Ajker Patrika

পলাশবাড়ীতে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ-পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ১০
গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহেল রানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহেল রানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার ও দফাদার) নিয়োগে নানা অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন ও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিসহ চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে পরীক্ষায় নির্বাচিত করার। ফলে এ নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনর্নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সোহেল রানা নামে এক যুবক।

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিনভর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসনের কার্যালয়ে পাঁচটি ইউনিয়নে ছয়জন মহল্লার ও দুজন দফাদার (পদোন্নতি) পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। ইউনিয়নগুলো হলো কিশোরগাড়ী, মহদীপুর, বেতকাপা, মনোহরপুর ও হরিনাথপুর।

তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শুধু চেয়ারম্যান ও সচিবদের মধ্যে গোপন রাখা হয়। তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে অর্থনৈতিক সুবিধা নেন। পরে নিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে যোগসাজশে তাঁদের সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নিয়োগ বঞ্চিত হন প্রকৃত মেধাবীরা। বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখায় পরীক্ষায় অংশ নেন মাত্র ২৭ জন প্রার্থী। বঞ্চিত হন কাঙ্ক্ষিত শত শত প্রার্থী।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ ছিলেন। গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এর পর থেকে আমি কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ী গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে ১৩ ডিসেম্বর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহল্লাদার হিসেবে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এরপর শুক্রবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিই। কিন্তু নিয়োগ কমিটি চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ফলাফল প্রকাশ করে।’

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিএসএসের তৃতীয় বর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। অপর দিকে নির্বাচিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাঁর কোনো সার্টিফিকেট নাই। সে ভালোভাবে নিজের নাম স্বাক্ষর করতে পারে না। প্রকাশ্যে পরীক্ষা নিলে আমি নিশ্চিত কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হব।’

এ নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পুনর্নিয়োগ দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পলাশবাড়ী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ছয়টি শূন্য পদে সরাসরি মহল্লাদার নিয়োগ এবং দুটি পদে দফাদার (পদোন্নতি) এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান বলেন, গ্রামপুলিশ নিয়োগ বিধিমালায় অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও বহুল প্রচারের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট দৈনিক সংগ্রাম ও স্থানীয় পর্যায়ে দৈনিক ঘাঘট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যা যথারীতি উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়।

সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি চেয়ারম্যানদের সরবরাহ করা হয়। তাঁরা যদি পরিষদের নোটিশ বোর্ডে না টাঙিয়ে থাকেন—এ দায়ভার তাদের। তবে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে এবং আমার নোটিশ বোর্ডে এখনো আছে।

অপর দিকে হত্যা মামলার আসামিকে দফাদার নিয়োগের বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত জহুরুল ইসলাম নামে এক মহল্লাদার (চৌকিদার) ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হন। সে সময় তিনি বরখাস্তও হন। পরবর্তীকালে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্বপদে পুনর্বহাল করেন। গতকালের পদোন্নতি পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তারপরেও মামলার কাগজপত্র পুনরায় যাচাই করে তাঁর নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

পলাশবাড়ী থানার কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, ‘জহুরুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।’

মো. জহুরুল ইসলাম উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর গ্রামের আজিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পলাশবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর গ্রামে মৃত আ. মাজেদ প্রধানের স্ত্রী স্বপ্না বেগমের চারা ধানখেত থেকে সাদা মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাদা মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদা মিয়া পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সূত্রহীন এ মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেন তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা। পরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু ও উপজেলা আনসার-ভিডিবি কমান্ডার আউয়াল হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্ত্রীকে ‘ভাবি’ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, ছেলেকে বানিয়েছেন ভাতিজা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।

অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।

‎বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’  

‎ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’

‎শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— ‎আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।

‎এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।

‎উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোলে ভারতীয় ট্রাকে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (নম্বর HR-3811248) ফেলে পালিয়ে যান চালক।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে গাড়ির ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে।

অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পণ্যটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধ পণ্যের চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেড়েছে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপের খনন শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাসের ২০০ আবাসিক চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাসের ২০০ আবাসিক চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে একটি নতুন (২৮ নম্বর) গ্যাসকূপ খননের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। আজ সোমবার সদর উপজেলার সুহিলপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের সি লোকেশনে এ কূপ খননের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, কূপটির খনন শেষ হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে গ্যাসের সন্ধানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের সি লোকেশনে জরিপ চালানো হয়। পরে ২০২০ সালে ওই জরিপ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয় জিএফসিএল। এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরে অবস্থিত কামতা গ্যাস ফিল্ডেও একটি কূপ খনন করা হবে।

তিতাস ও কামতা ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কূপগুলোর খনন শেষ হলে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদনে থাকা ২২টি কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিতাসের ২৮ নম্বর কূপটির খননকাজ করছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। খনন শেষ করতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। কাজ শেষ হলে কূপটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, তিতাস ও মেঘনা ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত