Ajker Patrika

কোনো দিন ঢাকায়ই আসেননি, আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি কৃষক

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৪৭
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মামলায় অভিযুক্ত আজিজ। ছবি: আজেকর পত্রিকা
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মামলায় অভিযুক্ত আজিজ। ছবি: আজেকর পত্রিকা

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ। জীবনের বেশির ভাগ সময় তাঁর কেটেছে গ্রামে কৃষিকাজ করে। তিনি কখনো ঢাকায় যাননি বলে জানিয়েছেন। অথচ তাঁর নাম ঢাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। একই মামলায় ৫০ নম্বর আসামি করা হয়েছে আব্দুল আজিজের চাচা এনায়েত করিম রাঙ্গাকে। ২৯ ডিসেম্বর সিংড়ার বাঁশবাড়িয়া থেকে রাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে সিংড়া থানা-পুলিশ। এই মামলায় তাঁর ভাতিজা আজিজকে হাতিরপুর আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ ও রাঙ্গার স্ত্রী উম্মে ছালমা পাপিয়া এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তাঁরা দাবি করেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ফয়সাল তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে তাঁদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

পরিবার অভিযোগ করেছে, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে তাঁদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করিয়েছেন রাঙ্গার ভাতিজা ফয়সাল আহমেদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা।

কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি কখনো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হইনি, আর ঢাকা তো চিনিই না। অথচ আমাকে ঢাকার হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। ফয়সাল আমার নাম ঢাকায় বসে মামলায় ঢুকিয়েছে। সে ঢাকার ছাত্রনেতা ও সমন্বয়কদের সঙ্গে চলাফেরা করে। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চাই। তদন্ত করলে সত্য প্রকাশিত হবে যে আমি কখনো ঢাকায় যাইনি।’

রাঙ্গার স্ত্রী উম্মে ছালমা পাপিয়া অভিযোগ করেন, ‘ফয়সালের বাবার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা পারিবারিকভাবে আপসের মাধ্যমে প্রত্যাহারের জন্য আমার স্বামী ২৯ ডিসেম্বর সিংড়ার নিজ বাড়িতে এলে ঢাকা থেকে নাটোরের পুলিশ সুপারকে চাপ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নেন। পরে পুলিশ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আমার স্বামীকে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার করে জানায় যে তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে নিপীড়ন করেন। অথচ আমার স্বামী আন্দোলন চলাকালে আহত ২০ জন ছাত্রকে নিজ খরচে চিকিৎসা করান। আমরা পুরো ঘটনাকে নাটোরের পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

তিনি আরও দাবি করেন, ফয়সাল আগেই ছাত্রলীগ করতেন এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাগর মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় সাগর ২৪ জুলাই হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এই মামলা ঢাকা থেকে করেন বাছিরুল ইসলাম খান নামের এক ব্যক্তি।

মামলায় ৫০ ও ৫১ নম্বর আসামি হিসেবে এনায়েত করিম রাঙ্গা এবং তাঁর ভাতিজা আব্দুল আজিজের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় আজিজকে ঢাকা শহরের হাতিরপুল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মামলার বাদী বাছিরুল ইসলাম খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিথ্যা মামলায় স্বামী রাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে স্ত্রী পাপিয়ার সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিথ্যা মামলায় স্বামী রাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে স্ত্রী পাপিয়ার সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, ‘আমরা একটি হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের পারিবারিক বিরোধ আছে কি না, তা জানি না।’

অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঢাবি ছাত্র থাকার সময় প্রতিমন্ত্রী ফোন করে তাঁর ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে বলেন। আমার পক্ষে তাঁর মতো ব্যক্তির নির্দেশনা অমান্য করা সম্ভব ছিল না। তাই তাঁর পক্ষে ক্যাম্পেইন করেছি। আমি প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার কোনো মামলায় চাচা-ভাইদের নাম ঢুকিয়ে দিইনি। তারা দুজন খারাপ মানুষ, যা সবাই জানে। চাচার সঙ্গে বাবার বিরোধ থাকলেও আমার নেই। আমি দেশের জন্য কাজ করতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছি, ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত