Ajker Patrika

গাজীপুরে কারখানায় আগুন ও শ্রমিকের মৃত্যু: মামলায় আসামি ৮০০, গ্রেপ্তার ৯

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০০: ১০
গাজীপুরে কারখানায় আগুন ও শ্রমিকের মৃত্যু: মামলায় আসামি ৮০০, গ্রেপ্তার ৯

বেতন বৃদ্ধির দাবি শ্রমিকদের বিক্ষোভকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে কারখানা নিরাপত্তাকর্মী গোলজার হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮শ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম এমরান হোসেন (৩২)। তিনি কুমিল্লা জেলার কসবা থানার টুমবাড়িয়া গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ওই কারখানায় কাজ করতেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাজীপুরের আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকার ভাড়াটে মো. শের আলী (১৯), কোনাবাড়ী এলাকার মো. রিফাত (১৯), আমবাগ এলাকার খোবায়েত (২০), কোনাবাড়ী কুদ্দুসনগর পুকুরপাড়া এলাকার মো. নূর হোসেন (১৮), আমবাগ এলাকার শান্ত তালুকদার (২১), বাইমাইল এলাকার মো. ইয়াসিন (১৯), কোনাবাড়ী এলাকার মহিদুল ইসলাম (২০), হরিনাচালা সেলিমনগর এলাকার মো. তোফায়েল (২২), আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকার রহিম বাদশা (২২)। 

গ্রেপ্তার আসামিদের আজ বুধবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আজ রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ হোসেন। 

গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কোনাবাড়ীর এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি কারখানায় প্রথমে ভাঙচুর ও পরে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডাম্পিং করার সময় কারখানার ভেতর থেকে দগ্ধ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনেরা শ্রমিকের পরিচয় শনাক্ত করেন। 

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানায়, কোনাবাড়ী এলাকার অনন্ত কোম্পানিজের এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় গত সোমবার শ্রমিক আন্দোলন চলাকালীন নিরাপত্তার কারণে দুপুরের পর কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোনাবাড়ী ও আশপাশের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকেরা ওই দিন বিকেলে কারখানায় ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারী ওই ৯ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭০০ থেকে ৮০০ জন শ্রমিক নামধারী বহিরাগত দুষ্কৃতকারী লোহার পাইপ, রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। একপর্যায়ে কারখানার প্রধান ফটক ও সীমানা দেয়াল, পেছনের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী ও অন্য কর্মচারীরা সম্পদ রক্ষা করার জন্য হামলাকারীদের বাধা দিলে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কারখানার নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লোরের অফিস কক্ষ, বিভিন্ন মেশিনারিজ, গুরুত্বপূর্ণ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ, ফ্যাব্রিকস, তৈরি পোশাক, ফেয়ার প্রাইস শপ, জেনারেটর, কমপ্রেসর, এসি ভাঙচুরসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পেট্রল ঢেলে কারখানার নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত অফিস, ফ্লোর, ফ্যাব্রিকস গোডাউন, কাটিং এবং সুইং সেকশনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পর এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এ বিষয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আক্রান্ত কারখানা ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনেক আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার দুই শিশুর পরিচয় মিলেছে, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।

পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থী মাসুদের বাড়ি নেই, পেশা ব্যবসা ও পরামর্শক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।

নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।

হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে ভাতিজি খুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অভাব পূরণ হতে বেশ সময় লাগবে: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।

আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে কাদের সিদ্দিকী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মহীয়সী নারী। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত। অসংখ্য মানুষ ব্যথিত–মর্মাহত। মানুষের জন্ম হলে মৃত্যু হবে। এই মৃত্যু সম্মানের মৃত্যু।

‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তাঁকে যেন আল্লাহ বেহেশতবাসী করেন। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিক। তাঁর অভাব এ দেশকে পূরণ করতে বেশ সময় লাগবে।’

অতীতের স্মৃতিচারণ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ আমাদের আবার স্মৃতি। জিয়াউর রহমান যখন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আমিও ছিলাম। বারবার কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে তাঁর বাড়িতে।

‘জিয়াউর রহমান যখন ডেপুটি সেনাপ্রধান, অনেকবার তাঁদের বাড়িতে গেছি। আমার বাড়িতে গেছে। আমার বাড়িতে এমন কোনো প্রোগ্রাম ছিল না যেখানে জিয়াউর রহমান অংশগ্রহণ করেন নাই। আজ আমি খালেদা জিয়ার জানাজায় আসতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত