চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ক্ষতির শঙ্কায় ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’
‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলেন, শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।
কাটপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’
কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। নিয়মিত মাঠে ও বাগানে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়ছে। ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে ও আম পানি না পাওয়ায় কম বড় হচ্ছে। কৃষক ও বাগান মালিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ক্ষতির শঙ্কায় ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’
‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলেন, শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।
কাটপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’
কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। নিয়মিত মাঠে ও বাগানে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়ছে। ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে ও আম পানি না পাওয়ায় কম বড় হচ্ছে। কৃষক ও বাগান মালিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ক্ষতির শঙ্কায় ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’
‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলেন, শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।
কাটপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’
কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। নিয়মিত মাঠে ও বাগানে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়ছে। ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে ও আম পানি না পাওয়ায় কম বড় হচ্ছে। কৃষক ও বাগান মালিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ক্ষতির শঙ্কায় ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’
‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলেন, শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।
কাটপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’
কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। নিয়মিত মাঠে ও বাগানে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়ছে। ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে ও আম পানি না পাওয়ায় কম বড় হচ্ছে। কৃষক ও বাগান মালিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন।
১৯ মিনিট আগে
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।
ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।
ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১
১৯ এপ্রিল ২০২৪
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন।
১৯ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগেমাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।
অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।
অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন।
১৯ মিনিট আগে
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
৪৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দুপুর ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন।
১৯ মিনিট আগে
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে