আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।
আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৭ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৭ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৭ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৭ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে