Ajker Patrika

চেকপোস্টে ছুরিকাঘাত ও আসামির স্বজনদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত

কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মে ২০২৩, ২২: ০২
চেকপোস্টে ছুরিকাঘাত ও আসামির স্বজনদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বাজরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপর দিকে জেলার ভৈরবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ভৈরব ও কুলিয়ারচরে পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে। 

কুলিয়ারচর থানার আহত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল বাসেদ মিয়া। ছুরিকাঘাতে তাঁর বাঁ হাতে মারাত্মক জখম হয়। হাতে দুটি সেলাই দেওয়া হয়। দুই মাদক কারবারি হলেন মনোহরপুর গ্রামের মনির মিয়া (৩২) এবং পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামের নাঈম মিয়া (২৫)। 

অপর দিকে ভৈরব থানার আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ভৈরব থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাসির উদ্দীন, কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল আজাদ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনের মা ও দুই বোনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুলিয়ারচরের বাজরা বাজার এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে সন্দেহ হলে পুলিশ একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি করতে চায়। তখন আসামি মনির মিয়া পুলিশ সদস্য বাসেদ মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোমর থেকে একটি ছুরি বের করি আঘাত করেন। এ সময় পুলিশ সদস্য হাত দিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাইলে, তার বাঁ হাতে মারাত্মক জখম হয়। পরে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেলে থাকা দুই মাদক কারবারিরকে আটক করে শরীর তল্লাশি চালিয়ে ৫২টি ইয়াবা, একটি বিদেশি মদের বোতল, দুটি ছুরি ও তাঁদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেন। আহত বাসেদ মিয়াকে কুলিয়ারচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আটক দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

ভৈরব পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভৈরব উপজেলার গোছামারা গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব থানার এএসআই নাসির উদ্দীন কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল আজাদকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান যান। এ সময় অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর স্বজনেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সাদ্দামকে ছিনিয়ে নেন। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। 

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ফেরার পথে স্বজনেরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামির মা ও তাঁর দুই বোনকে আটক করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে জখমের অপরাধে মামলার ভিত্তিতে দুই মাদক কারবারিকে আজ দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন, রাজধানীতে নেই গণপরিবহন, সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।

সকাল থেকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো— ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলিস্তান এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে রামপুরা বাড্ডা, মহাখালী, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আগমনের কারণে যাত্রীচাপ তুলনামূলক বেশি ছিল।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগর পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। যদিও কিছু রুটে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল, তবু কোথাও গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বের হননি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন ডাইভারশনও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে যান চলাচলে।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ফ্রি থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে নিচের সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সার্বিকভাবে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি থাকলেও এখন পর্যন্ত গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।

কয়েকজন রিক্সা চালক জানান, সকাল থেকে এই এলাকা ফাঁকা ও যানবাহন জ্যাম ছাড়ায় স্বাভাবিক চলাচল রয়েছে।

কয়েকজন দোকানদার জানান, অন্যদিনের তুলনায় আজ শাহবাগ এলাকা জনশূন্য ও ফাঁকা। তারেক রহমানের দেশে এসেছেন এজন্য অনেকে হয়তো অন্য এলাকাতে (৩০০ ফিট) অবস্থান নিয়েছেন।

আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, এদিকে আজ জ্যাম নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছি আমরা। তবে তারেক রহমান দেশে আসায় রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল রয়েছে। ওইসব এলাকায় জ্যাম থাকবে।

দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ছুটির আগের দিন ছিল এবং বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে যাওয়ার ও ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রী আসার চাপ ছিল। ফলে আজকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে ও কিছু জায়গায় যানজট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ এবং যানজট দুটোই বাড়তে পারে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ৬ আসামি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকার কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকার কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নতুন গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন সুনামগঞ্জের তাকবির (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের রুহুল আমিন (৪২), ময়মনসিংহ সদরের নূর আলম (৩৩), একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো. শামীম মিয়া (২৮) নোয়াখালীর সেলিম মিয়া (২২) এবং মাদারীপুরের মো. মাসুম খালাসী (২৩)।

এর আগে গ্রেপ্তার ১২ আসামি হলেন আশিকুর রহমান (২৫) কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি ফ‍্যাক্টরির ভেতরে উপস্থিত কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে ফ‍্যাক্টরির বাইরে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে রিজাইন দেওয়ার জন‍্য চাপ সৃষ্টি করেন। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বড়দিনের প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আজ সকালে ময়মনসিংহের ভাটিকাশর এলাকার সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় ধর্মীয় আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ময়মনসিংহের ভাটিকাশর এলাকার সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় ধর্মীয় আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে সহনশীল ও ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দান করেন।’

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নগরীর ভাটিকাশর এলাকার সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় ধর্মীয় আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। ধর্মীয় আলোচনা ও প্রার্থনা পরিচালনা করেন বিশপ পনেন পল কুবি।

অনুষ্ঠান শুরুর আগেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা দলে দলে গির্জায় আসেন এবং প্রার্থনায় অংশ নেন।

গির্জায় আসা জলি রিচিল বলেন, ‘দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। এই দিনে আমাদের প্রত্যাশা—মানুষের মাঝে শান্তি বিরাজ করুক। ধর্ম ও নৈতিকতা যেন প্রতিটি মানুষের চলার পাথেয় হয়।’

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন গির্জায় একই ধরনের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। গির্জাগুলো রঙিন আলো ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলার গির্জা, উপাসনালয় ও বড়দিন উদ্‌যাপনস্থলগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় এই যানজটের চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মদনপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের তারাব পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করলেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অনেক যানবাহন একই স্থানে দীর্ঘ সময় আটকে রয়েছে। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে, নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যানজটে আটকে পড়া রহমান রিপন বলেন, ‘মৌচাক থেকে মদনপুর যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। মাত্র ১০ মিনিটের পথ ৩০ মিনিটেও পাড়ি দিতে পারিনি।’

বিএনপির সমর্থক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার নেতাকে একঝলক দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার আশায় কাজ রেখে পূর্বাচলের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু যানজটে আটকে আছি।’

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, মূলত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ধীরে চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত