Ajker Patrika

নোয়াখালীর হাতিয়া

ইলিশের আকাল, হতাশ জেলে

  • নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ জুলাই শুরু হয়েছে ইলিশ শিকারের মৌসুম। চলবে আগস্ট পর্যন্ত।
  • হাতিয়ার বড় ২০টি ঘাটের ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার নৌকা নদীতে বিচরণ করে ইলিশ ধরতে।
  • এখন দিনে ৩০-৪০টি ট্রলার নদীতে যায়।
ইসমাইল হোসেন কিরন,  হাতিয়া (নোয়াখালী)  
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৪৬
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় ঘাটের খালে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে নৌকা। সম্প্রতি সূর্যমুখী ঘাট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় ঘাটের খালে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে নৌকা। সম্প্রতি সূর্যমুখী ঘাট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ২০টি বড় ঘাটে এখন এই মন্দা অবস্থা চলছে।

ইলিশ শিকার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশের ভরা মৌসুম। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিবছর এ সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করেন। এখানকার নিঝুম দ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, বাংলাবাজার, চেয়ারম্যান ঘাটসহ বড় ২০টি ঘাটের ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করে ইলিশ ধরতে।

জেলেরা জানান, এ বছর জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। প্রতিদিন প্রায় শূন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। মৌসুমের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেননি তাঁরা। নদীতে নামতে গিয়ে দিন দিন দেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূর্যমুখী ঘাটের দক্ষিণে খালপাড়ে বসে ছিলেন সবুর আলী (৫৫)। বাড়ি ভোলার দৌলতখানে। ভালো মাছ পাওয়ার আশায় গত সপ্তাহে এখানে এলেও এখনো সেই আশা পূরণ হয়নি। সবুর জানান, প্রতিদিন দেনা করে নদীতে গেলেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়। এ কারণে গত চার দিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় সংসার খরচ চালানোর জন্য এক টাকাও দিয়ে আসতে পারেননি। পরিকল্পনা ছিল, নদীতে মাছ ধরে বাড়িতে টাকা পাঠাবেন। এখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

সবুরের মতো অনেকে নদীতে না গিয়ে ঘাট এলাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছেন। আব্দুর রব মাঝি জানান, তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আটজন কাজ করেন। মাছ না পাওয়ায় তিনি ইতিমধ্যে দেড় লাখ টাকা দেনার মধ্যে পড়ে গেছেন। তাঁর দুই লোক কাউকে কিছু না বলে গোপনে চট্টগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে।

রব মাঝির তথ্য অনুযায়ী, সূর্যমুখী ঘাটে স্থানীয় ও বাইরের মিলিয়ে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। দিনে ৩০-৪০টি ট্রলার নদীতে যায়। মাছ না থাকায় অন্যরা ঘাটে বেকার সময় পার করছেন।

ঘাটের শ্রমিক সর্দার নূর ইসলাম জানান, তাঁর অধীনে ৮৫ শ্রমিক কাজ করেন। কোনো নৌকা বা ট্রলার ভিড়লে তাঁরা সেখান থেকে মাছ টুকরিতে করে নিলামের বাক্সে এনে দেন। প্রতিদিন যে টাকা পান তা ভাগ করে নেন ৮৫ জন। এ বছর প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে প্রত্যেকে ৩০-৪০ টাকা করে পাচ্ছেন। এতে নিজেদের চা-নাশতার খরচই হচ্ছে না। সংসার চলছে দেনা করে।

এ নিয়ে কথা হলে সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এই বছরের মতো এত কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকেই মাছ নেই। অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছেন। ঘাটে সবার মুখে হতাশা।

শুধু সূর্যমুখী ঘাটে নয়, একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারণ হিসেবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও নদীতে ডুবোচর ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি জানান, কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসায় সেখানে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি আশা করছেন, মৌসুমের সামনের সময়গুলোতে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজন আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন।  ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু জায়গায় এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন। দিন গড়িয়ে গেলেও আগুন আশপাশের দোকান ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।

দোকানমালিকেরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় অনেক মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান ও ফ্ল্যাট রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একটি দোকানের মালিক কুমিল্লার রুবেল বলেন, ‘মুহূর্তেই আমার ১৭ বছরের অর্জন সব শেষ।’ রায়হান নামে একজন বলেন, ‘আমার দুই কোটি টাকার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।’ আর জুরাইনের সালাম বলেন, ‘আমার বাবার জমি বিক্রির কোটি টাকায় কেনা শীতের কাপড় পুড়ে গেছে।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নির্ধারণ করা হবে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১২তলা ভবনটির আটতলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজি নূর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের ভেতরে ধোঁয়া থাকায় উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় ধোঁয়ার মাত্রা বেশি ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া ও কিছু স্থানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলা: জড়িতদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ফুলবাড়ী সীমান্তে নজরদারি জোরদার

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির নজরদারি। ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির নজরদারি। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে গুলি করে। ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা দেশের যেকোনো সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাশের দেশে পালাতে পারে এবং একই সঙ্গে ভারত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে মর্মে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের গমনাগমন প্রতিরোধে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে ১০টি টহলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলবাড়ী শহরের ঢাকা মোড়, বিরামপুর শহর ও মোহনপুর ব্রিজ এলাকায় তিনটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।’

ফুলবাড়ী (২৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি, যানবাহন তল্লাশি ও যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ওপর বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৯ ব্যাটালিয়নের সব সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি অভিযান ও টহল জোরদার

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার শশীদল সীমান্ত এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ বিজিবির। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার শশীদল সীমান্ত এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ বিজিবির। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি অভিযান, টহল কার্যক্রম ও নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সম্প্রতি রাজধানীতে সংঘটিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো সন্ত্রাসী যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে এই বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান এই তথ্য জানান।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুমিল্লা জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের অপরিচিত লোকসমাগম ও সন্দেহজনক যানবাহনের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবং তল্লাশির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্তে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিজিবির প্রধান দায়িত্ব। সন্ত্রাসীরা যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও বদ্ধপরিকর।

মো. জিয়াউর রহমান আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবির অভিযান ও নজরদারি কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণকেও যেকোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা তৎপরতার বিষয়ে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত