Ajker Patrika

চুয়াডাঙ্গা-১: ‘তিনজনই তো আ.লীগের ভোট কারে দিব’

সৌগত বসু ও মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা থেকে
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ১৯
চুয়াডাঙ্গা-১: ‘তিনজনই তো আ.লীগের ভোট কারে দিব’

চুয়াডাঙ্গা সদরের আংশিক এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন। গত বৃহস্পতিবার জেলা শহরের শান্তিপাড়া, সদর উপজেলার আলুকদিয়া এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা শহর ঘুরে দেখা যায়, তিন প্রার্থীর পোস্টার অনেকটা সমান হারে এলাকার মোড় ও রাস্তায় রাস্তায় টাঙানো। বেলা ২টার পর এলাকায় শুরু হয় মাইকিং ও প্রচারণা।

এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল (ঈগল প্রতীক) এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান রাজ (ফ্রিজ প্রতীক)।

জেলা শহরের শান্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তরুণ ভোটার মো. রাসেল জানান, তিন-চার দিন ধরেই এলাকায় প্রচারণা বেড়েছে। তিন প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

সদরে বড়বাজার এলাকার চা-বিক্রেতা মো. আশরাফুল বলেন, ‘ভোট কারে দিব, তিনজনই তো আওয়ামী লীগের। ভোটের দিন চিন্তা করে দেখব কাকে ভোট দেওয়া যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সমর্থক বলেন, এলাকায় এখন বর্তমান সংসদ সদস্য ইমেজ সংকটে আছেন। সে ক্ষেত্রে অন্য দুজনের পাল্লা ভারী। তবে বিএনপির কোনো কর্মী বা সাধারণ ভোটার এই নির্বাচনে কাউকে ভোট দেবেন না।

এই তিনজনের মতো ডজনের বেশি সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা জানান, ছেলুন অনেক আগে থেকে রাজনীতিতে থাকলেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২০০৮ সাল থেকে। তবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক ব্যবসায়ী আগারওয়াল ১৫ বছর ধরে রাজনীতিতে আছেন। অন্যদিকে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের মালিক এম এ রাজ্জাক পাঁচ বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়। তাই ভোটের মেরুকরণ হবে রাজনীতিবিদ বনাম ব্যবসায়ীতে।

প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই আসনে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে আওয়ামী লীগের অনেক স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। গত ১৫ বছর সোলায়মান হক ছেলুন সংসদ সদস্য থাকায় একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে চলে গেছে।

এ বিষয়ে অবশ্য বর্তমান সংসদ সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলছেন না বলে দাবি দলের নেতাদের। তাঁর নির্বাচনে সমন্বয় করছেন ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তবে তাঁকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

নৌকার প্রার্থীকে দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হওয়ার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেত্রী চান একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। কারণ, প্রার্থী থেকে এখন ভোটার কেন্দ্রে আনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ নির্বাচিত হতে পারেন।

ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগারওয়াল বলেন, গত ১৫ বছর মানুষ জেনেছে বর্তমান সংসদ সদস্যের কথা ও কাজ। এখন নেত্রী তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন।

সার্বিক বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন দেশের জন্য জরুরি। তবে সেটা সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক হলে ভালো। এবারের নির্বাচন হয়তো সুষ্ঠু হয়ে যাবে; তবে একটা আক্ষেপ থাকবে যে এটা পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেললাইনের পাশে সেরেস্তাদারের ঝুলন্ত লাশ

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৭
রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীর ফতেহপুর রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় এনামুল হক (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলক্রসিং-সংলগ্ন ঝোপ থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

এনামুল হক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি পৌরসভার বারাহীপুর এলাকার মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ফেনী আদালতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেললাইনের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  

নিহত এনামুলের স্বজনেরা জানান, সকাল ৭টার দিকে আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এনামুল হক বাসা থেকে বের হন। দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত