খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে এক পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন কুমার দেবনাথ পুলিশের কনস্টেবল (ক নম্বর ৫৯৬)। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভার জনৈক অভিলাষ দেবনাথের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমগীর হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আলফাজ হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২ মার্চ দুপুর পৌনে ৪টার দিকে রূপসা উপজেলার শিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফিরোজ ওই এলাকায় টহলের সময়ে লোকমুখে জানতে পারেন উপজেলার ডোবা গ্রামে অজ্ঞাত নারীর লাশ পড়ে আছে। এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশটি উদ্ধার করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে রূপসা থানায় একটি মামলা করেন।
সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা কোচপাড়া এলাকার সামসুল আলমের মেয়ে আরজু আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পুলিশ সদস্য লিটন কুমার। কিন্তু তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী ও দুসন্তানের জনক হওয়ায় আরজু বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। লিটন তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কোনোভাবে কাজ না হওয়ায় আরজু আক্তারসহ পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন লিটন। এ হুমকির পর আরজু বিয়ের জন্য রাজি হন।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি এফিডেভিট করে লিটন নাম পরিবর্তন করে আরজু আক্তারকে বিয়ে করেন এবং এর মধ্যে তাঁদের কোলজুড়ে জন্ম নেয় আবিদ হোসেন অথৈ নামের একটি ছেলেসন্তান। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর বদলিজনিত কারণে তাঁরা উভয়ে খুলনায় চলে আসেন এবং রূপসা উপজেলার পুটিমারী এলাকায় জনৈক হাজী মো. সবুরের বাড়ি ভাড়া নেন।
সেখানে কিছুদিন থাকার পর তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং আরজু আক্তারকে লিটন শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। এ ঘটনার পর বাড়ির মালিক তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে লিটন একই এলাকার জনৈক নাদিরা বেগমের বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে কিছুদিন শান্ত থাকার পর লিটন স্ত্রীকে আবারও মারধর করেন।
এ ঘটনায় তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। আরজু আক্তার তাঁকে ছেড়ে চলে গেলে চাকরির ক্ষতি হতে পারে; এই আশঙ্কায় তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন লিটন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আরজু আক্তারকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেন লিটন এবং যাতে ভেসে না ওঠে, সে জন্য লাশের সঙ্গে লোহার পাত পেঁচিয়ে রূপসা আঠারো বাকী নদীতে ফেলে দেন। হত্যার পর প্রচার চালানো হয় স্ত্রী ছোট বাচ্চা রেখে পালিয়ে গেছেন।
এটি বাড়িসহ আশপাশের লেকজন বিশ্বাস করেননি। স্থানীয়রা বলেন, স্ত্রীকে লিটন হত্যা করেছেন। এমনকি এ ব্যাপারে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুটিমারী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়।
তা ছাড়া নদী থেকে আরজুর লাশ উদ্ধারের ছবি তাঁকে দেখালে তিনি এটি তাঁর স্ত্রীর নয় বলে দাবি করেন। লাশের ছবি প্রতিবেশীদের দেখানো হলে তাঁরা সেটি আরজু আক্তারের বলে শনাক্ত করেন। পরে আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এটি আরজু আক্তারের লাশ।
পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে ওই মামলায় লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা পিবিআইর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর লিটন কুমারকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে এক পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন কুমার দেবনাথ পুলিশের কনস্টেবল (ক নম্বর ৫৯৬)। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভার জনৈক অভিলাষ দেবনাথের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমগীর হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আলফাজ হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২ মার্চ দুপুর পৌনে ৪টার দিকে রূপসা উপজেলার শিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফিরোজ ওই এলাকায় টহলের সময়ে লোকমুখে জানতে পারেন উপজেলার ডোবা গ্রামে অজ্ঞাত নারীর লাশ পড়ে আছে। এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশটি উদ্ধার করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে রূপসা থানায় একটি মামলা করেন।
সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা কোচপাড়া এলাকার সামসুল আলমের মেয়ে আরজু আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পুলিশ সদস্য লিটন কুমার। কিন্তু তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী ও দুসন্তানের জনক হওয়ায় আরজু বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। লিটন তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কোনোভাবে কাজ না হওয়ায় আরজু আক্তারসহ পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন লিটন। এ হুমকির পর আরজু বিয়ের জন্য রাজি হন।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি এফিডেভিট করে লিটন নাম পরিবর্তন করে আরজু আক্তারকে বিয়ে করেন এবং এর মধ্যে তাঁদের কোলজুড়ে জন্ম নেয় আবিদ হোসেন অথৈ নামের একটি ছেলেসন্তান। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর বদলিজনিত কারণে তাঁরা উভয়ে খুলনায় চলে আসেন এবং রূপসা উপজেলার পুটিমারী এলাকায় জনৈক হাজী মো. সবুরের বাড়ি ভাড়া নেন।
সেখানে কিছুদিন থাকার পর তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং আরজু আক্তারকে লিটন শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। এ ঘটনার পর বাড়ির মালিক তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে লিটন একই এলাকার জনৈক নাদিরা বেগমের বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে কিছুদিন শান্ত থাকার পর লিটন স্ত্রীকে আবারও মারধর করেন।
এ ঘটনায় তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। আরজু আক্তার তাঁকে ছেড়ে চলে গেলে চাকরির ক্ষতি হতে পারে; এই আশঙ্কায় তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন লিটন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আরজু আক্তারকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেন লিটন এবং যাতে ভেসে না ওঠে, সে জন্য লাশের সঙ্গে লোহার পাত পেঁচিয়ে রূপসা আঠারো বাকী নদীতে ফেলে দেন। হত্যার পর প্রচার চালানো হয় স্ত্রী ছোট বাচ্চা রেখে পালিয়ে গেছেন।
এটি বাড়িসহ আশপাশের লেকজন বিশ্বাস করেননি। স্থানীয়রা বলেন, স্ত্রীকে লিটন হত্যা করেছেন। এমনকি এ ব্যাপারে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুটিমারী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়।
তা ছাড়া নদী থেকে আরজুর লাশ উদ্ধারের ছবি তাঁকে দেখালে তিনি এটি তাঁর স্ত্রীর নয় বলে দাবি করেন। লাশের ছবি প্রতিবেশীদের দেখানো হলে তাঁরা সেটি আরজু আক্তারের বলে শনাক্ত করেন। পরে আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এটি আরজু আক্তারের লাশ।
পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে ওই মামলায় লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা পিবিআইর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর লিটন কুমারকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
বিগত আওয়ামী সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্রের কারণে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ কৃষকেরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে ইফতার চলাকালে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিল বের করার জের ধরে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা–পুলিশের একটি দল। মিছিলের পর গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত থেকে আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০
৭ মিনিট আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জনগণের ভোট পেতে হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। চাঁদাবাজি, লুটপাট, ভূমি দখল করে জনগণের ভোট পাওয়ার দিন শেষ।
১০ মিনিট আগেমাগুরায় চাঁদা তুলতে তুলতেই মারা গেল একটি হাতি। আর সেই হাতি গিয়ে পড়ল এক ভ্যানের ওপর। এতে ওই ভ্যানচালক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগে