Ajker Patrika

এক বাড়ি থেকে ২২টি গোখরোর বাচ্চা উদ্ধার, বড় সাপ না পাওয়ায় আতঙ্কে পুরো পরিবার

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৫৫
এক বাড়ি থেকে ২২টি গোখরোর বাচ্চা উদ্ধার, বড় সাপ না পাওয়ায় আতঙ্কে পুরো পরিবার

ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরের পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ২২টি বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বড় কোনো সাপকে আটক করতে পারেনি সাপুড়ে। আর এতে করে প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছেন ওই বাড়ির সবাই।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে পৌর সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাপুড়েরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে।

হাসান বিশ্বাসের বড় ছেলে সাগর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাড়ির শোয়ার ঘরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। একে একে প্রায় ১৫টি গোখরো সাপের বাচ্চা বাড়ির লোকজন মেরে ফেলে। পরে সাপুড়েকে খবর দিলে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাঁরা আরও ৭টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে। তবে বড় সাপটি ধরতে পারেনি সাপুড়েরা। এ ঘটনায় আমরা বাড়ির সবাই আতঙ্কিত।’

কুমারখালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের সাপুড়ে রিয়াজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি গোখরো সাপ ২২ টি,৩২টি বা ৪২টি করে ডিম পাড়ে এবং সেগুলা থেকে বাচ্চা হয়। হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাতটি সাপের বাচ্চা ধরেছি। বাড়ির লোকজন আরও প্রায় ১৫টি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেছে। বড় সাপ দুটি ধরতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও কয়েক দিন ধরে উপজেলার মিটাইন, কুমারখালী, বাগাট এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোট ৯৬টি বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চা ধরেছি। এগুলো আমি বাড়িতে রেখে খাবার খাওয়াই। বড় হলে এদের দিয়ে খেলা দেখাই।’

 ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আনিসুর রহমান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখি খুব ভয়ংকর ব্যাপার। বাড়ির লোকজন আগে থেকে টের পেয়ে সাপুড়েদের খবর দেয়। তারা এসে বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপ ধরা দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

জবি প্রতিনিধি‎
জবির ‎ভেতরে চলছে পরীক্ষা, আর বাইরে যেন ভিন্ন এক দৃশ্যপট। ছবি: আজকের পত্রিকা
জবির ‎ভেতরে চলছে পরীক্ষা, আর বাইরে যেন ভিন্ন এক দৃশ্যপট। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হলো। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সময়ব্যাপী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

‎বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের ‘সি’ ইউনিটে মোট ৫২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে ছিলেন প্রায় ৪০ জন।

‎শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় উৎকণ্ঠাময় পরিবেশ। ‎ভেতরে চলছে পরীক্ষা, আর বাইরে কেউ আঙুলে তসবিহ গুনছেন, কেউ পড়ছেন দোয়া, আবার কেউ অস্থির পায়ে হাঁটছেন এদিক–ওদিক। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর আশার ভারে ভারী বাবা–মা ও স্বজনদের চোখ।

মোহাম্মদপুর থেকে আসা আসমা আক্তার বলেন, ‘মেয়েটা দিন–রাত এক করে পড়াশোনা করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক চিন্তা হচ্ছে। তবে আমরা আশাবাদীও। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কোনো পথ দেখছি না।’

সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর আশার ভারে ভারী বাবা–মা ও স্বজনদের চোখ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর আশার ভারে ভারী বাবা–মা ও স্বজনদের চোখ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মিলন হোসেন বলেন, ‘আমার বোন ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী। ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাঁর প্রস্তুতিও ভালো ছিল। তবুও এত পরিশ্রম যদি বৃথা যায় এই আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে হাত তুলে দোয়া করছি, যেন সে তাঁর পরিশ্রমের যথাযথ ফল পায়।’

‎‎ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘দুদিন আগে আমরা ঢাকায় এসেছি। আমার ছেলেটা পরীক্ষা দিতে ভেতরে ঢুকেছে। খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে কপালে কী আছে, তা জানি না।’

জবিতে প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন প্রায় ৪০ জন ভর্তিচ্ছু। ছবি: আজকের পত্রিকা
জবিতে প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন প্রায় ৪০ জন ভর্তিচ্ছু। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) এবং ২৬ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং কলা ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ঘন কুয়াশা : ৮ ফ্লাইট নামল চট্টগ্রাম, কলকাতা ও ব্যাংককে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৭
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ সম্ভব না হওয়ায় আটটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রাম, ভারতের কলকাতা এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এই ফ্লাইট ডাইভারশন হয় বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে রানওয়েতে দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডাইভার্ট করা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে তিনটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, চারটি ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে এবং একটি ফ্লাইট ব্যাংকক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সকল ফ্লাইট অপারেশন পুনরায় স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডাইভার্ট ও বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও হোটেল সুবিধা প্রদান করছে। যাত্রীদের ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এদিকে কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশনের ঘটনায় কিছু যাত্রীকে ভোগান্তিতে পড়তে হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ফ্লাইট সূচি ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা দ্বিতীয় দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে, ঠান্ডা বাতাসে দুর্বিষহ জীবন

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৫
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছেন শ্রমজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছেন শ্রমজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরেছে হাড়ে। এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শীত প্রভাব বিস্তার করেছে পশুপাখি ও কৃষিতেও।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায় তাদের। হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। তবে ঘর থেকে বের হয়েও কাজ মিলছে না শ্রমজীবী মানুষের।

যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। তীব্র শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা অবধি অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়।

বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতে এক দিন কাজ পাই তো, তিন দিন পাই না। এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’

শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণশ্রমিক মো. মিনহাজ বলেন, ‘শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমতো কাজও পাচ্ছি না।’

মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলছে মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলছে মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রমজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের রঙের কাজ করি। কাজের সন্ধানে এসেছি। এখানে বসে আছি। এখনো কাজ পাইনি। শীতের ভেতরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি। কাজ পাব কি না জানি না।’

শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, ‘শীতে ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে খুবই কম। এ জন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয়রোজগারও কমেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ: ভাই-বোনসহ নিহত ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০১
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), কেশবপুর উপজেলার চালতী বাড়ী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) এবং তাঁর বোন বিউটি (৩০)। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি।

স্থানীয় ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা-পুলিশ, স্থানীয় থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন হলেও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে— শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত