Ajker Patrika

মধুখালীতে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে চাঁদাবাজি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের মধুখালীতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে একটি সিন্ডিকেট। চক্রের সদস্যরা উপজেলার এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় এবং চিকিৎসকদের নিম্নমানের ওষুধ লেখাতে বাধ্য করছেন। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জ্ঞানব্রত শুভকে নিম্নমানের ওষুধ লেখার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা হলেন পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রজব ইসলাম রনি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিকাঈল বিশ্বাস ও রিয়ান রহমান নয়ন এবং নাহিদুর রহমান অপু ও টুটুল বিশ্বাস নামের আরও দুই ছাত্রদল কর্মী। এর মধ্যে চাঁদা তোলার দায়িত্বে রয়েছেন নাহিদুর রহমান অপু। তবে তাঁর দাবি, টাকা তোলেন বড় পদধারীরা।  

আরও জানা যায়, চাঁদা না দেওয়ায় ১১ মে সন্ধ্যায় একতা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারে হামলা চালায় চক্রটি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক তানভির ইসলাম শুভ ও ইমতিয়াজ হোসেন অর্ক নামের এক চিকিৎসককে মারধর করে এবং প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়।

ওই ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করেন নাহিদুর রহমান অপু। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে বাইরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে সজোরে লাথি মারেন। এরপর মোবাইলে ফোন দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে হাজির হন রজব ইসলাম রনি, মিকাঈল বিশ্বাস, রিয়ান রহমান নয়ন, টুটুল বিশ্বাসসহ কয়েকজন।

এরপর ভেতরে প্রবেশ করে তানভির ইসলাম শুভকে টেনেহিঁচড়ে ও কিলঘুষি মেরে বাইরে নিয়ে আসেন। ওই সময় বাধা দিতে গেলে চিকিৎসক ইমতিয়াজ হোসেন অর্ককেও এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

এ ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মে অভিযুক্তদের আসামি করে ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৪ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন ইমতিয়াজ হোসেন অর্ক। তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে বিকেলে চেম্বার করলেও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।

জানতে চাইলে ইমতিয়াজ হোসেন অর্ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি মধুখালী উপজেলা হওয়ায় আমি ওই প্রতিষ্ঠানে বিকেলে চেম্বার করে থাকি। কিছুদিন আগে চক্রটির সদস্য নাহিদুর রহমান অপু এসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, এখানে প্র্যাকটিস করতে হলে মাসিকভাবে টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া তাঁদের নির্ধারিত কোম্পানির ওষুধ লিখে দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন। এসবের অস্বীকৃতি জানালে এবং প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।’

ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, চক্রটি বিভিন্ন নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে কমিশন চুক্তি করে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করে সরাসরি চিকিৎসকদের নির্ধারিত কোম্পানির ওষুধ লেখার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলে।

ইমতিয়াজ হোসেন আরও বলেন, চক্রটি কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী সালেহা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। সনোল্যাব নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়।  

সালেহা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমার এখানে স্থানীয় কিছু পোলাপানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। তবে তখনই বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।’ তবে কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে এড়িয়ে যান তিনি।  

অভিযোগ অস্বীকার করে নাহিদুর রহমান অপু বলেন, ‘আমি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করি, চাঁদা তুলব কেন। প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন বড় কয়েকটি পদের নেতারা। ভাই-ব্রাদারের স্বার্থে আমি তাঁদের নাম বলব না।’

হামলা প্রসঙ্গে নাহিদুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এ প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙচুর ও লুটপাট থেকে আমি রক্ষা করেছিলাম। মোটরসাইকেল চাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ডাক্তার আমাকে গালিগালাজ করে। এরপর আমার বন্ধুবান্ধবকে ফোন দিই।’

জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. সাদ্দাম বিশ্বাস বলেন, ‘এরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমরা জেলা কমিটিকে জানিয়েছি। কারণ, দলের যারা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে এবং নিজেদের স্বার্থের জন্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে, তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়ে আজ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত