সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে স্বল্প সময়ে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। সেতু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোকবল নিয়োগ থাকলেও কীভাবে সড়ক ধসে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে সেতুর নির্মাণকাজের মান নিয়েও।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর সৈয়দপুর অংশে সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের মাটি সরে গিয়ে সড়ক ভেঙে গেছে। পাশ দিয়ে ভারী যানবাহন চলার কারণে ভাঙা অংশ ধীরে ধীরে বড় হয়। চালকদের সতর্ক করতে চারদিকে লাল কাপড় দিয়ে রাখা হয়েছে। সড়কের মূল অংশ থেকে অন্তত দুই ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করা হলে এই ভাঙা অংশ আরও বড় হয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
বন্দরের কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল নীরব বলেন, ‘বৃষ্টির পর সড়কের নিচের মাটি ধসে গেছে। এ কারণে রাস্তা ভেঙে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্রিজ উদ্বোধনের আগে কাজে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। ঠিকমতো মাটি বসানো হয়নি। বৃষ্টির পানিতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাবে, এটা হতাশাজনক। তার ওপর এই ব্রিজের বয়স ৩ বছরও হয়নি।’
সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। ঠিকঠাক করা হলে ব্রিজের রাস্তা এভাবে ভাঙে না। চোখের সামনে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু দেখলাম। ওই ব্রিজের রাস্তা এ রকম ভাঙছে কোনো দিন শুনি নাই। এই নতুন ব্রিজের রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ভাঙে কেমনে?
এইটা ঠিক করলেও বেশি দিন টিকবে না। এক দিক দিয়া ঠিক করব, আরেক দিক দিয়া নতুন গর্ত হইব।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর শীতলক্ষ্যা নদীতে নির্মিত এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে একনেকে ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার সৈয়দপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী এই সেতু নির্মাণে সৌদি উন্নয়ন তহবিল (এসএফডি) ৩১২ কোটি টাকা ঋণ এবং বাকি টাকা সরকার জোগান দেওয়ার কথা ছিল। তবে এই প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে এসএফডির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনের কারণে ৭ বছর লেগে যায়। এতে বৃদ্ধি পায় প্রকল্পের ব্যয় ও সেতু নির্মাণের সময়কাল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প বৃদ্ধি পায় ৬০৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটি নামকরণ করে উদ্বোধন করা হয়। গত ৫ আগস্টের পর স্থানীয়রা সেতুর নাম পরিবর্তন করে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নামকরণ করে।
নারায়ণগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আল রাজী লিয়ন বলেন, ‘সেতুর ওপরের অংশে একাধিক স্থানে পানি সরানোর জন্য পাইপ বসানো হলেও সেগুলোর প্রতিটির মুখ স্থানীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে পানি সড়কের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যেত। ফলে ভারী বর্ষণে সড়কটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। দ্রুতই সংস্কারকাজ করা হবে। কাজ শেষে সড়কটি পুরোপুরি চলার উপযোগী হয়ে যাবে।’

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে স্বল্প সময়ে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। সেতু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোকবল নিয়োগ থাকলেও কীভাবে সড়ক ধসে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে সেতুর নির্মাণকাজের মান নিয়েও।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর সৈয়দপুর অংশে সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের মাটি সরে গিয়ে সড়ক ভেঙে গেছে। পাশ দিয়ে ভারী যানবাহন চলার কারণে ভাঙা অংশ ধীরে ধীরে বড় হয়। চালকদের সতর্ক করতে চারদিকে লাল কাপড় দিয়ে রাখা হয়েছে। সড়কের মূল অংশ থেকে অন্তত দুই ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করা হলে এই ভাঙা অংশ আরও বড় হয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
বন্দরের কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল নীরব বলেন, ‘বৃষ্টির পর সড়কের নিচের মাটি ধসে গেছে। এ কারণে রাস্তা ভেঙে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্রিজ উদ্বোধনের আগে কাজে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। ঠিকমতো মাটি বসানো হয়নি। বৃষ্টির পানিতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাবে, এটা হতাশাজনক। তার ওপর এই ব্রিজের বয়স ৩ বছরও হয়নি।’
সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। ঠিকঠাক করা হলে ব্রিজের রাস্তা এভাবে ভাঙে না। চোখের সামনে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু দেখলাম। ওই ব্রিজের রাস্তা এ রকম ভাঙছে কোনো দিন শুনি নাই। এই নতুন ব্রিজের রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ভাঙে কেমনে?
এইটা ঠিক করলেও বেশি দিন টিকবে না। এক দিক দিয়া ঠিক করব, আরেক দিক দিয়া নতুন গর্ত হইব।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর শীতলক্ষ্যা নদীতে নির্মিত এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে একনেকে ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার সৈয়দপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী এই সেতু নির্মাণে সৌদি উন্নয়ন তহবিল (এসএফডি) ৩১২ কোটি টাকা ঋণ এবং বাকি টাকা সরকার জোগান দেওয়ার কথা ছিল। তবে এই প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে এসএফডির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনের কারণে ৭ বছর লেগে যায়। এতে বৃদ্ধি পায় প্রকল্পের ব্যয় ও সেতু নির্মাণের সময়কাল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প বৃদ্ধি পায় ৬০৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটি নামকরণ করে উদ্বোধন করা হয়। গত ৫ আগস্টের পর স্থানীয়রা সেতুর নাম পরিবর্তন করে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নামকরণ করে।
নারায়ণগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আল রাজী লিয়ন বলেন, ‘সেতুর ওপরের অংশে একাধিক স্থানে পানি সরানোর জন্য পাইপ বসানো হলেও সেগুলোর প্রতিটির মুখ স্থানীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে পানি সড়কের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যেত। ফলে ভারী বর্ষণে সড়কটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। দ্রুতই সংস্কারকাজ করা হবে। কাজ শেষে সড়কটি পুরোপুরি চলার উপযোগী হয়ে যাবে।’

মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২৭ মিনিট আগে
মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০
থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০
থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
২২ মে ২০২৫
মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিএনপির বিভক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে চান দলটির নেতারা। তৎপর ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
মাদারীপুর-১
শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামাল জামান মোল্লা। তবে এক অনুষ্ঠানে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে এক দিনের মাথায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে তৎপর দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী, সদস্য নাদিরা আক্তার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা বাশার সিদ্দিকী, নাভিলা চৌধুরী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাদিরা আক্তারের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপিতে বিভক্তি থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় তৎপর জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন মৃধা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আকরাম হোসাইন।
মাদারীপুর-২
গুলশানে গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। তবে এতে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটি খালি রাখা হয়। তবে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়মিত সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তৎপর দেখা গেছে। তাঁরা হলেন বিএনপির সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহানের নাম ঘোষণা করা হয়।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সোবাহান খান। ২৩ বছর জেলা আমিরের দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি দলের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের দপ্তর সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন জাফরী।
মাদারীপুর-৩
সদর উপজেলার একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। আওয়ামী লীগের আমলে দুই দফায় গুমের শিকার হয়েছিলেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কালকিনি পৌর আমির মো. রফিকুল ইসলাম মৃধা। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম আজিজুল হক। তিনজনই সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিএনপির বিভক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে চান দলটির নেতারা। তৎপর ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
মাদারীপুর-১
শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামাল জামান মোল্লা। তবে এক অনুষ্ঠানে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে এক দিনের মাথায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে তৎপর দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী, সদস্য নাদিরা আক্তার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা বাশার সিদ্দিকী, নাভিলা চৌধুরী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাদিরা আক্তারের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপিতে বিভক্তি থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় তৎপর জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন মৃধা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আকরাম হোসাইন।
মাদারীপুর-২
গুলশানে গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। তবে এতে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটি খালি রাখা হয়। তবে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়মিত সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তৎপর দেখা গেছে। তাঁরা হলেন বিএনপির সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহানের নাম ঘোষণা করা হয়।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সোবাহান খান। ২৩ বছর জেলা আমিরের দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি দলের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের দপ্তর সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন জাফরী।
মাদারীপুর-৩
সদর উপজেলার একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। আওয়ামী লীগের আমলে দুই দফায় গুমের শিকার হয়েছিলেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কালকিনি পৌর আমির মো. রফিকুল ইসলাম মৃধা। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম আজিজুল হক। তিনজনই সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
২২ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেআবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট। তার নিচে থাকা সুড়ঙ্গটিতে রাতের আঁধারে গোপনে মাটি খোঁড়া হচ্ছে।
প্রশাসনের তদারকি না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে ঝুঁকি। এতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়। স্থানীয় লোকজনের মুখে প্রচলিত আছে, মন্দিরের পাতাল সুড়ঙ্গে সোনার মূর্তি, কষ্টিপাথরের মূর্তি, স্বর্ণমুদ্রা, সোনার তৈজসসহ বিপুল গুপ্তধন লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, চুন-সুরকি ও পোড়ামাটির তৈরি জোড়া শিবমন্দির দুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খসে পড়া পলেস্তারা, দেয়ালের ফাটল এবং তার ভেতর থেকে জন্মানো বৃক্ষ মন্দিরটিকে আরও নড়বড়ে করে তুলেছে। একটু দূরে ঘন জঙ্গলের ভেতরে পাতাল শিবমন্দিরের সুড়ঙ্গের পাশে দেখা যায় সদ্য খনন করা মাটির স্তূপ। মন্দির কমিটির অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে সেখানে খনন করছে গুপ্তধনের আশায়।
জানা গেছে, উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর-পশ্চিম কোণের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এ দুটি ধ্বংসপ্রায় জোড়া শিবমন্দির বহু পুরোনো। এখানে থাকা কষ্টিপাথরের দুটি মূল্যবান মূর্তি প্রায় ২৫ বছর আগে চুরি হয়ে যায়। তিন বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪০ দিনের কর্মসূচির অর্থায়নে প্রবেশপথ সংস্কার ও জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়। এর পর থেকে শিবরাত্রি ও অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তদের উপস্থিতিও বাড়ে। তবে তার একটু দূরে বন-জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা পাতাল শিবমন্দিরটি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। সম্প্রতি রাতের আঁধারে সেখানকার প্রায় ২০-২৫ ফুট উঁচু ঢিবির ওপর অবস্থিত সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে মাটি অপসারণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভূগর্ভস্থ প্রায় ২৫টি সিঁড়ি পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। দিনদুপুরে মন্দির কমিটির সদস্যরা গিয়ে সেখানে কোদাল, শাবল, ঝুড়ি, বালতি ও ত্রিশূল পড়ে থাকতে দেখেন।
মন্দির কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাঁদের চুপ থাকতে চাপ দিয়েছে। নিরাপত্তার ভয়েই তাঁরা অভিযোগ করতে পারেননি।
মন্দির কমিটির উপদেষ্টা সাধন কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার দাস জানান, লোকমুখে প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী পঞ্চদশ শতাব্দীতে এই এলাকায় প্রায় ৩৬০ ঘরে ব্রাহ্মণ বসবাস করতেন। এখানকার এক সাধু ব্রাহ্মণ কাশী যাত্রার পথে ডাকাতদের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তাঁর কোনো সম্পদ না পেয়ে তাঁকে বন্দী করে। কিছুদিন পর ডাকাত দলের ডেরায় মহামারি দেখা দিলে ওই সাধু লতা-পাতার ওষুধ দিয়ে তাদের সেবা করেন এবং সুস্থ করে তোলেন। পরে ডাকাতেরা সেই পেশা ছেড়ে তাঁর ভক্তে পরিণত হন এবং এলাকায় এসে পাতাল শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ডাকাতেরা তাঁদের সংগৃহীত সম্পদ দেবীর উদ্দেশে অর্পণ করেই সেবায় নিয়োজিত হন। সুড়ঙ্গের ভেতর উঁকি দিলে নিচের দিকে বহু দূর পর্যন্ত চুন-সুরকি দিয়ে বানানো সিঁড়ি দেখা যায়, যেগুলো পরে দুই দিকে ভাগ হয়ে গেছে। লোকমতে, মাটির নিচে বেশ কয়েকটি কক্ষ ছিল, যেখানে শিব ও কালীর আরাধনা করা হতো। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিবমন্দিরটি সংরক্ষণ, অরক্ষিত সুড়ঙ্গ বন্ধ, কুচক্রী মহলের খনন তৎপরতার তদন্ত এবং স্থায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক নিদর্শনটি প্রত্নসম্পদ হিসেবে দ্রুত সংরক্ষণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, বিষয়টি আগে জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, ‘মন্দিরটি খুবই পুরোনো। দুই বছর আগে আমি এটি পরিদর্শন করেছি। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার বিষয়টি জানতাম না। তবে এটি অবশ্যই সংরক্ষণ করা উচিত।’

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট। তার নিচে থাকা সুড়ঙ্গটিতে রাতের আঁধারে গোপনে মাটি খোঁড়া হচ্ছে।
প্রশাসনের তদারকি না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে ঝুঁকি। এতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়। স্থানীয় লোকজনের মুখে প্রচলিত আছে, মন্দিরের পাতাল সুড়ঙ্গে সোনার মূর্তি, কষ্টিপাথরের মূর্তি, স্বর্ণমুদ্রা, সোনার তৈজসসহ বিপুল গুপ্তধন লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, চুন-সুরকি ও পোড়ামাটির তৈরি জোড়া শিবমন্দির দুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খসে পড়া পলেস্তারা, দেয়ালের ফাটল এবং তার ভেতর থেকে জন্মানো বৃক্ষ মন্দিরটিকে আরও নড়বড়ে করে তুলেছে। একটু দূরে ঘন জঙ্গলের ভেতরে পাতাল শিবমন্দিরের সুড়ঙ্গের পাশে দেখা যায় সদ্য খনন করা মাটির স্তূপ। মন্দির কমিটির অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে সেখানে খনন করছে গুপ্তধনের আশায়।
জানা গেছে, উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর-পশ্চিম কোণের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এ দুটি ধ্বংসপ্রায় জোড়া শিবমন্দির বহু পুরোনো। এখানে থাকা কষ্টিপাথরের দুটি মূল্যবান মূর্তি প্রায় ২৫ বছর আগে চুরি হয়ে যায়। তিন বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪০ দিনের কর্মসূচির অর্থায়নে প্রবেশপথ সংস্কার ও জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়। এর পর থেকে শিবরাত্রি ও অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তদের উপস্থিতিও বাড়ে। তবে তার একটু দূরে বন-জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা পাতাল শিবমন্দিরটি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। সম্প্রতি রাতের আঁধারে সেখানকার প্রায় ২০-২৫ ফুট উঁচু ঢিবির ওপর অবস্থিত সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে মাটি অপসারণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভূগর্ভস্থ প্রায় ২৫টি সিঁড়ি পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। দিনদুপুরে মন্দির কমিটির সদস্যরা গিয়ে সেখানে কোদাল, শাবল, ঝুড়ি, বালতি ও ত্রিশূল পড়ে থাকতে দেখেন।
মন্দির কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাঁদের চুপ থাকতে চাপ দিয়েছে। নিরাপত্তার ভয়েই তাঁরা অভিযোগ করতে পারেননি।
মন্দির কমিটির উপদেষ্টা সাধন কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার দাস জানান, লোকমুখে প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী পঞ্চদশ শতাব্দীতে এই এলাকায় প্রায় ৩৬০ ঘরে ব্রাহ্মণ বসবাস করতেন। এখানকার এক সাধু ব্রাহ্মণ কাশী যাত্রার পথে ডাকাতদের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তাঁর কোনো সম্পদ না পেয়ে তাঁকে বন্দী করে। কিছুদিন পর ডাকাত দলের ডেরায় মহামারি দেখা দিলে ওই সাধু লতা-পাতার ওষুধ দিয়ে তাদের সেবা করেন এবং সুস্থ করে তোলেন। পরে ডাকাতেরা সেই পেশা ছেড়ে তাঁর ভক্তে পরিণত হন এবং এলাকায় এসে পাতাল শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ডাকাতেরা তাঁদের সংগৃহীত সম্পদ দেবীর উদ্দেশে অর্পণ করেই সেবায় নিয়োজিত হন। সুড়ঙ্গের ভেতর উঁকি দিলে নিচের দিকে বহু দূর পর্যন্ত চুন-সুরকি দিয়ে বানানো সিঁড়ি দেখা যায়, যেগুলো পরে দুই দিকে ভাগ হয়ে গেছে। লোকমতে, মাটির নিচে বেশ কয়েকটি কক্ষ ছিল, যেখানে শিব ও কালীর আরাধনা করা হতো। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিবমন্দিরটি সংরক্ষণ, অরক্ষিত সুড়ঙ্গ বন্ধ, কুচক্রী মহলের খনন তৎপরতার তদন্ত এবং স্থায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক নিদর্শনটি প্রত্নসম্পদ হিসেবে দ্রুত সংরক্ষণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, বিষয়টি আগে জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, ‘মন্দিরটি খুবই পুরোনো। দুই বছর আগে আমি এটি পরিদর্শন করেছি। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার বিষয়টি জানতাম না। তবে এটি অবশ্যই সংরক্ষণ করা উচিত।’

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
২২ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২৭ মিনিট আগে
মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন।
২৭ মিনিট আগে
দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে মনোনয়ন না-পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার ও তাঁর সমর্থকেরা হতাশ হয়েছেন। তবে তাঁরা কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থক রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা বলেন, ‘গিয়াস কাদের চৌধুরী দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা। অনেক নির্যাতন-নিপীড়নের পরও তিনি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে মাঠে ছিলেন। দল তাঁকে মূল্যায়ন করায় আমরা খুশি।’
এদিকে প্রথম দফায় বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণায় বাদ পড়া দলের আরেক নেতা ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু সুফিয়ানও নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরেছেন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে নগর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিএনপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নবীন মুখ নাজমুল মোস্তফা আমিনকে বেছে নিয়েছে দলটি। চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশায় আস্থা রেখেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে ৩৬টি নির্বাচনী আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়; যেখানে চট্টগ্রামেরও চারটি আসন রয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। চট্টগ্রামের মোট ১৬ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরে আবু সুফিয়ানের নাম প্রত্যাহার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাহার হওয়া ওই আসনসহ চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। এরপরও আরও দুটি আসনের নেতা-কর্মীদের তাঁদের প্রার্থীর নাম জানতে অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়ল। আসন দুটি হলো চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)।
ঘোষিত চার আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে প্রার্থী করা হয়েছে। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দক্ষিণ জেলার আহ্বায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের আরেক আলোচিত আসন রাউজানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দুই হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাউজানে ফেরেন। তবে এলাকায় ফিরে নেতা-কর্মীরা গোলাম আকবর ও গিয়াস কাদের–এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘাতে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয় রাউজান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে রাউজানে অন্তত ১৭ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনই খুন হয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে।
থানা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই রাউজানে প্রয়াত নেতা সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। এ ঘটনার পর গিয়াস কাদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ হারান গত ৩০ জুলাই। একই সময় গোলাম আকবরের নেতৃত্বাধীন উত্তর জেলার আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।
রাউজানের পাশের আসন রাঙ্গুনিয়ায় মনোনয়ন পেয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাতিজা, প্রয়াত সালাহউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। এদিকে সন্দ্বীপ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তফা কামাল পাশা। যিনি আগেও দুই দফায় সেখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে মনোনয়ন পাওয়া নাজমুল মোস্তফা আমিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। তিনি নবাগত প্রার্থী। ওই আসনে তাঁকে জামায়াতে ইসলামীর হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে নির্বাচনের মাঠে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রথম দফায় চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং- হালিশহর) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘দলের কঠিন সময়ে মাঠে ছিলাম। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আমার কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করেছে।’

দলীয় অন্তঃকোন্দলে ‘রক্তাক্ত জনপদে’ পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এই আসনে প্রার্থী করায় দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে মনোনয়ন না-পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার ও তাঁর সমর্থকেরা হতাশ হয়েছেন। তবে তাঁরা কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থক রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা বলেন, ‘গিয়াস কাদের চৌধুরী দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা। অনেক নির্যাতন-নিপীড়নের পরও তিনি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে মাঠে ছিলেন। দল তাঁকে মূল্যায়ন করায় আমরা খুশি।’
এদিকে প্রথম দফায় বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণায় বাদ পড়া দলের আরেক নেতা ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু সুফিয়ানও নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরেছেন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে নগর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিএনপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নবীন মুখ নাজমুল মোস্তফা আমিনকে বেছে নিয়েছে দলটি। চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশায় আস্থা রেখেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে ৩৬টি নির্বাচনী আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়; যেখানে চট্টগ্রামেরও চারটি আসন রয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। চট্টগ্রামের মোট ১৬ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরে আবু সুফিয়ানের নাম প্রত্যাহার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাহার হওয়া ওই আসনসহ চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। এরপরও আরও দুটি আসনের নেতা-কর্মীদের তাঁদের প্রার্থীর নাম জানতে অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়ল। আসন দুটি হলো চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)।
ঘোষিত চার আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে প্রার্থী করা হয়েছে। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দক্ষিণ জেলার আহ্বায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের আরেক আলোচিত আসন রাউজানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দুই হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাউজানে ফেরেন। তবে এলাকায় ফিরে নেতা-কর্মীরা গোলাম আকবর ও গিয়াস কাদের–এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘাতে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয় রাউজান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে রাউজানে অন্তত ১৭ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনই খুন হয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে।
থানা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই রাউজানে প্রয়াত নেতা সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। এ ঘটনার পর গিয়াস কাদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ হারান গত ৩০ জুলাই। একই সময় গোলাম আকবরের নেতৃত্বাধীন উত্তর জেলার আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।
রাউজানের পাশের আসন রাঙ্গুনিয়ায় মনোনয়ন পেয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাতিজা, প্রয়াত সালাহউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। এদিকে সন্দ্বীপ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তফা কামাল পাশা। যিনি আগেও দুই দফায় সেখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে মনোনয়ন পাওয়া নাজমুল মোস্তফা আমিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। তিনি নবাগত প্রার্থী। ওই আসনে তাঁকে জামায়াতে ইসলামীর হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে নির্বাচনের মাঠে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রথম দফায় চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং- হালিশহর) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘দলের কঠিন সময়ে মাঠে ছিলাম। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আমার কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করেছে।’

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
২২ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২৭ মিনিট আগে
মাদারীপুরের তিন আসনের মধ্যে দুটিতেই প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে বিএনপিকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত ৯ জন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতাল জোড়া শিবমন্দিরের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধভাবে গোপনে খননের অভিযোগ উঠেছে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় স্থাপনার শুধু সামান্য ধ্বংসাবশেষই এখন অবশিষ্ট।
১ ঘণ্টা আগে