Ajker Patrika

রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৭১ টিভির সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে সংবাদকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব, আড়াইহাজার রিপোর্টার্স ক্লাব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপগঞ্জের সংগঠকেরা কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন। পরে ইউএনও এসে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফারুক মোল্লা, বাঁধন মোল্লা, ইমন মোল্লা, ফাহিম মোল্লা, সুমন মোল্লা, কাজলসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে। রিয়াজ হোসেনের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা প্রমাণ করে, তারা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অপরাধীরা বাধা সৃষ্টি করতে চায়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে সাংবাদিকেরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।’

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ে যেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়।’

এর আগে ৭ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ববিরোধের জের ধরে রূপগঞ্জের সমু মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলা হয়। এ সময় রিয়াজের মাথায়, ঘাড়ে ও পিঠে ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রিয়াজ হোসেনের ছোট ভাই বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলে মারা গেছেন। এ সময় তাঁদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রনি বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১০)। তাঁরা পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দৌহাইল গ্রামের বাসিন্দা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাতলা রেলস্টেশনের অদূরে ছয়ঘড়িয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনি বেগম তাঁর ছেলেকে নিয়ে সোনাতলা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ ট্রেন দেখে রনি বেগম আত্মহত্যার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত তার মাকে উদ্ধার করতে গেলে মা-ছেলে দুজনেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এই দৃশ্য দেখে পথচারী তাজুল ইসলাম (৬৫) মা-ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, রনি বেগম মানসিক রোগী ছিলেন। তিনি এর আগেও বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডিম বিক্রেতার পাথর নিক্ষেপে ভাঙল ট্রেনের কাচ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি   
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া স্টেশনে সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের এক যাত্রীকে লক্ষ্য করে এক তরুণ ডিম বিক্রেতা পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

চকরিয়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চকরিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছায় শনিবার রাত পৌনে ১১টায়। এ সময় একজন ভাসমান ডিম বিক্রেতা ট্রেনে ডিম বিক্রি করছিলেন। একজন যাত্রী ওই বগিতে ডিম বিক্রেতাকে যেতে নিষেধ করেন। এতে ডিম বিক্রেতার সঙ্গে ওই যাত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ট্রেনের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে ডিম বিক্রেতা চলে যান। এরপর ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিলে ডিম বিক্রেতা বগি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। পাথরটি ট্রেনের খাবারের কোচের জানালায় লাগলে কাচ ভেঙে যায়। এতে খাবারের কোচের একজন সহকারী সামান্য আহত হন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ বিন জাফর চৌধুরী বলেন, সৈকত এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর এক যাত্রী ডিম বিক্রেতাকে বগিতে যেতে বারণ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ডিম বিক্রেতা বগিতে পাথর ছুড়ে মারেন, সেটি লেগে খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

ফরহাদ আরও বলেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পাথর নিক্ষেপকারী ওই ডিম বিক্রেতাকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম মনসুর আলম। তাঁর বাড়ি সাহারবিল আব্দুল জব্বার সিকদারপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে রেল প্রশাসন ও রেল পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে হাইমচর থানায় এই মামলা করেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অন্য ১০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি।

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন মো. ফিরোজ খান (৫৩), মো. কামাল হোসেন (৫৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো. সুলতান খান (৪৫), মো. মিন্টু (২৮), মো. সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো. মনিরুজ্জামান (৪০)। এই আটজন এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী। মামলায় আরও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের পক্ষে দায়ের করা মামলার তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঝালকাঠি থেকে গতকাল চাঁদপুর নৌ থানায় আনা হয়। আজ তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহত এবং আহত হয় বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা ১২ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় গতকাল রাত ১টার দিকে। রোববার সকালে আবারও রেললাইনে আগুন দিয়ে ট্রেন অবরোধ করেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের কর্মীরা। পরে আবারও স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বেলা ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন দন্দ্বে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে মনোনয়ন পান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল পৌর শহর ও উপজেলায় রেললাইনসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে টায়ারে আগুন জালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের গফরগাঁও স্টেশনে কর্মকর্তাদের বের করে কক্ষে তালা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা স্টেশনের কম্পিউটার সিস্টেম, সিগন্যাল লাইট, স্টেশনে সংযোগ লাইনের কক্ষে আগুন দেয়। স্লিপার তুলে নেওয়ায় সরে যায় রেললাইন। এতে শনিবার বিকেল ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

মধ্যরাতের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও আজ সকাল ৯টায় আবারও গফরগাঁও স্টেশন থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ২ ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য আখতারুজ্জামান বাচ্চু। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজের ফেসবুক থেকে শনিবার বিকেলে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই ঘটনার পর বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এ বি সিদ্দিকুর রহমান ও মুশফিকুর রহমানের সমর্থকেরা মুহূর্তের মধ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।

দলীয় মনোনয়ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের প্রাণের দাবি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেবে দল। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির সদস্য মুশফিকুর রহমান বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য অন্যতম দাবিদার। মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে দুর্বার প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

ময়মনসিংহ-২

পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলের ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছে। মুশফিকুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি আবারও বিবেচনার জন্য দাবি জানাই।’

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. হানিফ বলেন, স্টেশনের কম্পিউটার সিস্টেম, সিগন্যাল লাইট, স্টেশনে সংযোগ লাইনের বক্সে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্লিপার তুলে নেওয়ায় সরে গেছে রেললাইন। এতে গতকাল বিকেল ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সকালে আরও দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করে রাখা হয়। ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন কাজ করছে।

গফরগাঁওয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।’

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আশা করছি, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী কাজ করছে বলেও জানান তিনি।’

এর আগে শনিবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ময়মনসিংহ-১০ আসনে মো. আক্তারুজ্জামান বাচ্চুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। এর পর থেকে গফরগাঁওয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত