Ajker Patrika

ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ঈশ্বরদী ইপিজেড। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈশ্বরদী ইপিজেড। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চলে (ইপিজেড) এলিগ্যান্ট স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড নামের একটি কারখানার ৪৪ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার পাকশীতে ঈশ্বরদী ইপিজেডে কারখানার সামনে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় ইপিজেডের নিরাপত্তাকর্মীরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তারপরও শ্রমিকেরা কিছু সময় অবস্থান নিয়ে বকেয়া পরিশোধ করা ও চাকরিচ্যুত না করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলা বা অনিয়মের কোনো অভিযোগ না থাকলেও শুধু মৌখিক নির্দেশনায় ১৭ এপ্রিল থেকে আমাদের চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শ্রম আইনে কোনো কারণ ছাড়া একজন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা যায় না। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন মাসে আগে শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ এসবের কোনোটি করেনি। এ কারণে পাওনা আদায়ের জন্য কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছি।’

অব্যাহতি পাওয়া কোম্পানিটির সাইজিং সেকশনের সাইজার আলিফ লাম ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাকরি ফেরত চাই। দ্রুত আমাদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যদি পরিশোধ না করা হয়, বেপজা শ্রম তদারকি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হবে।’

কোম্পানিটির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কোম্পানির ব্যবসায়িক অবস্থা সুবিধাজনক অবস্থায় না থাকায় কিছু শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কোম্পানি আইনে তাদের কোনো কিছু পাওনা থাকলে তা পরিশোধ করা হবে।’

ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোম্পানির ৪৪ জন শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তাঁরা পাওনা পেতে আমাদের জানিয়েছেন। অব্যাহতি দেওয়ার সময় বেপজা আইনে একজন শ্রমিকের সমুদয় পাওনা পরিশোধে কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না বলে কোম্পানির কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই কারখানা আর্থিক সংকটে রয়েছে। এমনকি কারখানার কাছে আমাদেরও টাকা পাওনা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্রেন দিয়ে ডেইলি স্টারের সাংবাদিকদের উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্রেনের মাধ্যমে ডেইলি স্টারের সাংবাদিকদের উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
ক্রেনের মাধ্যমে ডেইলি স্টারের সাংবাদিকদের উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতের পর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত ডেইলি স্টার সেন্টারে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়। এ সময় ভবনটি ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।

ডেইলি স্টারে রাতের ডিউটিতে থাকা একাধিক সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য আকুতি জানান। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার প্রাথমিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিকে গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা হয়। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারে হামলার পক্ষে না: আবরার ফাইয়াজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আবরার ফাইয়াজ। ফাইল ছবি
আবরার ফাইয়াজ। ফাইল ছবি

প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারে হামলার পক্ষে না— এমন মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাইয়াজ। তিনি ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের ছোট ভাই।

আজ রাত পৌনে একটার দিকে নিজের ফেসবুকে এ পোস্ট করেছেন তিনি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ লেখেন, ওসমান হাদি ভাই চেয়েছিলেন কালচারাল ফ্যাসিজমের মূলোৎপাটন করতে। ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে এত এত বই রাখার বা এক্টিভিটির কারণ ছিলো প্রথম আলো গং দের ন্যারেটিভের বাইরে মানুষকে চিন্তা করতে, কথা বলতে শেখানো।

তিনি তাঁর ফেসবুকে আরও লেখেন, ওসমান ভাইয়ের শাহাদাতকে স্যাবোটেজ দিয়ে চাপা দেওয়া এই চক্রান্তে পা না দিয়ে সঠিক লক্ষ্যে অটুট থাকুন। এজেন্সি গত এক সপ্তাহে স্যাবোটেজের অনেক পরিকল্পনা করেছে এটা মাথায় রাইখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ডেইলি স্টার ভবনে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিট কাজ করে।

বর্তমানে ডেইলি স্টার ভবনের সামনে এনসিপি নেতারা। সেখানে রয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন।

মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘ডেইলি স্টার ভবনের সাংবাদিক অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত