Ajker Patrika

হাজারীবাগ: ট্যানারি উঠে গেলেও দুর্গন্ধ–দূষণ থেকে মুক্তি মেলেনি

  • রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর ট্যানারি বর্জ্যে অতিষ্ঠ জনজীবন
  • হাজারীবাগ খাল হয়ে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে মিশছে এসব বর্জ্য
  • ২৫০টি কারখানার মধ্যে হেমায়েতপুরে ১৬২টিকে প্লট দেওয়া হয়েছে
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীর হাজারীবাগের গজমহল এলাকার বালুর মাঠে গরু-ছাগলের চামড়া শুকানোর কাজে ব্যস্ত কয়েকজন (বাঁয়ে)। হাজারীবাগে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ট্যানারি থেকে নিঃসৃত বর্জ্য হাজারীবাগ খালে মিশছে। এতে খালের পানি কুচকুচে কালো রং ধারণ করেছে। ছবি দুটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা
রাজধানীর হাজারীবাগের গজমহল এলাকার বালুর মাঠে গরু-ছাগলের চামড়া শুকানোর কাজে ব্যস্ত কয়েকজন (বাঁয়ে)। হাজারীবাগে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ট্যানারি থেকে নিঃসৃত বর্জ্য হাজারীবাগ খালে মিশছে। এতে খালের পানি কুচকুচে কালো রং ধারণ করেছে। ছবি দুটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।

তবে ট্যানারিসংশ্লিষ্টদের দাবি, কাঁচা চামড়ার সব কাজ হেমায়েতপুরে হয়, বাকি ফিনিশিং হয় হাজারীবাগে। ফলে দূষণ হয় খুবই সামান্য।

৫ নভেম্বর হাজারীবাগের গজমহল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে চামড়াসংশ্লিষ্ট কয়েক শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই এলাকার বালুর মাঠ নামক স্থানে শুকানো হচ্ছে গরু ও ছাগলের চামড়া। কিছু চামড়ায় রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। ‘জিয়া লেদার্স’ নামের পাশের একটি কারখানায় ঘূর্ণমান একটি বড় ড্রামে কেমিক্যালের পানিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছিল। সেই ড্রাম ছুঁয়ে কালো পানি পড়ছে ড্রেনে।

তবে কথা হলে জিয়া লেদার্সের প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ বলেন, ‘এখানে শুকনো কাম, ভেজা কাম হয় না।’ ড্রামের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ড্রামে চামড়া নরম করে পরে রোদে শুকাই।’

বালুর মাঠে গরুর শুকনো চামড়ায় রং লাগাচ্ছিলেন ট্যানারিশ্রমিক মোহাম্মদ সাইদ। তিনি বলেন, ‘চামড়ার মূল প্রসেসিং হেমায়েতপুরে হয়। এখানে শুধু ফিনিশিং করে। কাজ শেষে বংশাল-সিদ্দিকবাজারে বিক্রি হয়।’

৩০ বছর ধরে চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হাজারীবাগে এখন শুকনো চামড়ার কাজ হয়। তবে জরুরি দরকার হলে কিছু ট্যানারি হালকা (কাঁচা চামড়া) কাজ করে। এতে সামান্য বর্জ্য হতে পারে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্জ্য হাজারীবাগ খাল হয়ে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধসংলগ্ন স্লুইসগেট দিয়ে বুড়িগঙ্গায় পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজারীবাগে চামড়াশিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। সেখানে ২৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে ২৫০ থেকে ২৬০টি ছোট-বড় ট্যানারি গড়ে উঠেছিল। এসব কারখানার বড় অংশ গড়ে ওঠে অপরিকল্পিতভাবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারখানাগুলোতে বিজ্ঞানসম্মত কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ভয়াবহ পরিবেশদূষণের কবলে পড়ে হাজারীবাগ এলাকাসহ পাশের বুড়িগঙ্গা নদী। পরে ২০০১ সালে দেওয়া আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে ১৯৯ একর জমির ওপর চামড়া শিল্পনগর প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল হাজারীবাগের ট্যানারিপল্লিকে হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়।

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সদস্যসচিব শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানোর পরিকল্পনার প্রায় ১৪ বছর পর স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৫০টি ট্যানারির মধ্যে হেমায়েতপুরে ১৬২টিকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব ট্যানারির জায়গা সেখানে হয়নি। ফলে হাজারীবাগে ট্যানারিসংশ্লিষ্ট অনেক কার্যক্রম এখনো হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। শরীফ জামিল আরও বলেন, পরিবেশদূষণ বন্ধ করতে ট্যানারি নিয়ে রোডম্যাপ করতে হবে। সমন্বিতভাবে চামড়াজাত সব শিল্পকে একটি জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে।

হাজারীবাগ এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মানিকের। তিনি জানান, যখন সব ট্যানারি ছিল, তখন দুর্গন্ধে ওই এলাকায় যাওয়া যেত না। এখনো ওই এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধ রয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘হাজারীবাগে এখন কাঁচা চামড়ার কোনো কার্যক্রম নেই। চামড়াজাত শিল্পের কিছু কারখানা রয়েছে।’ কেমিক্যাল দিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেন।

হাজারীবাগের ট্যানারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় পড়েছে। জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্যানারি এলাকার বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব শিল্প মন্ত্রণালয়ের। আমরা শুধু কোরবানির সময় চামড়ার বর্জ্য অপসারণ করি। হাজারীবাগে শুকনো চামড়ার কাজ হয়, তা জানা ছিল না। এমন হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের চেষ্টা: ব্যর্থ হয়ে ১৪ জনকে ফেরত নিল বিএসএফ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত