজিত মহালদার। তাঁর পড়ানোর ধরন, শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যেত। আমাদের যেকোনো প্রয়োজন ও বিপদ-আপদে সবার আগে ছুটে যেতাম পুরনজিত স্যারের কাছে। অথবা নির্দ্বিধায় ফোন করতাম। তিনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আমাদের সাহায্য করতেন। তিনি আমাদের ওপর একটা বটবৃক্ষের মতো ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে আমরা সেই বটবৃক্ষটি হারালাম।’

বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অর্বাক আদিত্য তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ছাত্রদের বিপদের কথা শুনে উদ্বিগ্ন হওয়া মানুষটাও চলে গেলেন। ক্যাম্পাস ছাড়ার পর একবারই কথা হয়েছে। অনেক জ্বালিয়েছি আপনাকে। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও হলো না। আমরা আপনাকে ভালোবাসি স্যার। আপনারে মনে রাখব।’

পুরনজিত মহালদার। ছবি: সংগৃহীত
পুরনজিত মহালদার। ছবি: সংগৃহীত

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার শিমু ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন। এই গ্রহে আপনার মতো অমায়িক মানুষ আর দুটি মেলা ভার। আপনি ছিলেন একজন, আমাদের পুরনজিত মহালদার।’

বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিরা নিশা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা একজন আদর্শ বাবাকে হারিয়ে ফেলল।’

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শহীদ ইকবাল বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনার। এমন একজন মেধাবী, সংস্কৃতিমনা, প্রগতিশীল চিন্তার তরুণ শিক্ষকের এমন প্রয়াণ আমাদের বিভাগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি অত্যন্ত শিক্ষার্থীবান্ধব একজন শিক্ষক ছিলেন। এ ছাড়া সহকর্মী হিসেবেও তিনি বন্ধুসুলভ ছিলেন।’

বিভাগে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা পৌনে ১১টার দিকে মরদেহ পুরনজিত মহালদারের গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ার রংপুর গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মরদেহবাহী গাড়িটি সেখানে পৌঁছায়। প্রথমে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘শিক্ষা কল্যাণ সংঘ’ প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কেন্দ্রীয় শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

পুরনজিত মহালদার ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০২০ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘আহমদ ছফার কথাসাহিত্য’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থসহ তাঁর বেশ কিছু প্রবন্ধ গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান রেখে গেছেন।

এদিকে পুরনজিত মহালদারের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডে প্রয়াতের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার: বিএনপিএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।

বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।

‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন

­যশোর প্রতিনিধি
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।

এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।

এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।

আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত