Ajker Patrika

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ, কনস্টেবল নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৪, ২২: ৫৮
খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ, কনস্টেবল নিহত

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের হয়েছে। সংঘর্ষে অর্ধশত আহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ। এ সময় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। 

কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামি নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক। আরও কত পুলিশ আহত হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কতজন পুলিশ আহত হয়েছেন, তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল।’ 

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 

আহতদের মধ্যে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র শফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আফরান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইয়াজ, নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ, সেন্ট যোসেফ স্কুলের ছাত্র মুগ্ধ, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইউসুফ, স্কুলছাত্র জাহিদুল (১৫), মাদ্রাসাছাত্র সৌরভ (১৩), রনির (২০) ও নীরবের (২১) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত একজন ছাত্রী, একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান ও রাজু আহমেদ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সংঘর্ষকালে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ পরিস্থিতিতে খুলনা মহানগরীর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ যশোরে গ্রেপ্তার

­যশোর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র‍্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।

র‍্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র‍্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দশমিনায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দশমিনায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।

জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।

উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
ভোরে কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভোরে কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।

পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’

এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ার চরআতাউর: সুপেয় পানির তীব্র সংকট, বাসিন্দাদের ভোগান্তি

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৬
চরআতাউরে গর্তের পানিতে ধোয়ার কাজ সারছেন এক নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
চরআতাউরে গর্তের পানিতে ধোয়ার কাজ সারছেন এক নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।

সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’

গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত