Ajker Patrika

মাগুরা থেকে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২২, ১৭: ৫৭
মাগুরা থেকে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ গ্রাম থেকে পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে লাবনী আক্তারের নানা মৃত কুদ্দুস মাস্টারের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তার খুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। 

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, লাবনী আক্তারের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করেছেন। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন লাবনী আক্তার।’ 

কামরুল হাসান জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় লাবনীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জানা গেছে, লাবনী আক্তারের বাবা মো. শফিকুল আজম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। লাবনী আক্তারের স্বামী মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের তারেক রহমান। তিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাথরঘাটায় জামায়াতের কর্মিসভায় হামলার অভিযোগ, ১৫ জন আহত হওয়ার দাবি

পাথরঘাটা(বরগুনা) প্রতিনিধি  
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার পাথরঘাটায় জামায়াতের কর্মিসভায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতের দাবি, হামলায় ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোশারফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে জামায়াতের কর্মী বৈঠকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নেতারা দাবি করেন, খুলনা শ্রমিক লীগের নেতা সোলায়মান সাদিক তাঁদের কর্মীদের ওপর এ হামলা করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোলায়মান সাদিক।

জামায়াতের ভাষ্যমতে, আহতরা হলেন পাথরঘাটা পৌর যুব বিভাগের সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম, পাথরঘাটা পৌর প্রচার সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী ওয়ালিদ পহলান, ফুলমিয়া, ইলিয়াস, মোহাম্মদ হানিফ, ফিরোজ হোসেন, মাহবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, ইউনুছ হাওলাদারের নাম জানা গেছে। এঁদের মধ্যে আব্দুল কাইয়ুম ও তাওহিদুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

পথসভায় পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাসুদুল আলম বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমরা নাচনাপাড়া ইউনিয়নের জামায়াত কর্মীর বাড়িতে দলের কর্মসূচি পালন করি। এরপর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে খুলনা পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা সোলাইমান সাদিক তার বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই।’

ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এস এম সোলায়মান বাদশা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনির ভাইয়ের ছেলে সুলাইমান সাদিক একসময়ে খুলনাতে শ্রমিক লীগের নেতৃত্ব দিতেন। জুলাই-আগস্টের পর তিনি তাঁর নিজ বাড়িতে এসে বিশেষ বিএনপির নব্য নেতা হিসেবে সমাজকর্মী দাবি করে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন। এর পর থেকে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, সালিসের নামে অন্যের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।

এস এম সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীর বিচার দাবি করছি। তা না হলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সোলায়মান বাহিনী প্রভাব ফেলতে পারে।’ তিনি এই বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সবাইকে লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকতে বলেন।

জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলের পরপরই তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এনামুল হোসেন।

এরপর তাঁরাও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে শহরে উত্তপ্ত ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগের বিষয়ে সোলায়মান সাদিক বলেন, ‘আমি পাঁচ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করতেছি। জামায়াত নেতারা নির্বাচনী ফায়দা নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করতেছেন। আমি বিএনপি পরিবারের সদস্য। আমাকে জোর করে শ্রমিক লীগের নেতা বানানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার চাচা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে জামায়াত নেতারা নানা রকমের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।’

পাথরঘাটা থানার ওসি মাংচেনলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের কর্মিসভা শেষে স্থানীয় কিছু লোকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে—এমনটাই জানা গেছে। থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনে অভিযোগ আসেনি।’

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম-১৫ আসন

বিএনপির প্রার্থীকে জামায়াত মনোনীত উল্লেখ নির্বাচন কর্মকর্তার ছকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বিএনপির প্রার্থীকে জামায়াত মনোনীত উল্লেখ নির্বাচন কর্মকর্তার ছকে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তাফা আমীনকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। এ ঘটনায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নাজমুল মোস্তাফা আমীন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো তথ্যে তাঁকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের তথ্যমতে, বুধবার চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসন থেকে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ৭ জন, জামায়াতে ইসলামীর ১ জন, এলডিপির ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১ জন এবং স্বতন্ত্র ২ জন রয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্যে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম-১৫ আসন থেকে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এবং নাজমুল মোস্তাফা আমীনকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে দেখানো হয়।

তবে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে নাজমুল মোস্তাফা আমীনকে।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা থেকে নাজমুল মোস্তাফা আমীনকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তাফা আমীন বলেন, যথাযথভাবে মনোনয়ন ফরম পূরণ ও জমা দেওয়ার পরও তাঁকে অন্য দলের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা দুঃখজনক ও মানহানিকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ বাধা দিতে পারবে না: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, সে সময় তাদের কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। নির্বাচন ভালোভাবে হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘এখন দলগুলো যদি একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা না করে সহাবস্থানে থাকে, তাহলে আমাদের জন্য ভালো।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া আব্দুল জব্বার পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা শেষে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিকেরা। আপনারা যদি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন এবং জনগণকে সঠিক তথ্য দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেন, তাহলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাতে চাই, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।’

কৃষি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার আলুচাষিরা লোকসানের মাথায়, আমরা একটা প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। এবার আলুচাষিরা শুধু মুন্সিগঞ্জে না, সব জায়গায় লোকসানের সম্মুখীন। কোল্ড স্টোরেজগুলো বন্ধ করার কথা ছিল নভেম্বরে, আমরা বলছি যে ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।’ আলুতে লোকসান হলেও এ বছর ধান উৎপাদনে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কুসুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারি কলেজের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুরমহল আশরাফী, মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ফিরোজ কবির, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা ঘোষ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারী, সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার পারভেজ ও থানার ওসি আব্দুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ধীরেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, উপজেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সর্বসাধারণের চলাচল যেন ব্যাহত না হয়: ডিএমপি কমিশনার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডিএমপি সদর দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সভায় কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিএমপি সদর দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সভায় কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে যেন সর্বসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পবিত্র বড়দিন যেন ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়, সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি সদর দপ্তরে আজ আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ৭৩টি গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। এ জন্য যেকোনো গুজব বা অপপ্রচার রোধে সাইবার প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী দিনে রাজধানীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে যেন কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া মোটরকার রেসিং থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি। থার্টি ফার্স্ট নাইটে কেউ মোটর রেসিং করলে তাঁর গাড়ি জব্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। পটকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কেনাবেচা বন্ধ রাখতে হবে।

সভায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত