এস এস শোহান, বাগেরহাট

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে সুন্দরবনের হরিণ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল, খুলনার দাকোপ এবং বরগুনার পাথরঘাটায় অনেকগুলো শিকারি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শিকারিরা বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে জেলে সেজে খণ্ড খণ্ডভাবে সরঞ্জাম বনের ভেতর নিয়ে পরে একত্র করে ফাঁদ তৈরি করে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে এই শিকার।
শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তাঁরা প্রকাশ্যে হরিণ শিকার করতেন। পরে বন বিভাগের নানা নিষেধাজ্ঞা ও মামলা দেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষ শিকার বন্ধ করলেও চোরা শিকারি এবং অতি মুনাফালোভীরা শিকার অব্যাহত রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনার চরদোয়ানি, জ্ঞানপাড়া ও খুলনার কয়রা এলাকার মানুষ বেশি জড়াচ্ছে এই অপরাধে। তাদের শিকার করা হরিণের মাংস বিক্রি হয় খুলনা, পিরোজপুর ও বাগেরহাট শহরের টাকাওয়ালা মানুষের কাছে।
শরণখোলার বৃদ্ধ শামসুর রহমান বলেন, ‘একটা সময় মাসে দু-চারটা হরিণ আমাদের গ্রামে চলে আসত। অনেকে ধরে জবাই করে খেত। কিন্তু অন্তত ১০ বছর হলো, আমাদের এলাকার মানুষ হরিণ শিকারের কথা চিন্তাও করে না। কারণ, একবার মামলা হলে ছাড়াতে অনেক টাকা লাগে। তবে বর্তমানে বরগুনা ও কয়রার লোকজন হরিণ শিকার করে নিয়ে যায়। ওরা নদীপথে এসে নদীপথেই নিয়ে যায়। বনরক্ষীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
সুন্দরবনের পাশের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, বিশেষ অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন, উপঢৌকন ও ঘুষ হিসেবে হরিণের মাংস ব্যবহৃত হয়। বিশেষ ব্যক্তির মাধ্যমে ফোনে অর্ডার করলেই মেলে মাংস। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। বিভিন্ন পক্ষকে হাত করে চলে এই ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে চামড়াসহ মাংস কেটে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় প্রমাণ হিসেবে। হরিণের মাংস বিক্রির জন্য গড়ে উঠেছে অবৈধ নেটওয়ার্ক। অপরিচিত বা সন্দেহজনক কারও কাছে স্বীকার না করলেও সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে সহজে মেলে এটি।
এ নিয়ে কথা হলে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাংসের চাহিদা বন্ধ না হলে সুন্দরবনের হরিণ শিকার বন্ধ হবে না। তিনি জানান, সুন্দরবনের বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। সুন্দরবন টিকিয়ে রাখতে হলে হরিণ রক্ষা খুবই জরুরি। তাই হরিণ শিকার বন্ধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
ফাঁদ ও বিষ: হরিণ শিকারের জন্য মালা, ছিটকা ও হাঁটা নামের তিন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে শিকারিরা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মালা। এই ফাঁদ বনের মধ্যে গাছের সঙ্গে নির্দিষ্ট উচ্চতায় মালার মতো করে পাতা থাকে। হরিণ হেঁটে যাওয়ার সময় ফাঁদে মাথা প্রবেশ করালেই আটকে পড়ে। আর ছিটকা হচ্ছে লম্বা ও চিকন গাছের মাথা নিচু করে বেঁধে রাখা একটি ফাঁদ। যখন হরিণ ওই গাছের পাতা খাওয়া শুরু করে এবং নাড়া লাগে, তখন ফাঁদ সক্রিয় হয়ে হরিণের গলায় ফাঁস পড়ে যায়। হাঁটা ফাঁদ এমনভাবে পাতা থাকে যে হরিণ হেঁটে গেলেই আটকে পড়ে যায়।
ফাঁদ তৈরিতে আগে শুধু নাইলনের রশি ব্যবহার করলেও বর্তমানে সিলভারের তৈরি চিকন তার ব্যবহার করা হয়; যাতে সহজে হরিণ বা বনরক্ষীদের চোখে না পড়ে। এ ছাড়া বনের মধ্যে ছোট ছোট গর্তে জমে থাকা পানিতে বিষ দিয়ে রাখেন শিকারিরা। ওই পানি খেলে কিছুক্ষণের মধ্যে হরিণের শরীর অবশ হয়ে যায়, তখন সেগুলোকে ধরে জবাই করে শিকারিরা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মে-জুন মাসে চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি অভিযান পরিচালনা করেন বনকর্মীরা। এসব অভিযান থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফাঁদ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে শিকারের কাজে ব্যবহৃত ৫৩টি ট্রলার ও নৌকা জব্দ হয়। এই সময়ে ৩৪ জনকে আটক এবং ৭৯ জনকে আসামি করে ৫৪টি মামলা করা হয়। পাশাপাশি ৮৪ কেজি হরিণের মাংস, ছয়টি হরিণের মাথা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ১৫০ জনের তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে বন বিভাগ।
প্যারালাল লাইন সার্চিং: সুন্দরবনে প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সাধারণভাবে নদী-খালে নৌযানের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম চলে বেশি। তবে এবার প্রথম বনে চোরা শিকারি ও অপরাধীদের ধরতে প্যারালাল লাইন সার্চিং (একসঙ্গে অনেক বনরক্ষীর সমতলে হেঁটে হেঁটে তল্লাশি) শুরু করেন বনরক্ষীরা। এতে সফলতাও মেলে। বনের মধ্যে নির্দিষ্ট উচ্চতায় শিকারিদের পেতে রাখা ও মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ফাঁদ জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। এ ছাড়া সম্প্রতি বনের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্তের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে আসছে। সম্প্রতি আমরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে টহল জোরদার করায় শিকারিদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। দীর্ঘদিনের পেতে রাখা ফাঁদও পেয়েছি। বনের মধ্যে টহল বাড়ানো হচ্ছে। অপরাধমুক্ত সুন্দরবন গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যারা হরিণের মাংস খায়, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করা দরকার।’
এই কর্মকর্তা আরও জানান, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে জনবলের সংকট রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর বনের জন্য আছেন মাত্র একজন বনকর্মী। তাঁর অধীনে ১০০টি শূন্য পদ রয়েছে। এই পদগুলোতে জনবল নিয়োগ হলে কাজের তৎপরতা আরও বাড়বে। শিকার বন্ধ করতে পারলে হরিণের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। হরিণ বাঘের প্রধান খাবার। বনের পরিবেশ এবং হরিণের সংখ্যা বাড়াতে পারলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও বাড়বে নিশ্চয়। বন বিভাগ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে সুন্দরবনের হরিণ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল, খুলনার দাকোপ এবং বরগুনার পাথরঘাটায় অনেকগুলো শিকারি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শিকারিরা বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে জেলে সেজে খণ্ড খণ্ডভাবে সরঞ্জাম বনের ভেতর নিয়ে পরে একত্র করে ফাঁদ তৈরি করে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে এই শিকার।
শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তাঁরা প্রকাশ্যে হরিণ শিকার করতেন। পরে বন বিভাগের নানা নিষেধাজ্ঞা ও মামলা দেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষ শিকার বন্ধ করলেও চোরা শিকারি এবং অতি মুনাফালোভীরা শিকার অব্যাহত রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনার চরদোয়ানি, জ্ঞানপাড়া ও খুলনার কয়রা এলাকার মানুষ বেশি জড়াচ্ছে এই অপরাধে। তাদের শিকার করা হরিণের মাংস বিক্রি হয় খুলনা, পিরোজপুর ও বাগেরহাট শহরের টাকাওয়ালা মানুষের কাছে।
শরণখোলার বৃদ্ধ শামসুর রহমান বলেন, ‘একটা সময় মাসে দু-চারটা হরিণ আমাদের গ্রামে চলে আসত। অনেকে ধরে জবাই করে খেত। কিন্তু অন্তত ১০ বছর হলো, আমাদের এলাকার মানুষ হরিণ শিকারের কথা চিন্তাও করে না। কারণ, একবার মামলা হলে ছাড়াতে অনেক টাকা লাগে। তবে বর্তমানে বরগুনা ও কয়রার লোকজন হরিণ শিকার করে নিয়ে যায়। ওরা নদীপথে এসে নদীপথেই নিয়ে যায়। বনরক্ষীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
সুন্দরবনের পাশের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, বিশেষ অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন, উপঢৌকন ও ঘুষ হিসেবে হরিণের মাংস ব্যবহৃত হয়। বিশেষ ব্যক্তির মাধ্যমে ফোনে অর্ডার করলেই মেলে মাংস। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। বিভিন্ন পক্ষকে হাত করে চলে এই ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে চামড়াসহ মাংস কেটে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় প্রমাণ হিসেবে। হরিণের মাংস বিক্রির জন্য গড়ে উঠেছে অবৈধ নেটওয়ার্ক। অপরিচিত বা সন্দেহজনক কারও কাছে স্বীকার না করলেও সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে সহজে মেলে এটি।
এ নিয়ে কথা হলে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাংসের চাহিদা বন্ধ না হলে সুন্দরবনের হরিণ শিকার বন্ধ হবে না। তিনি জানান, সুন্দরবনের বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। সুন্দরবন টিকিয়ে রাখতে হলে হরিণ রক্ষা খুবই জরুরি। তাই হরিণ শিকার বন্ধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
ফাঁদ ও বিষ: হরিণ শিকারের জন্য মালা, ছিটকা ও হাঁটা নামের তিন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে শিকারিরা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মালা। এই ফাঁদ বনের মধ্যে গাছের সঙ্গে নির্দিষ্ট উচ্চতায় মালার মতো করে পাতা থাকে। হরিণ হেঁটে যাওয়ার সময় ফাঁদে মাথা প্রবেশ করালেই আটকে পড়ে। আর ছিটকা হচ্ছে লম্বা ও চিকন গাছের মাথা নিচু করে বেঁধে রাখা একটি ফাঁদ। যখন হরিণ ওই গাছের পাতা খাওয়া শুরু করে এবং নাড়া লাগে, তখন ফাঁদ সক্রিয় হয়ে হরিণের গলায় ফাঁস পড়ে যায়। হাঁটা ফাঁদ এমনভাবে পাতা থাকে যে হরিণ হেঁটে গেলেই আটকে পড়ে যায়।
ফাঁদ তৈরিতে আগে শুধু নাইলনের রশি ব্যবহার করলেও বর্তমানে সিলভারের তৈরি চিকন তার ব্যবহার করা হয়; যাতে সহজে হরিণ বা বনরক্ষীদের চোখে না পড়ে। এ ছাড়া বনের মধ্যে ছোট ছোট গর্তে জমে থাকা পানিতে বিষ দিয়ে রাখেন শিকারিরা। ওই পানি খেলে কিছুক্ষণের মধ্যে হরিণের শরীর অবশ হয়ে যায়, তখন সেগুলোকে ধরে জবাই করে শিকারিরা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মে-জুন মাসে চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি অভিযান পরিচালনা করেন বনকর্মীরা। এসব অভিযান থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফাঁদ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে শিকারের কাজে ব্যবহৃত ৫৩টি ট্রলার ও নৌকা জব্দ হয়। এই সময়ে ৩৪ জনকে আটক এবং ৭৯ জনকে আসামি করে ৫৪টি মামলা করা হয়। পাশাপাশি ৮৪ কেজি হরিণের মাংস, ছয়টি হরিণের মাথা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ১৫০ জনের তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে বন বিভাগ।
প্যারালাল লাইন সার্চিং: সুন্দরবনে প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সাধারণভাবে নদী-খালে নৌযানের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম চলে বেশি। তবে এবার প্রথম বনে চোরা শিকারি ও অপরাধীদের ধরতে প্যারালাল লাইন সার্চিং (একসঙ্গে অনেক বনরক্ষীর সমতলে হেঁটে হেঁটে তল্লাশি) শুরু করেন বনরক্ষীরা। এতে সফলতাও মেলে। বনের মধ্যে নির্দিষ্ট উচ্চতায় শিকারিদের পেতে রাখা ও মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ফাঁদ জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। এ ছাড়া সম্প্রতি বনের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্তের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে আসছে। সম্প্রতি আমরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে টহল জোরদার করায় শিকারিদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। দীর্ঘদিনের পেতে রাখা ফাঁদও পেয়েছি। বনের মধ্যে টহল বাড়ানো হচ্ছে। অপরাধমুক্ত সুন্দরবন গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যারা হরিণের মাংস খায়, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করা দরকার।’
এই কর্মকর্তা আরও জানান, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে জনবলের সংকট রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর বনের জন্য আছেন মাত্র একজন বনকর্মী। তাঁর অধীনে ১০০টি শূন্য পদ রয়েছে। এই পদগুলোতে জনবল নিয়োগ হলে কাজের তৎপরতা আরও বাড়বে। শিকার বন্ধ করতে পারলে হরিণের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। হরিণ বাঘের প্রধান খাবার। বনের পরিবেশ এবং হরিণের সংখ্যা বাড়াতে পারলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও বাড়বে নিশ্চয়। বন বিভাগ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
১২ মিনিট আগে
বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে র্যাব-১২-এর সদস্যরা অংশ নেন।
গ্রেপ্তার ওয়াজ আলী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোতাজিয়া গ্রামে মো. ওসমান গণি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
এ ঘটনায় মো. ওসমান গণি বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আদালত ওই মামলায় ওয়াজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে র্যাব-১২-এর সদস্যরা অংশ নেন।
গ্রেপ্তার ওয়াজ আলী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোতাজিয়া গ্রামে মো. ওসমান গণি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
এ ঘটনায় মো. ওসমান গণি বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আদালত ওই মামলায় ওয়াজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
১৭ জুলাই ২০২৫
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
১২ মিনিট আগে
বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেপানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
আটক ব্যক্তির নাম রন্তু চাকমা (৩৮)। তিনি পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবচরণ কার্বারিপাড়ার লিফ চরণ চাকমার ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, আজ ভোরে ৩ বিজিবির লোগাং বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টহল দল পানছড়ির হাতিমারা (সেগুনবাগান) এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় গরু ও একটি অবৈধ ওয়াকিটকিসহ এক চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আটক চোরাকারবারি ও গরুগুলো পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
আটক ব্যক্তির নাম রন্তু চাকমা (৩৮)। তিনি পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবচরণ কার্বারিপাড়ার লিফ চরণ চাকমার ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, আজ ভোরে ৩ বিজিবির লোগাং বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টহল দল পানছড়ির হাতিমারা (সেগুনবাগান) এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় গরু ও একটি অবৈধ ওয়াকিটকিসহ এক চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আটক চোরাকারবারি ও গরুগুলো পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
১৭ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগে
বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেমুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।
পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।
পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
১৭ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
১২ মিনিট আগে
ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আমির হোসেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই এলাকার হাসপাতাল রোডের মৃত মহসিন তালুকদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শহরের কে জাহান মার্কেটের কে জাহান হোটেলের তৃতীয় তলায় ২০২ নম্বর কক্ষটি বুকিং নেন আমির হোসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আমিরের কোনো সাড়াশব্দ পায়নি কেউ। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর রুমের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে অন্ধকার দেখতে পান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ সদর মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে রুমের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের কোনো অংশে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন বা কী কারণে এই মৃত্যু তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আমির হোসেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই এলাকার হাসপাতাল রোডের মৃত মহসিন তালুকদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শহরের কে জাহান মার্কেটের কে জাহান হোটেলের তৃতীয় তলায় ২০২ নম্বর কক্ষটি বুকিং নেন আমির হোসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আমিরের কোনো সাড়াশব্দ পায়নি কেউ। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর রুমের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে অন্ধকার দেখতে পান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ সদর মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে রুমের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের কোনো অংশে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন বা কী কারণে এই মৃত্যু তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
১৭ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।
১২ মিনিট আগে
বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে