৬ লেন জাতীয় সড়ক
আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কতিপয় কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার এবং অফিস সহকারীদের যোগসাজশে চলছে এই দুর্নীতি।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে কমিশন-বাণিজ্য, ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে একজনের ক্ষতিপূরণ অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া, প্রকৃত মালিকদের মামলা-মোকদ্দমার ফাঁদে আটকে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
অনিয়মের ক্ষেত্রে শুধু ঊর্ধ্বতনেরাই নন, বরং সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীই জড়িত। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পিয়ন হাবিব ও নজরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার আল আমিন, কামরুজ্জামান, কানুনগো তাইজুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেবনাথ সাহা নামের একজনের মালিকানাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া মৌজার এসএ ৭৩৮ ও ৮২২ দাগের ০.০০৯০ একর জমি বাণিজ্যিক ছিল না। কিন্তু জমিটির ওপর সামান্য স্থাপনা নির্মাণ করে বাণিজ্যিক হিসেবে দেখানোর কারণে প্রায় ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আতাউর রহমান সরকারের ৭৯০,৭৯১ ও ৭৯২ দাগে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিলই না। কিন্তু ২৪ শতাংশ ঘুষ দিয়ে ডাঙার ভূমি বাণিজ্যিক দেখিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একই মৌজায় বাবু লাল চৌধুরী ও সোহেল নওরোজ ২০১৭ ও ২০১৮ দাগে প্রায় ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। ওই মৌজার ৮২৯ নম্বর দাগে ছোট বাউন্ডারির ভেতর কলার চাষ করতেন এ টি এম আমিনুল ইসলাম। সেখানে ০.০৪১৮ একর জমিতে টিনশেড অবকাঠামো করে বাণিজ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। নুর মোহাম্মদ খায়রুল বাশার নয়ন ৭৮০ দাগের ফাঁকা জায়গায় ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের একটি ঘর নির্মাণ করে। পরে তা বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
একইভাবে মোস্তফা মাহদি আল ফেরদৌসের ৮২১ দাগে ০.০১২৫ একর জমি বাড়ি শ্রেণি থেকে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। এ ছাড়া অসদুপায়ে পান্থাপাড়া মৌজায় ৪৫৫ দাগে খোদেজা বেগম নামের এক নারী ২ কোটি ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এভাবে অনেক জমির মালিক অসদুপায় অবলম্বন করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকা দেওয়া হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়া, বুজরুক বোয়ালিয়া ও পান্থাপাড়া মৌজায়। এখানে প্রতি শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, বোয়ালিয়া, বুজরুক বোয়ালিয়া ও পান্থাপাড়া মৌজার শহর এলাকার রাস্তার দুপাশের প্রায় ১০ দশমিক ৮২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া অবকাঠামোর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পরিমাপ না করে ঘুষ নিয়ে অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ ৩-৪ গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পান্থাপাড়া, বোয়ালিয়া ও বুজরুক বোয়ালিয়া মৌজায় ১৩০টি প্লটের ৩৬০ জন ভূমিমালিকের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে জমি ও অবকাঠামো বাবদ সরকারের খরচ হবে ৭৩০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। মামলা রয়েছে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চেক প্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। ঘুষ না দিলে চেক প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে। যাঁরা চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিচ্ছেন, তাঁরা কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই চেক পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূমিমালিক বলেন, তাঁদের কাছ থেকে লাখে পাঁচ হাজার করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে চেক আটকে দেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পিয়ন হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আগের কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। পরে অন্য কে টাকা নিচ্ছে, তা আমি জানি না।’ পিয়ন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লোকবল কম থাকায় প্রায় সব কাজই আমাদের করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু খরচ নেওয়া হয়।’
সার্ভেয়ার আল আমিন ও কামরুজ্জামান দাবি করেন, এসব ঘটনা তাঁরা যোগদানের আগে ঘটতে পারেন। তাঁদের সময়ে এসব হয়নি। তবে তাঁরা ২০২২ সালে যোগদানের পর থেকে ভূমিমালিকের টাকা ও অবকাঠামোর টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ তদন্তে এই দুই সার্ভেয়ারের স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে জমিমালিক দেবনাথ সাহা বলেন, তিনি জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখেছিলেন। যে টাকা তিনি পেয়েছেন, তা ব্যাংক কেটে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই না করে কি তাঁরা (অফিস) আমাদের টাকা দিয়েছেন। কিছু বলার থাকলে ডিসি অফিসে যান।’ অপর দিকে এ টি এম আমিনুল ইসলাম নামের আরেক জমিমালিক বলেন, ‘কেউ কোনোভাবে টাকা পেলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কি অফিস টাকা দেবে?’
ভূমিমালিক সোহেল নওরোজ ও বাবু লাল চৌধুরী দাবি করেন, তাঁদের ব্যবসা থাকায় বাণিজ্যিক হিসেবে ভূমির টাকা পেয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলার পরামর্শ দেন তাঁরা।
আতাউর রহমান সরকার নামের একজন বলেন, তাঁর ভূমি বাণিজ্যিক না হলেও ওই জমির ওপর দিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। সে জন্য তিনি বাণিজ্যিক সুবিধা নিতেই পারেন।
ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, তিনি যোগদানের আগে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আগের কর্মকর্তারা যেভাবে রিপোর্ট দিয়ে গেছেন, সেভাবেই ভূমিমালিকদের অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে জানি না; এখন সব যাচাই-বাছাই করার পর টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ কোনোভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিংবা অর্থ হাতিয়ে নিলে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানালে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কতিপয় কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার এবং অফিস সহকারীদের যোগসাজশে চলছে এই দুর্নীতি।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে কমিশন-বাণিজ্য, ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে একজনের ক্ষতিপূরণ অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া, প্রকৃত মালিকদের মামলা-মোকদ্দমার ফাঁদে আটকে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
অনিয়মের ক্ষেত্রে শুধু ঊর্ধ্বতনেরাই নন, বরং সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীই জড়িত। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পিয়ন হাবিব ও নজরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার আল আমিন, কামরুজ্জামান, কানুনগো তাইজুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেবনাথ সাহা নামের একজনের মালিকানাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া মৌজার এসএ ৭৩৮ ও ৮২২ দাগের ০.০০৯০ একর জমি বাণিজ্যিক ছিল না। কিন্তু জমিটির ওপর সামান্য স্থাপনা নির্মাণ করে বাণিজ্যিক হিসেবে দেখানোর কারণে প্রায় ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আতাউর রহমান সরকারের ৭৯০,৭৯১ ও ৭৯২ দাগে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিলই না। কিন্তু ২৪ শতাংশ ঘুষ দিয়ে ডাঙার ভূমি বাণিজ্যিক দেখিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একই মৌজায় বাবু লাল চৌধুরী ও সোহেল নওরোজ ২০১৭ ও ২০১৮ দাগে প্রায় ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। ওই মৌজার ৮২৯ নম্বর দাগে ছোট বাউন্ডারির ভেতর কলার চাষ করতেন এ টি এম আমিনুল ইসলাম। সেখানে ০.০৪১৮ একর জমিতে টিনশেড অবকাঠামো করে বাণিজ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। নুর মোহাম্মদ খায়রুল বাশার নয়ন ৭৮০ দাগের ফাঁকা জায়গায় ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের একটি ঘর নির্মাণ করে। পরে তা বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
একইভাবে মোস্তফা মাহদি আল ফেরদৌসের ৮২১ দাগে ০.০১২৫ একর জমি বাড়ি শ্রেণি থেকে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। এ ছাড়া অসদুপায়ে পান্থাপাড়া মৌজায় ৪৫৫ দাগে খোদেজা বেগম নামের এক নারী ২ কোটি ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এভাবে অনেক জমির মালিক অসদুপায় অবলম্বন করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকা দেওয়া হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়া, বুজরুক বোয়ালিয়া ও পান্থাপাড়া মৌজায়। এখানে প্রতি শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, বোয়ালিয়া, বুজরুক বোয়ালিয়া ও পান্থাপাড়া মৌজার শহর এলাকার রাস্তার দুপাশের প্রায় ১০ দশমিক ৮২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া অবকাঠামোর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পরিমাপ না করে ঘুষ নিয়ে অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ ৩-৪ গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পান্থাপাড়া, বোয়ালিয়া ও বুজরুক বোয়ালিয়া মৌজায় ১৩০টি প্লটের ৩৬০ জন ভূমিমালিকের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে জমি ও অবকাঠামো বাবদ সরকারের খরচ হবে ৭৩০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। মামলা রয়েছে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চেক প্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। ঘুষ না দিলে চেক প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে। যাঁরা চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিচ্ছেন, তাঁরা কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই চেক পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূমিমালিক বলেন, তাঁদের কাছ থেকে লাখে পাঁচ হাজার করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে চেক আটকে দেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পিয়ন হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আগের কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। পরে অন্য কে টাকা নিচ্ছে, তা আমি জানি না।’ পিয়ন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লোকবল কম থাকায় প্রায় সব কাজই আমাদের করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু খরচ নেওয়া হয়।’
সার্ভেয়ার আল আমিন ও কামরুজ্জামান দাবি করেন, এসব ঘটনা তাঁরা যোগদানের আগে ঘটতে পারেন। তাঁদের সময়ে এসব হয়নি। তবে তাঁরা ২০২২ সালে যোগদানের পর থেকে ভূমিমালিকের টাকা ও অবকাঠামোর টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ তদন্তে এই দুই সার্ভেয়ারের স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে জমিমালিক দেবনাথ সাহা বলেন, তিনি জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখেছিলেন। যে টাকা তিনি পেয়েছেন, তা ব্যাংক কেটে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই না করে কি তাঁরা (অফিস) আমাদের টাকা দিয়েছেন। কিছু বলার থাকলে ডিসি অফিসে যান।’ অপর দিকে এ টি এম আমিনুল ইসলাম নামের আরেক জমিমালিক বলেন, ‘কেউ কোনোভাবে টাকা পেলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কি অফিস টাকা দেবে?’
ভূমিমালিক সোহেল নওরোজ ও বাবু লাল চৌধুরী দাবি করেন, তাঁদের ব্যবসা থাকায় বাণিজ্যিক হিসেবে ভূমির টাকা পেয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলার পরামর্শ দেন তাঁরা।
আতাউর রহমান সরকার নামের একজন বলেন, তাঁর ভূমি বাণিজ্যিক না হলেও ওই জমির ওপর দিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। সে জন্য তিনি বাণিজ্যিক সুবিধা নিতেই পারেন।
ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, তিনি যোগদানের আগে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আগের কর্মকর্তারা যেভাবে রিপোর্ট দিয়ে গেছেন, সেভাবেই ভূমিমালিকদের অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে জানি না; এখন সব যাচাই-বাছাই করার পর টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ কোনোভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিংবা অর্থ হাতিয়ে নিলে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানালে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শ
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শ
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৫ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শ
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৮ মিনিট আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রসারিত ছয় লেন জাতীয় মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণসহ নানা কাজে ঘুষ-বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। এতে ব্যক্তি লাভবান হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শ
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে