আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজারে হরিহর নদের ওপর নির্মিত সেতুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মানুষের চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়ার ছয় মাস না পেরোতেই পাটাতনের বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ পাটাতন সংস্কারের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন। এলাকাবাসী নতুন করে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চিনাটোলা বাজার থেকে মনোহরপুর বাজার সড়কের হরিহর নদের ওপর ৪২ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২১১ টাকা। গত বছরের ১২ নভেম্বর সেতু উদ্বোধনের কথা থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা হয়নি। পরে চলতি বছরের মার্চে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হয়। গত আগস্টের প্রথম দিকে সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা ধসে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বড় একটি অংশ ধসে রড বেরিয়ে পড়ে। দুই মাস ধরে সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এই সেতুর সড়ক দিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহীন চাকলাদারের ভাই শামীম চাকলাদার সেতু নির্মাণের ঠিকাদার ছিলেন। যশোর-৫ আসনের (মনিরামপুর) এমপি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের অনুসারী শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় দায়সারাভাবে সেতুর কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট হওয়ায় উদ্বোধনের পরপরই সেতুতে ধস নেমেছে।
দায়সারাভাবে সেতুর কাজ করার সময় স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন শাহীন চাকলাদার ও আলম চেয়ারম্যানের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সেতুর দুপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে চিনাটোলা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্ধারিত মেয়াদের এক বছরের বেশি সময় পর দায়সারাভাবে সেতুর কাজ শেষ করেছেন।
সেতুর পূর্ব পাশের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘সেতু খুলে দেওয়ার চার-পাঁচ মাসের মাথায় পাটাতনের পলেস্তারা ফেটে নদীতে পড়ে কয়েকটি গর্ত সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলায় খবর দিলে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক এসে গর্তগুলো বন্ধ করে দিতে চান। আমরা বাধা দিয়েছি। বলেছি, সেতু ভেঙে নতুন করে করতে হবে। তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আরও লোকজন আসে। আমাদের বাধার মুখে তাঁরা সেতুর পাটাতন ভাঙা শুরু করেন। এখন কাজ বন্ধ করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ার অফিস। এতে করে সেতু দিয়ে চলাচলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’
আমির হোসেন আরও বলেন, ‘সেতুর জন্য আনা রড অনেক দিন ফেলে রেখেছিল। এতে রডে মরিচা পড়েছিল। পরে কিছু রড তুলে নিয়ে যান ঠিকাদার। বাকি রড দিয়ে কোনো রকমে সেতুর কাজ করেছেন। যে মাপের রড ব্যবহার করার কথা, সেটা এখানে করা হয়নি।’
স্থানীয় জিয়ারুল গাজী বলেন, ‘সেতু তৈরির সময় ঠিকাদারের লোকজন দায়সারাভাবে কাজ চালাচ্ছিলেন। তাঁরা অন্য এলাকা থেকে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে ট্রাকে করে এনে ঢালাই দিয়েছেন। যতটুকু মোটা করে পাটাতন ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল, সেই নিয়মে ঢালাই দেওয়া হয়নি। এখন সেতুর পাটাতন ভাঙার সময় হাতুড়ির আঘাতে ধুলো উড়ছে। পায়ের আঙুল দিয়ে খোঁচা দিতেই খণ্ড খণ্ড ইট-বালু উঠে আসছে। এ ছাড়া সেতুর মাঝের অংশ নিচের দিকে চাপা। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমের লোকজন সেতুর কাজ চলার সময় উপস্থিত থাকতেন বলে জানান জিয়ারুল গাজী। তিনি বলেন, ‘কাজে অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে শাহীন চাকলাদার ও আলম চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলা হতো। তখন ভয়ে আমরা চুপ হয়ে যাই।’
সেতুপাড়ের চা দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, ‘সেতুর পূর্ব পাশে উদ্বোধনের একটি নামফলক স্থাপন করা আছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য সেতু উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উদ্বোধন করতে আসেননি। নামফলকে উদ্বোধনের যে তারিখ দেওয়া আছে, তারও ২০-২২ দিন পরে এসে নামফলক লাগানো হয়েছে।’
স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লুৎফর গাজী বলেন, ‘কাজের অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান আলমগীর আমাকে পাত্তা দেননি। “বিএনপি-জামায়াতের কথা চলবে না” বলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই জোড়াতালি দিয়ে নয়, নতুন করে সেতুর কাজ করতে হবে, যাতে আমরা অনেক বছর সেতু ব্যবহার করতে পারি।’
এ বিষয়ে শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগ সত্যি না। ক্ষোভ থেকে এখন তাঁরা অনেক কথা বলছেন।’
সেতু নির্মাণের ঠিকাদার শামীম চাকলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার লাইসেন্সে অন্য একজন ঠিকাদার কাজ করেছেন। পাটাতন ঢালাইয়ের সময় অন্য জায়গায় সিমেন্ট-বালু মিশিয়ে এনে কাজ করা হয়েছে। এতে উপাদানের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় এমনটি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমার লাইসেন্সে কাজ করা হয়েছে। পাটাতন ধসে পড়ার দায় আমার ওপর বর্তায়। পাটাতনের কাজ নতুনভাবে করা হবে।’
সেতুর কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, ‘শুনেছি, ৫ আগস্ট সরকােরর পতনের দিন স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে সেতুর মেঝে ভেঙে ফেলেছে। ঠিকাদার ও স্থানীয় আলমগীর চেয়ারম্যান একই দাবি করেছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘সেতুর পাটাতন ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমরা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রথম দিকে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছিলেন। এখন সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সেতুর সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজারে হরিহর নদের ওপর নির্মিত সেতুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মানুষের চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়ার ছয় মাস না পেরোতেই পাটাতনের বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ পাটাতন সংস্কারের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন। এলাকাবাসী নতুন করে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চিনাটোলা বাজার থেকে মনোহরপুর বাজার সড়কের হরিহর নদের ওপর ৪২ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২১১ টাকা। গত বছরের ১২ নভেম্বর সেতু উদ্বোধনের কথা থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা হয়নি। পরে চলতি বছরের মার্চে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হয়। গত আগস্টের প্রথম দিকে সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা ধসে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বড় একটি অংশ ধসে রড বেরিয়ে পড়ে। দুই মাস ধরে সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এই সেতুর সড়ক দিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহীন চাকলাদারের ভাই শামীম চাকলাদার সেতু নির্মাণের ঠিকাদার ছিলেন। যশোর-৫ আসনের (মনিরামপুর) এমপি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের অনুসারী শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় দায়সারাভাবে সেতুর কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট হওয়ায় উদ্বোধনের পরপরই সেতুতে ধস নেমেছে।
দায়সারাভাবে সেতুর কাজ করার সময় স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন শাহীন চাকলাদার ও আলম চেয়ারম্যানের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সেতুর দুপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে চিনাটোলা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্ধারিত মেয়াদের এক বছরের বেশি সময় পর দায়সারাভাবে সেতুর কাজ শেষ করেছেন।
সেতুর পূর্ব পাশের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘সেতু খুলে দেওয়ার চার-পাঁচ মাসের মাথায় পাটাতনের পলেস্তারা ফেটে নদীতে পড়ে কয়েকটি গর্ত সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলায় খবর দিলে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক এসে গর্তগুলো বন্ধ করে দিতে চান। আমরা বাধা দিয়েছি। বলেছি, সেতু ভেঙে নতুন করে করতে হবে। তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আরও লোকজন আসে। আমাদের বাধার মুখে তাঁরা সেতুর পাটাতন ভাঙা শুরু করেন। এখন কাজ বন্ধ করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ার অফিস। এতে করে সেতু দিয়ে চলাচলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’
আমির হোসেন আরও বলেন, ‘সেতুর জন্য আনা রড অনেক দিন ফেলে রেখেছিল। এতে রডে মরিচা পড়েছিল। পরে কিছু রড তুলে নিয়ে যান ঠিকাদার। বাকি রড দিয়ে কোনো রকমে সেতুর কাজ করেছেন। যে মাপের রড ব্যবহার করার কথা, সেটা এখানে করা হয়নি।’
স্থানীয় জিয়ারুল গাজী বলেন, ‘সেতু তৈরির সময় ঠিকাদারের লোকজন দায়সারাভাবে কাজ চালাচ্ছিলেন। তাঁরা অন্য এলাকা থেকে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে ট্রাকে করে এনে ঢালাই দিয়েছেন। যতটুকু মোটা করে পাটাতন ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল, সেই নিয়মে ঢালাই দেওয়া হয়নি। এখন সেতুর পাটাতন ভাঙার সময় হাতুড়ির আঘাতে ধুলো উড়ছে। পায়ের আঙুল দিয়ে খোঁচা দিতেই খণ্ড খণ্ড ইট-বালু উঠে আসছে। এ ছাড়া সেতুর মাঝের অংশ নিচের দিকে চাপা। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমের লোকজন সেতুর কাজ চলার সময় উপস্থিত থাকতেন বলে জানান জিয়ারুল গাজী। তিনি বলেন, ‘কাজে অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে শাহীন চাকলাদার ও আলম চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলা হতো। তখন ভয়ে আমরা চুপ হয়ে যাই।’
সেতুপাড়ের চা দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, ‘সেতুর পূর্ব পাশে উদ্বোধনের একটি নামফলক স্থাপন করা আছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য সেতু উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উদ্বোধন করতে আসেননি। নামফলকে উদ্বোধনের যে তারিখ দেওয়া আছে, তারও ২০-২২ দিন পরে এসে নামফলক লাগানো হয়েছে।’
স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লুৎফর গাজী বলেন, ‘কাজের অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান আলমগীর আমাকে পাত্তা দেননি। “বিএনপি-জামায়াতের কথা চলবে না” বলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই জোড়াতালি দিয়ে নয়, নতুন করে সেতুর কাজ করতে হবে, যাতে আমরা অনেক বছর সেতু ব্যবহার করতে পারি।’
এ বিষয়ে শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগ সত্যি না। ক্ষোভ থেকে এখন তাঁরা অনেক কথা বলছেন।’
সেতু নির্মাণের ঠিকাদার শামীম চাকলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার লাইসেন্সে অন্য একজন ঠিকাদার কাজ করেছেন। পাটাতন ঢালাইয়ের সময় অন্য জায়গায় সিমেন্ট-বালু মিশিয়ে এনে কাজ করা হয়েছে। এতে উপাদানের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় এমনটি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমার লাইসেন্সে কাজ করা হয়েছে। পাটাতন ধসে পড়ার দায় আমার ওপর বর্তায়। পাটাতনের কাজ নতুনভাবে করা হবে।’
সেতুর কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, ‘শুনেছি, ৫ আগস্ট সরকােরর পতনের দিন স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে সেতুর মেঝে ভেঙে ফেলেছে। ঠিকাদার ও স্থানীয় আলমগীর চেয়ারম্যান একই দাবি করেছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘সেতুর পাটাতন ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমরা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রথম দিকে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছিলেন। এখন সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সেতুর সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে