Ajker Patrika

নাটোরের ভোটের মাঠে যেন 'কোথাও কেউ নেই' নাটকের শুটিং

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ১৪
নাটোরের ভোটের মাঠে যেন 'কোথাও কেউ নেই' নাটকের শুটিং

কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের সাড়া জাগানো নাটক 'কোথাও কেউ নেই' আজও জনপ্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্র বাকের ভাই, বদি ও মজনুর হাস্যরসাত্মক অভিনয়-নৈপুণ্য এখনো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। জনপ্রিয় সেই নাটকেরই যেন খণ্ডিত বাস্তব দৃশ্য দেখা গেল নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভোটের মাঠে। 

কোথাও কেউ নেই নাটকের প্রধান খল চরিত্রের নাম মতি। নাটকের নায়িকা মুনার বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে নিত্য আড্ডা দিতেন বাকের, বদি ও মজনু। নাটকের একটি পর্বে দেখা যায়, সম্মান না দিয়ে সামনে দিয়ে চলে যাওয়ার অপরাধে নাজেহাল হতে হয় খল চরিত্র মতিকে। মতিকে একপর্যায়ে বাকেরের পা ছুঁয়ে সালাম করে ওই স্থান ত্যাগ করতে হয়। সালাম করার পর বাকের কিছুটা নরম হয়ে মতিকে একটা কলা খেতে দেন। কলা খেতে না চাইলে ধমকে জোর করে মতিকে কলা খাওয়ানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে নাটকীয় সেই দৃশ্য বাস্তবে দেখা যায়। ওই দিন সকালে জামনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের নির্বাচনী প্রচারে বাগাতিপাড়ায় যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় জামনগর বাজারে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলমের প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তার দুই কর্মী মাহাবুর রহমান ও আহম্মদ আলী। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন মাহাবুর রহমানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধরে আনেন। এরপর সভাপতি তাঁকে থাপ্পড় মেরে হাতে থাকা কলা জোর করে মাহাবুরের মুখে গুঁজে দেন এবং নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করতে বাধ্য করেন। 

পুরো ঘটনার কিছুটা ধরা পড়ে ওই বাজারের একটি দোকানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৩৪ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নৌকার এক কর্মী মোটরসাইকেল থেকে জোর করে মাহাবুরকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে কয়েকজন কর্মী নিয়ে কলা হাতে মাহাবুরের সামনে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। তাঁদের কথোপকথন শোনা না গেলেও দেখা যায় আবুল হোসেন মাহাবুরকে কলা খেতে বলেই হাত তুলে চড় মারতে উদ্যত হন। এ সময় মাহাবুর পেছন দিকে সরে গেলে তাঁকে টেনে আনা নৌকার ওই কর্মীও চড় মারতে উদ্যত হয়ে সভাপতির হাতে থাকা কলার দিকে ইশারা করে কলাটি খেতে বলেন। এ সময় হাতে থাকা কলাটি ছিলে জোর করে মাহাবুরের মুখে ঢুকিয়ে দেন আবুল হোসেন। 

এদিকে সিসিটিভি ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমানতালে ভীতি ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন এই ঘটনাকে ভীতিকর আবার অনেকটা নাটকীয় হওয়ায় হাস্যরসাত্মক বলছেন অনেকে। 

তবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ আলম অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর কর্মীদের হয়রানি করেছেন। একজন উপজেলা সভাপতি যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে এসে এমন অশোভন আচরণ করেন, তখন কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁর এই আচরণ ভোটে প্রভাব ফেলবে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, `আমি সঙ্গে থাকা কর্মীদের নিয়ে ওই বাজারে প্রচারণা শেষে কলা খেতে খেতে হাঁটছিলাম। সিসিটিভি ক্যামেরা যেখানে ছিল, তার অনেক আগে থেকেই কলা হাতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই কর্মীকে ডাকছিলাম কলা খাওয়ার জন্য। সেদিকে ক্যামেরা না থাকায় ডাকার দৃশ্যটা ওঠেনি। কাছে যেতেই যখন কলা খেতে বললাম, তখন সে অশোভন আচরণ করে আমার সঙ্গে। তাই ঠাট্টার ছলে চড় মারতে উদ্যত হই, কিন্তু মারিনি। তবে একটা কলা ছিলে ওর মুখে পুড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু না।' 

এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাগাতিপাড়ায় স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনার কথা তিনি জানতেন না। বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। 

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় থেকে একটি সিংহী খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়ে এর পাশেই অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সিংহী বিকেলে খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে। সিংহীর চারপাশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এটিকে খাঁচায় নিয়ে আসতে।’

এটিকে ধরার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অবশ করতে অবশ করার গান প্রস্তুত করে রেখেছি। নিরাপত্তা বজায় রেখে অবশ করে খাঁচায় নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।’

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়েছে। কীভাবে বের হয়েছে, সেটি আমরা এখনো জানতে পারিনি।’

চিড়িয়াখানার এই কিউরেটর বলেন, সিংহীটিকে শান্ত রাখতে তাকে গরুর মাংস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে বন্দুকের মাধ্যমে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি অচেতন হয়ে গেলে খাঁচায় ভেতরে নেওয়া হবে।

এদিকে, চিড়িয়াখানা থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলেও জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগাছায় দিনের বেলায় কেটে রাখা জমির ধান লুটের অভিযোগ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
জমিতে বিছিয়ে রাখা এই ধানগুলোই রাতে লুট করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
জমিতে বিছিয়ে রাখা এই ধানগুলোই রাতে লুট করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগাছায় দিনের বেলায় কেটে রাখা এক কৃষকের ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া ডাক্তারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লুটকারীরা সটকে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে ৩০ বছর ধরে ৩৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন। চলতি মৌসুমে সেই জমিতে তিনি আমন ধান চাষ করেছিলেন। কিছুদিন আগে পাকা ধান কেটে খড়সহ জমিতে বিছিয়ে রেখে শুকাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর প্রতিবেশী আব্দুস সোবহান সেই জমি নিজের বলে দাবি করে তাঁর সঙ্গে অহেতুক বিরোধে জড়ান। সেই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুস সোবহান তাঁর ছেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে জমির ধান লুট করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল মান্নান বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আব্দুস সোবহান তাঁর লোকজনসহ তাঁকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দৌড়ে নিজ বাড়িতে ঢুকে রক্ষা পান। পরে তিনি জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এই জমি আমার। তাই আমার জমির ধান আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছি।’

তবে স্থানীয়রা জানান, ওই জমি আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিতে ধান আব্দুল মান্নানই চাষ করেছিলেন।

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া জানান, এ ব্যাপারে তিনি একটি এজাহার পেয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় এনসিপির আহ্বায়ক হলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া খাদেমুল ইসলাম খুদি। ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া খাদেমুল ইসলাম খুদি। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। জেলাজুড়ে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া অতীতে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য—বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মন্তব্যগুলো ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক পোস্ট ও ভিডিওতে খাদেমুল ইসলাম খুদিকে ইনুর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায়। এর আগে গত বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ৫২ সদস্যের এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, খাদেমুল ইসলাম খুদি দীর্ঘদিন ধরে হাসানুল হক ইনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত অক্টোবর মাসে সাদুল্যাপুর উপজেলায় ‘সুধী সমাবেশ’ করার নামে খাদেমুল ইসলাম খুদি একটি রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারলে খুদি সমাবেশ শুরুর আগেই ব্যানার সরিয়ে সরে পড়েন। এ ছাড়া সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরপরই তিনি বিভিন্ন কৌশলে দলবদল করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জুলাই আন্দোলন-নেতৃত্বকারী এ দলের জেলায় শীর্ষ পদটি পেয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ঘনিষ্ঠতার সুযোগে খুদি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গাইবান্ধা জেলা এনসিপিতে শীর্ষ পদটি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুকে এস এম এনামুল হক নামে একজন লিখেছেন, ‘যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারা কীভাবে এনসিপির আহ্বায়ক হন? টাকার বিনিময়ে কি শহীদদের রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে?’ মামুন সরকার নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আরেক নাম এনসিপি।’ রফিক খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্যই এ কমিটি।’

নাম না প্রকাশের শর্তে খাদেমুল ইসলাম খুদির এক বাল্যবন্ধু বলেন, খুদি ছাত্রজীবন থেকেই ক্ষমতা ও পদ-পদবির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। যদিও তিনি জাসদের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি প্রায়ই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

এদিকে নতুন কমিটির বিরোধিতা করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এনসিপির জেলা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি। ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে স্বৈরাচারের দোসরকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অযৌক্তিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।’ তিনি দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলমের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জ-৩: প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সেতু অবরোধ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আজ বিকেলে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বিকেলে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

বিকেল ৫টার দিকেও (এই প্রতিবেদন লেখার সময়) অবরোধ চলছিল। অবরোধের কারণে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন-সমর্থিত নেতা-কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে দলের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে রাতেই জেলা শহরে মির্জা ফখরুল ও রতনের কুশপুত্তলিকা দাহ ও মুক্তারপুর এলাকায় মশালমিছিল করেন মহিউদ্দিনপন্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দিনভর এ ব্লকেড কর্মসূচি চলে।

অবরোধ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমান ফকির, শাহাদাত হোসেন সরকার, শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব-উল-আলম স্বপন, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব মু. মাসুদ রানা, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. আবুল হাসেমসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত