পাবনা ও ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুর থানায় মেহেদী হাসান রানা, সজীব হোসেন ও হিমেল আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
সাব্বির হোসেন (৩০) পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রানা (৩৫) ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সারুটিয়া মহল্লার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন। তাঁর নামে থানায় একাধিক মাদক ও চুরির মামলা রয়েছে।
সজীবের বাড়ি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের কালিবাড়ি মহল্লায় ও হিমেলের বাড়ি ভদ্রপাড়া মহল্লায়।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেদী হাসান রানা, সজীব ও হিমেলসহ ৫–৬ জন যুবক তিনটি মোটরসাইকেলে ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে গিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে সাব্বিরকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বলে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন।
এ সময় সাব্বির চিৎকার দিলে তাঁকে চেতনানাশক স্প্রে করে মোটরসাইকেলে তুলে ভাঙ্গুড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে একটি ফাঁকা বাড়িতে আটকে রাখেন। সেখানে সাব্বিরকে মারধর করে সাব্বিরের মোবাইলে বিকাশে থাকা ৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। এ ছাড়া সাব্বিরের মোবাইল থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই বাড়িতে আসতে বলা হয়।
তখন সাব্বিরের পরিবার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন আহমেদকে জানায়। রিপন আহমেদ ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া থানায় যোগাযোগ করলে ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে সাব্বিরকে অপহরণ করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এরপর রিপন আহমেদ এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুরসহ ২০–২৫ যুবক ভাঙ্গুড়ায় আব্দুল আলীমের বাড়িতে এসে পুলিশের সহযোগিতায় সাব্বিরকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান রানাকে আটক করে পুলিশ। তাঁর অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ওই বাড়িতে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ভদ্রপাড়া মহল্লার রিয়েল সিপিএ নেটওয়ার্ক নামের একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এই ফাঁকা বাড়ি বেশ কিছুদিন আগে ভাড়া নেয়। মেহেদী হাসান, সজীব, হিমেল ও সুমনসহ ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন যুবক এখানে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া কাউকে অপহরণ করলে তাঁরা এই বাড়িতে এনে আটক করে রাখে বলে একাধিক ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করে।
দুই সপ্তাহ আগে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিন্দাবাদ নামের এক যুবককে অপহরণ করে এই বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে সিন্দাবাদকে ছাড়িয়ে নেয় পরিবার। সিন্দাবাদ ওই মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে।
আটকের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মেহেদী হাসান রানা বলেন, ‘আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে এসেছি। ডিবি পরিচয় দেইনি।’
মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অপহরণের বিষয়ে রানা বলেন, ‘আগে দু–একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন আমি ভালো হয়ে গেছি।’
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। সংগঠন করে কেউ মাদক ব্যবসা, অপহরণের মতো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকাটা দুঃখজনক। তার কারণে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন আহমেদ বলেন, ‘কি ভয়ংকর ব্যাপার। স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা দিনের পর দিন সাংবাদিক ও প্রশাসন পরিচয় দিয়ে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করছে। প্রশাসনের কাছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’
ভাঙ্গুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভাঙ্গুড়া থানা–পুলিশ অপহৃত সাব্বিরকে উদ্ধারের পর ফরিদপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। অপহরণের ঘটনাটি ফরিদপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানে মামলা হয়েছে।’ তবে মেহেদী হাসান রানার বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক ও অপহরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
চাটমোহর সার্কেলের (ভাঙ্গুড়া–ফরিদপুর–চাটমোহর) সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় মেহেদী হাসান রানাসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। রানাকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুর থানায় মেহেদী হাসান রানা, সজীব হোসেন ও হিমেল আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
সাব্বির হোসেন (৩০) পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রানা (৩৫) ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সারুটিয়া মহল্লার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন। তাঁর নামে থানায় একাধিক মাদক ও চুরির মামলা রয়েছে।
সজীবের বাড়ি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের কালিবাড়ি মহল্লায় ও হিমেলের বাড়ি ভদ্রপাড়া মহল্লায়।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেদী হাসান রানা, সজীব ও হিমেলসহ ৫–৬ জন যুবক তিনটি মোটরসাইকেলে ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে গিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে সাব্বিরকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বলে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন।
এ সময় সাব্বির চিৎকার দিলে তাঁকে চেতনানাশক স্প্রে করে মোটরসাইকেলে তুলে ভাঙ্গুড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে একটি ফাঁকা বাড়িতে আটকে রাখেন। সেখানে সাব্বিরকে মারধর করে সাব্বিরের মোবাইলে বিকাশে থাকা ৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। এ ছাড়া সাব্বিরের মোবাইল থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই বাড়িতে আসতে বলা হয়।
তখন সাব্বিরের পরিবার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন আহমেদকে জানায়। রিপন আহমেদ ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া থানায় যোগাযোগ করলে ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে সাব্বিরকে অপহরণ করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এরপর রিপন আহমেদ এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুরসহ ২০–২৫ যুবক ভাঙ্গুড়ায় আব্দুল আলীমের বাড়িতে এসে পুলিশের সহযোগিতায় সাব্বিরকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান রানাকে আটক করে পুলিশ। তাঁর অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ওই বাড়িতে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ভদ্রপাড়া মহল্লার রিয়েল সিপিএ নেটওয়ার্ক নামের একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এই ফাঁকা বাড়ি বেশ কিছুদিন আগে ভাড়া নেয়। মেহেদী হাসান, সজীব, হিমেল ও সুমনসহ ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন যুবক এখানে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া কাউকে অপহরণ করলে তাঁরা এই বাড়িতে এনে আটক করে রাখে বলে একাধিক ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করে।
দুই সপ্তাহ আগে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিন্দাবাদ নামের এক যুবককে অপহরণ করে এই বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে সিন্দাবাদকে ছাড়িয়ে নেয় পরিবার। সিন্দাবাদ ওই মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে।
আটকের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মেহেদী হাসান রানা বলেন, ‘আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে এসেছি। ডিবি পরিচয় দেইনি।’
মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অপহরণের বিষয়ে রানা বলেন, ‘আগে দু–একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন আমি ভালো হয়ে গেছি।’
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। সংগঠন করে কেউ মাদক ব্যবসা, অপহরণের মতো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকাটা দুঃখজনক। তার কারণে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃলাহীরিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন আহমেদ বলেন, ‘কি ভয়ংকর ব্যাপার। স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা দিনের পর দিন সাংবাদিক ও প্রশাসন পরিচয় দিয়ে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করছে। প্রশাসনের কাছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’
ভাঙ্গুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভাঙ্গুড়া থানা–পুলিশ অপহৃত সাব্বিরকে উদ্ধারের পর ফরিদপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। অপহরণের ঘটনাটি ফরিদপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানে মামলা হয়েছে।’ তবে মেহেদী হাসান রানার বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক ও অপহরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
চাটমোহর সার্কেলের (ভাঙ্গুড়া–ফরিদপুর–চাটমোহর) সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় মেহেদী হাসান রানাসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। রানাকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৪ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার
১১ নভেম্বর ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৪ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৪ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৪ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেনকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রানাকে গ্রেপ্তার
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে