Ajker Patrika

রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা: যুবলীগ নেতাসহ ৪ জনের নামে মামলা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ২০
রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা: যুবলীগ নেতাসহ ৪ জনের নামে মামলা

পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন কামালসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার প্রথম প্রহরে নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা করেন বলে ওসি অরবিন্দ সরকার জানা।

মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল ছাড়াও তাঁর ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী আনোয়ার উদ্দিনকেও আসামি করা হয়।

অরবিন্দ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এসআই সুব্রত মামলার তদন্ত করছেন। আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে আসা এক লেগুনার বেপরোয়া গতিতে চলাচলে নিষেধ করেন কড়ইতলার স্থানীয় দোকানিরা। এ নিয়ে লেগুনাচালকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত দোকানি ও রিকশাচালকদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এরই জের ধরে লেগুনাচালকের পক্ষে ঈশ্বরদী পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কামালের ছোট ভাই আনোয়ার তিনটি মোটরসাইকেলসহ দলবল নিয়ে এসে ওই দোকানি ও রিকশাচালকের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আনোয়ার গুলি ছুড়লে রিকশাচালক মামুন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।

এদিকে রিকশাচালক মামুনের খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী থানার সামনে বিক্ষোভ করেন নিহত রিকশাচালক মামুনের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনসহ এলাকাবাসী। পুলিশ গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তাঁরা শান্ত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অথর্ব, ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁর মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা আমরা শুনতে চাই না। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোন যোগ্যতায়, কোন মুখে এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন, সেটা তাঁকে ব্যাখ্যা করতে হবে।’

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মত উৎপাদন করছে। আর যদি কোনো এ রকম হত্যার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্পত্তি জাতীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, বাংলাদেশে এখনো জুলাইয়ের শত্রুরা, সংস্কারের শত্রুরা, ন্যায়বিচারের শত্রুরা সজাগ আছে। দেশে আবারও ওয়ান-ইলেভেন তৈরির পাঁয়তারা চলছে। আধিপত্যবাদবিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান, জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব ডা. জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিকশক্তির সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  জবি প্রতিনিধি
আজ শুক্রবার বিকেলে জবি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার বিকেলে জবি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

‎আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে তাঁতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘হাদির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই হাসপাতালে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

‎এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন দিনের আলোতে গুলি চালানো বিশ্বাসযোগ্য নয়। ইন্টেরিম সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতাই এ ঘটনার কারণ। মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

‎লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার অওরিন বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর স্বাধীনভাবে বাঁচার আশা ছিল। অথচ দিনের বেলা এমন নৃশংস হামলা উদ্বেগজনক। ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

‎আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এর দায় ইন্টেরিম সরকারকেই নিতে হবে। সরকার ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু বিচার নয়, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

‎উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে বলেছিলাম—‘র’ তোকে বাঁচতে দেবে না: বোন মাছুমা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
হাদিকে বলেছিলাম—‘র’ তোকে বাঁচতে দেবে না: বোন মাছুমা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’

হাদি ভারতবিরোধী লেখা লিখত, বাংলাদেশপন্থী লেখালেখি করত উল্লেখ করে মাছুমা বলেন, তার রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে ছিল দেশপ্রেম। তার জীবনের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। তার জীবন দেশের জন্যই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ‘র’ আছে, আওয়ামী লীগ আছে—আবার এখন মির্জা আব্বাসের বিপরীতে ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িয়েছে—এখন তার শত্রুর অভাব নেই। এ দেশে জিয়াউর রহমানকেও বাঁচতে দেয়নি।

হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ওসমান হাদি এমন একজন মানুষ, যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটাই দেশপ্রেমে ভরা। রাস্তায়, শাহবাগ মোড়ে—যেখানেই থাকুক—স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই কথা বলে। বাংলাদেশে এত সৎ মানুষ রাজনীতি করে না—এটা আমরা আগে থেকেই তাকে বলতাম। কিন্তু সে বলত, “না, কেউ না কেউকে তো শুরু করতেই হবে।” মূলত সে-ই সে শুরুটা করেছে।’

আমীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম, তার ওপর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ সে ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সে বাংলাদেশের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলত। তাই আমরা তাকে ব্যালেন্স করে চলতে বলতাম, কারণ ব্যালেন্স ছাড়া এ দেশে টিকে থাকা যায় না। কিন্তু সে বলত, “হ্যাঁ, আমি করব। হয়তো আমি একদিন থাকব না, কিন্তু আমার দেখাদেখি হাজারো-লাখো হাদির জন্ম হবে।’”

ঝালকাঠির নলছিটির বাড়িতে হাদির বোন ও ভগ্নিপতি বসবাস করেন। হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ভগ্নিপতি আমীর জানান, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হাদির মাকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় হাদির বাসায় রেখে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাদির বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হাদি পঞ্চম। হাদির স্ত্রী রাবেয়া ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে।

হাদির বাল্যবন্ধু ইসমাইল মুসাফির বলেন, ওসমান হাদি ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড—বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতায়—সে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। এ কারণে সে বারবার জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না; ব্যক্তি হিসেবেই সে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোর কারাগারে সেই উদ্ভাবক মিজানের ‘আত্মহত্যা’

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরের আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান। ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দী মিজানুর কারাগারের ভেতরে কার্পেট চালির (যেখানে কার্পেট তৈরি হয়) দরজা ভেঙে ঢোকেন। সেখানে তিনি গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।

মৃত মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। তিনি চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আসেন। মিজান ওয়ার্কশপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিষ্কার করে এক দশক ধরে জেলায় পরিচিতি পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে।

জানতে চাইলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, তিনি (মিজান) মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান যশোরের শার্শার একজন মেকানিক। যিনি বহু উদ্ভাবনী যন্ত্র; যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। গত বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত