রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৮ জুন মাইন উদ্দিন তাঁর অধীনে রাজশাহীর আট জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের একটি চিঠি দেন। এতে তিনি যেসব জেলায় ওএমএস ডিলার নিয়োগে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, সেসব জেলায় ৩০ জুনের মধ্যে ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। অথচ ১ জুলাই রাজশাহী মহানগর এলাকার ডিলার নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও নিজেই নতুন নিয়োগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ অন্য সব জেলায় পুরোনো ডিলাররাই দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ১৯ জানুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তরের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১১ ফেব্রুয়ারি উপপরিচালক অনির্বাণ ভদ্র আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের একটি চিঠি দিয়ে জানান, যেসব জেলা বা উপজেলায় ওএমএস কিংবা খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে মামলা হয়েছে, সেসব এলাকায় আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু রাজশাহীতে মামলা চলমান অবস্থায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এটি আদালত অবমাননার শামিল বলছেন আগের ডিলাররা।
জানা গেছে, নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৩০ বছর ধরে ৩০ জন ব্যক্তি ডিলার হিসেবে ওএমএসের পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন।
কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও গত বছরের আগস্টে ৩০ জন ডিলারেরই নিয়োগ বাতিল করেন বিভাগীয় ওএমএস কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার। এরপর ৯ অক্টোবর নতুন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে নিয়োগ বাতিল করায় রিট করেন পুরোনো ডিলাররা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে লাইসেন্সের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত পুরোনো ডিলারদেরই কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত ওএমএস বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পুরোনো ডিলাররা। কিন্তু এর পরদিনই আরসি ফুড ৩০ ওয়ার্ডে নতুন ডিলার নিয়োগ দেন। অথচ আদালতে এখনো শুনানিই হয়নি। পুরোনো ডিলাররা অভিযোগ করছেন, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল। এর আগেই ১৭ জুন তাঁরা লাইসেন্স নবায়নের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি ফুড) কার্যালয়ে যান। কিন্তু ডিসি ফুড তাঁদের লাইসেন্স নবায়নের চিঠিই গ্রহণ করেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, নবায়ন করা যাবে না।
প্রায় ১৫ বছর ধরে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার ছিলেন আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি যে মোটা অঙ্কের অনৈতিক লেনদেনের জন্য নতুন করে তড়িঘড়ি ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার ছিলেন ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে সারা বাংলাদেশের কোথাও পুরোনো ডিলারদের নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। রাজশাহী বিভাগের অন্য সাতটি জেলায়ও পুরোনো ডিলাররাই কাজ করছেন। কিন্তু শুধু রাজশাহীতেই পুরোনোদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অনিয়ম পেলে বাতিল করতে পারে, কিন্তু অনিয়ম ছাড়াই সবাইকে একযোগে বাতিল করা মোটেও ঠিক হয়নি। যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
জানা গেছে, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফ্রান্সে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কাবির খান। তিনি বলেন, ‘নিয়োগটা স্যার দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
পুরোনো ডিলারদের লাইসেন্স নবায়ন করতে না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় ওএমএস নিয়োগ কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়ন করলেই ডিলাররা পরবর্তী এক বছরের জন্য বৈধতা পেয়ে যেতেন। এর আগেই আমরা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। তাই বিষয়টা যেন স্ববিরোধী না হয়, তার জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। লাইসেন্স নবায়ন না করা, নিয়োগ বাতিল এবং নতুন নিয়োগ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তারা আইনগতভাবে বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারেন।’

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৮ জুন মাইন উদ্দিন তাঁর অধীনে রাজশাহীর আট জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের একটি চিঠি দেন। এতে তিনি যেসব জেলায় ওএমএস ডিলার নিয়োগে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, সেসব জেলায় ৩০ জুনের মধ্যে ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। অথচ ১ জুলাই রাজশাহী মহানগর এলাকার ডিলার নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও নিজেই নতুন নিয়োগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ অন্য সব জেলায় পুরোনো ডিলাররাই দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ১৯ জানুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তরের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১১ ফেব্রুয়ারি উপপরিচালক অনির্বাণ ভদ্র আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের একটি চিঠি দিয়ে জানান, যেসব জেলা বা উপজেলায় ওএমএস কিংবা খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে মামলা হয়েছে, সেসব এলাকায় আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু রাজশাহীতে মামলা চলমান অবস্থায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এটি আদালত অবমাননার শামিল বলছেন আগের ডিলাররা।
জানা গেছে, নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৩০ বছর ধরে ৩০ জন ব্যক্তি ডিলার হিসেবে ওএমএসের পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন।
কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও গত বছরের আগস্টে ৩০ জন ডিলারেরই নিয়োগ বাতিল করেন বিভাগীয় ওএমএস কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার। এরপর ৯ অক্টোবর নতুন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে নিয়োগ বাতিল করায় রিট করেন পুরোনো ডিলাররা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে লাইসেন্সের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত পুরোনো ডিলারদেরই কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত ওএমএস বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পুরোনো ডিলাররা। কিন্তু এর পরদিনই আরসি ফুড ৩০ ওয়ার্ডে নতুন ডিলার নিয়োগ দেন। অথচ আদালতে এখনো শুনানিই হয়নি। পুরোনো ডিলাররা অভিযোগ করছেন, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল। এর আগেই ১৭ জুন তাঁরা লাইসেন্স নবায়নের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি ফুড) কার্যালয়ে যান। কিন্তু ডিসি ফুড তাঁদের লাইসেন্স নবায়নের চিঠিই গ্রহণ করেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, নবায়ন করা যাবে না।
প্রায় ১৫ বছর ধরে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার ছিলেন আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি যে মোটা অঙ্কের অনৈতিক লেনদেনের জন্য নতুন করে তড়িঘড়ি ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার ছিলেন ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে সারা বাংলাদেশের কোথাও পুরোনো ডিলারদের নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। রাজশাহী বিভাগের অন্য সাতটি জেলায়ও পুরোনো ডিলাররাই কাজ করছেন। কিন্তু শুধু রাজশাহীতেই পুরোনোদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অনিয়ম পেলে বাতিল করতে পারে, কিন্তু অনিয়ম ছাড়াই সবাইকে একযোগে বাতিল করা মোটেও ঠিক হয়নি। যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
জানা গেছে, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফ্রান্সে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কাবির খান। তিনি বলেন, ‘নিয়োগটা স্যার দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
পুরোনো ডিলারদের লাইসেন্স নবায়ন করতে না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় ওএমএস নিয়োগ কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়ন করলেই ডিলাররা পরবর্তী এক বছরের জন্য বৈধতা পেয়ে যেতেন। এর আগেই আমরা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। তাই বিষয়টা যেন স্ববিরোধী না হয়, তার জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। লাইসেন্স নবায়ন না করা, নিয়োগ বাতিল এবং নতুন নিয়োগ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তারা আইনগতভাবে বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারেন।’

নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়।
২২ মিনিট আগে
হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়। এবার জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ওসমান হাদির নামে সেতুটির নামকরণ করেছেন বন্দর এলাকার ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার বিকেলে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বন্দর রেললাইন এলাকা থেকে শুরু হয়ে মদনগঞ্জ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর টোল প্লাজার নামফলকের পাশে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নাম স্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা।
নতুন নামকরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ছাত্র-জনতার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। আয়োজকদের দাবি, ওসমান হাদিকে স্মরণীয় করে রাখা এবং তাঁর হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আয়োজকদের একজন রেদোয়ান ইসলাম বলেন, ‘হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত নিই, তাঁর নাম স্মরণীয় করে রাখতে সেতুর নামকরণ করব। এর আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী নাসিম ওসমানের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এবার সেখানে দেশের একজন মহানায়ক হাদি ভাইয়ের নাম স্থাপন করা হলো। শিগগিরই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নাম স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়। এবার জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ওসমান হাদির নামে সেতুটির নামকরণ করেছেন বন্দর এলাকার ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার বিকেলে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বন্দর রেললাইন এলাকা থেকে শুরু হয়ে মদনগঞ্জ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর টোল প্লাজার নামফলকের পাশে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নাম স্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা।
নতুন নামকরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ছাত্র-জনতার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। আয়োজকদের দাবি, ওসমান হাদিকে স্মরণীয় করে রাখা এবং তাঁর হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আয়োজকদের একজন রেদোয়ান ইসলাম বলেন, ‘হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত নিই, তাঁর নাম স্মরণীয় করে রাখতে সেতুর নামকরণ করব। এর আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী নাসিম ওসমানের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এবার সেখানে দেশের একজন মহানায়ক হাদি ভাইয়ের নাম স্থাপন করা হলো। শিগগিরই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নাম স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৬ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল করেছে ধীরগতিতে ও সতর্কতার সঙ্গে।
রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত রাত ১২টা পর্যন্ত রিকশা চালাই। কিন্তু আজ হঠাৎ অনেক কুয়াশা পড়েছে, রাস্তাও ফাঁকা। তাই আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
ডিসি ব্রিজ এলাকার মুদিদোকানি রানা বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। আজ কুয়াশা আর শীত বেশি থাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকেই দোকান বন্ধ করেছি।’
মাদারীপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থাকতে পারে। এ সময় সাধারণ মানুষকে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচলের অনুরোধ জানান এবং মহাসড়কে চলাচলকারী চালকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলেন।

হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল করেছে ধীরগতিতে ও সতর্কতার সঙ্গে।
রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত রাত ১২টা পর্যন্ত রিকশা চালাই। কিন্তু আজ হঠাৎ অনেক কুয়াশা পড়েছে, রাস্তাও ফাঁকা। তাই আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
ডিসি ব্রিজ এলাকার মুদিদোকানি রানা বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। আজ কুয়াশা আর শীত বেশি থাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকেই দোকান বন্ধ করেছি।’
মাদারীপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থাকতে পারে। এ সময় সাধারণ মানুষকে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচলের অনুরোধ জানান এবং মহাসড়কে চলাচলকারী চালকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলেন।

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়।
২২ মিনিট আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৬ ঘণ্টা আগেআব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গত বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বেদপাড়া এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় সন্ধ্যা রানী (৫০) নামের এক নারীকে। শীতের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাইলেও ঠিকমতো কাজ হয় না। আগের বছর শীত আসার আগেই কম্বল পাইছিলাম। এবার শীত আইসা চলি যাচ্ছে, কেউ খোঁজও নিল না।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘এবার শীতে কি সরকার থাকি কোনো কম্বলের ব্যবস্থাই নাই, নাকি সবগুলা লোকজনে ভাগ করে খাইছে?’
এই অভিযোগ শুধু সন্ধ্যা রানীর নয়; কয়েক দিনে সরেজমিনে উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের তিস্তাতীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনমজুর, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ শীত নিবারণে সরকারি সহায়তার কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের ডাঙ্গী পাইকান এলাকায় আলুখেতে কাজ করার সময় কথা হয় দিনমজুর নুর আমিনের (৫৪) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা বাড়ার কারণে কোমর আর ঘাড়ের ব্যথা এমন হইছে যে ঠিকমতো হাঁটতেও পারি না, ঘাড়ও সোজা করতে পারি না। তবুও কাজ করা লাগে। বসে থাকলে কি আর পেট চলবে?’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর গত বুধবার গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, চলতি শীতে শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচনী কিছু জটিলতার কারণে ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনায় কম্বলগুলো উপজেলা পরিষদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১০০টি করে কম্বল সরবরাহ করা হয়।
জানতে চাইলে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁদের ইউনিয়নের জন্য ১০০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। শনিবার (আজ) সেগুলো বিতরণ করা হবে।
কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন সচিব পিআইও অফিস থেকে ১০০টি কম্বল এনেছেন। তবে সঠিক তথ্য খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সজীবুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভায় ওপর থেকে নির্দেশনা এসেছে, জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনো কম্বল বিতরণ করা যাবে না। নির্বাচনী কিছু জটিলতাও রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘কম্বলের বরাদ্দ ছিল। আমরা সেগুলো বিতরণ করে ফেলেছি।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গত বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বেদপাড়া এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় সন্ধ্যা রানী (৫০) নামের এক নারীকে। শীতের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাইলেও ঠিকমতো কাজ হয় না। আগের বছর শীত আসার আগেই কম্বল পাইছিলাম। এবার শীত আইসা চলি যাচ্ছে, কেউ খোঁজও নিল না।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘এবার শীতে কি সরকার থাকি কোনো কম্বলের ব্যবস্থাই নাই, নাকি সবগুলা লোকজনে ভাগ করে খাইছে?’
এই অভিযোগ শুধু সন্ধ্যা রানীর নয়; কয়েক দিনে সরেজমিনে উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের তিস্তাতীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনমজুর, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ শীত নিবারণে সরকারি সহায়তার কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের ডাঙ্গী পাইকান এলাকায় আলুখেতে কাজ করার সময় কথা হয় দিনমজুর নুর আমিনের (৫৪) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা বাড়ার কারণে কোমর আর ঘাড়ের ব্যথা এমন হইছে যে ঠিকমতো হাঁটতেও পারি না, ঘাড়ও সোজা করতে পারি না। তবুও কাজ করা লাগে। বসে থাকলে কি আর পেট চলবে?’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর গত বুধবার গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, চলতি শীতে শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচনী কিছু জটিলতার কারণে ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনায় কম্বলগুলো উপজেলা পরিষদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১০০টি করে কম্বল সরবরাহ করা হয়।
জানতে চাইলে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁদের ইউনিয়নের জন্য ১০০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। শনিবার (আজ) সেগুলো বিতরণ করা হবে।
কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন সচিব পিআইও অফিস থেকে ১০০টি কম্বল এনেছেন। তবে সঠিক তথ্য খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সজীবুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভায় ওপর থেকে নির্দেশনা এসেছে, জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনো কম্বল বিতরণ করা যাবে না। নির্বাচনী কিছু জটিলতাও রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘কম্বলের বরাদ্দ ছিল। আমরা সেগুলো বিতরণ করে ফেলেছি।’

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়।
২২ মিনিট আগে
হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৬ ঘণ্টা আগেসুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
মেহেদী হাসান, (দিনাজপুর) ফুলবাড়ী

দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামে শতবর্ষী ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’ আজ নীরব অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে—ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী হয়ে।
জানা গেছে, ১৯১৬ সালে তৎকালীন জমিদার সুরেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর ছেলে ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে ফুলবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে সুজাপুর গ্রামে যাত্রা শুরু করে এ পাবলিক লাইব্রেরিটি। সুজাপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পর দরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের সংকট দূর করতে বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়। বাবার স্মৃতি অমর করে রাখতে এর নামকরণ করা হয় ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’।
একসময় এ লাইব্রেরিতে ছিল বিপুল বই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে ভরপুর ছিল তাকগুলো। পাঠকদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। এ লাইব্রেরি থেকেই বহু মানুষ জ্ঞানের আলোয় পথচলা শুরু করেছিলেন। কালের বিবর্তনে যেমন ছোট যমুনা নদী আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি এ লাইব্রেরিও ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাণ। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দেয় লাইব্রেরির অমূল্য বই ও আসবাবপত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পর ২০১১ সালের ১৪ অক্টোবর লাইব্রেরি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোনো ভবনের পাশে ১২ শতাংশ জমিতে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে পুরোনো ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কেনা হয় ১ হাজার ১২০টি বই। ২০১৫ সালে আরও ২ লাখ টাকা অনুদানে নির্মিত হয় অতিরিক্ত একটি ঘর। ২০১৭ সালে সেখানে চালু হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এলাকার শিক্ষিত যুবকেরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পাঠকদের পদচারণে আবারও মুখর হয়ে ওঠে লাইব্রেরিটি। গঠিত হয় পরিচালনা কমিটি। মনে হয়েছিল, আবার বুঝি ফিরবে সেই দিন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থাভাব, লাইব্রেরিয়ানের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের চাপে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কে নেবে এর দায়িত্ব—এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এর মধ্যেই আঘাত হানে করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতের আঁধারে চুরি যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছয়টি কম্পিউটার। এভাবেই নতুন আশার শেষ আলোটুকুও যেন নিভে যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও আহমেদ হাছান জানান, তিনি লাইব্রেরিটি পরিদর্শন করে পরিচালনা কমিটিকে আপাতত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাইব্রেরি খুলে বসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জনবলসংকটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবেন।

দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামে শতবর্ষী ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’ আজ নীরব অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে—ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী হয়ে।
জানা গেছে, ১৯১৬ সালে তৎকালীন জমিদার সুরেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর ছেলে ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে ফুলবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে সুজাপুর গ্রামে যাত্রা শুরু করে এ পাবলিক লাইব্রেরিটি। সুজাপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পর দরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের সংকট দূর করতে বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়। বাবার স্মৃতি অমর করে রাখতে এর নামকরণ করা হয় ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’।
একসময় এ লাইব্রেরিতে ছিল বিপুল বই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে ভরপুর ছিল তাকগুলো। পাঠকদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। এ লাইব্রেরি থেকেই বহু মানুষ জ্ঞানের আলোয় পথচলা শুরু করেছিলেন। কালের বিবর্তনে যেমন ছোট যমুনা নদী আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি এ লাইব্রেরিও ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাণ। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দেয় লাইব্রেরির অমূল্য বই ও আসবাবপত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পর ২০১১ সালের ১৪ অক্টোবর লাইব্রেরি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোনো ভবনের পাশে ১২ শতাংশ জমিতে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে পুরোনো ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কেনা হয় ১ হাজার ১২০টি বই। ২০১৫ সালে আরও ২ লাখ টাকা অনুদানে নির্মিত হয় অতিরিক্ত একটি ঘর। ২০১৭ সালে সেখানে চালু হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এলাকার শিক্ষিত যুবকেরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পাঠকদের পদচারণে আবারও মুখর হয়ে ওঠে লাইব্রেরিটি। গঠিত হয় পরিচালনা কমিটি। মনে হয়েছিল, আবার বুঝি ফিরবে সেই দিন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থাভাব, লাইব্রেরিয়ানের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের চাপে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কে নেবে এর দায়িত্ব—এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এর মধ্যেই আঘাত হানে করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতের আঁধারে চুরি যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছয়টি কম্পিউটার। এভাবেই নতুন আশার শেষ আলোটুকুও যেন নিভে যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও আহমেদ হাছান জানান, তিনি লাইব্রেরিটি পরিদর্শন করে পরিচালনা কমিটিকে আপাতত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাইব্রেরি খুলে বসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জনবলসংকটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবেন।

নিজের জারি করা নির্দেশনাই মানেননি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) মাইন উদ্দিন। মামলা চলমান অবস্থায় তিনি রাজশাহী মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়।
২২ মিনিট আগে
হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চার-পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। তবে শীত নিবারণের জন্য সরকারি সহায়তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। শীতার্ত মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় তারা কম্বল পাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে