নওগাঁ প্রতিনিধি

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও রয়েছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়।
এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগানেও শুরু হয়েছে গুটির যত্ন আর ছাঁটাইয়ের কাজ। আর অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে পুরোপুরি ব্যস্ত।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর, ফতেপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল—ধানের মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা। কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউবা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। মাঠে মাঠে ধান এখনো কাঁচা, সবুজ শিষগুলো বড় হচ্ছে; এসব ঘিরেই কৃষকের ব্যস্ততা। পাশে মাচা তুলে লাগানো হয়েছে করলা, ঝিঙে, শসা, লাউ। গরম শুরু হওয়ায় সেচ দিতে হচ্ছে নিয়মিত। ভোরে উঠেই যাঁর যাঁর খেতের খোঁজে ছুটেছেন কৃষকেরা।
কৃষক আব্দুল খালেক বললেন, ‘সকালে পান্তা খাইছি, এখন আইছি ধানের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে। কয়েকটা জমিতে করোলা লাগাইছি। ধান-সবজির দুই কাজ নিয়া খুব চাপ। শহরের মানুষ হয়তো ভাবে আমরা উৎসব করি না—আসলে এই কাজই তো আমাদের উৎসব।’

কীর্তিপুরের তরুণ কৃষক সাইফুল ইসলাম জানালেন, ‘আমরা বৈশাখ মানে বুঝি নতুন আশার শুরু। এই সময় জমিতে ভালো পরিচর্যা করতে পারলে সারা বছরের ফলন ভালো হয়। আমি করলা আর ধান—দুইটাই করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকলেও মন টানে না শহরের কনসার্টে।’
সবজিখেতে কথা হয় রাবেয়া বেগমের সঙ্গে। তাঁর জমিতে শসা আর মরিচ। তিনি বললেন, ‘বাচ্চারা মেলায় গিয়েছে। আমি এখানে। জমি দেখে মনে হয়—ভালো হবে। এই আনন্দ কী আর অন্য কিছুতে আছে?’
অন্যদিকে সাপাহার উপজেলার তিলনা ও আশড়ন্দ গ্রামজুড়ে আমবাগানের দৃশ্য একেবারেই অন্য রকম। আমগাছে গুটি এসেছে। তবে গুটি নরম, টেকসই হয়নি এখনো। একটু বাতাসেই পড়ে যাচ্ছে। তাই সকাল-সন্ধ্যা বাগানে উপস্থিত থাকছেন চাষিরা। বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কাও তাড়া করে ফিরছে সবাইকে।

তিলনা গ্রামের আমচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর মুকুল বেশ ভালো ধরেছিল। এখন গুটি ঝরার চিন্তায় আছি। প্রতিদিন স্প্রে দিতে হচ্ছে, গাছ ঝাঁড়া লাগে, আবার সারও দিতে হচ্ছে। বৈশাখ এলেও আমাদের রোদে-পিচে এই গাছগুলোর নিচেই দিন চলে যায়।’ তাঁর পাশের চাষি হানিফ আলী জানালেন, ‘বউ সকালে পান্তা দিল, তাই খেয়ে চলে এলাম। শহরে বৈশাখ দেখতে ইচ্ছা করে না, এই বাগানই আমার উৎসব।’
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে ধান, সবজি আর আম—তিনটির মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন কৃষকের ব্যস্ততা সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একদম ভুল করা চলবে না। কারণ, এ সময়ের একটু অবহেলা পুরো মৌসুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
জানতে চাইলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ সময় মাঠে থাকা কৃষকেরাই আমাদের জাতীয় উৎপাদন সামলাচ্ছেন। বৈশাখে ধান তো আছেই, এখন বাম্পার আমের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। সে জন্যই চাষিরা উৎসবের থেকেও বেশি মনোযোগী মাঠে।’
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারি বলেন, ‘বৈশাখ মানেই তো নতুন কিছু শুরু করার সাহস। কৃষকেরা সেটা করেন মাঠে। মাটির সঙ্গে থাকা উৎসবগুলো আমাদের চোখে পড়ে না বলেই তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নওগাঁর বৈশাখকে যদি একটু নিবিড়ভাবে দেখা যায়, বোঝা যাবে—এখানেও উৎসব আছে। কেবল সে উৎসব শহরের মতো শব্দ করে না, আলো ঝলমলে নয়। বরং সে উৎসব মাটির গন্ধে ভরা, চাষির গলায় ঘামের রেখায় লেখা—একটি নতুন বছরের গল্প।’

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও রয়েছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়।
এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগানেও শুরু হয়েছে গুটির যত্ন আর ছাঁটাইয়ের কাজ। আর অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে পুরোপুরি ব্যস্ত।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর, ফতেপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল—ধানের মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা। কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউবা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। মাঠে মাঠে ধান এখনো কাঁচা, সবুজ শিষগুলো বড় হচ্ছে; এসব ঘিরেই কৃষকের ব্যস্ততা। পাশে মাচা তুলে লাগানো হয়েছে করলা, ঝিঙে, শসা, লাউ। গরম শুরু হওয়ায় সেচ দিতে হচ্ছে নিয়মিত। ভোরে উঠেই যাঁর যাঁর খেতের খোঁজে ছুটেছেন কৃষকেরা।
কৃষক আব্দুল খালেক বললেন, ‘সকালে পান্তা খাইছি, এখন আইছি ধানের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে। কয়েকটা জমিতে করোলা লাগাইছি। ধান-সবজির দুই কাজ নিয়া খুব চাপ। শহরের মানুষ হয়তো ভাবে আমরা উৎসব করি না—আসলে এই কাজই তো আমাদের উৎসব।’

কীর্তিপুরের তরুণ কৃষক সাইফুল ইসলাম জানালেন, ‘আমরা বৈশাখ মানে বুঝি নতুন আশার শুরু। এই সময় জমিতে ভালো পরিচর্যা করতে পারলে সারা বছরের ফলন ভালো হয়। আমি করলা আর ধান—দুইটাই করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকলেও মন টানে না শহরের কনসার্টে।’
সবজিখেতে কথা হয় রাবেয়া বেগমের সঙ্গে। তাঁর জমিতে শসা আর মরিচ। তিনি বললেন, ‘বাচ্চারা মেলায় গিয়েছে। আমি এখানে। জমি দেখে মনে হয়—ভালো হবে। এই আনন্দ কী আর অন্য কিছুতে আছে?’
অন্যদিকে সাপাহার উপজেলার তিলনা ও আশড়ন্দ গ্রামজুড়ে আমবাগানের দৃশ্য একেবারেই অন্য রকম। আমগাছে গুটি এসেছে। তবে গুটি নরম, টেকসই হয়নি এখনো। একটু বাতাসেই পড়ে যাচ্ছে। তাই সকাল-সন্ধ্যা বাগানে উপস্থিত থাকছেন চাষিরা। বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কাও তাড়া করে ফিরছে সবাইকে।

তিলনা গ্রামের আমচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর মুকুল বেশ ভালো ধরেছিল। এখন গুটি ঝরার চিন্তায় আছি। প্রতিদিন স্প্রে দিতে হচ্ছে, গাছ ঝাঁড়া লাগে, আবার সারও দিতে হচ্ছে। বৈশাখ এলেও আমাদের রোদে-পিচে এই গাছগুলোর নিচেই দিন চলে যায়।’ তাঁর পাশের চাষি হানিফ আলী জানালেন, ‘বউ সকালে পান্তা দিল, তাই খেয়ে চলে এলাম। শহরে বৈশাখ দেখতে ইচ্ছা করে না, এই বাগানই আমার উৎসব।’
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে ধান, সবজি আর আম—তিনটির মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন কৃষকের ব্যস্ততা সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একদম ভুল করা চলবে না। কারণ, এ সময়ের একটু অবহেলা পুরো মৌসুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
জানতে চাইলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ সময় মাঠে থাকা কৃষকেরাই আমাদের জাতীয় উৎপাদন সামলাচ্ছেন। বৈশাখে ধান তো আছেই, এখন বাম্পার আমের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। সে জন্যই চাষিরা উৎসবের থেকেও বেশি মনোযোগী মাঠে।’
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারি বলেন, ‘বৈশাখ মানেই তো নতুন কিছু শুরু করার সাহস। কৃষকেরা সেটা করেন মাঠে। মাটির সঙ্গে থাকা উৎসবগুলো আমাদের চোখে পড়ে না বলেই তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নওগাঁর বৈশাখকে যদি একটু নিবিড়ভাবে দেখা যায়, বোঝা যাবে—এখানেও উৎসব আছে। কেবল সে উৎসব শহরের মতো শব্দ করে না, আলো ঝলমলে নয়। বরং সে উৎসব মাটির গন্ধে ভরা, চাষির গলায় ঘামের রেখায় লেখা—একটি নতুন বছরের গল্প।’
নওগাঁ প্রতিনিধি

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও রয়েছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়।
এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগানেও শুরু হয়েছে গুটির যত্ন আর ছাঁটাইয়ের কাজ। আর অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে পুরোপুরি ব্যস্ত।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর, ফতেপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল—ধানের মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা। কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউবা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। মাঠে মাঠে ধান এখনো কাঁচা, সবুজ শিষগুলো বড় হচ্ছে; এসব ঘিরেই কৃষকের ব্যস্ততা। পাশে মাচা তুলে লাগানো হয়েছে করলা, ঝিঙে, শসা, লাউ। গরম শুরু হওয়ায় সেচ দিতে হচ্ছে নিয়মিত। ভোরে উঠেই যাঁর যাঁর খেতের খোঁজে ছুটেছেন কৃষকেরা।
কৃষক আব্দুল খালেক বললেন, ‘সকালে পান্তা খাইছি, এখন আইছি ধানের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে। কয়েকটা জমিতে করোলা লাগাইছি। ধান-সবজির দুই কাজ নিয়া খুব চাপ। শহরের মানুষ হয়তো ভাবে আমরা উৎসব করি না—আসলে এই কাজই তো আমাদের উৎসব।’

কীর্তিপুরের তরুণ কৃষক সাইফুল ইসলাম জানালেন, ‘আমরা বৈশাখ মানে বুঝি নতুন আশার শুরু। এই সময় জমিতে ভালো পরিচর্যা করতে পারলে সারা বছরের ফলন ভালো হয়। আমি করলা আর ধান—দুইটাই করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকলেও মন টানে না শহরের কনসার্টে।’
সবজিখেতে কথা হয় রাবেয়া বেগমের সঙ্গে। তাঁর জমিতে শসা আর মরিচ। তিনি বললেন, ‘বাচ্চারা মেলায় গিয়েছে। আমি এখানে। জমি দেখে মনে হয়—ভালো হবে। এই আনন্দ কী আর অন্য কিছুতে আছে?’
অন্যদিকে সাপাহার উপজেলার তিলনা ও আশড়ন্দ গ্রামজুড়ে আমবাগানের দৃশ্য একেবারেই অন্য রকম। আমগাছে গুটি এসেছে। তবে গুটি নরম, টেকসই হয়নি এখনো। একটু বাতাসেই পড়ে যাচ্ছে। তাই সকাল-সন্ধ্যা বাগানে উপস্থিত থাকছেন চাষিরা। বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কাও তাড়া করে ফিরছে সবাইকে।

তিলনা গ্রামের আমচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর মুকুল বেশ ভালো ধরেছিল। এখন গুটি ঝরার চিন্তায় আছি। প্রতিদিন স্প্রে দিতে হচ্ছে, গাছ ঝাঁড়া লাগে, আবার সারও দিতে হচ্ছে। বৈশাখ এলেও আমাদের রোদে-পিচে এই গাছগুলোর নিচেই দিন চলে যায়।’ তাঁর পাশের চাষি হানিফ আলী জানালেন, ‘বউ সকালে পান্তা দিল, তাই খেয়ে চলে এলাম। শহরে বৈশাখ দেখতে ইচ্ছা করে না, এই বাগানই আমার উৎসব।’
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে ধান, সবজি আর আম—তিনটির মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন কৃষকের ব্যস্ততা সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একদম ভুল করা চলবে না। কারণ, এ সময়ের একটু অবহেলা পুরো মৌসুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
জানতে চাইলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ সময় মাঠে থাকা কৃষকেরাই আমাদের জাতীয় উৎপাদন সামলাচ্ছেন। বৈশাখে ধান তো আছেই, এখন বাম্পার আমের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। সে জন্যই চাষিরা উৎসবের থেকেও বেশি মনোযোগী মাঠে।’
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারি বলেন, ‘বৈশাখ মানেই তো নতুন কিছু শুরু করার সাহস। কৃষকেরা সেটা করেন মাঠে। মাটির সঙ্গে থাকা উৎসবগুলো আমাদের চোখে পড়ে না বলেই তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নওগাঁর বৈশাখকে যদি একটু নিবিড়ভাবে দেখা যায়, বোঝা যাবে—এখানেও উৎসব আছে। কেবল সে উৎসব শহরের মতো শব্দ করে না, আলো ঝলমলে নয়। বরং সে উৎসব মাটির গন্ধে ভরা, চাষির গলায় ঘামের রেখায় লেখা—একটি নতুন বছরের গল্প।’

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও রয়েছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়।
এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগানেও শুরু হয়েছে গুটির যত্ন আর ছাঁটাইয়ের কাজ। আর অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে পুরোপুরি ব্যস্ত।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর, ফতেপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল—ধানের মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা। কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউবা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। মাঠে মাঠে ধান এখনো কাঁচা, সবুজ শিষগুলো বড় হচ্ছে; এসব ঘিরেই কৃষকের ব্যস্ততা। পাশে মাচা তুলে লাগানো হয়েছে করলা, ঝিঙে, শসা, লাউ। গরম শুরু হওয়ায় সেচ দিতে হচ্ছে নিয়মিত। ভোরে উঠেই যাঁর যাঁর খেতের খোঁজে ছুটেছেন কৃষকেরা।
কৃষক আব্দুল খালেক বললেন, ‘সকালে পান্তা খাইছি, এখন আইছি ধানের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে। কয়েকটা জমিতে করোলা লাগাইছি। ধান-সবজির দুই কাজ নিয়া খুব চাপ। শহরের মানুষ হয়তো ভাবে আমরা উৎসব করি না—আসলে এই কাজই তো আমাদের উৎসব।’

কীর্তিপুরের তরুণ কৃষক সাইফুল ইসলাম জানালেন, ‘আমরা বৈশাখ মানে বুঝি নতুন আশার শুরু। এই সময় জমিতে ভালো পরিচর্যা করতে পারলে সারা বছরের ফলন ভালো হয়। আমি করলা আর ধান—দুইটাই করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকলেও মন টানে না শহরের কনসার্টে।’
সবজিখেতে কথা হয় রাবেয়া বেগমের সঙ্গে। তাঁর জমিতে শসা আর মরিচ। তিনি বললেন, ‘বাচ্চারা মেলায় গিয়েছে। আমি এখানে। জমি দেখে মনে হয়—ভালো হবে। এই আনন্দ কী আর অন্য কিছুতে আছে?’
অন্যদিকে সাপাহার উপজেলার তিলনা ও আশড়ন্দ গ্রামজুড়ে আমবাগানের দৃশ্য একেবারেই অন্য রকম। আমগাছে গুটি এসেছে। তবে গুটি নরম, টেকসই হয়নি এখনো। একটু বাতাসেই পড়ে যাচ্ছে। তাই সকাল-সন্ধ্যা বাগানে উপস্থিত থাকছেন চাষিরা। বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কাও তাড়া করে ফিরছে সবাইকে।

তিলনা গ্রামের আমচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর মুকুল বেশ ভালো ধরেছিল। এখন গুটি ঝরার চিন্তায় আছি। প্রতিদিন স্প্রে দিতে হচ্ছে, গাছ ঝাঁড়া লাগে, আবার সারও দিতে হচ্ছে। বৈশাখ এলেও আমাদের রোদে-পিচে এই গাছগুলোর নিচেই দিন চলে যায়।’ তাঁর পাশের চাষি হানিফ আলী জানালেন, ‘বউ সকালে পান্তা দিল, তাই খেয়ে চলে এলাম। শহরে বৈশাখ দেখতে ইচ্ছা করে না, এই বাগানই আমার উৎসব।’
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে ধান, সবজি আর আম—তিনটির মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন কৃষকের ব্যস্ততা সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একদম ভুল করা চলবে না। কারণ, এ সময়ের একটু অবহেলা পুরো মৌসুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
জানতে চাইলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ সময় মাঠে থাকা কৃষকেরাই আমাদের জাতীয় উৎপাদন সামলাচ্ছেন। বৈশাখে ধান তো আছেই, এখন বাম্পার আমের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। সে জন্যই চাষিরা উৎসবের থেকেও বেশি মনোযোগী মাঠে।’
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারি বলেন, ‘বৈশাখ মানেই তো নতুন কিছু শুরু করার সাহস। কৃষকেরা সেটা করেন মাঠে। মাটির সঙ্গে থাকা উৎসবগুলো আমাদের চোখে পড়ে না বলেই তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নওগাঁর বৈশাখকে যদি একটু নিবিড়ভাবে দেখা যায়, বোঝা যাবে—এখানেও উৎসব আছে। কেবল সে উৎসব শহরের মতো শব্দ করে না, আলো ঝলমলে নয়। বরং সে উৎসব মাটির গন্ধে ভরা, চাষির গলায় ঘামের রেখায় লেখা—একটি নতুন বছরের গল্প।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও আছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়। এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগান
১৪ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও আছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়। এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগান
১৪ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও আছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়। এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগান
১৪ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

নববর্ষ মানে ঢাক-ঢোল, রঙিন জামা, পান্তা-ইলিশ আর শহুরে সাজসজ্জা—এই চেনা ছবির বাইরেও আছে আরেক বৈশাখ। যেখানে আনন্দ আসে অন্যভাবে, মাঠে ঘামের ফোঁটায়। ঠিক যেমনটা দেখা গেল উত্তরের জেলা নওগাঁয়। এখানে বৈশাখ মানে ধান, আম আর সবজির মাঠে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। ধানের মাঠে নতুন শিষে কৃষকের ব্যস্ততা। পাশাপাশি আমবাগান
১৪ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে