গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
৪৬ দশমিক ৯৭ বর্গকিমির শ্রীপুর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এর জনসংখ্যা ৯২ হাজার ৬৮৩ জন। পৌরসভাটি কাগজ-কলমে প্রথম শ্রেণির। শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ পৌরসভাটির রাজস্ব আয় গড়ে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকার বেশি। এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন আনিছ। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মেয়র আনিছ পৌরসভায় ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি। দলীয় ক্ষমতার কারণে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। প্রতিবছর পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার ভ্যাট, আয়কর ও জামানত বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাজস্ব আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ শ্রীপুর পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থবছরের অডিটেও রাজস্ব খাতের প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাট-বাজারে ইজারাসংক্রান্ত নথি, আদায় রেজিস্টার, ক্যাশ বই, রসিদ বই ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাট-বাজারের ইজারার বিপরীত আদায়কৃত মোট আয় থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী কেটে রাখা আয়কর, ভ্যাট বাবদ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে পৌরসভার নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে আসছি। অনিয়মের কারণে পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা এসব অনিয়ম দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হাট-বাজার ইজারার প্রাপ্ত অর্থ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের মোট মূল্যের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে আদায়কৃত আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে সরকারের সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১১ সালে জারিকৃত ৮৭০ নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী, হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫ শতাংশ সেলামিস্বরূপ আদায়ের টাকা অদ্যাবধি জমা না করায় সরকারের প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের বিধান অমান্য করে হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ তহবিলে জমা না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪ লাখ টাকার বেশি। একই অর্থবছরে পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন বিল প্রদানের সময় ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। তবে তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি।
অপর দুটি অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ত কাজের নথি রেজিস্টার, পরিশোধিত বিল, ভাউচার ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঠিকাদারদের বিল থেকে নির্দেশনা মেনে সরকারিভাবে ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা মেনে ঠিকাদারদের বিল থেকে কর্তনকৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সরকারের প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং অপর একটি আপত্তিতে প্রদত্ত বিভিন্ন বিলের বিপরীতে কেটে রাখা ভ্যাট জমা না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২৩ অর্থবছর মিলিয়ে এমন আরও দুই কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে অডিটে।
মেয়রের সহযোগী বহাল তবিয়তে
২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। মেয়রের যোগসাজশ থাকায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পৌরসভার কর আদায়কারী শফিউল আলম রায়হান ১ কোটি ৬ লাখ, সহকারী কর আদায়কারী ফাহিমা সানজিদ ৫২ লাখ টাকা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু মেয়রের কারণে পরে শুধু শফিউল রায়হান বরখাস্ত হলেও অপর দুই সহযোগী ফাহিমা ও জান্নাতুল ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান বলেন, ফাহিমা সানজিদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় তাঁরা চাকরিতে বহাল আছেন। আর শফিউল আলম রায়হান পলাতক।
এসব দুর্নীতি প্রসঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজিব আহমেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌরসভার অনিয়ম দূর করা চেষ্টা করছি। সব সেবা ডিজিটাল করার চেষ্টা হচ্ছে। আগের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে পৌরসভার অনেকে জড়িত। এসব প্রতিকারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
৪৬ দশমিক ৯৭ বর্গকিমির শ্রীপুর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এর জনসংখ্যা ৯২ হাজার ৬৮৩ জন। পৌরসভাটি কাগজ-কলমে প্রথম শ্রেণির। শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ পৌরসভাটির রাজস্ব আয় গড়ে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকার বেশি। এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন আনিছ। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মেয়র আনিছ পৌরসভায় ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি। দলীয় ক্ষমতার কারণে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। প্রতিবছর পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার ভ্যাট, আয়কর ও জামানত বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাজস্ব আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ শ্রীপুর পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থবছরের অডিটেও রাজস্ব খাতের প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাট-বাজারে ইজারাসংক্রান্ত নথি, আদায় রেজিস্টার, ক্যাশ বই, রসিদ বই ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাট-বাজারের ইজারার বিপরীত আদায়কৃত মোট আয় থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী কেটে রাখা আয়কর, ভ্যাট বাবদ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে পৌরসভার নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে আসছি। অনিয়মের কারণে পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা এসব অনিয়ম দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হাট-বাজার ইজারার প্রাপ্ত অর্থ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের মোট মূল্যের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে আদায়কৃত আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে সরকারের সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১১ সালে জারিকৃত ৮৭০ নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী, হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫ শতাংশ সেলামিস্বরূপ আদায়ের টাকা অদ্যাবধি জমা না করায় সরকারের প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের বিধান অমান্য করে হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ তহবিলে জমা না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪ লাখ টাকার বেশি। একই অর্থবছরে পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন বিল প্রদানের সময় ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। তবে তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি।
অপর দুটি অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ত কাজের নথি রেজিস্টার, পরিশোধিত বিল, ভাউচার ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঠিকাদারদের বিল থেকে নির্দেশনা মেনে সরকারিভাবে ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা মেনে ঠিকাদারদের বিল থেকে কর্তনকৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সরকারের প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং অপর একটি আপত্তিতে প্রদত্ত বিভিন্ন বিলের বিপরীতে কেটে রাখা ভ্যাট জমা না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২৩ অর্থবছর মিলিয়ে এমন আরও দুই কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে অডিটে।
মেয়রের সহযোগী বহাল তবিয়তে
২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। মেয়রের যোগসাজশ থাকায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পৌরসভার কর আদায়কারী শফিউল আলম রায়হান ১ কোটি ৬ লাখ, সহকারী কর আদায়কারী ফাহিমা সানজিদ ৫২ লাখ টাকা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু মেয়রের কারণে পরে শুধু শফিউল রায়হান বরখাস্ত হলেও অপর দুই সহযোগী ফাহিমা ও জান্নাতুল ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান বলেন, ফাহিমা সানজিদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় তাঁরা চাকরিতে বহাল আছেন। আর শফিউল আলম রায়হান পলাতক।
এসব দুর্নীতি প্রসঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজিব আহমেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌরসভার অনিয়ম দূর করা চেষ্টা করছি। সব সেবা ডিজিটাল করার চেষ্টা হচ্ছে। আগের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে পৌরসভার অনেকে জড়িত। এসব প্রতিকারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
৪৬ দশমিক ৯৭ বর্গকিমির শ্রীপুর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এর জনসংখ্যা ৯২ হাজার ৬৮৩ জন। পৌরসভাটি কাগজ-কলমে প্রথম শ্রেণির। শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ পৌরসভাটির রাজস্ব আয় গড়ে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকার বেশি। এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন আনিছ। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মেয়র আনিছ পৌরসভায় ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি। দলীয় ক্ষমতার কারণে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। প্রতিবছর পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার ভ্যাট, আয়কর ও জামানত বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাজস্ব আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ শ্রীপুর পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থবছরের অডিটেও রাজস্ব খাতের প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাট-বাজারে ইজারাসংক্রান্ত নথি, আদায় রেজিস্টার, ক্যাশ বই, রসিদ বই ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাট-বাজারের ইজারার বিপরীত আদায়কৃত মোট আয় থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী কেটে রাখা আয়কর, ভ্যাট বাবদ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে পৌরসভার নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে আসছি। অনিয়মের কারণে পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা এসব অনিয়ম দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হাট-বাজার ইজারার প্রাপ্ত অর্থ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের মোট মূল্যের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে আদায়কৃত আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে সরকারের সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১১ সালে জারিকৃত ৮৭০ নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী, হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫ শতাংশ সেলামিস্বরূপ আদায়ের টাকা অদ্যাবধি জমা না করায় সরকারের প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের বিধান অমান্য করে হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ তহবিলে জমা না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪ লাখ টাকার বেশি। একই অর্থবছরে পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন বিল প্রদানের সময় ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। তবে তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি।
অপর দুটি অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ত কাজের নথি রেজিস্টার, পরিশোধিত বিল, ভাউচার ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঠিকাদারদের বিল থেকে নির্দেশনা মেনে সরকারিভাবে ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা মেনে ঠিকাদারদের বিল থেকে কর্তনকৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সরকারের প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং অপর একটি আপত্তিতে প্রদত্ত বিভিন্ন বিলের বিপরীতে কেটে রাখা ভ্যাট জমা না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২৩ অর্থবছর মিলিয়ে এমন আরও দুই কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে অডিটে।
মেয়রের সহযোগী বহাল তবিয়তে
২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। মেয়রের যোগসাজশ থাকায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পৌরসভার কর আদায়কারী শফিউল আলম রায়হান ১ কোটি ৬ লাখ, সহকারী কর আদায়কারী ফাহিমা সানজিদ ৫২ লাখ টাকা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু মেয়রের কারণে পরে শুধু শফিউল রায়হান বরখাস্ত হলেও অপর দুই সহযোগী ফাহিমা ও জান্নাতুল ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান বলেন, ফাহিমা সানজিদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় তাঁরা চাকরিতে বহাল আছেন। আর শফিউল আলম রায়হান পলাতক।
এসব দুর্নীতি প্রসঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজিব আহমেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌরসভার অনিয়ম দূর করা চেষ্টা করছি। সব সেবা ডিজিটাল করার চেষ্টা হচ্ছে। আগের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে পৌরসভার অনেকে জড়িত। এসব প্রতিকারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
৪৬ দশমিক ৯৭ বর্গকিমির শ্রীপুর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এর জনসংখ্যা ৯২ হাজার ৬৮৩ জন। পৌরসভাটি কাগজ-কলমে প্রথম শ্রেণির। শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ পৌরসভাটির রাজস্ব আয় গড়ে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকার বেশি। এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন আনিছ। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মেয়র আনিছ পৌরসভায় ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি। দলীয় ক্ষমতার কারণে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। প্রতিবছর পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার ভ্যাট, আয়কর ও জামানত বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাজস্ব আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ শ্রীপুর পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থবছরের অডিটেও রাজস্ব খাতের প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাট-বাজারে ইজারাসংক্রান্ত নথি, আদায় রেজিস্টার, ক্যাশ বই, রসিদ বই ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাট-বাজারের ইজারার বিপরীত আদায়কৃত মোট আয় থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী কেটে রাখা আয়কর, ভ্যাট বাবদ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে পৌরসভার নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে আসছি। অনিয়মের কারণে পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা এসব অনিয়ম দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হাট-বাজার ইজারার প্রাপ্ত অর্থ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের মোট মূল্যের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে আদায়কৃত আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে সরকারের সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১১ সালে জারিকৃত ৮৭০ নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী, হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫ শতাংশ সেলামিস্বরূপ আদায়ের টাকা অদ্যাবধি জমা না করায় সরকারের প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই খাতের বিধান অমান্য করে হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৪ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ তহবিলে জমা না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪ লাখ টাকার বেশি। একই অর্থবছরে পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন বিল প্রদানের সময় ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। তবে তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি।
অপর দুটি অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ত কাজের নথি রেজিস্টার, পরিশোধিত বিল, ভাউচার ও অন্যান্য রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঠিকাদারদের বিল থেকে নির্দেশনা মেনে সরকারিভাবে ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা মেনে ঠিকাদারদের বিল থেকে কর্তনকৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সরকারের প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং অপর একটি আপত্তিতে প্রদত্ত বিভিন্ন বিলের বিপরীতে কেটে রাখা ভ্যাট জমা না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২৩ অর্থবছর মিলিয়ে এমন আরও দুই কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে অডিটে।
মেয়রের সহযোগী বহাল তবিয়তে
২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। মেয়রের যোগসাজশ থাকায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পৌরসভার কর আদায়কারী শফিউল আলম রায়হান ১ কোটি ৬ লাখ, সহকারী কর আদায়কারী ফাহিমা সানজিদ ৫২ লাখ টাকা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু মেয়রের কারণে পরে শুধু শফিউল রায়হান বরখাস্ত হলেও অপর দুই সহযোগী ফাহিমা ও জান্নাতুল ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান বলেন, ফাহিমা সানজিদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় তাঁরা চাকরিতে বহাল আছেন। আর শফিউল আলম রায়হান পলাতক।
এসব দুর্নীতি প্রসঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজিব আহমেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌরসভার অনিয়ম দূর করা চেষ্টা করছি। সব সেবা ডিজিটাল করার চেষ্টা হচ্ছে। আগের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে পৌরসভার অনেকে জড়িত। এসব প্রতিকারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৩ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৭ মিনিট আগেনাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৩ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৭ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৩ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। সেই সময় থেকে টানা মেয়র ছিলেন আনিছুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি চলে গেছেন অজ্ঞাতবাসে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, পৌরসভার রাজস্বের কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন তিনি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৩ মিনিট আগে