ব্যবসায়ী সাব্বির হত্যা মামলা: জাকির খানসহ সব আসামি খালাস

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সব আসামি খালাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান, তাঁর ভাই জিকু খান ও মামুন খান, নাজির আহমেদ ওরফে নাজিরসহ আটজন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জাকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাব্বির হত্যা মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত জাকির খানসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজীব মণ্ডল বলেন, ‘জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩০টি মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছেন। আশা করি, দ্রুতই তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

মামলার বাদী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘সাব্বির আলম ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে লড়তে গিয়ে নিজের জীবন দেন। অথচ এখন বিকেএমইএর যাঁরা শীর্ষ নেতা রয়েছেন, তাঁরাই এখন এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝুটের ব্যবসা করছেন। দেশের বর্তমান বিচার বিভাগ কেমন, তা সবারই জানা। আমাদের দেশের সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিক বিবেচনায় চলে।’

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সব আসামি খালাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সব আসামি খালাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি এর আগে একাধিকবার বলেছিলাম, সাব্বির হত্যার বিচার না হলে বাংলাদেশে আর কেউ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। আজ যে রায় দেওয়া হলো, আগামীতে মানুষ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাবে না।’   

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও নিহতের বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। মামলার পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়।

২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মসিহউদ্দিন আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে জাকির খান, তাঁর দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ আটজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত