আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একটি প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরকারি বই এক ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার মণ বইসহ এক ফেরিওয়ালাকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানতে পারেন, বইগুলো কেজি দরে বিক্রি করেছেন উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কোলা গণিপুর গ্রামের শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ার।
উপজেলার কোলা গণিপুর গ্রামের ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে একটি ভ্যানে কয়েকটি বস্তা নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ফেরিওয়ালা। ওই সময় স্থানীয় লোকদের সন্দেহ হলে তাঁকে ভ্যানসহ আটক করা হয়। বস্তাগুলো খুলে শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি পুরোনো বই, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন কিছু বই এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফেরিওয়ালা জানান, শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ারের কাছ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে চার মণ বই ও এক মণ পরীক্ষার খাতা কিনেছেন তিনি। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় লোকজনদের চাপের মুখে ওই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিক্রি করা বই ও খাতা ফেরত নিয়ে যান শওকত আনোয়ার।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শ্রেণি পরিবর্তনের সময় তাদের বই ফেরত নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দা নূরনবী বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুরোনো সরকারি কয়েক বস্তা বই, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতাসহ একটি ভ্যান আটক করা হয়েছে। সবাই দেখি বইগুলো সব নতুন। আমাদের প্রশ্ন, বইগুলো কি তাহলে সেই সময় বিতরণ করা হয়নি? নাকি পরের বছর বিক্রির জন্য জমা করে রেখেছিলেন প্রধান শিক্ষক।’
ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনেন জালাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
সরকারি বই নিয়ম না মেনে বিক্রির কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বইগুলো পড়েছিল। ২০২৪ সাল ও তার আগের বই ও খাতা। আমি ভুল করে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বইগুলো বিক্রি করেছিলাম। যা নিয়মবহির্ভূত। বিগত বছরেও বই বিক্রি করেছিলাম। সেই বই বিক্রির টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে বাগান বানিয়েছিলাম। আমি ভুল বুঝতে পেরে বিক্রিত বই ওই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে ফেরত নিয়ে বিদ্যালয়ে রেখেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সরকারি বই ফেরত নেওয়া বা বিক্রয়ের কোনো বিধান নেই। ঘটনাটি তিনি আমাদের কাউকে না জানিয়েই ঘটিয়েছেন। এবিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একটি প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরকারি বই এক ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার মণ বইসহ এক ফেরিওয়ালাকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানতে পারেন, বইগুলো কেজি দরে বিক্রি করেছেন উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কোলা গণিপুর গ্রামের শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ার।
উপজেলার কোলা গণিপুর গ্রামের ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে একটি ভ্যানে কয়েকটি বস্তা নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ফেরিওয়ালা। ওই সময় স্থানীয় লোকদের সন্দেহ হলে তাঁকে ভ্যানসহ আটক করা হয়। বস্তাগুলো খুলে শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি পুরোনো বই, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন কিছু বই এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফেরিওয়ালা জানান, শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ারের কাছ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে চার মণ বই ও এক মণ পরীক্ষার খাতা কিনেছেন তিনি। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় লোকজনদের চাপের মুখে ওই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিক্রি করা বই ও খাতা ফেরত নিয়ে যান শওকত আনোয়ার।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শ্রেণি পরিবর্তনের সময় তাদের বই ফেরত নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দা নূরনবী বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুরোনো সরকারি কয়েক বস্তা বই, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতাসহ একটি ভ্যান আটক করা হয়েছে। সবাই দেখি বইগুলো সব নতুন। আমাদের প্রশ্ন, বইগুলো কি তাহলে সেই সময় বিতরণ করা হয়নি? নাকি পরের বছর বিক্রির জন্য জমা করে রেখেছিলেন প্রধান শিক্ষক।’
ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনেন জালাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
সরকারি বই নিয়ম না মেনে বিক্রির কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বইগুলো পড়েছিল। ২০২৪ সাল ও তার আগের বই ও খাতা। আমি ভুল করে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বইগুলো বিক্রি করেছিলাম। যা নিয়মবহির্ভূত। বিগত বছরেও বই বিক্রি করেছিলাম। সেই বই বিক্রির টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে বাগান বানিয়েছিলাম। আমি ভুল বুঝতে পেরে বিক্রিত বই ওই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে ফেরত নিয়ে বিদ্যালয়ে রেখেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সরকারি বই ফেরত নেওয়া বা বিক্রয়ের কোনো বিধান নেই। ঘটনাটি তিনি আমাদের কাউকে না জানিয়েই ঘটিয়েছেন। এবিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কেপিএমের কাছ থেকে ৯১৫ কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও)। এই কাগজের বর্তমান বাজারমূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১ টাকা। আবার বিএসও থেকে নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপাবে।
গতকাল বেলা ১১টায় কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিলে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাগজ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করব। তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন; যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধু একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কেপিএমের কাছ থেকে ৯১৫ কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও)। এই কাগজের বর্তমান বাজারমূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১ টাকা। আবার বিএসও থেকে নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপাবে।
গতকাল বেলা ১১টায় কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিলে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাগজ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করব। তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন; যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধু একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।’

জালাল হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
২৫ মে ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

জালাল হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
২৫ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
৭ মিনিট আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতি এবং এলাকায় মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণেই চুরির ঘটনা এমন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কৃষকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। বোরো মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে জমিতে পানি দেওয়ার পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক মেজবাহ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘আমি সরকারি স্কিমের আওতায় আর্থিক সহযোগিতায় জমিতে সেচ দিয়ে থাকি। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। নতুন করে পাম্প বসানো অনেক ব্যয়সাপেক্ষ, যা আমার পক্ষে বহন করা কঠিন। বাধ্য হয়ে এ বছর সেচ দেওয়া বন্ধ রাখার চিন্তা করছি।’
আরও অনেক কৃষক জানান, সেচ যন্ত্র চুরির কারণে যদি পানি দেওয়া বন্ধ থাকে, তবে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং কৃষকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এই আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি টহল ও নজরদারির অভাবে চোর চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়রা উপজেলায় অবিলম্বে রাত্রিকালীন পুলিশি টহল জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ সাধারণত প্রধান সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল দেয়। কিন্তু উপজেলার এমন অনেক বাড়ি বা এলাকা রয়েছে, যেখানে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সেসব স্থানে চুরির ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা পুলিশের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করলে এবং সবাই সতর্ক থাকলে এই চুরি রোধ করা সম্ভব।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতি এবং এলাকায় মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণেই চুরির ঘটনা এমন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কৃষকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। বোরো মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে জমিতে পানি দেওয়ার পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক মেজবাহ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘আমি সরকারি স্কিমের আওতায় আর্থিক সহযোগিতায় জমিতে সেচ দিয়ে থাকি। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। নতুন করে পাম্প বসানো অনেক ব্যয়সাপেক্ষ, যা আমার পক্ষে বহন করা কঠিন। বাধ্য হয়ে এ বছর সেচ দেওয়া বন্ধ রাখার চিন্তা করছি।’
আরও অনেক কৃষক জানান, সেচ যন্ত্র চুরির কারণে যদি পানি দেওয়া বন্ধ থাকে, তবে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং কৃষকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এই আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি টহল ও নজরদারির অভাবে চোর চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়রা উপজেলায় অবিলম্বে রাত্রিকালীন পুলিশি টহল জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ সাধারণত প্রধান সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল দেয়। কিন্তু উপজেলার এমন অনেক বাড়ি বা এলাকা রয়েছে, যেখানে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সেসব স্থানে চুরির ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা পুলিশের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করলে এবং সবাই সতর্ক থাকলে এই চুরি রোধ করা সম্ভব।’

জালাল হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
২৫ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ডাংগীরহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন। প্রসিকিউটর হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি ডিলার আশরাফুজ্জামান তাঁর গোডাউনে টিএসপি সার থাকার পরও কৃষকদের দিচ্ছিলেন না। সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন তিনি। ইউএনও মোনাব্বর হোসেন কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায়কে সঙ্গে নিয়ে গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১০৭ বস্তা টিএসপি সার মজুত পাওয়া যায়। সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আশরাফুজ্জামানের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে জব্দ করা সার উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। এসব সার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করায় একই ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার মো. শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘কৃষকের হয়রানি ও বিপাকে ফেলার মতো কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সার বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ডাংগীরহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন। প্রসিকিউটর হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি ডিলার আশরাফুজ্জামান তাঁর গোডাউনে টিএসপি সার থাকার পরও কৃষকদের দিচ্ছিলেন না। সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন তিনি। ইউএনও মোনাব্বর হোসেন কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায়কে সঙ্গে নিয়ে গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১০৭ বস্তা টিএসপি সার মজুত পাওয়া যায়। সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আশরাফুজ্জামানের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে জব্দ করা সার উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। এসব সার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করায় একই ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার মো. শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘কৃষকের হয়রানি ও বিপাকে ফেলার মতো কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সার বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

জালাল হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নেই। আমি গ্রামের মধ্যে ফেরি করে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বইগুলো ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তাই আমি সেগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম।’
২৫ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে