Ajker Patrika

ফেনীতে একই স্থানে বিএনপির দুপক্ষের কর্মসূচিতে সংঘর্ষ

ফেনী প্রতিনিধি
দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি দুই পক্ষের।

তবে দুপক্ষের কেউই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেননি। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন যুবদল কর্মী সোহেল, রিয়াজ, শ্রমিক দল কর্মী পারভেজ, যুবদল কর্মী শাহীন, সুজন, হুদন, যুবদল কর্মী আলা উদ্দিন আলো, নুরুল হক সোহেল, মোহাম্মদ সাঈদ, মোশাররফ, রুবেল, নেজাম মেম্বার, শহিদ, শাহাদাতসহ অন্তত ২০ জন।

স্থানীয় এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের করিমপুর এলাকায় একটি এতিমখানায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন কম্বল বিতরণ করতে যান।

এর পার্শ্ববর্তী স্থানে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহম্মদ ডিপলু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। একপর্যায়ে আকবর হোসেন কম্বল বিতরণ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও পরে মারামারি শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল বিকেলের পর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। জেলা ছাত্রদল নেতার দাবি, সেখানে তাঁদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির বলেন, করিমপুরে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহম্মদ ডিপলুর বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। তার পাশেই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন কম্বল বিতরণ করছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও পরে মারামারি শুরু হয়। সেখানে পুলিশের সামনেও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের লোকজন পারভেজকে বেধড়ক মারধর এবং অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদেরও হেনস্তা করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।

সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: সংগৃহীত
সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ‘একটি অরাজনৈতিক আয়োজনে কম্বল বিতরণের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু এত দিন পর তারা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাল্টা কর্মসূচি দেয়। পরে তাদের অস্ত্র আর বোমাবাজি দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে থানায় চলে আসে। ঘটনাস্থলে কবির আহম্মদ ডিপলু, ফটিক, বাবলু, রিয়াদসহ তাঁদের লোকজন আমাদের থেকে কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও মারধর শুরু করে।’

আকবর হোসেন আরও বলেন, ‘তারা আমাদের তিনটি মোটরসাইকেল, ২০-২৫টি মোবাইল ফোন ও আমার স্ত্রীর পাঁচ ভরি স্বর্ণের একটি ব্রেসলেট নিয়ে গেছে। ১৫-২০ জনকে মারধর করে আহত করেছে। এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কমিটির দ্বন্দ্বের বিষয়ে আকবর হোসেন বলেন, যে দলের নেতারা কেন্দ্রের কথা মানে না, তারা দলের প্রতি কতটুকু আন্তরিক, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার বিএনপির এই কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রদল ও যুবদল নেতা। তাঁরা বিএনপির কেউ নন।

জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তা বলেছেন। তিনিই দাগনভূঞার রাজনীতিতে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন। যারা স্বৈরাচার, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ব্যবসা করেছে, তাদেরকে তিনি অর্থের বিনিময়ে অবৈধ কমিটিতে জায়গা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কখনো কোনো প্রকার চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তিনি চাঁদাবাজ বলেছেন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহম্মদ ডিপলু বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমি দাওয়াত পাইনি বা অবগতও ছিলাম না। আমি দুপক্ষকে শান্ত রাখার জন্য চেষ্টা করেছি। সেখানে আগে থেকেই প্রশাসনের লোকজন ছিলেন। হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

এদিকে এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে দাগনভূঞা বাজারে দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ছাত্রদল নেতা ফটিকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। ওই সময় বাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘একই স্থানে দুপক্ষের কর্মসূচির বিষয়ে অবগত হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে থানায় তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু বিকেলে সেখানে তারা দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।’

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ৩১ জানুয়ারি সিলোনীয়া স্কুল মাঠে দুপক্ষ আলাদা প্রোগ্রাম করবে বলে জানতে পেরেছি। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে তাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছি। দুপক্ষই প্রোগ্রাম করার বিষয়ে অনড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণীর মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৯
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।‎

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।‎

‎পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।‎

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

নুরুল আমিন হাসান, ৩০০ ফুট থেকে
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৭
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়া শুরু করেছেন। এতে ৩০০ ফুট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

৩০০ ফুট সড়কে তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ ফুট সড়কসহ আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডগ স্কোয়াড টিম দিয়ে মঞ্চ এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দলে দলে বিভিন্ন মিছিল ও স্লোগান নিয়ে আসতে দেখা যায়।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার অনুরোধ করে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা মঞ্চের বাঁশ-খুঁটিতে নাড়াচাড়া করবেন না। এতে মঞ্চটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা সবাই মঞ্চের সামনে থেকে সরে যান। এখানে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের টিম রয়েছে। আমাদের নেতার নিরাপত্তার জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।’

উল্লেখ্য, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সে জন্যই রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে করা হয়েছে একটি বিশাল মঞ্চ। জানা গেছে, দেশে ফিরেই তিনি এই মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া শক্তিশালী ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মগবাজার মিডিয়া গলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মগবাজারে ফ্লাইওভারের নিচে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের কারণে তাঁর মাথায় আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই পথচারী সেখানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। সেটি নিচ দিয়ে চলাচল করা এক যুবকের মাথায় পড়ে। এতে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ফয়সালকে সীমান্তে আত্মগোপনে সহায়তাকারী ৫ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪২
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও এক আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি আমিনুল ইসলাম রাজু। মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে থাকতে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম রাজুকে গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ।

আবেদনে বলা হয়, আসামি রাজু ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ফিলিপ নামের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে থাকতে সহায়তা করেন রাজু।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা, তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহায়তাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

তাঁদের মধ্যে হুমায়ুন কবির ও হাসি বেগম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। নুরুজ্জামান নোমানীকে একবার এবং বাকিদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত