নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসে। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্টের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। এতে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক আম ব্যবসায়ীদের।
সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগের অভিযোগে ১৮ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা। ৪০-৫০ জন অনলাইন ব্যবসায়ী প্রায় ২ ঘণ্টা ওই অফিস ঘেরাও করে রাখেন। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো সময়মতো আম ডেলিভারি দিতে পারছে না এই কুরিয়ার সার্ভিস। এ অবস্থায় অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর ও সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জন অনলাইন আম ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছেন বলেও জানা গেছে। তালিকায় তাঁরা প্রত্যেকে নিজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছেন।
জানতে চাইলে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বাঘা ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আব্দুল হানান জনি বলেন, ‘ঈদের কারণে আমাদের অনেক কর্মী ছুটিতে ছিলেন, গাড়িও সংকটে ছিল। রাজশাহী থেকে সময়মতো গাড়ি ছাড়লেও রাস্তার জ্যামের কারণে কিছু বিলম্ব হয়েছে। আম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের ওই তালিকা ধরে কথা হয় কয়েকজন অনলাইন আম ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাজুল ইসলাম নামের একজন উদ্যোক্তা জানান, তাঁর বাড়ি সিলেটে। আমের মৌসুমে ব্যবসা করতে রাজশাহী এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আম যাওয়ার কথা থাকলেও স্টেডফাস্ট ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর আম ডেলিভারি করে। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকার আম নষ্ট হয়। অভিযোগ জানালেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি।’
পার্সেল থেকে আম বের করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের কথা জানান রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্যোক্তা সানবীর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তারা আম বের করে নেয়। পাশাপাশি আম ডেলিভারি না দিলেও চার্জ নেয়।’ ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জনের ওই তালিকায় আম বের করার অভিযোগ তুলে ধরেন ফুড বাস্ক নামের একটি প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল আলীমও। এই উদ্যোক্তা লেখেন, ‘পার্সেলগুলো থেকে বেশির ভাগ রাইডার আম চুরি করছে।’
নাহিদ সরকার নামের আরেক উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার ঈদের আগের ৫-৬টি পার্সেল ৫ দিন পর ডেলিভারি দেয়, যেগুলোর বেশির ভাগ আমই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ঈদের পর চাঁদপুরে আম দিয়েছিলাম। সেই আম বস্তা ফুটা করে চুরি করে খেয়েছে। এ ছাড়াও অনেক পার্সেলের আম পানিতে ভিজিয়েছে।’
জনি ইসলাম নামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে এক দিন এবং ঢাকার বাইরে দুদিন সময় লাগবে, এটা বলা হয়। কিন্তু ঢাকার ভেতর যেতে তিন-চার দিন লাগে এবং ঢাকার বাইরে যেতে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় নেয়, এতে আম নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।’
তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে দাবি করেছেন কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই শাখা থেকে চার হাজার ক্যারেট পণ্য পাঠিয়েছি। আমার পুরো রাজশাহী-চাঁপাই মিলে ১৫ থেকে ২০ হাজার ক্যারেট আম পাঠিয়েছি। আম যে নষ্ট হয়েছে তা কিন্তু নয়। যদি কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় বা কোনো পার্সেলে ক্ষতি হয়, তাহলে সেটা আমাদের দিলে আমরা আগে সেটা ভেরিফাই করছি।’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক উদ্যোক্তা স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়নকে মেনশন করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের গাফিলতির কারণে প্লাস দেরিতে ডেলিভারির কারণে এবারও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। ২০২৪ সালে সেইমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এভাবে আমরা আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হব?’ আরও অনেকে ফেসবুকে পচে যাওয়া আমের ছবি পোস্ট করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তবে আম ডেলিভারির তথ্য শেয়ার করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন ২০ জুন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৪০ দিনে প্রায় ৪ হাজার ১০০ টন আম। তেমন কিছু না। জাস্ট কিছু নাম্বার।’ তাঁর এই পোস্টে অনেক উদ্যোক্তা সেবা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এ কুরিয়ারে আমের সেবা বন্ধের অনুরোধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিদওয়ানুল বারী জিয়ন লিখেছেন, ‘অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, আম ডেলিভারি বন্ধ করতে। আমরা আম হোম ডেলিভারি শুরু করছি বলেই আম হোম ডেলিভারি হচ্ছে। ঈদের আগে তো সব স্মুথলিই ডেলিভারি হয়েছে। ঈদের পর কিছুটা ডিলে হয়েছে, যা এখন স্বাভাবিক। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো সাজেশন দিচ্ছেন!’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময় আমের কিছু কিছু পার্সেলে সমস্যা হয়েছিল। কারণ সে সময় রাস্তায় যানজট ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে পণ্যের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছি। এখন সমস্যা নেই।’
ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘যদি কোনো ভোক্তা বা ক্রেতা তাঁর অর্ডার করা পণ্য যথাযথভাবে না পান তাহলে এটা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। অনলাইনেও অভিযোগ করা যায়। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসে। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্টের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। এতে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক আম ব্যবসায়ীদের।
সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগের অভিযোগে ১৮ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা। ৪০-৫০ জন অনলাইন ব্যবসায়ী প্রায় ২ ঘণ্টা ওই অফিস ঘেরাও করে রাখেন। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো সময়মতো আম ডেলিভারি দিতে পারছে না এই কুরিয়ার সার্ভিস। এ অবস্থায় অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর ও সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জন অনলাইন আম ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছেন বলেও জানা গেছে। তালিকায় তাঁরা প্রত্যেকে নিজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছেন।
জানতে চাইলে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বাঘা ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আব্দুল হানান জনি বলেন, ‘ঈদের কারণে আমাদের অনেক কর্মী ছুটিতে ছিলেন, গাড়িও সংকটে ছিল। রাজশাহী থেকে সময়মতো গাড়ি ছাড়লেও রাস্তার জ্যামের কারণে কিছু বিলম্ব হয়েছে। আম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের ওই তালিকা ধরে কথা হয় কয়েকজন অনলাইন আম ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাজুল ইসলাম নামের একজন উদ্যোক্তা জানান, তাঁর বাড়ি সিলেটে। আমের মৌসুমে ব্যবসা করতে রাজশাহী এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আম যাওয়ার কথা থাকলেও স্টেডফাস্ট ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর আম ডেলিভারি করে। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকার আম নষ্ট হয়। অভিযোগ জানালেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি।’
পার্সেল থেকে আম বের করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের কথা জানান রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্যোক্তা সানবীর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তারা আম বের করে নেয়। পাশাপাশি আম ডেলিভারি না দিলেও চার্জ নেয়।’ ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জনের ওই তালিকায় আম বের করার অভিযোগ তুলে ধরেন ফুড বাস্ক নামের একটি প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল আলীমও। এই উদ্যোক্তা লেখেন, ‘পার্সেলগুলো থেকে বেশির ভাগ রাইডার আম চুরি করছে।’
নাহিদ সরকার নামের আরেক উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার ঈদের আগের ৫-৬টি পার্সেল ৫ দিন পর ডেলিভারি দেয়, যেগুলোর বেশির ভাগ আমই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ঈদের পর চাঁদপুরে আম দিয়েছিলাম। সেই আম বস্তা ফুটা করে চুরি করে খেয়েছে। এ ছাড়াও অনেক পার্সেলের আম পানিতে ভিজিয়েছে।’
জনি ইসলাম নামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে এক দিন এবং ঢাকার বাইরে দুদিন সময় লাগবে, এটা বলা হয়। কিন্তু ঢাকার ভেতর যেতে তিন-চার দিন লাগে এবং ঢাকার বাইরে যেতে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় নেয়, এতে আম নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।’
তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে দাবি করেছেন কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই শাখা থেকে চার হাজার ক্যারেট পণ্য পাঠিয়েছি। আমার পুরো রাজশাহী-চাঁপাই মিলে ১৫ থেকে ২০ হাজার ক্যারেট আম পাঠিয়েছি। আম যে নষ্ট হয়েছে তা কিন্তু নয়। যদি কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় বা কোনো পার্সেলে ক্ষতি হয়, তাহলে সেটা আমাদের দিলে আমরা আগে সেটা ভেরিফাই করছি।’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক উদ্যোক্তা স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়নকে মেনশন করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের গাফিলতির কারণে প্লাস দেরিতে ডেলিভারির কারণে এবারও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। ২০২৪ সালে সেইমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এভাবে আমরা আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হব?’ আরও অনেকে ফেসবুকে পচে যাওয়া আমের ছবি পোস্ট করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তবে আম ডেলিভারির তথ্য শেয়ার করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন ২০ জুন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৪০ দিনে প্রায় ৪ হাজার ১০০ টন আম। তেমন কিছু না। জাস্ট কিছু নাম্বার।’ তাঁর এই পোস্টে অনেক উদ্যোক্তা সেবা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এ কুরিয়ারে আমের সেবা বন্ধের অনুরোধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিদওয়ানুল বারী জিয়ন লিখেছেন, ‘অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, আম ডেলিভারি বন্ধ করতে। আমরা আম হোম ডেলিভারি শুরু করছি বলেই আম হোম ডেলিভারি হচ্ছে। ঈদের আগে তো সব স্মুথলিই ডেলিভারি হয়েছে। ঈদের পর কিছুটা ডিলে হয়েছে, যা এখন স্বাভাবিক। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো সাজেশন দিচ্ছেন!’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময় আমের কিছু কিছু পার্সেলে সমস্যা হয়েছিল। কারণ সে সময় রাস্তায় যানজট ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে পণ্যের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছি। এখন সমস্যা নেই।’
ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘যদি কোনো ভোক্তা বা ক্রেতা তাঁর অর্ডার করা পণ্য যথাযথভাবে না পান তাহলে এটা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। অনলাইনেও অভিযোগ করা যায়। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসে। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্টের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। এতে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক আম ব্যবসায়ীদের।
সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগের অভিযোগে ১৮ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা। ৪০-৫০ জন অনলাইন ব্যবসায়ী প্রায় ২ ঘণ্টা ওই অফিস ঘেরাও করে রাখেন। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো সময়মতো আম ডেলিভারি দিতে পারছে না এই কুরিয়ার সার্ভিস। এ অবস্থায় অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর ও সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জন অনলাইন আম ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছেন বলেও জানা গেছে। তালিকায় তাঁরা প্রত্যেকে নিজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছেন।
জানতে চাইলে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বাঘা ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আব্দুল হানান জনি বলেন, ‘ঈদের কারণে আমাদের অনেক কর্মী ছুটিতে ছিলেন, গাড়িও সংকটে ছিল। রাজশাহী থেকে সময়মতো গাড়ি ছাড়লেও রাস্তার জ্যামের কারণে কিছু বিলম্ব হয়েছে। আম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের ওই তালিকা ধরে কথা হয় কয়েকজন অনলাইন আম ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাজুল ইসলাম নামের একজন উদ্যোক্তা জানান, তাঁর বাড়ি সিলেটে। আমের মৌসুমে ব্যবসা করতে রাজশাহী এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আম যাওয়ার কথা থাকলেও স্টেডফাস্ট ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর আম ডেলিভারি করে। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকার আম নষ্ট হয়। অভিযোগ জানালেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি।’
পার্সেল থেকে আম বের করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের কথা জানান রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্যোক্তা সানবীর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তারা আম বের করে নেয়। পাশাপাশি আম ডেলিভারি না দিলেও চার্জ নেয়।’ ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জনের ওই তালিকায় আম বের করার অভিযোগ তুলে ধরেন ফুড বাস্ক নামের একটি প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল আলীমও। এই উদ্যোক্তা লেখেন, ‘পার্সেলগুলো থেকে বেশির ভাগ রাইডার আম চুরি করছে।’
নাহিদ সরকার নামের আরেক উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার ঈদের আগের ৫-৬টি পার্সেল ৫ দিন পর ডেলিভারি দেয়, যেগুলোর বেশির ভাগ আমই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ঈদের পর চাঁদপুরে আম দিয়েছিলাম। সেই আম বস্তা ফুটা করে চুরি করে খেয়েছে। এ ছাড়াও অনেক পার্সেলের আম পানিতে ভিজিয়েছে।’
জনি ইসলাম নামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে এক দিন এবং ঢাকার বাইরে দুদিন সময় লাগবে, এটা বলা হয়। কিন্তু ঢাকার ভেতর যেতে তিন-চার দিন লাগে এবং ঢাকার বাইরে যেতে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় নেয়, এতে আম নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।’
তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে দাবি করেছেন কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই শাখা থেকে চার হাজার ক্যারেট পণ্য পাঠিয়েছি। আমার পুরো রাজশাহী-চাঁপাই মিলে ১৫ থেকে ২০ হাজার ক্যারেট আম পাঠিয়েছি। আম যে নষ্ট হয়েছে তা কিন্তু নয়। যদি কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় বা কোনো পার্সেলে ক্ষতি হয়, তাহলে সেটা আমাদের দিলে আমরা আগে সেটা ভেরিফাই করছি।’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক উদ্যোক্তা স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়নকে মেনশন করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের গাফিলতির কারণে প্লাস দেরিতে ডেলিভারির কারণে এবারও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। ২০২৪ সালে সেইমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এভাবে আমরা আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হব?’ আরও অনেকে ফেসবুকে পচে যাওয়া আমের ছবি পোস্ট করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তবে আম ডেলিভারির তথ্য শেয়ার করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন ২০ জুন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৪০ দিনে প্রায় ৪ হাজার ১০০ টন আম। তেমন কিছু না। জাস্ট কিছু নাম্বার।’ তাঁর এই পোস্টে অনেক উদ্যোক্তা সেবা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এ কুরিয়ারে আমের সেবা বন্ধের অনুরোধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিদওয়ানুল বারী জিয়ন লিখেছেন, ‘অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, আম ডেলিভারি বন্ধ করতে। আমরা আম হোম ডেলিভারি শুরু করছি বলেই আম হোম ডেলিভারি হচ্ছে। ঈদের আগে তো সব স্মুথলিই ডেলিভারি হয়েছে। ঈদের পর কিছুটা ডিলে হয়েছে, যা এখন স্বাভাবিক। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো সাজেশন দিচ্ছেন!’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময় আমের কিছু কিছু পার্সেলে সমস্যা হয়েছিল। কারণ সে সময় রাস্তায় যানজট ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে পণ্যের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছি। এখন সমস্যা নেই।’
ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘যদি কোনো ভোক্তা বা ক্রেতা তাঁর অর্ডার করা পণ্য যথাযথভাবে না পান তাহলে এটা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। অনলাইনেও অভিযোগ করা যায়। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসে। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্টের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। এতে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক আম ব্যবসায়ীদের।
সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগের অভিযোগে ১৮ জুন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা। ৪০-৫০ জন অনলাইন ব্যবসায়ী প্রায় ২ ঘণ্টা ওই অফিস ঘেরাও করে রাখেন। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো সময়মতো আম ডেলিভারি দিতে পারছে না এই কুরিয়ার সার্ভিস। এ অবস্থায় অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর ও সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জন অনলাইন আম ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছেন বলেও জানা গেছে। তালিকায় তাঁরা প্রত্যেকে নিজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছেন।
জানতে চাইলে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বাঘা ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আব্দুল হানান জনি বলেন, ‘ঈদের কারণে আমাদের অনেক কর্মী ছুটিতে ছিলেন, গাড়িও সংকটে ছিল। রাজশাহী থেকে সময়মতো গাড়ি ছাড়লেও রাস্তার জ্যামের কারণে কিছু বিলম্ব হয়েছে। আম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের ওই তালিকা ধরে কথা হয় কয়েকজন অনলাইন আম ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাজুল ইসলাম নামের একজন উদ্যোক্তা জানান, তাঁর বাড়ি সিলেটে। আমের মৌসুমে ব্যবসা করতে রাজশাহী এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আম যাওয়ার কথা থাকলেও স্টেডফাস্ট ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর আম ডেলিভারি করে। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকার আম নষ্ট হয়। অভিযোগ জানালেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি।’
পার্সেল থেকে আম বের করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের কথা জানান রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্যোক্তা সানবীর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তারা আম বের করে নেয়। পাশাপাশি আম ডেলিভারি না দিলেও চার্জ নেয়।’ ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯ জনের ওই তালিকায় আম বের করার অভিযোগ তুলে ধরেন ফুড বাস্ক নামের একটি প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল আলীমও। এই উদ্যোক্তা লেখেন, ‘পার্সেলগুলো থেকে বেশির ভাগ রাইডার আম চুরি করছে।’
নাহিদ সরকার নামের আরেক উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার ঈদের আগের ৫-৬টি পার্সেল ৫ দিন পর ডেলিভারি দেয়, যেগুলোর বেশির ভাগ আমই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ঈদের পর চাঁদপুরে আম দিয়েছিলাম। সেই আম বস্তা ফুটা করে চুরি করে খেয়েছে। এ ছাড়াও অনেক পার্সেলের আম পানিতে ভিজিয়েছে।’
জনি ইসলাম নামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে এক দিন এবং ঢাকার বাইরে দুদিন সময় লাগবে, এটা বলা হয়। কিন্তু ঢাকার ভেতর যেতে তিন-চার দিন লাগে এবং ঢাকার বাইরে যেতে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় নেয়, এতে আম নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।’
তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে দাবি করেছেন কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই শাখা থেকে চার হাজার ক্যারেট পণ্য পাঠিয়েছি। আমার পুরো রাজশাহী-চাঁপাই মিলে ১৫ থেকে ২০ হাজার ক্যারেট আম পাঠিয়েছি। আম যে নষ্ট হয়েছে তা কিন্তু নয়। যদি কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় বা কোনো পার্সেলে ক্ষতি হয়, তাহলে সেটা আমাদের দিলে আমরা আগে সেটা ভেরিফাই করছি।’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক উদ্যোক্তা স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়নকে মেনশন করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের গাফিলতির কারণে প্লাস দেরিতে ডেলিভারির কারণে এবারও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। ২০২৪ সালে সেইমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এভাবে আমরা আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হব?’ আরও অনেকে ফেসবুকে পচে যাওয়া আমের ছবি পোস্ট করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তবে আম ডেলিভারির তথ্য শেয়ার করে স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন ২০ জুন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৪০ দিনে প্রায় ৪ হাজার ১০০ টন আম। তেমন কিছু না। জাস্ট কিছু নাম্বার।’ তাঁর এই পোস্টে অনেক উদ্যোক্তা সেবা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এ কুরিয়ারে আমের সেবা বন্ধের অনুরোধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিদওয়ানুল বারী জিয়ন লিখেছেন, ‘অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, আম ডেলিভারি বন্ধ করতে। আমরা আম হোম ডেলিভারি শুরু করছি বলেই আম হোম ডেলিভারি হচ্ছে। ঈদের আগে তো সব স্মুথলিই ডেলিভারি হয়েছে। ঈদের পর কিছুটা ডিলে হয়েছে, যা এখন স্বাভাবিক। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো সাজেশন দিচ্ছেন!’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময় আমের কিছু কিছু পার্সেলে সমস্যা হয়েছিল। কারণ সে সময় রাস্তায় যানজট ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে পণ্যের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছি। এখন সমস্যা নেই।’
ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘যদি কোনো ভোক্তা বা ক্রেতা তাঁর অর্ডার করা পণ্য যথাযথভাবে না পান তাহলে এটা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। অনলাইনেও অভিযোগ করা যায়। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ
২৮ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ
২৮ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৬ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ
২৮ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

বুকিংয়ের এক সপ্তাহ পরও আম ডেলিভারি দিতে পারছে না স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। এ ছাড়া আম হারিয়ে ফেলা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে। এমনকি রাইডাররা আম বের করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসব নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ
২৮ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে