গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগের বিষয়টি জানেন না প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় ও শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষক সংকটের মধ্যে সভাপতির এমন স্বেচ্ছাচারিতায় ভেঙে পড়েছে ওই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা। ভয়ে কেউ মুখ খলতে চান না। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনা ঘটছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ীয়া এলাকার ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান কাশিয়ানী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও তাঁর ভাই স্বাক্ষর করে দেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে নির্মিত এই স্কুলটি ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হয়। সাবেক সভাপতি ছবুরোন নেছা ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে টানা আট বছর ধরে মায়ের স্কুলটির সভাপতি ছেলে মোহসিন মোল্লা। সেই প্রভাবেই তাঁর আপন ভাই সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান বছরের পর বছর ঢাকায় থাকেন। তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাঁর স্থলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন সভাপতি নিজেই। বিদ্যালয়টির বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই জানেন না, মশিউর রহমান তাঁদের শিক্ষক। কেউ কেউ জানলেও গত পাঁচ বছরে তাঁকে স্কুলে দেখেছে মাত্র পাঁচ-সাত দিন। আর ভয়ে মুখ খুলতে চান না শিক্ষকেরা। বর্তমানে ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ১৫৬ জন।
শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ সালে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১৯৯৭ সালে ছাপা হওয়া ওই স্কুলের নিয়োগের পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির কাগজ এনে নিজের মেয়ে ফেরদৌসী আরা বৃষ্টিকে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। নিয়োগের আট বছর পর সম্প্রতি বৃষ্টির ফাইল এমপিওভুক্তির জন্য সভাপতি স্কুলের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরে।
ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম দিন মশিউর রহমান স্যারকে পেয়েছি। পরে এক দিন এসেছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে মনে হয় আর তাঁকে পাইনি। ক্লাস সেভেনে ওঠার পরে এক দিন দেখেছি; আর এইটেও (অষ্টম শ্রেণিতে) এক দিন দেখেছি। এতে আমাদের একটা ক্লাসে সমস্যা হচ্ছে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজ্জাত মল্লিক বলে, ‘মশিউর স্যার প্রতিদিন আসে না, কিন্তু মাসে একবার-দুবার আসে স্কুলে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন মোল্যা বলছে, ‘মশিউর স্যার কোন বিষয়ের ক্লাস নেন, তা জানি না। বছরে চার-পাঁচ দিন আসেন বাড়িতে। স্কুলের পাশেই তাঁর বাড়ি। আর বাড়িতে এসে মাঝে মাঝে স্কুলে আসতে দেখি। শুনেছি তিনি ঢাকা জব করে, কিন্তু কী জব করে তা-ও জানি না।’
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর মোল্যা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ি। মশিউর স্যারকে পাঁচ বছরের মধ্যে দুই দিন দেখেছি। তিনি ক্লাস নেন না, স্কুলেও আসেন না। হয়তো পারিবারিক কোনো কাজ বা স্কুলের কোনো কাজ থাকলে স্কুলে আসে, তা ছাড়া আসে না। আমি নবম শ্রেণিতে ওঠার পরে জানতে পারছি যে মশিউর রহমান আমাদের স্যার।’
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. লিটন মল্লিক বলেন, ‘সভাপতির নিজেদের সিদ্ধান্তে স্কুলের সবকিছু চলে। এতে আমাদের গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে না। সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাড়ির পাশের স্কুল রেখে ছেলে-মেয়েদের দূরের স্কুলে ভর্তি করতে হয়। এর জন্য আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই স্কুলে ভালো লেখাপড়া পরিবেশ যেন ফিরে আসে।’
এ বিষয়ে ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহসিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৬ সালে আমার মেয়েকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ তবে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
কাগজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজগুলো খুঁজে দেখতে হবে। স্কুলে আছে, নাহয় বাড়িতে আছে। নিয়োগের বিষয়টি স্কুলের সকলেই জানে।’
সভাপতির আপন ভাই শিক্ষক মশিউর রহমানের স্কুলে উপস্থিতির বিষয়ে তিনি জানান, তাঁর ভাই স্কুলে আসেন। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক কারণে ছুটি নিয়ে স্কুলের বাইরে থাকেন।
কিন্তু শিক্ষক হাজিরা খাতা অনুযায়ী তিনি স্কুলেই থাকেন। তাঁর ভাইয়ের ছুটি নেওয়া সংক্রান্ত কোনো কাগজ স্কুলে পাওয়া যায়নি। তবে ভাইয়ের স্থলে নিজের স্বাক্ষর করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে স্কুলের কাজে ও রাজনৈতিক কাজে ঢাকায় ও স্কুলের বাইরে যাই। এ ছাড়া অন্যান্য সময়ে স্কুলেই থাকি।’ তবে স্কুলের শিক্ষক হাজিরা খাতা থেকে জানা যায় তিনি প্রতিদিনই স্কুলে উপস্থিত থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ওয়ালিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভাপতির মায়ের নামে স্কুল। তিনি সারা দিনই স্কুলে থাকেন। তাঁর ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন। তাঁরই আপন ভাই স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান। একদিকে স্কুলে শিক্ষক সংকট রয়েছে, অপর দিকে শিক্ষক মশিউর রহমান স্কুলে ঠিকমতো আসেন না। সভাপতির মায়ের নামের স্কুল ও তাঁদের জায়গায় স্কুল হওয়ায় তাঁদের একটা প্রভাব আছে এখানে। তাঁদের বাইরে কথা বলা যায় না। সভাপতি তাঁর ভাইয়ের স্বাক্ষর নিজে করে দেন। এই নিয়ে সব শিক্ষকের উপস্থিতিতে একদিন সভাপতির সঙ্গে আমার তুমুল ঝগড়া হয়। তিনি আমাকে একপর্যায়ে বলেন, আমি স্বাক্ষর করব, আপনি যা পারেন তা-ই করেন।’
সভাপতির মেয়ের নিয়োগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০১০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের স্কুলে এনটিআরসি ব্যতীত কোনো নিয়োগ হয়নি। সভাপতি তাঁর মেয়েকে স্কুলের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে শিক্ষক সংকট থাকায় সভাপতির অনুরোধক্রমে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সভাপতির মেয়ে ফেরদৌসী আরা বৃষ্টিকে মাঝে মাঝে স্কুলের ক্লাস নেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এর পর থেকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি স্কুলের ক্লাস নেয়।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয় সম্পর্কে আমি যেটা জেনেছি, ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাঁর মেয়েকে পুরোনো ডেটে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি কৌশলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনের আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে তিনি তাঁর মেয়ের এমপিওর আবেদন করেছেন। যেটা মনে হলো, প্রধান শিক্ষক খুব ভীত অবস্থায় থাকেন। সভাপতির দৌরাত্ম্যই সেখানে বেশি।’
সিদ্দিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমার কাছে সভাপতির মেয়ের এমপিওর আবেদন পাঠিয়ে বলেছেন—এটা রিজেক্ট দিতে হবে। আমি বাতিল দিলে এখানকার লোকজন চাপ সৃষ্টি করে। এ জন্য এই ফাইল বাতিল হবে জেনেও কারণগুলো লিখে পাঠিয়েছি অধিদপ্তরে। অধিদপ্তর থেকে বাতিল হয়ে ফাইল এখানে ফেরত আসলে, আমি তদন্ত করে বাস্তব চিত্র আবারও দেখার চেষ্টা করব। তবে এই নিয়োগের জন্য সভাপতিই দায়ী।’
শিক্ষকের স্কুলে অনুপস্থিতির বিষয়ে এ শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘জানতে পেরেছি মশিউর রহমান নামে ওই স্কুলের একজন শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন, কিন্তু বেতন-ভাতা তুলে নেন। এর জন্য ওই স্কুলের সভাপতিই দায়ী। আমি স্কুলে সরেজমিন যাব, বাস্তব চিত্র দেখব। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখব।’

গোপালগঞ্জের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগের বিষয়টি জানেন না প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় ও শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষক সংকটের মধ্যে সভাপতির এমন স্বেচ্ছাচারিতায় ভেঙে পড়েছে ওই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা। ভয়ে কেউ মুখ খলতে চান না। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনা ঘটছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ীয়া এলাকার ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান কাশিয়ানী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও তাঁর ভাই স্বাক্ষর করে দেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে নির্মিত এই স্কুলটি ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হয়। সাবেক সভাপতি ছবুরোন নেছা ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে টানা আট বছর ধরে মায়ের স্কুলটির সভাপতি ছেলে মোহসিন মোল্লা। সেই প্রভাবেই তাঁর আপন ভাই সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান বছরের পর বছর ঢাকায় থাকেন। তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাঁর স্থলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন সভাপতি নিজেই। বিদ্যালয়টির বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই জানেন না, মশিউর রহমান তাঁদের শিক্ষক। কেউ কেউ জানলেও গত পাঁচ বছরে তাঁকে স্কুলে দেখেছে মাত্র পাঁচ-সাত দিন। আর ভয়ে মুখ খুলতে চান না শিক্ষকেরা। বর্তমানে ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ১৫৬ জন।
শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ সালে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১৯৯৭ সালে ছাপা হওয়া ওই স্কুলের নিয়োগের পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির কাগজ এনে নিজের মেয়ে ফেরদৌসী আরা বৃষ্টিকে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। নিয়োগের আট বছর পর সম্প্রতি বৃষ্টির ফাইল এমপিওভুক্তির জন্য সভাপতি স্কুলের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরে।
ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম দিন মশিউর রহমান স্যারকে পেয়েছি। পরে এক দিন এসেছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে মনে হয় আর তাঁকে পাইনি। ক্লাস সেভেনে ওঠার পরে এক দিন দেখেছি; আর এইটেও (অষ্টম শ্রেণিতে) এক দিন দেখেছি। এতে আমাদের একটা ক্লাসে সমস্যা হচ্ছে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজ্জাত মল্লিক বলে, ‘মশিউর স্যার প্রতিদিন আসে না, কিন্তু মাসে একবার-দুবার আসে স্কুলে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন মোল্যা বলছে, ‘মশিউর স্যার কোন বিষয়ের ক্লাস নেন, তা জানি না। বছরে চার-পাঁচ দিন আসেন বাড়িতে। স্কুলের পাশেই তাঁর বাড়ি। আর বাড়িতে এসে মাঝে মাঝে স্কুলে আসতে দেখি। শুনেছি তিনি ঢাকা জব করে, কিন্তু কী জব করে তা-ও জানি না।’
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর মোল্যা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ি। মশিউর স্যারকে পাঁচ বছরের মধ্যে দুই দিন দেখেছি। তিনি ক্লাস নেন না, স্কুলেও আসেন না। হয়তো পারিবারিক কোনো কাজ বা স্কুলের কোনো কাজ থাকলে স্কুলে আসে, তা ছাড়া আসে না। আমি নবম শ্রেণিতে ওঠার পরে জানতে পারছি যে মশিউর রহমান আমাদের স্যার।’
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. লিটন মল্লিক বলেন, ‘সভাপতির নিজেদের সিদ্ধান্তে স্কুলের সবকিছু চলে। এতে আমাদের গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে না। সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাড়ির পাশের স্কুল রেখে ছেলে-মেয়েদের দূরের স্কুলে ভর্তি করতে হয়। এর জন্য আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই স্কুলে ভালো লেখাপড়া পরিবেশ যেন ফিরে আসে।’
এ বিষয়ে ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহসিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৬ সালে আমার মেয়েকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ তবে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
কাগজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজগুলো খুঁজে দেখতে হবে। স্কুলে আছে, নাহয় বাড়িতে আছে। নিয়োগের বিষয়টি স্কুলের সকলেই জানে।’
সভাপতির আপন ভাই শিক্ষক মশিউর রহমানের স্কুলে উপস্থিতির বিষয়ে তিনি জানান, তাঁর ভাই স্কুলে আসেন। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক কারণে ছুটি নিয়ে স্কুলের বাইরে থাকেন।
কিন্তু শিক্ষক হাজিরা খাতা অনুযায়ী তিনি স্কুলেই থাকেন। তাঁর ভাইয়ের ছুটি নেওয়া সংক্রান্ত কোনো কাগজ স্কুলে পাওয়া যায়নি। তবে ভাইয়ের স্থলে নিজের স্বাক্ষর করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে স্কুলের কাজে ও রাজনৈতিক কাজে ঢাকায় ও স্কুলের বাইরে যাই। এ ছাড়া অন্যান্য সময়ে স্কুলেই থাকি।’ তবে স্কুলের শিক্ষক হাজিরা খাতা থেকে জানা যায় তিনি প্রতিদিনই স্কুলে উপস্থিত থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ওয়ালিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভাপতির মায়ের নামে স্কুল। তিনি সারা দিনই স্কুলে থাকেন। তাঁর ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন। তাঁরই আপন ভাই স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান। একদিকে স্কুলে শিক্ষক সংকট রয়েছে, অপর দিকে শিক্ষক মশিউর রহমান স্কুলে ঠিকমতো আসেন না। সভাপতির মায়ের নামের স্কুল ও তাঁদের জায়গায় স্কুল হওয়ায় তাঁদের একটা প্রভাব আছে এখানে। তাঁদের বাইরে কথা বলা যায় না। সভাপতি তাঁর ভাইয়ের স্বাক্ষর নিজে করে দেন। এই নিয়ে সব শিক্ষকের উপস্থিতিতে একদিন সভাপতির সঙ্গে আমার তুমুল ঝগড়া হয়। তিনি আমাকে একপর্যায়ে বলেন, আমি স্বাক্ষর করব, আপনি যা পারেন তা-ই করেন।’
সভাপতির মেয়ের নিয়োগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০১০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের স্কুলে এনটিআরসি ব্যতীত কোনো নিয়োগ হয়নি। সভাপতি তাঁর মেয়েকে স্কুলের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে শিক্ষক সংকট থাকায় সভাপতির অনুরোধক্রমে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সভাপতির মেয়ে ফেরদৌসী আরা বৃষ্টিকে মাঝে মাঝে স্কুলের ক্লাস নেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এর পর থেকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি স্কুলের ক্লাস নেয়।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছবুরোন নেছা উচ্চবিদ্যালয় সম্পর্কে আমি যেটা জেনেছি, ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাঁর মেয়েকে পুরোনো ডেটে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি কৌশলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনের আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে তিনি তাঁর মেয়ের এমপিওর আবেদন করেছেন। যেটা মনে হলো, প্রধান শিক্ষক খুব ভীত অবস্থায় থাকেন। সভাপতির দৌরাত্ম্যই সেখানে বেশি।’
সিদ্দিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমার কাছে সভাপতির মেয়ের এমপিওর আবেদন পাঠিয়ে বলেছেন—এটা রিজেক্ট দিতে হবে। আমি বাতিল দিলে এখানকার লোকজন চাপ সৃষ্টি করে। এ জন্য এই ফাইল বাতিল হবে জেনেও কারণগুলো লিখে পাঠিয়েছি অধিদপ্তরে। অধিদপ্তর থেকে বাতিল হয়ে ফাইল এখানে ফেরত আসলে, আমি তদন্ত করে বাস্তব চিত্র আবারও দেখার চেষ্টা করব। তবে এই নিয়োগের জন্য সভাপতিই দায়ী।’
শিক্ষকের স্কুলে অনুপস্থিতির বিষয়ে এ শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘জানতে পেরেছি মশিউর রহমান নামে ওই স্কুলের একজন শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন, কিন্তু বেতন-ভাতা তুলে নেন। এর জন্য ওই স্কুলের সভাপতিই দায়ী। আমি স্কুলে সরেজমিন যাব, বাস্তব চিত্র দেখব। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখব।’

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (২৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১০ মিনিট আগে
জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন
১ ঘণ্টা আগেনাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
আটক রোহিঙ্গার নাম হাবিবউল্লাহ (১৯)। তিনি কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১-এর ইস্ট ব্লক ই/ ৯-এর মুহাম্মদ রশিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
এ সময় ১২ বান্ডিল (১ হাজার করে) টাকা জব্দ করে তারা। যা সর্বসাকল্যে ১২ লাখ টাকা। এ সময় রোহিঙ্গা নাগরিক হাবিবউল্লাহকে হাতেনাতে আটক করেন পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
পুলিশ আরও জানায়, আটক রোহিঙ্গা তরুণ জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত আলী জোহান (রোহিঙ্গা) দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই লোকমান হাকিম (কালাপুতু) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে লেবুতলী দুর্গম পাহাড়ি বেতর ঝিড়ি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত হন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ১২ লাখ জাল টাকাসহ আটক রোহিঙ্গার জবানবন্দির ভিত্তিতে আরও দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
আটক রোহিঙ্গার নাম হাবিবউল্লাহ (১৯)। তিনি কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১-এর ইস্ট ব্লক ই/ ৯-এর মুহাম্মদ রশিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে উপজেলার অতিদুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুতলী এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
এ সময় ১২ বান্ডিল (১ হাজার করে) টাকা জব্দ করে তারা। যা সর্বসাকল্যে ১২ লাখ টাকা। এ সময় রোহিঙ্গা নাগরিক হাবিবউল্লাহকে হাতেনাতে আটক করেন পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
পুলিশ আরও জানায়, আটক রোহিঙ্গা তরুণ জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত আলী জোহান (রোহিঙ্গা) দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই লোকমান হাকিম (কালাপুতু) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে লেবুতলী দুর্গম পাহাড়ি বেতর ঝিড়ি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত হন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ১২ লাখ জাল টাকাসহ আটক রোহিঙ্গার জবানবন্দির ভিত্তিতে আরও দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগ
১০ মার্চ ২০২৪
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (২৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১০ মিনিট আগে
জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন
১ ঘণ্টা আগেটুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (৩০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে আল আমিনকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে।
মৃত আল আমিন মধুখালী গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মধুখালী গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে ফাইজুল শেখ (৩০), আব্বাস শেখ (৩৫) এবং নওয়াব শেখের ছেলে টিপু শেখের সঙ্গে একই গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলেদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত বুধবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান আল আমিন। তাতে ফাইজুল ও আব্বাস বাধা দেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ফাইজুল ও আব্বাসের নির্দেশে টিপু শেখ ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে এসে আল আমিনকে পেটাতে থাকেন। পরে আল আমিনের চিৎকারে বাড়ির লোকজন সেখানে ছুটে গেলে প্রতিপক্ষের মারধরে নারীসহ আরও চারজন আহত হন। পরে আহত আল আমিনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত আল আমিনের স্ত্রী নুরনাহার বেগম বলেন, ‘আমার তিন ছেলেমেয়েকে ওরা এতিম করে দিল। নির্মমভাবে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করল। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফাইজুল, আব্বাস ও টিপু শেখের বাড়িতে গেলে তাঁদের ঘরগুলো তালাবদ্ধ দেখা যায়। প্রতিবেশীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা ঘর তালা মেরে কোথায় যেন চলে গেছেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (৩০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে আল আমিনকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে।
মৃত আল আমিন মধুখালী গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মধুখালী গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে ফাইজুল শেখ (৩০), আব্বাস শেখ (৩৫) এবং নওয়াব শেখের ছেলে টিপু শেখের সঙ্গে একই গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলেদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত বুধবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান আল আমিন। তাতে ফাইজুল ও আব্বাস বাধা দেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ফাইজুল ও আব্বাসের নির্দেশে টিপু শেখ ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে এসে আল আমিনকে পেটাতে থাকেন। পরে আল আমিনের চিৎকারে বাড়ির লোকজন সেখানে ছুটে গেলে প্রতিপক্ষের মারধরে নারীসহ আরও চারজন আহত হন। পরে আহত আল আমিনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত আল আমিনের স্ত্রী নুরনাহার বেগম বলেন, ‘আমার তিন ছেলেমেয়েকে ওরা এতিম করে দিল। নির্মমভাবে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করল। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফাইজুল, আব্বাস ও টিপু শেখের বাড়িতে গেলে তাঁদের ঘরগুলো তালাবদ্ধ দেখা যায়। প্রতিবেশীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা ঘর তালা মেরে কোথায় যেন চলে গেছেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগ
১০ মার্চ ২০২৪
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ মিনিট আগে
জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়া ও সচিব রাজিব মিয়া।
এর আগে গত বুধবার জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির খবর পেয়ে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ঝরনা আক্তারের স্বামী।
এদিকে শোকজের বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি সচিব রাজিব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন গত বুধবার শোকজ করা হলেও বৃহস্পতিবার নোটিশটি হাতে পেয়েছি। আগামী তিন কার্যদিবসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যথাযথ সময়ে জবাব দেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। শাওন নিজেই সিল-স্বাক্ষর নকল করে এসব করেছেন।’
এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের থেকে পাওয়া জবাব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়া ও সচিব রাজিব মিয়া।
এর আগে গত বুধবার জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির খবর পেয়ে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ঝরনা আক্তারের স্বামী।
এদিকে শোকজের বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি সচিব রাজিব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন গত বুধবার শোকজ করা হলেও বৃহস্পতিবার নোটিশটি হাতে পেয়েছি। আগামী তিন কার্যদিবসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যথাযথ সময়ে জবাব দেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। শাওন নিজেই সিল-স্বাক্ষর নকল করে এসব করেছেন।’
এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের থেকে পাওয়া জবাব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগ
১০ মার্চ ২০২৪
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (২৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন্দর। থাইল্যান্ডের আদলে গড়ে তোলা এই পড হাউসগুলো থেকে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্য দেখতে অপরূপ লাগছে।’ এ সময় কথা হয় তাঁদের সফরসঙ্গী সেলিনা খাতুন ও মো. জসিমের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। কাপ্তাইয়ের পাহাড়, কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী নদীর সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ।’
বড়দিনের ছুটির সঙ্গে শুক্র ও শনিবার মিলে তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি, শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইস, চন্দ্রলোক ক্যাম্পিং সাইট অ্যান্ড রিসোর্ট ও বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র, ওয়াগ্গাছড়া প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, নৌবাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইস, সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর পিকনিক স্পটসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ছে। কোথাও কোনো রিসোর্ট খালি নেই। কেউ বোট নিয়ে লেকে ভ্রমণ করছেন। কেউ লেক পাহাড়ের ছবি তুলছেন।
টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে পর্যটনকেন্দ্রগুলো মাসখানেক আগেই অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে জানান শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউসের ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত নিসর্গ রিভার ভ্যালির পড হাউস দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন পর্যটকেরা। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সবগুলো কটেজ বুকিং আছে।’
কাপ্তাই শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইসের প্রতিষ্ঠাতা হাজি মোহাম্মদ মইন উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘মাঝখানে কর্ণফুলী নদী আর দুই পাশে রাম-সীতা পাহাড় দেখতে আসছেন পর্যটকেরা। এখানে আমাদের রেস্টুরেন্টে কাপ্তাই লেকের মাছসহ পাহাড়ি খাবার খেতে এই ছুটিতে বহু পর্যটক আসছেন।’
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন রাউজান প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক লেখক ও কলামিস্ট ডা. সুপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কাপ্তাইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। আমি বাংলাদেশের সকলকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানাই।’
কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা পল্লী বিদ্যুতের কর্মী বিটু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
কাপ্তাই নৌ বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী পার্বতী বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে এসেছি, আসলে এই জায়গাটা খুব সুন্দর।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই লেক শোতে কথা হয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে আসা পর্যটক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। কাপ্তাইয়ের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। কাপ্তাই লেক এবং পাহাড় দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
কাপ্তাই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের ফল বিক্রেতা এ আর খান বলেন, এই পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর পাহাড়ি আনারস পাওয়া যায়। এগুলো পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের।
কাপ্তাই এসএসডি বোট ঘাট এবং কাপ্তাই লেকশোর বোট ঘাটের চালক খায়রুল ইসলাম এবং মো. জুয়েল বলেন, টানা ছুটিতে কাপ্তাইয়ে বহু পর্যটক এসেছে। পর্যটকেরা বোটে করে কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করছেন।

রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন্দর। থাইল্যান্ডের আদলে গড়ে তোলা এই পড হাউসগুলো থেকে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্য দেখতে অপরূপ লাগছে।’ এ সময় কথা হয় তাঁদের সফরসঙ্গী সেলিনা খাতুন ও মো. জসিমের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। কাপ্তাইয়ের পাহাড়, কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী নদীর সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ।’
বড়দিনের ছুটির সঙ্গে শুক্র ও শনিবার মিলে তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি, শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইস, চন্দ্রলোক ক্যাম্পিং সাইট অ্যান্ড রিসোর্ট ও বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র, ওয়াগ্গাছড়া প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, নৌবাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইস, সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর পিকনিক স্পটসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ছে। কোথাও কোনো রিসোর্ট খালি নেই। কেউ বোট নিয়ে লেকে ভ্রমণ করছেন। কেউ লেক পাহাড়ের ছবি তুলছেন।
টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে পর্যটনকেন্দ্রগুলো মাসখানেক আগেই অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে জানান শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউসের ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত নিসর্গ রিভার ভ্যালির পড হাউস দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন পর্যটকেরা। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সবগুলো কটেজ বুকিং আছে।’
কাপ্তাই শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইসের প্রতিষ্ঠাতা হাজি মোহাম্মদ মইন উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘মাঝখানে কর্ণফুলী নদী আর দুই পাশে রাম-সীতা পাহাড় দেখতে আসছেন পর্যটকেরা। এখানে আমাদের রেস্টুরেন্টে কাপ্তাই লেকের মাছসহ পাহাড়ি খাবার খেতে এই ছুটিতে বহু পর্যটক আসছেন।’
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন রাউজান প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক লেখক ও কলামিস্ট ডা. সুপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কাপ্তাইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। আমি বাংলাদেশের সকলকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানাই।’
কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা পল্লী বিদ্যুতের কর্মী বিটু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
কাপ্তাই নৌ বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী পার্বতী বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে এসেছি, আসলে এই জায়গাটা খুব সুন্দর।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই লেক শোতে কথা হয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে আসা পর্যটক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। কাপ্তাইয়ের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। কাপ্তাই লেক এবং পাহাড় দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
কাপ্তাই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের ফল বিক্রেতা এ আর খান বলেন, এই পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর পাহাড়ি আনারস পাওয়া যায়। এগুলো পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের।
কাপ্তাই এসএসডি বোট ঘাট এবং কাপ্তাই লেকশোর বোট ঘাটের চালক খায়রুল ইসলাম এবং মো. জুয়েল বলেন, টানা ছুটিতে কাপ্তাইয়ে বহু পর্যটক এসেছে। পর্যটকেরা বোটে করে কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। ওই ভাইয়ের স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন সভাপতি নিজেই। অন্যদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও কোনো নিয়োগ কমিটি ছাড়াই নিজের মেয়েকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান পদে পুরোনো তারিখে নিয়োগ দেখিয়েছেন সভাপতি। নিয়োগ
১০ মার্চ ২০২৪
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১২ লাখ জাল টাকাসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে মারধরে আহত আল আমিন শেখ (২৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১০ মিনিট আগে
জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে