Ajker Patrika

২০২ প্রাথমিকে শিক্ষক হাজিরা মেশিন অচল

  • এসব যন্ত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যবহার হয়নি এক দিনও
  • প্রকল্পে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগ
  • ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয় প্রতিটি মেশিন
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৬
২০২ প্রাথমিকে শিক্ষক হাজিরা মেশিন অচল

মাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।

প্রায় ছয় বছর আগে জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা এসব যন্ত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, সদর উপজেলার ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতে মেশিন বসানো হয়। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও কিছু বিদ্যালয়ে একইভাবে মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে প্রতিটি মেশিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। কিন্তু যন্ত্রগুলো বসানোর পর কোম্পানি আর কোনো খোঁজ নেয়নি। ফলে বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে বা টিনের বেড়ায় ঝুলে থাকা মেশিনগুলো বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মেশিন হারিয়েও গেছে।

সরেজমিনে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌর এলাকার রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭৫ নম্বর কলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নম্বর দত্তকেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।

জানতে চাইলে রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ‘শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়েছিল, কিন্তু এক দিনও তা ব্যবহার করা হয়নি। ছয় বছর ধরে স্কুলের দেয়ালে এভাবেই পড়ে আছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে এই প্রকল্প করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই মেশিনগুলো চালু থাকলে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা নিশ্চিত হতো।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মুহাম্মদ ইমারত হোসেন বলেন, ‘মেশিনগুলো কেন ব্যবহার হচ্ছে না, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, পুরোনো নথিপত্র দেখে বিস্তারিত বলতে পারব।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব আজকের পত্রিকাকে বলেন, যন্ত্রগুলো কেনার সময় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো কেনা হয়েছিল—এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ ছিল।

তাই পুনরায় চালুর দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ চাহিদার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। রোববার কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার উত্তর লেমশীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ধুরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ধুরুং লাইট হাউস পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ, উপস্থিতি রেজিস্টার, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মান, খেলাধুলা ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। যেসব বিদ্যালয়ে ভবন জরাজীর্ণ, শিক্ষক কম বা শিক্ষাসামগ্রীর অভাব রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সমুদ্রবেষ্টিত কুতুবদিয়া একটি দুর্গম এলাকা হলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আগামী দিনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল লার্নিং এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এর আগে সকালে কুতুবদিয়া দরবার ঘাট পৌঁছালে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব উল আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৯৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের সাইফুলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৯৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের সাইফুলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জনতা ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ, তাঁর ভাই রাশেদুল আলম, ওসমান গনি ও শহীদুল ইসলামসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ একাধিক সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামও রয়েছে।

আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যবহার করে জনতা ব্যাংক সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা (চৌমুহনী) থেকে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৫৯ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, ঋণ অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ের প্রতিটি ধাপে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল।

দুদক বলছে, ঋণের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে সুবিধাভোগীরা পরিকল্পিতভাবে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন এবং ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা তাতে সহযোগিতা করেন। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়।

মামলায় এস আলম গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সাইফুল আলম মাসুদের পাশাপাশি তাঁর ভাই রাশেদুল আলম, ওসমান গনি ও শহীদুল ইসলামের নাম রয়েছে। এ ছাড়া ওসমান গনির স্ত্রী ফারজানা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন আব্দুস সবুর, খন্দকার রবিউল হক, খন্দকার জহিরুল হক, সিরাজুল করিম, কামরুল আহসান ও শহীদুল হক।

অর্থ লুটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন এবং এস এম মাহফুজুর রহমান, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক সিরাজুল করিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মাসফিউল বারী, কামরুজ্জামান খান, আশরাফুল আলম, এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, মিজানুর রহমান, শামীম আলম কোরেশী, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার, সাবেক পরিচালক খন্দকার সাবের ইসলাম, আবুল কাশেম, অজিত কুমার পাল, এ কে এম সামছুল আলম, আসাদ উল্লাহ, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সিইও অ্যান্ড এমডি আব্দুস ছালাম আজাদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মজিদ ও বেগম রুবীনা আমীনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও পারস্পরিক যোগসাজশে এই অর্থ লোপাট করা হয়েছে। তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুধ দিয়ে গোসলের পরদিনই দলে ফিরলেন যুবদল নেতা

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
মো. হোসেন মিয়া । ছবি : সংগৃহীত
মো. হোসেন মিয়া । ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে পরদিনই দলে ফিরেছেন মো. হোসেন মিয়া নামের এক যুবদল নেতা। আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, সিনিয়র নেতাদের অনুরোধ ও এলাকার মানুষের পরামর্শে তিনি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি হোসেন মিয়া ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।

হোসেন মিয়া উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

ফেসবুকে গোসলের ভিডিও পোস্ট করে হোসেন মিয়া লেখেন, ‘আমার এই ভিডিওটা দেখার পর সবার কাছে আমি হাসির পাত্র হয়ে থাকবো। এমনিতেই আজ আমি সবার হাসির পাত্র। আমি ধ্বংস হয়নি (হইনি), আমাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আর সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিস্টেমের কাছে। যে সিস্টেমটার নাম হচ্ছে টাকা আর ষড়যন্ত্র।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমার কাছের মানুষগুলো আমার সাথে ষড়যন্ত্র করেছে। আমার মতো দুই-চারজন রাজনীতিতে না থাকলে কিছুই হবে না। কিন্তু একটা প্রশ্ন রেখে যাই, আমার লড়াইটা কিসের জন্য ছিল? আমার লড়াইটা ছিল বিএনপির জন্য, যুবদলের জন্য, চাঁদপুর-২ আসনের প্রার্থী ড. জালাল সাহেবের জন্য।’ হোসেন মিয়া দাবি করেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দোসররা মিলেমিশে ষড়যন্ত্র করে, টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে তাঁকে ধ্বংস করেছে। ফেসবুক পোস্টে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন হোসেন মিয়া।

জানা গেছে, হোসেন মিয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হলে স্থানীয় রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আজ দুপুরের পর দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর বাসায় গিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করেন।

আজকের পত্রিকাকে হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমাদের পূর্ব হানিরপাড় এলাকায় একটি সামাজিক বিষয় নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। রাগে-ক্ষোভে অভিমান সইতে না পেরে দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি পোস্ট করি। পরে সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। এখন থেকে বিএনপির রাজনীতিতে আগের মতোই সক্রিয় থাকব এবং দলের জন্য কাজ করে যাব।’

কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহসিন ব্যাপারী বলেন, ‘হোসেন মিয়া বর্তমান কমিটিতে না থাকলেও তিনি সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। কিছুদিন আগে সামাজিক একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি অভিমানে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন। এখন ভুল-বোঝাবুঝি মিটে গেছে। তিনি আবারও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন এবং সামনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ে ভূমিকা রাখবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার আহ্বায়কসহ ৬ নেতাকে শোকজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার আহ্বায়কসহ ৬ নেতাকে শোকজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশ দেওয়া অপর চার নেতা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শাকিল শেখ, সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম।

প্রত্যেককে একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘৫ ডিসেম্বর আপনার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে; যা অত্যন্ত গুরুতর এবং একই সঙ্গে জনপরিসরে সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দপ্তরের মারফত সভাপতি রিফাত রশিদ বরাবর উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ বলেন, ‘আমি ৫ ডিসেম্বরের আগে থেকে ঢাকায় আছি। আমাকেও শোকজ করেছে এবং কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আমাকে ডেকেছে।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শোকজ দিয়েছে; যা গণ-অভ্যুত্থানকে অসম্মান করার শামিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত