মোস্তাকিম ফারুকী

নবাবপুর (ঢাকা): ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা অনেকেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটিশ আমল থেকেই রাজধানীর নবাবপুর এলাকা পরিচিত। তবে স্বাধীনতার পর থেকে নবাবপুর পরিচিতি পায় বৈদ্যুতিক পণ্যের পাইকারি বাজার হিসেবে। আজিজ ইলেকট্রিক মার্কেটের মাধ্যমে এর শুরু। এখন সেখানে অজস্র ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান। মার্কেটও আছে আগণিত। আর এসবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। প্রতিদিন অসংখ্য দিনমজুর এখানে ভিড় করেন কাজের আশায়। নবাবপুর তাদের হতাশ করে না। কাজ যেমন জোটে, তেমনি হয় আয়ও। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার কারণে থমকে গিয়েছে সবকিছু। মার্কেট দোকানপাট বন্ধ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এই খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে নবাবপুরে শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল মার্কেট রয়েছে। সড়কের দুপাশের প্রতিটি ভবনই একেকটি আলাদা মার্কেট। অধিকাংশই ইলেকট্রিক পণ্যের। এর পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ও মেশিনারিজ পণ্যের মার্কেটও রয়েছে। বৈদ্যুতিক সুইচ-সকেট থেকে শুরু করে পাম্প, জেনারেটর সবই পাওয়া যায় এসব মার্কেটে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি এই বাজারে মিলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য। নবাবপুরকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক শ বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরির কারখানা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপণন ও উৎপাদন মিলে হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে নবাবপুরে। এসব ঘিরে দৈনিক কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য `আলাদীনের প্রদীপ'–এর মতো রাজধানীর পুরান ঢাকার এই নবাবপুর। দিনমজুরের কাজগুলো যদিও খুব কষ্টের, তাও তো মিলছে কাজ, হচ্ছে আয়।
আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক এসে হাজির হয় নবাবপুরে, গাড়ি থেকে পণ্য নামানোর জন্য তখনই কাজের হিড়িক পড়ে দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে। সেই কাজের স্বপ্ন নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিনমজুর শ্রমিকেরা জমায়েত হন নবাবপুর রোডে। বেশ কয়েকদিন কাজ করে, টাকা জমিয়ে বাড়িতে বউ–বাচ্চাদের জন্য তাঁরা নিয়ে যান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পূরণ করেন তাদের চাহিদা। এমন স্বপ্ন নিয়েই ময়মনসিংহ থেকে নবাবপুর এসেছিলেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে টিপুসুলতান রোড, ননবাবপুর রোড পরিদর্শন করে দেখা যায়, এমন শতাধিক ময়দর আলী রাস্তায় বসে আছেন। তাঁদের না আছে কাজ, না পাচ্ছেন খাবার। একরকম অনাহারেই তাঁদের দিন কাটছে। আবার কাজ করা দুটি হাত পাততেও পারছেন না তাঁরা। নবাবপুরের বন্ধ মার্কেটগুলোর তালাবদ্ধ দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কোনো উপায় খুঁজে পান না। নিজের ক্ষুধার মধ্যেই তাঁদের মন প্রতিনিয়ত হাহাকার করে বাড়িতে রেখে আসা পরিবারের সদস্যদের জন্য।
নবাবপুর টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, আগে তাঁরা নিয়মিত ট্রাক থেকে মাল নাোতেন। ঠেলা গাড়ি দিয়ে পণ্য গোডাউনে পৌঁছে দিতেন। এখন তাঁদের সেই কাজ বন্ধ। ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা এখন রাস্তায়।
বাড়িতে যাচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শরীফ মিয়া নামের এক শ্রমিক আজকের পত্রিকা বলেন, `বাড়িতে যাওয়ার গাড়ি পাব কোথায়? আর ভেঙে ভেঙে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দিতে হচ্ছে তিনগুণ, চারগুণ টাকা।'
আক্তার মিয়া নামের আরেক শ্রমিক বলেন, `বাড়িতে গিয়ে মরব নাকি! গতবারের লকডাউনে যে ধারদেনা (ঋণ) করেছি, তা–ই তো পরিশোধ করতে পারিনি। তা ছাড়া চোখের সামনে বউ–বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। কীভাবে সহ্য করব।'
লকডাউন এখন এই শ্রমিকদের কাছে অভিশাপ। আশ্রয় বলতে মার্কেটগুলোর সামনের খালি জায়গা। খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবেই প্রায় দশ–বারো দিন ধরে চলছে পুরান ঢাকার নবাবপুরে শতাধিক দিনমজুরের জীবন। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকারিভাবে, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ইফতার ও খাবার পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা দিন দু–একের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এখন তাঁদের আশা ঈদের আগে আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুললে আবার কাজ পাবেন, আয় করবেন। সেই আয় থেকে ঈদের আনন্দ না হোক, পরিবারকে খেয়ে–পরে বাঁচার মতো টাকা পাঠাতে পারবেন।

নবাবপুর (ঢাকা): ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা অনেকেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটিশ আমল থেকেই রাজধানীর নবাবপুর এলাকা পরিচিত। তবে স্বাধীনতার পর থেকে নবাবপুর পরিচিতি পায় বৈদ্যুতিক পণ্যের পাইকারি বাজার হিসেবে। আজিজ ইলেকট্রিক মার্কেটের মাধ্যমে এর শুরু। এখন সেখানে অজস্র ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান। মার্কেটও আছে আগণিত। আর এসবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। প্রতিদিন অসংখ্য দিনমজুর এখানে ভিড় করেন কাজের আশায়। নবাবপুর তাদের হতাশ করে না। কাজ যেমন জোটে, তেমনি হয় আয়ও। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার কারণে থমকে গিয়েছে সবকিছু। মার্কেট দোকানপাট বন্ধ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এই খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে নবাবপুরে শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল মার্কেট রয়েছে। সড়কের দুপাশের প্রতিটি ভবনই একেকটি আলাদা মার্কেট। অধিকাংশই ইলেকট্রিক পণ্যের। এর পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ও মেশিনারিজ পণ্যের মার্কেটও রয়েছে। বৈদ্যুতিক সুইচ-সকেট থেকে শুরু করে পাম্প, জেনারেটর সবই পাওয়া যায় এসব মার্কেটে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি এই বাজারে মিলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য। নবাবপুরকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক শ বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরির কারখানা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপণন ও উৎপাদন মিলে হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে নবাবপুরে। এসব ঘিরে দৈনিক কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য `আলাদীনের প্রদীপ'–এর মতো রাজধানীর পুরান ঢাকার এই নবাবপুর। দিনমজুরের কাজগুলো যদিও খুব কষ্টের, তাও তো মিলছে কাজ, হচ্ছে আয়।
আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক এসে হাজির হয় নবাবপুরে, গাড়ি থেকে পণ্য নামানোর জন্য তখনই কাজের হিড়িক পড়ে দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে। সেই কাজের স্বপ্ন নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিনমজুর শ্রমিকেরা জমায়েত হন নবাবপুর রোডে। বেশ কয়েকদিন কাজ করে, টাকা জমিয়ে বাড়িতে বউ–বাচ্চাদের জন্য তাঁরা নিয়ে যান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পূরণ করেন তাদের চাহিদা। এমন স্বপ্ন নিয়েই ময়মনসিংহ থেকে নবাবপুর এসেছিলেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে টিপুসুলতান রোড, ননবাবপুর রোড পরিদর্শন করে দেখা যায়, এমন শতাধিক ময়দর আলী রাস্তায় বসে আছেন। তাঁদের না আছে কাজ, না পাচ্ছেন খাবার। একরকম অনাহারেই তাঁদের দিন কাটছে। আবার কাজ করা দুটি হাত পাততেও পারছেন না তাঁরা। নবাবপুরের বন্ধ মার্কেটগুলোর তালাবদ্ধ দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কোনো উপায় খুঁজে পান না। নিজের ক্ষুধার মধ্যেই তাঁদের মন প্রতিনিয়ত হাহাকার করে বাড়িতে রেখে আসা পরিবারের সদস্যদের জন্য।
নবাবপুর টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, আগে তাঁরা নিয়মিত ট্রাক থেকে মাল নাোতেন। ঠেলা গাড়ি দিয়ে পণ্য গোডাউনে পৌঁছে দিতেন। এখন তাঁদের সেই কাজ বন্ধ। ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা এখন রাস্তায়।
বাড়িতে যাচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শরীফ মিয়া নামের এক শ্রমিক আজকের পত্রিকা বলেন, `বাড়িতে যাওয়ার গাড়ি পাব কোথায়? আর ভেঙে ভেঙে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দিতে হচ্ছে তিনগুণ, চারগুণ টাকা।'
আক্তার মিয়া নামের আরেক শ্রমিক বলেন, `বাড়িতে গিয়ে মরব নাকি! গতবারের লকডাউনে যে ধারদেনা (ঋণ) করেছি, তা–ই তো পরিশোধ করতে পারিনি। তা ছাড়া চোখের সামনে বউ–বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। কীভাবে সহ্য করব।'
লকডাউন এখন এই শ্রমিকদের কাছে অভিশাপ। আশ্রয় বলতে মার্কেটগুলোর সামনের খালি জায়গা। খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবেই প্রায় দশ–বারো দিন ধরে চলছে পুরান ঢাকার নবাবপুরে শতাধিক দিনমজুরের জীবন। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকারিভাবে, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ইফতার ও খাবার পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা দিন দু–একের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এখন তাঁদের আশা ঈদের আগে আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুললে আবার কাজ পাবেন, আয় করবেন। সেই আয় থেকে ঈদের আনন্দ না হোক, পরিবারকে খেয়ে–পরে বাঁচার মতো টাকা পাঠাতে পারবেন।
মোস্তাকিম ফারুকী

নবাবপুর (ঢাকা): ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা অনেকেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটিশ আমল থেকেই রাজধানীর নবাবপুর এলাকা পরিচিত। তবে স্বাধীনতার পর থেকে নবাবপুর পরিচিতি পায় বৈদ্যুতিক পণ্যের পাইকারি বাজার হিসেবে। আজিজ ইলেকট্রিক মার্কেটের মাধ্যমে এর শুরু। এখন সেখানে অজস্র ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান। মার্কেটও আছে আগণিত। আর এসবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। প্রতিদিন অসংখ্য দিনমজুর এখানে ভিড় করেন কাজের আশায়। নবাবপুর তাদের হতাশ করে না। কাজ যেমন জোটে, তেমনি হয় আয়ও। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার কারণে থমকে গিয়েছে সবকিছু। মার্কেট দোকানপাট বন্ধ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এই খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে নবাবপুরে শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল মার্কেট রয়েছে। সড়কের দুপাশের প্রতিটি ভবনই একেকটি আলাদা মার্কেট। অধিকাংশই ইলেকট্রিক পণ্যের। এর পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ও মেশিনারিজ পণ্যের মার্কেটও রয়েছে। বৈদ্যুতিক সুইচ-সকেট থেকে শুরু করে পাম্প, জেনারেটর সবই পাওয়া যায় এসব মার্কেটে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি এই বাজারে মিলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য। নবাবপুরকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক শ বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরির কারখানা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপণন ও উৎপাদন মিলে হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে নবাবপুরে। এসব ঘিরে দৈনিক কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য `আলাদীনের প্রদীপ'–এর মতো রাজধানীর পুরান ঢাকার এই নবাবপুর। দিনমজুরের কাজগুলো যদিও খুব কষ্টের, তাও তো মিলছে কাজ, হচ্ছে আয়।
আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক এসে হাজির হয় নবাবপুরে, গাড়ি থেকে পণ্য নামানোর জন্য তখনই কাজের হিড়িক পড়ে দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে। সেই কাজের স্বপ্ন নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিনমজুর শ্রমিকেরা জমায়েত হন নবাবপুর রোডে। বেশ কয়েকদিন কাজ করে, টাকা জমিয়ে বাড়িতে বউ–বাচ্চাদের জন্য তাঁরা নিয়ে যান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পূরণ করেন তাদের চাহিদা। এমন স্বপ্ন নিয়েই ময়মনসিংহ থেকে নবাবপুর এসেছিলেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে টিপুসুলতান রোড, ননবাবপুর রোড পরিদর্শন করে দেখা যায়, এমন শতাধিক ময়দর আলী রাস্তায় বসে আছেন। তাঁদের না আছে কাজ, না পাচ্ছেন খাবার। একরকম অনাহারেই তাঁদের দিন কাটছে। আবার কাজ করা দুটি হাত পাততেও পারছেন না তাঁরা। নবাবপুরের বন্ধ মার্কেটগুলোর তালাবদ্ধ দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কোনো উপায় খুঁজে পান না। নিজের ক্ষুধার মধ্যেই তাঁদের মন প্রতিনিয়ত হাহাকার করে বাড়িতে রেখে আসা পরিবারের সদস্যদের জন্য।
নবাবপুর টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, আগে তাঁরা নিয়মিত ট্রাক থেকে মাল নাোতেন। ঠেলা গাড়ি দিয়ে পণ্য গোডাউনে পৌঁছে দিতেন। এখন তাঁদের সেই কাজ বন্ধ। ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা এখন রাস্তায়।
বাড়িতে যাচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শরীফ মিয়া নামের এক শ্রমিক আজকের পত্রিকা বলেন, `বাড়িতে যাওয়ার গাড়ি পাব কোথায়? আর ভেঙে ভেঙে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দিতে হচ্ছে তিনগুণ, চারগুণ টাকা।'
আক্তার মিয়া নামের আরেক শ্রমিক বলেন, `বাড়িতে গিয়ে মরব নাকি! গতবারের লকডাউনে যে ধারদেনা (ঋণ) করেছি, তা–ই তো পরিশোধ করতে পারিনি। তা ছাড়া চোখের সামনে বউ–বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। কীভাবে সহ্য করব।'
লকডাউন এখন এই শ্রমিকদের কাছে অভিশাপ। আশ্রয় বলতে মার্কেটগুলোর সামনের খালি জায়গা। খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবেই প্রায় দশ–বারো দিন ধরে চলছে পুরান ঢাকার নবাবপুরে শতাধিক দিনমজুরের জীবন। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকারিভাবে, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ইফতার ও খাবার পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা দিন দু–একের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এখন তাঁদের আশা ঈদের আগে আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুললে আবার কাজ পাবেন, আয় করবেন। সেই আয় থেকে ঈদের আনন্দ না হোক, পরিবারকে খেয়ে–পরে বাঁচার মতো টাকা পাঠাতে পারবেন।

নবাবপুর (ঢাকা): ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা অনেকেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটিশ আমল থেকেই রাজধানীর নবাবপুর এলাকা পরিচিত। তবে স্বাধীনতার পর থেকে নবাবপুর পরিচিতি পায় বৈদ্যুতিক পণ্যের পাইকারি বাজার হিসেবে। আজিজ ইলেকট্রিক মার্কেটের মাধ্যমে এর শুরু। এখন সেখানে অজস্র ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান। মার্কেটও আছে আগণিত। আর এসবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। প্রতিদিন অসংখ্য দিনমজুর এখানে ভিড় করেন কাজের আশায়। নবাবপুর তাদের হতাশ করে না। কাজ যেমন জোটে, তেমনি হয় আয়ও। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার কারণে থমকে গিয়েছে সবকিছু। মার্কেট দোকানপাট বন্ধ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এই খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে নবাবপুরে শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল মার্কেট রয়েছে। সড়কের দুপাশের প্রতিটি ভবনই একেকটি আলাদা মার্কেট। অধিকাংশই ইলেকট্রিক পণ্যের। এর পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ও মেশিনারিজ পণ্যের মার্কেটও রয়েছে। বৈদ্যুতিক সুইচ-সকেট থেকে শুরু করে পাম্প, জেনারেটর সবই পাওয়া যায় এসব মার্কেটে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি এই বাজারে মিলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য। নবাবপুরকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক শ বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরির কারখানা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপণন ও উৎপাদন মিলে হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে নবাবপুরে। এসব ঘিরে দৈনিক কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য `আলাদীনের প্রদীপ'–এর মতো রাজধানীর পুরান ঢাকার এই নবাবপুর। দিনমজুরের কাজগুলো যদিও খুব কষ্টের, তাও তো মিলছে কাজ, হচ্ছে আয়।
আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক এসে হাজির হয় নবাবপুরে, গাড়ি থেকে পণ্য নামানোর জন্য তখনই কাজের হিড়িক পড়ে দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে। সেই কাজের স্বপ্ন নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিনমজুর শ্রমিকেরা জমায়েত হন নবাবপুর রোডে। বেশ কয়েকদিন কাজ করে, টাকা জমিয়ে বাড়িতে বউ–বাচ্চাদের জন্য তাঁরা নিয়ে যান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পূরণ করেন তাদের চাহিদা। এমন স্বপ্ন নিয়েই ময়মনসিংহ থেকে নবাবপুর এসেছিলেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে টিপুসুলতান রোড, ননবাবপুর রোড পরিদর্শন করে দেখা যায়, এমন শতাধিক ময়দর আলী রাস্তায় বসে আছেন। তাঁদের না আছে কাজ, না পাচ্ছেন খাবার। একরকম অনাহারেই তাঁদের দিন কাটছে। আবার কাজ করা দুটি হাত পাততেও পারছেন না তাঁরা। নবাবপুরের বন্ধ মার্কেটগুলোর তালাবদ্ধ দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কোনো উপায় খুঁজে পান না। নিজের ক্ষুধার মধ্যেই তাঁদের মন প্রতিনিয়ত হাহাকার করে বাড়িতে রেখে আসা পরিবারের সদস্যদের জন্য।
নবাবপুর টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত কিছু শ্রমিকের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, আগে তাঁরা নিয়মিত ট্রাক থেকে মাল নাোতেন। ঠেলা গাড়ি দিয়ে পণ্য গোডাউনে পৌঁছে দিতেন। এখন তাঁদের সেই কাজ বন্ধ। ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা এখন রাস্তায়।
বাড়িতে যাচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শরীফ মিয়া নামের এক শ্রমিক আজকের পত্রিকা বলেন, `বাড়িতে যাওয়ার গাড়ি পাব কোথায়? আর ভেঙে ভেঙে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দিতে হচ্ছে তিনগুণ, চারগুণ টাকা।'
আক্তার মিয়া নামের আরেক শ্রমিক বলেন, `বাড়িতে গিয়ে মরব নাকি! গতবারের লকডাউনে যে ধারদেনা (ঋণ) করেছি, তা–ই তো পরিশোধ করতে পারিনি। তা ছাড়া চোখের সামনে বউ–বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। কীভাবে সহ্য করব।'
লকডাউন এখন এই শ্রমিকদের কাছে অভিশাপ। আশ্রয় বলতে মার্কেটগুলোর সামনের খালি জায়গা। খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবেই প্রায় দশ–বারো দিন ধরে চলছে পুরান ঢাকার নবাবপুরে শতাধিক দিনমজুরের জীবন। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকারিভাবে, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ইফতার ও খাবার পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা দিন দু–একের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এখন তাঁদের আশা ঈদের আগে আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুললে আবার কাজ পাবেন, আয় করবেন। সেই আয় থেকে ঈদের আনন্দ না হোক, পরিবারকে খেয়ে–পরে বাঁচার মতো টাকা পাঠাতে পারবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা
২৪ এপ্রিল ২০২১
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা
২৪ এপ্রিল ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা
২৪ এপ্রিল ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

ময়মনসিংহের ময়দর আলী ঢাকার নবাবপুরে এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। স্বপ্ন ছিল ঢাকা থেকে রমজান মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাবেন বাড়িতে। সে টাকায় ছেলেমেয়ে, স্ত্রীর কষ্ট লাঘব হবে। ঈদের সময় বাড়িতে নিয়ে যাবেন নতুন জামাকাপড়। সেই স্বপ্ন এখন শুধুই কষ্টকল্পনা। শুধু ময়দর আলী নন, করোনার কারণে আয়–রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা
২৪ এপ্রিল ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে