Ajker Patrika

ময়মনসিংহের খড়িয়া

নদীর জমি দখল, হচ্ছে বিক্রিও

  • ১৫ বছর আগেও স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ছিল।
  • ফুলপুর পৌরশহরের সেতুর দুই পাশে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাড়ি, দোকানপাট।
  • দখল করা জমি আবার অন্যের কাছে বিক্রিও করা হচ্ছে, এমনকি প্লট আকারেও।
  • সিএস রেকর্ড অনুযায়ী খনন করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ২৯
১৫ বছর আগেও স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ছিল খড়িয়া নদীতে। কিন্তু ক্রমাগত দখল-দূষণে সেই চিত্র আর নেই। নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে বেহাল হয়ে পড়েছে নদীটি। ছবিটি সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর শহরের সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৫ বছর আগেও স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ছিল খড়িয়া নদীতে। কিন্তু ক্রমাগত দখল-দূষণে সেই চিত্র আর নেই। নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে বেহাল হয়ে পড়েছে নদীটি। ছবিটি সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর শহরের সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একসময়ের উত্তাল খড়িয়া নদী এখন স্রোতহীন। দখল-দূষণে গতিহারা ময়মনসিংহের ফুলপুরের এই নদী। এর দুই পাশে এখন ফসল এবং মাঝখানে কচুরিপানায় ভরা। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট, ঘরবাড়িসহ বহুতল ভবন। বছরের পর বছর ধরে চলা এই ‘নির্যাতনে’ নিজস্বতা হারিয়েছে নদীটি।

৩৭ কিলোমিটার খড়িয়া নদী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রাংসা থেকে ফুলপুর উপজেলা অতিক্রম করে হালুয়াঘাটের ভোগাই কংস নদে গিয়ে মিশেছে। নদীটির বেশির ভাগ অংশ ফুলপুরে হওয়ায় এটি ফুলপুর খড়িয়া নদী হিসেবে পরিচিত।

নদীতীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর আগেও খড়িয়ায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ছিল। অথচ ফুলপুর পৌরশহরের সেতুর দুই পাশে নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাসাবাড়ি, করা হয়েছে ফসলের আবাদ। সিএস রেকর্ডে নদীর জায়গা থাকলেও আরওআর এবং বিআরএস খতিয়ান রেকর্ডে দখলসূত্রে নিজেদের নামে দলিল করে নিয়েছেন অনেকে। সেই জমি আবার অন্যের কাছে বিক্রিও করা হচ্ছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদী খননের সময় তারা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী খনন করবে।

প্রায় ৩০ বছর আগে ফুলপুর সরকারি কলেজ রোডে খড়িয়া নদীর পাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনকে বারবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সেখানকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চারতলা ওই বাড়িটি যে কেউ দেখলে বলবে সেটি নদীর মধ্যে পড়েছে, কিন্তু তিনি (মোফাজ্জল) কোন ক্ষমতাবলে তা করেছেন, সেটি আমরা জানি না। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নদীর মধ্যে তাঁর জায়গা রয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁর মতো আরও অনেকে নদীর জায়গা দখল সূত্রে কাগজপত্র করে নিজেদের নামে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছেন, এসবের একটি বিহিত হওয়া প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ক্রয়সূত্রে আড়াই শতাংশ জমি কিনে প্রায় ৩০ বছর আগে চারতলা বাসাটি নির্মাণ করেছি। নির্মাণের পর থেকেই মানুষ বলছে সেটি নদীর মধ্যে পড়েছে, কিন্তু এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। জায়গাটির মালিক প্রকৃতপক্ষে আমিই।’

স্থানীয় বিল্লাল হোসেন জানান, সেতুর নিচে খড়িয়া নদীর অংশটুকু মেন্দুমিয়ার চর নামে পরিচিত। সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য এ অংশ লিজ নিয়েছেন চৌকিদার কদ্দুস। পরে তিনি বিআরএস খতিয়ানে নিজের নামে লিখে নেন। এখন প্লট করে বিক্রি করছেন। কিছুদিন আগেও শাহজাহান নামে এক ব্যবসায়ী এখানে জমি কিনেছেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ১৫-২০ বছর আগেও নদীতে প্রবল স্রোত ছিল। অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ধীরে ধীরে নদীটি যেমন দখল হয়ে সংকীর্ণ হয়েছে; তেমনি বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধের কারণে স্রোত না থাকায় কচুরিপানায় ভরে গেছে।

সেই সঙ্গে পৌরসভা ও আশপাশের কলকারখানার বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পানি।

গোদারিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকে তাঁর বাড়ির সামনের নদীর অংশ দখল করে আবাদ করার পাশাপাশি জমি বিক্রিও করছেন। তাঁরা কীভাবে কাগজপত্র করে এসব করছেন, তাঁরাই তা ভালো জানেন। নদী তো এখন সবুজ মাঠ, বহুতল ভবন ও দোকানপাটের জায়গা।’

নদীর পাড় ঘেঁষে বাসা নির্মাণ করা আব্দুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র দেখেই আমি জমি কিনে বাসা করেছি। আমার বাসার অনেক দূরে নদীর অবস্থান। এ পাড়ে নয়, ওই পাড়ে আমুয়াকান্দা মসজিদের আশপাশে খড়িয়া নদী দখল হচ্ছে।’

সেতুর পাশে নদীর ওপর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান। ওই সব দোকান থেকে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে।

দোকানি মো. রাজু বলেন, ‘সেতুর পাশে বাপ-দাদা ব্যবসা করেছে। আমিও দোকান করছি। কিছুদিন আগে আমরাই কাঠ দিয়ে কয়েকটি দোকান তুলেছি।’ তবে কোনো ময়লা নদীতে ফেলা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, নদী সুরক্ষায় আইন রয়েছে। কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দখল-দূষণে জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নদী খনন করছি। আর সকল নদী সিএস রেকর্ড অনুযায়ী খনন করা হয়। সেখানে অনেকের জায়গা-জমি থাকলেও আমাদের কিছু করার থাকে না। তাই নদীর জায়গা দখল করে অন্যত্র বিক্রি এবং বহুতল ভবন, দোকানপাট নির্মাণ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আখলাক উল জামিল বলেন, জেলায় ৫৯টি নদনদী রয়েছে। এর মধ্যে এলাকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খননকাজও অব্যাহত আছে। বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় জেলায় ছোট-বড় ২১টি নদী ও খাল খনন করা হয়েছে। বর্তমানে মুক্তাগাছার আয়মন নদীর খননকাজ অব্যাহত রয়েছে। নান্দাইলের কাঁচামাটিয়া নদীর খননকাজ অচিরেই শুরু হবে। জনগণের দাবি বিবেচনা করে ফুলপুরের খড়িয়া নদী দখলমুক্ত করে খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ একজন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ারের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত মতিয়ার রহমান দেওভোগ গ্রামের বলিয়ার রহমানের ছেলে।

আজ সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মজিবর রহমান জানান, তাঁর ভাই মতিয়ারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেওভোগ গ্রামে মতিয়ার পৈতৃকসূত্রে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি পেয়েছেন। ওই জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধল্যা গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে শহীদ খান, ফরহাদ খান, মো. ফুয়াদ খান ও মাসুদ খানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে ১২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মতিয়ার। গতকাল সকালে মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ধল্যা যাওয়ার পথে দেওভোগ গ্রামের রাস্তায় পৌঁছালে শহীদ খান ও তাঁর লোকজন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আটকান। সেখানে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মতিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মতিয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মতিয়ার রহমানের কানে গুলি লেগে ছিদ্র হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ খান বলেন, জমির ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসীর স্ত্রীর বঁটির কোপে ভাশুর নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত টুকু মোল্লা গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।

অভিযুক্ত নারী হলেন সীমা বেগম। তিনি গুনপালদী গ্ৰামের তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী। সম্পর্কে নিহত টুকু সীমা বেগমের ভাশুর হন।

নিহত টুকুর চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে টুকু বাড়িতে আসে। আজ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় টুকু তার (সীমার) ঘরে গিয়ে হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে সীমা হাতে থাকা বঁটি দিয়ে টুকুকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় টুকুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সীমা বেগমকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।

উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত