ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আজ শনিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে গাজীপুর জেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলাম এবং সহযোগী ঘটক কুদ্দুস আলীকে তারাকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রথমে বিয়ে; তারপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল গ্রেপ্তার হওয়া মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুলের উদ্দেশ্য। প্রতিটি পরিবার থেকে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
মহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাসিন্দা। বিগত কয়েক বছরে প্রতারণা করে ময়মনসিংহে ছয়টি, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে তিনটি করে—এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে একটি বিয়ে করেন। বিয়ে করে পরিবারের কাছ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এবার তিনি ১৪তম বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। মহিদুলের গ্রেপ্তারের খবরে আজ শনিবার ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসে হাজির হন প্রতারিত ছয় স্ত্রী ও তাঁদের পরিবার।
অনার্স সম্পন্ন করা প্রতারণার শিকার এক নারী বলেন, তাঁদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক ঘটকের মাধ্যমে মহিদুল প্রথমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। পরিবারের লোকজন প্রথমে রাজি না হলেও তাঁর জোরালো সুপারিশে এক মাস পর রাজি হয়ে যান। কারণ, ছেলে নৌবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি তখন নৌবাহিনীর পোশাক পরা ছবিও পাঠান। ভাঙনে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়াসহ তাঁর মা-বাবা মারা যাওয়ায় তিনি তাঁর চাচাতো ভাই পরিচয়ে একজনকে নিয়ে গেলে ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পরপরই তিনি আশুলিয়ায় জমি কিনছেন বলে পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে যান। দুই মাস ১৫ দিন পরপর বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। এরপর থেকে তিনি খুব একটা আসতেন না। এরপর অসুখ ও নতুন বাসায় ফার্নিচার কিনবেন বলে আরও দুই লাখ টাকা নেন তাঁর পরিবারের কাছ থেকে।
ওই নারী আরও বলেন, ‘হঠাৎ একদিন আমাদের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে এমন পাত্রের কাছে একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছে, সে বিষয়টি শুনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, মহিদুল সেখানেও বিয়ে করেছেন। পরে খোঁজখবর নিতে মানিকগঞ্জে তাঁর বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে তাঁর মাকে পাই। কিন্তু তিনি চাকরি করেন না, সেটা নিশ্চিত হই। আজকে ডিবি অফিসে এসে জানতে পারি, তিনি ১৩টি বিয়ে করেছেন। এখন যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আমাদের দাবি, তাঁর কঠিন বিচার হোক। যেন আর কোনো মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট না হয়।’
আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘বাবা-মায়ের তিন মেয়ের মধ্যে আমি সবার ছোট। বাকি দুই বোনের সরকারি চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তাই বাবা-মা আমাকে সরকারি চাকরি করে, এমন ছেলে মহিদুলের কাছে বিয়ে দিয়েছেন। বাবা-মাকে ম্যানেজ করে তাড়াহুড়া করে মহিদুল আমাকে বিয়ে করে।’
এই নারী আরও বলেন, ‘বিয়ের পর জমি কিনছে বলে বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেয় সে। এরপর আমার এক আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও কয়েক লাখ টাকা নেয়। মোট আট লাখ টাকা সে নেয়। পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ডিবি অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অবগত করলে আমরা এসে জানতে পারি, সে সব মিলিয়ে ১৩টি বিয়ে করেছে। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধারসহ যেন কঠিন বিচার হয়—এটাই আমাদের দাবি।’
সুখের আশায় এমন প্রতারকের সঙ্গে সন্তানের বিয়ে দিয়ে এখন অনুশোচনায় ভুগছেন এক বাবা। তিনি বলেন, ‘মেয়ে বিয়ে দিয়ে যে প্রতারণার শিকার হব, তা ভাবতে পারেনি। নিজেকে আজকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। আমার মেয়েটা অনেকটা প্রতিবন্ধী। সে মেয়েটার কপাল এমন হবে, ভাবতে পারেনি। লোভের মধ্যে পড়ে মেয়েটার জীবনটা আমি শেষ করে দিলাম। মহিদুল আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়ার পরে আর যোগাযোগ রাখেনি। অসহায় বাবা হিসেবে আমার একটাই দাবি, সে যেন কোনোভাবে পার না পায়।’
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে প্রতারণা করার কিছু ছবি এবং আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাঁদের থেকে তথ্য জেনে প্রতারিত হওয়া পরিবারগুলোকে জানানো হয়। এরপর প্রতারিত হওয়া ছয়টি পরিবারে আজকে উপস্থিত হয়। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সার্বিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সন্তানদের বিয়ের ব্যাপারে পরিবারকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আজ শনিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে গাজীপুর জেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলাম এবং সহযোগী ঘটক কুদ্দুস আলীকে তারাকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রথমে বিয়ে; তারপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল গ্রেপ্তার হওয়া মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুলের উদ্দেশ্য। প্রতিটি পরিবার থেকে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
মহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাসিন্দা। বিগত কয়েক বছরে প্রতারণা করে ময়মনসিংহে ছয়টি, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে তিনটি করে—এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে একটি বিয়ে করেন। বিয়ে করে পরিবারের কাছ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এবার তিনি ১৪তম বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। মহিদুলের গ্রেপ্তারের খবরে আজ শনিবার ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসে হাজির হন প্রতারিত ছয় স্ত্রী ও তাঁদের পরিবার।
অনার্স সম্পন্ন করা প্রতারণার শিকার এক নারী বলেন, তাঁদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক ঘটকের মাধ্যমে মহিদুল প্রথমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। পরিবারের লোকজন প্রথমে রাজি না হলেও তাঁর জোরালো সুপারিশে এক মাস পর রাজি হয়ে যান। কারণ, ছেলে নৌবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি তখন নৌবাহিনীর পোশাক পরা ছবিও পাঠান। ভাঙনে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়াসহ তাঁর মা-বাবা মারা যাওয়ায় তিনি তাঁর চাচাতো ভাই পরিচয়ে একজনকে নিয়ে গেলে ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পরপরই তিনি আশুলিয়ায় জমি কিনছেন বলে পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে যান। দুই মাস ১৫ দিন পরপর বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। এরপর থেকে তিনি খুব একটা আসতেন না। এরপর অসুখ ও নতুন বাসায় ফার্নিচার কিনবেন বলে আরও দুই লাখ টাকা নেন তাঁর পরিবারের কাছ থেকে।
ওই নারী আরও বলেন, ‘হঠাৎ একদিন আমাদের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে এমন পাত্রের কাছে একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছে, সে বিষয়টি শুনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, মহিদুল সেখানেও বিয়ে করেছেন। পরে খোঁজখবর নিতে মানিকগঞ্জে তাঁর বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে তাঁর মাকে পাই। কিন্তু তিনি চাকরি করেন না, সেটা নিশ্চিত হই। আজকে ডিবি অফিসে এসে জানতে পারি, তিনি ১৩টি বিয়ে করেছেন। এখন যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আমাদের দাবি, তাঁর কঠিন বিচার হোক। যেন আর কোনো মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট না হয়।’
আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘বাবা-মায়ের তিন মেয়ের মধ্যে আমি সবার ছোট। বাকি দুই বোনের সরকারি চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তাই বাবা-মা আমাকে সরকারি চাকরি করে, এমন ছেলে মহিদুলের কাছে বিয়ে দিয়েছেন। বাবা-মাকে ম্যানেজ করে তাড়াহুড়া করে মহিদুল আমাকে বিয়ে করে।’
এই নারী আরও বলেন, ‘বিয়ের পর জমি কিনছে বলে বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেয় সে। এরপর আমার এক আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও কয়েক লাখ টাকা নেয়। মোট আট লাখ টাকা সে নেয়। পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ডিবি অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অবগত করলে আমরা এসে জানতে পারি, সে সব মিলিয়ে ১৩টি বিয়ে করেছে। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধারসহ যেন কঠিন বিচার হয়—এটাই আমাদের দাবি।’
সুখের আশায় এমন প্রতারকের সঙ্গে সন্তানের বিয়ে দিয়ে এখন অনুশোচনায় ভুগছেন এক বাবা। তিনি বলেন, ‘মেয়ে বিয়ে দিয়ে যে প্রতারণার শিকার হব, তা ভাবতে পারেনি। নিজেকে আজকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। আমার মেয়েটা অনেকটা প্রতিবন্ধী। সে মেয়েটার কপাল এমন হবে, ভাবতে পারেনি। লোভের মধ্যে পড়ে মেয়েটার জীবনটা আমি শেষ করে দিলাম। মহিদুল আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়ার পরে আর যোগাযোগ রাখেনি। অসহায় বাবা হিসেবে আমার একটাই দাবি, সে যেন কোনোভাবে পার না পায়।’
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে প্রতারণা করার কিছু ছবি এবং আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাঁদের থেকে তথ্য জেনে প্রতারিত হওয়া পরিবারগুলোকে জানানো হয়। এরপর প্রতারিত হওয়া ছয়টি পরিবারে আজকে উপস্থিত হয়। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সার্বিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সন্তানদের বিয়ের ব্যাপারে পরিবারকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
১১ মিনিট আগে
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
১৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জীবন কেটেছে অভাব-অনটনে। নেই কোনো ঘরবাড়ি। পথেঘাটে ভিক্ষা করে দুমুঠো ভাতের জোগান দেন তিনি। তবুও স্বপ্ন দেখেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে একদিন জাতীয় সংসদে যাবেন। সেখানে বড় বড় নেতাদের সামনে তাঁর মতো দুঃখী-দরিদ্র মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরবেন তিনি। এই স্বপ্নপূরণের আশায় আজ সোমবার ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে এমপি প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ভিক্ষুক হয়েও তাঁর সংসদ সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কৌতূহল, আলোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আজ আবুল মুনসুর ফকির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, আবুল মুনসুরের জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা নতুন নয়। এর আগেও তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছিলেন ৩৭৭ ভোট। সেই ভোটকে তখন অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভোট হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের প্রচারণার ধরন ছিল একেবারেই আলাদা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাই পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে ঘুরে পোস্টার সাঁটানো, মানুষের কাছে গিয়ে সরাসরি ভোট চাওয়া—সবকিছুই করতেন নিজেই। কোনো দল, টাকা কিংবা প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ না থাকলেও দমে যাননি তিনি। একাই করে গেছেন স্বপ্নপূরণের লড়াই।
অনেকেই আবুল মুনসুর ফকিরের মতো একজন ভিক্ষুকের জনপ্রতিনিধি হতে চাওয়ার চেষ্টাকে পাগলামি হিসেবে দেখেন। আবার অনেকেই এটিকে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি, কালো টাকা ও দুর্নীতির রাজনীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের নীরব প্রতিবাদ বলে মনে করেন।
বৈলর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, ‘কতজনকে যোগ্য মনে করে ভোট দিলাম। কিন্তু এলাকার বা সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন দেখিনি। অন্তত এই মানুষটা গরিবের কষ্ট জানে। এবার এই ফকিরকেই ভোট দিতে মন চায়।’
আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদল শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে এমপি হবেন কিনা জানি না, কিন্তু তাঁর দাঁড়ানোটা অনেক রাজনীতিবিদের জন্য লজ্জার।’
আবুল মুনসুর ফকির বলেন, ‘আমি গরিব, আমি ভিক্ষা করি। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার আছে। সংসদে গেলে গরিব মানুষের কথা বলব—এইটাই আমার স্বপ্ন।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল রায়হান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে ত্রিশালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা ও নির্বাচনী আমেজ জোরালো হয়ে উঠেছে। তবে তাবড় তাবড় প্রার্থীদের ভিড়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে এনেছে এক ভিন্ন মাত্রা, যা অনেকের কাছে গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী মনে করে, সময়ই বলে দেবে, ব্যালটের রায়ে আবুল মুনসুরের স্বপ্ন কত দূর এগোয়।

জীবন কেটেছে অভাব-অনটনে। নেই কোনো ঘরবাড়ি। পথেঘাটে ভিক্ষা করে দুমুঠো ভাতের জোগান দেন তিনি। তবুও স্বপ্ন দেখেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে একদিন জাতীয় সংসদে যাবেন। সেখানে বড় বড় নেতাদের সামনে তাঁর মতো দুঃখী-দরিদ্র মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরবেন তিনি। এই স্বপ্নপূরণের আশায় আজ সোমবার ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে এমপি প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ভিক্ষুক হয়েও তাঁর সংসদ সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কৌতূহল, আলোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আজ আবুল মুনসুর ফকির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, আবুল মুনসুরের জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা নতুন নয়। এর আগেও তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছিলেন ৩৭৭ ভোট। সেই ভোটকে তখন অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভোট হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের প্রচারণার ধরন ছিল একেবারেই আলাদা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাই পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে ঘুরে পোস্টার সাঁটানো, মানুষের কাছে গিয়ে সরাসরি ভোট চাওয়া—সবকিছুই করতেন নিজেই। কোনো দল, টাকা কিংবা প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ না থাকলেও দমে যাননি তিনি। একাই করে গেছেন স্বপ্নপূরণের লড়াই।
অনেকেই আবুল মুনসুর ফকিরের মতো একজন ভিক্ষুকের জনপ্রতিনিধি হতে চাওয়ার চেষ্টাকে পাগলামি হিসেবে দেখেন। আবার অনেকেই এটিকে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি, কালো টাকা ও দুর্নীতির রাজনীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের নীরব প্রতিবাদ বলে মনে করেন।
বৈলর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, ‘কতজনকে যোগ্য মনে করে ভোট দিলাম। কিন্তু এলাকার বা সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন দেখিনি। অন্তত এই মানুষটা গরিবের কষ্ট জানে। এবার এই ফকিরকেই ভোট দিতে মন চায়।’
আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদল শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে এমপি হবেন কিনা জানি না, কিন্তু তাঁর দাঁড়ানোটা অনেক রাজনীতিবিদের জন্য লজ্জার।’
আবুল মুনসুর ফকির বলেন, ‘আমি গরিব, আমি ভিক্ষা করি। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার আছে। সংসদে গেলে গরিব মানুষের কথা বলব—এইটাই আমার স্বপ্ন।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল রায়হান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে ত্রিশালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা ও নির্বাচনী আমেজ জোরালো হয়ে উঠেছে। তবে তাবড় তাবড় প্রার্থীদের ভিড়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে এনেছে এক ভিন্ন মাত্রা, যা অনেকের কাছে গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী মনে করে, সময়ই বলে দেবে, ব্যালটের রায়ে আবুল মুনসুরের স্বপ্ন কত দূর এগোয়।

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আস
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
১৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
আজ সোমবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শ্রাবণী এর আগে ২০১৮ সালে এই আসনে নির্বাচন করেন। তবে এই আসনে এবার তিনজন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্য দুজন হলেন সিপিবির জলি তালুকদার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার।
অন্য প্রার্থীরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মো. আল হেলাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জলি তালুকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোখলেছুর রহমান।

নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
আজ সোমবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শ্রাবণী এর আগে ২০১৮ সালে এই আসনে নির্বাচন করেন। তবে এই আসনে এবার তিনজন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্য দুজন হলেন সিপিবির জলি তালুকদার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার।
অন্য প্রার্থীরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মো. আল হেলাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জলি তালুকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোখলেছুর রহমান।

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আস
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
১১ মিনিট আগে
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ সোমবার দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল হিসেবে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে এই আসনটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও গলাচিপা-দশমিনা আসনটি ছাড়তে নারাজ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ২৪ ডিসেম্বর হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
জানতে চাইলে হাসান মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানের স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে। সেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করেই এসেছি।’

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ সোমবার দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল হিসেবে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে এই আসনটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও গলাচিপা-দশমিনা আসনটি ছাড়তে নারাজ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ২৪ ডিসেম্বর হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
জানতে চাইলে হাসান মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানের স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে। সেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করেই এসেছি।’

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আস
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
১১ মিনিট আগে
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
১৫ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে সরকার গঠিত হবে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক সরকার। এই সরকারই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৃত অর্থেই নবীন ও তরুণ রাজনৈতিক শক্তি। অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ের মধ্যে রাজনীতি করেছি। সে কারণে প্রত্যাশিতভাবে সারা দেশে সংগঠিত হতে পারিনি। এনসিপি আমাদের চেয়েও নবীন; তারাও সে অর্থে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে সংগঠিত হতে পারেনি।’
বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ভিপি নুর বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি দল ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও টিকে ছিল এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়েছে। দীর্ঘ এই লড়াইয়ের পর দলটি আবার ক্ষমতায় আসছে।’
রাজনীতিতে শর্টকাট কোনো পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশকে স্থিতিশীল রাখা এবং এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র পরিচালনা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হবে। এতে দেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে।’
নুর আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমাদের দলীয় কিছু ক্ষতি হলেও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির সঙ্গে অ্যালায়েন্স করে তাদের ক্ষমতায় আনতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করছি।’
এ সময় পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবিরসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে সরকার গঠিত হবে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক সরকার। এই সরকারই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৃত অর্থেই নবীন ও তরুণ রাজনৈতিক শক্তি। অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ের মধ্যে রাজনীতি করেছি। সে কারণে প্রত্যাশিতভাবে সারা দেশে সংগঠিত হতে পারিনি। এনসিপি আমাদের চেয়েও নবীন; তারাও সে অর্থে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে সংগঠিত হতে পারেনি।’
বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ভিপি নুর বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি দল ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও টিকে ছিল এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়েছে। দীর্ঘ এই লড়াইয়ের পর দলটি আবার ক্ষমতায় আসছে।’
রাজনীতিতে শর্টকাট কোনো পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশকে স্থিতিশীল রাখা এবং এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র পরিচালনা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হবে। এতে দেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে।’
নুর আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমাদের দলীয় কিছু ক্ষতি হলেও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির সঙ্গে অ্যালায়েন্স করে তাদের ক্ষমতায় আনতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করছি।’
এ সময় পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবিরসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নৌবাহিনীর অফিস সহায়ক পদের চাকরি হারান মহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক। এরপর বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেন। বিয়ে করেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আস
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
১১ মিনিট আগে
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
১৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে