আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

পদ্মা সেতু চালুর পর সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই নৌঘাট এখন রীতিমতো পরিত্যক্ত। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটকেন্দ্রিক শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অসংখ্য দোকানপাট মুখ থুবড়ে পড়েছে। কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চালু হলে ঘাট কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। একসময় এই ঘাটে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করত। সেই যাত্রাপথেই গড়ে উঠেছিল হোটেল, কনফেকশনারি, চায়ের দোকান, ফলের দোকান, মুদি দোকানসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময়ের জমজমাট এই ঘাট এখন প্রায় নিস্তব্ধ। নেই লঞ্চের হর্ন, স্পিডবোটের গর্জন কিংবা যাত্রীদের হাঁকডাক। ঘাটসংলগ্ন যে স্থানে একসময় মানুষ গিজগিজ করত, সেখানে এখন খোলা জায়গায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন কিছু দোকানি ও হোটেল কর্মচারী। চারপাশে যেন বিষণ্নতা ছড়িয়ে আছে।
লঞ্চঘাটের প্রবেশপথে আগে যেখানে সারি সারি হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইলিশ ভাজা, ভর্তা ও ভাতের ঘ্রাণে ম ম করত পরিবেশ, আজ সেখানে কেবল জনশূন্যতা। অন্তত ১৫-২০টি হোটেল ফাঁকা। বেশির ভাগ হোটেলের টেবিল-চেয়ারে ধুলো পড়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা গেল কিছু কর্মচারী নিঃশব্দে বসে আছেন, কেউ আবার জানালার পাশে চেয়ে আছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
মায়ের দোয়া হোটেলের পুরোনো কর্মচারী রাসেল মিয়া। বয়স ৩৫। গত আট বছর ধরে শিমুলিয়া ঘাটেই কাজ করছেন। আগে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৌড়াতে হতো—একটানা ভাত বেড়ে দেওয়া, ভর্তা পরিবেশন, পানির গ্লাস ধোয়ার ফাঁকে নতুন খদ্দেরকে জায়গা দেখানো। এখন সারা দিনেও ২০ জন খদ্দের হয় না।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারা দিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি ঘাটটাকে একটু ঘষেমেজে আবার দাঁড় করায়, পর্যটনের ব্যবস্থা করে, তাহলে মানুষ আবার আসবে। আমরাও আবার কাজ পাব, ঘরে চাল-ডাল যাবে। শুধু চাই, কেউ আমাদের কথা একটু ভাবুক।
নিউ মোল্লা হোটেলের কর্মচারী আকতার হোসেন বলেন, আগে ১৫-২০ রকম ভর্তা, মাছ ও ভাজি রান্না করতাম। এখন অর্ধেক আইটেমও করি না। মানুষই তো আসে না।
নিউ মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক মোহাম্মদ শাহিন শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভেবেছিলাম পর্যটক বাড়বে, বিক্রি বাড়বে। কিন্তু সব উল্টো হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ২০-২৫ হাজার টাকাও হয় না।

বিসমিল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন হাসান বলেন, প্রতিদিন দোকান খোলা মানেই ১০ হাজার টাকা খরচ, ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারীর মজুরি মিলিয়ে। অথচ এখন সে পরিমাণ বিক্রিও হচ্ছে না।
নিরালা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আগে দিনে ১ লাখ পর্যন্ত বিক্রি হতো, শুক্র ও শনিবারে আরও বেশি। এখন ৪০-৫০ হাজার টাকায় আটকে যায়। অথচ মাসে ২০ জন কর্মচারীর বেতনসহ ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। টিকে থাকাই কঠিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, পদ্মা সেতু দেশের গর্ব হলেও শিমুলিয়া ঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে ঘাট সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলে, তাহলে আবারও লোকজন আসবে, ব্যবসা ফিরে আসবে, জীবন ফিরে আসবে।

এদিকে শিমুলিয়া ঘাট ঘিরে নতুনভাবে ভাবছে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘাট এলাকা পরিদর্শন ও আলোচনা সভা করেন।
সভা শেষে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিআইডব্লিউটিএর জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি থাকবে রিভার মিউজিয়াম, ইকো রিসোর্ট, ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন, কিডস জোন, সুইমিং পুলসহ পর্যটন সুবিধা।’

পদ্মা সেতু চালুর পর সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই নৌঘাট এখন রীতিমতো পরিত্যক্ত। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটকেন্দ্রিক শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অসংখ্য দোকানপাট মুখ থুবড়ে পড়েছে। কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চালু হলে ঘাট কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। একসময় এই ঘাটে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করত। সেই যাত্রাপথেই গড়ে উঠেছিল হোটেল, কনফেকশনারি, চায়ের দোকান, ফলের দোকান, মুদি দোকানসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময়ের জমজমাট এই ঘাট এখন প্রায় নিস্তব্ধ। নেই লঞ্চের হর্ন, স্পিডবোটের গর্জন কিংবা যাত্রীদের হাঁকডাক। ঘাটসংলগ্ন যে স্থানে একসময় মানুষ গিজগিজ করত, সেখানে এখন খোলা জায়গায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন কিছু দোকানি ও হোটেল কর্মচারী। চারপাশে যেন বিষণ্নতা ছড়িয়ে আছে।
লঞ্চঘাটের প্রবেশপথে আগে যেখানে সারি সারি হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইলিশ ভাজা, ভর্তা ও ভাতের ঘ্রাণে ম ম করত পরিবেশ, আজ সেখানে কেবল জনশূন্যতা। অন্তত ১৫-২০টি হোটেল ফাঁকা। বেশির ভাগ হোটেলের টেবিল-চেয়ারে ধুলো পড়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা গেল কিছু কর্মচারী নিঃশব্দে বসে আছেন, কেউ আবার জানালার পাশে চেয়ে আছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
মায়ের দোয়া হোটেলের পুরোনো কর্মচারী রাসেল মিয়া। বয়স ৩৫। গত আট বছর ধরে শিমুলিয়া ঘাটেই কাজ করছেন। আগে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৌড়াতে হতো—একটানা ভাত বেড়ে দেওয়া, ভর্তা পরিবেশন, পানির গ্লাস ধোয়ার ফাঁকে নতুন খদ্দেরকে জায়গা দেখানো। এখন সারা দিনেও ২০ জন খদ্দের হয় না।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারা দিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি ঘাটটাকে একটু ঘষেমেজে আবার দাঁড় করায়, পর্যটনের ব্যবস্থা করে, তাহলে মানুষ আবার আসবে। আমরাও আবার কাজ পাব, ঘরে চাল-ডাল যাবে। শুধু চাই, কেউ আমাদের কথা একটু ভাবুক।
নিউ মোল্লা হোটেলের কর্মচারী আকতার হোসেন বলেন, আগে ১৫-২০ রকম ভর্তা, মাছ ও ভাজি রান্না করতাম। এখন অর্ধেক আইটেমও করি না। মানুষই তো আসে না।
নিউ মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক মোহাম্মদ শাহিন শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভেবেছিলাম পর্যটক বাড়বে, বিক্রি বাড়বে। কিন্তু সব উল্টো হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ২০-২৫ হাজার টাকাও হয় না।

বিসমিল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন হাসান বলেন, প্রতিদিন দোকান খোলা মানেই ১০ হাজার টাকা খরচ, ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারীর মজুরি মিলিয়ে। অথচ এখন সে পরিমাণ বিক্রিও হচ্ছে না।
নিরালা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আগে দিনে ১ লাখ পর্যন্ত বিক্রি হতো, শুক্র ও শনিবারে আরও বেশি। এখন ৪০-৫০ হাজার টাকায় আটকে যায়। অথচ মাসে ২০ জন কর্মচারীর বেতনসহ ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। টিকে থাকাই কঠিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, পদ্মা সেতু দেশের গর্ব হলেও শিমুলিয়া ঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে ঘাট সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলে, তাহলে আবারও লোকজন আসবে, ব্যবসা ফিরে আসবে, জীবন ফিরে আসবে।

এদিকে শিমুলিয়া ঘাট ঘিরে নতুনভাবে ভাবছে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘাট এলাকা পরিদর্শন ও আলোচনা সভা করেন।
সভা শেষে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিআইডব্লিউটিএর জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি থাকবে রিভার মিউজিয়াম, ইকো রিসোর্ট, ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন, কিডস জোন, সুইমিং পুলসহ পর্যটন সুবিধা।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

পদ্মা সেতু চালুর পর সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই নৌঘাট এখন রীতিমতো পরিত্যক্ত। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটকেন্দ্রিক শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অসংখ্য দোকানপাট মুখ থুবড়ে পড়েছে। কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চালু হলে ঘাট কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। একসময় এই ঘাটে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করত। সেই যাত্রাপথেই গড়ে উঠেছিল হোটেল, কনফেকশনারি, চায়ের দোকান, ফলের দোকান, মুদি দোকানসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময়ের জমজমাট এই ঘাট এখন প্রায় নিস্তব্ধ। নেই লঞ্চের হর্ন, স্পিডবোটের গর্জন কিংবা যাত্রীদের হাঁকডাক। ঘাটসংলগ্ন যে স্থানে একসময় মানুষ গিজগিজ করত, সেখানে এখন খোলা জায়গায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন কিছু দোকানি ও হোটেল কর্মচারী। চারপাশে যেন বিষণ্নতা ছড়িয়ে আছে।
লঞ্চঘাটের প্রবেশপথে আগে যেখানে সারি সারি হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইলিশ ভাজা, ভর্তা ও ভাতের ঘ্রাণে ম ম করত পরিবেশ, আজ সেখানে কেবল জনশূন্যতা। অন্তত ১৫-২০টি হোটেল ফাঁকা। বেশির ভাগ হোটেলের টেবিল-চেয়ারে ধুলো পড়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা গেল কিছু কর্মচারী নিঃশব্দে বসে আছেন, কেউ আবার জানালার পাশে চেয়ে আছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
মায়ের দোয়া হোটেলের পুরোনো কর্মচারী রাসেল মিয়া। বয়স ৩৫। গত আট বছর ধরে শিমুলিয়া ঘাটেই কাজ করছেন। আগে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৌড়াতে হতো—একটানা ভাত বেড়ে দেওয়া, ভর্তা পরিবেশন, পানির গ্লাস ধোয়ার ফাঁকে নতুন খদ্দেরকে জায়গা দেখানো। এখন সারা দিনেও ২০ জন খদ্দের হয় না।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারা দিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি ঘাটটাকে একটু ঘষেমেজে আবার দাঁড় করায়, পর্যটনের ব্যবস্থা করে, তাহলে মানুষ আবার আসবে। আমরাও আবার কাজ পাব, ঘরে চাল-ডাল যাবে। শুধু চাই, কেউ আমাদের কথা একটু ভাবুক।
নিউ মোল্লা হোটেলের কর্মচারী আকতার হোসেন বলেন, আগে ১৫-২০ রকম ভর্তা, মাছ ও ভাজি রান্না করতাম। এখন অর্ধেক আইটেমও করি না। মানুষই তো আসে না।
নিউ মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক মোহাম্মদ শাহিন শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভেবেছিলাম পর্যটক বাড়বে, বিক্রি বাড়বে। কিন্তু সব উল্টো হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ২০-২৫ হাজার টাকাও হয় না।

বিসমিল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন হাসান বলেন, প্রতিদিন দোকান খোলা মানেই ১০ হাজার টাকা খরচ, ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারীর মজুরি মিলিয়ে। অথচ এখন সে পরিমাণ বিক্রিও হচ্ছে না।
নিরালা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আগে দিনে ১ লাখ পর্যন্ত বিক্রি হতো, শুক্র ও শনিবারে আরও বেশি। এখন ৪০-৫০ হাজার টাকায় আটকে যায়। অথচ মাসে ২০ জন কর্মচারীর বেতনসহ ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। টিকে থাকাই কঠিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, পদ্মা সেতু দেশের গর্ব হলেও শিমুলিয়া ঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে ঘাট সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলে, তাহলে আবারও লোকজন আসবে, ব্যবসা ফিরে আসবে, জীবন ফিরে আসবে।

এদিকে শিমুলিয়া ঘাট ঘিরে নতুনভাবে ভাবছে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘাট এলাকা পরিদর্শন ও আলোচনা সভা করেন।
সভা শেষে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিআইডব্লিউটিএর জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি থাকবে রিভার মিউজিয়াম, ইকো রিসোর্ট, ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন, কিডস জোন, সুইমিং পুলসহ পর্যটন সুবিধা।’

পদ্মা সেতু চালুর পর সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই নৌঘাট এখন রীতিমতো পরিত্যক্ত। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটকেন্দ্রিক শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অসংখ্য দোকানপাট মুখ থুবড়ে পড়েছে। কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চালু হলে ঘাট কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। একসময় এই ঘাটে প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করত। সেই যাত্রাপথেই গড়ে উঠেছিল হোটেল, কনফেকশনারি, চায়ের দোকান, ফলের দোকান, মুদি দোকানসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময়ের জমজমাট এই ঘাট এখন প্রায় নিস্তব্ধ। নেই লঞ্চের হর্ন, স্পিডবোটের গর্জন কিংবা যাত্রীদের হাঁকডাক। ঘাটসংলগ্ন যে স্থানে একসময় মানুষ গিজগিজ করত, সেখানে এখন খোলা জায়গায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন কিছু দোকানি ও হোটেল কর্মচারী। চারপাশে যেন বিষণ্নতা ছড়িয়ে আছে।
লঞ্চঘাটের প্রবেশপথে আগে যেখানে সারি সারি হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইলিশ ভাজা, ভর্তা ও ভাতের ঘ্রাণে ম ম করত পরিবেশ, আজ সেখানে কেবল জনশূন্যতা। অন্তত ১৫-২০টি হোটেল ফাঁকা। বেশির ভাগ হোটেলের টেবিল-চেয়ারে ধুলো পড়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা গেল কিছু কর্মচারী নিঃশব্দে বসে আছেন, কেউ আবার জানালার পাশে চেয়ে আছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
মায়ের দোয়া হোটেলের পুরোনো কর্মচারী রাসেল মিয়া। বয়স ৩৫। গত আট বছর ধরে শিমুলিয়া ঘাটেই কাজ করছেন। আগে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৌড়াতে হতো—একটানা ভাত বেড়ে দেওয়া, ভর্তা পরিবেশন, পানির গ্লাস ধোয়ার ফাঁকে নতুন খদ্দেরকে জায়গা দেখানো। এখন সারা দিনেও ২০ জন খদ্দের হয় না।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারা দিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি ঘাটটাকে একটু ঘষেমেজে আবার দাঁড় করায়, পর্যটনের ব্যবস্থা করে, তাহলে মানুষ আবার আসবে। আমরাও আবার কাজ পাব, ঘরে চাল-ডাল যাবে। শুধু চাই, কেউ আমাদের কথা একটু ভাবুক।
নিউ মোল্লা হোটেলের কর্মচারী আকতার হোসেন বলেন, আগে ১৫-২০ রকম ভর্তা, মাছ ও ভাজি রান্না করতাম। এখন অর্ধেক আইটেমও করি না। মানুষই তো আসে না।
নিউ মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক মোহাম্মদ শাহিন শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভেবেছিলাম পর্যটক বাড়বে, বিক্রি বাড়বে। কিন্তু সব উল্টো হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ২০-২৫ হাজার টাকাও হয় না।

বিসমিল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন হাসান বলেন, প্রতিদিন দোকান খোলা মানেই ১০ হাজার টাকা খরচ, ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারীর মজুরি মিলিয়ে। অথচ এখন সে পরিমাণ বিক্রিও হচ্ছে না।
নিরালা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আগে দিনে ১ লাখ পর্যন্ত বিক্রি হতো, শুক্র ও শনিবারে আরও বেশি। এখন ৪০-৫০ হাজার টাকায় আটকে যায়। অথচ মাসে ২০ জন কর্মচারীর বেতনসহ ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। টিকে থাকাই কঠিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, পদ্মা সেতু দেশের গর্ব হলেও শিমুলিয়া ঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে ঘাট সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলে, তাহলে আবারও লোকজন আসবে, ব্যবসা ফিরে আসবে, জীবন ফিরে আসবে।

এদিকে শিমুলিয়া ঘাট ঘিরে নতুনভাবে ভাবছে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘাট এলাকা পরিদর্শন ও আলোচনা সভা করেন।
সভা শেষে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিআইডব্লিউটিএর জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি থাকবে রিভার মিউজিয়াম, ইকো রিসোর্ট, ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন, কিডস জোন, সুইমিং পুলসহ পর্যটন সুবিধা।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার...
১৩ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত...
১৭ মিনিট আগে
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
জামায়াতের ভাষ্যমতে, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন গাংনী উপজেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বাবলু (৫৫), সারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৩), ভাটপাড়া ইউনিট বায়তুল মাল সম্পাদক সৌরভ হোসেন (৬৫) ও তাঁর ছেলে শিশির হোসেন (২৮)।
আলাউদ্দিন বাবলু ও সৌরভ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা বলছেন, রোববার সকালে জামায়াতে ইসলামের স্থানীয় কয়েকজন নারী কর্মী ইয়ানতের টাকা উত্তোলন-সংক্রান্ত বিষয়ে দোকানমালিক সৌরভ হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় সেখানে স্থানীয় বিএনপির কর্মী জামাল ইয়ানত ও ভোট প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষ তর্কে জড়িয়ে যায়। পরে সৌরভ হোসেন ও তাঁর ছেলে শিশিরকে কয়েকজন বিএনপির কর্মী মারধর করেন। সৌরভ বিষয়টি জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের জানালে দলের কয়েকজন সেখানে আসেন। তখন বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের চারজন আহত হন। তাঁরা (হামলাকারী) নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’
তবে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, এখানে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। জামায়াতে ইসলামের লোকজন অতিরঞ্জিত করে বলছে। জামায়াতে ইসলামের লোকজনই আমাদের বিএনপির কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
জামায়াতের ভাষ্যমতে, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন গাংনী উপজেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বাবলু (৫৫), সারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৩), ভাটপাড়া ইউনিট বায়তুল মাল সম্পাদক সৌরভ হোসেন (৬৫) ও তাঁর ছেলে শিশির হোসেন (২৮)।
আলাউদ্দিন বাবলু ও সৌরভ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা বলছেন, রোববার সকালে জামায়াতে ইসলামের স্থানীয় কয়েকজন নারী কর্মী ইয়ানতের টাকা উত্তোলন-সংক্রান্ত বিষয়ে দোকানমালিক সৌরভ হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় সেখানে স্থানীয় বিএনপির কর্মী জামাল ইয়ানত ও ভোট প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষ তর্কে জড়িয়ে যায়। পরে সৌরভ হোসেন ও তাঁর ছেলে শিশিরকে কয়েকজন বিএনপির কর্মী মারধর করেন। সৌরভ বিষয়টি জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের জানালে দলের কয়েকজন সেখানে আসেন। তখন বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের চারজন আহত হন। তাঁরা (হামলাকারী) নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’
তবে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, এখানে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। জামায়াতে ইসলামের লোকজন অতিরঞ্জিত করে বলছে। জামায়াতে ইসলামের লোকজনই আমাদের বিএনপির কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
০৫ জুলাই ২০২৫
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার...
১৩ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত...
১৭ মিনিট আগে
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম সজীব। তিনি উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের জিয়াউর রহমান ও সেতেরা বেগমের ছেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আজ রোববার দুপুরে ইসলামপুরে আনন্দ শিপইয়ার্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সজীবকে পরিকল্পিতভাবে শুক্কুর আলী ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন পথরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সজীবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিববুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম সজীব। তিনি উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের জিয়াউর রহমান ও সেতেরা বেগমের ছেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আজ রোববার দুপুরে ইসলামপুরে আনন্দ শিপইয়ার্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সজীবকে পরিকল্পিতভাবে শুক্কুর আলী ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন পথরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সজীবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিববুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
০৫ জুলাই ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১০ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত...
১৭ মিনিট আগে
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা টহল জোরদার করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার থেকে পাঁচবিবি উপজেলার কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে ২৮১ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে তাঁরা দ্রুত বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে বিএসএফ সদস্যরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে সরে যান।
ঘটনার পরদিন আজ রোববার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হলেও সকালে আবারও ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক দুই সদস্য আব্দুল গণি ও কবির হোসেন জানান, গতকাল কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে বিএসএফ বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।
বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগেও একই এলাকায় পরপর দুবার বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তবে বিজিবির হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা টহল জোরদার করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার থেকে পাঁচবিবি উপজেলার কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে ২৮১ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে তাঁরা দ্রুত বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে বিএসএফ সদস্যরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে সরে যান।
ঘটনার পরদিন আজ রোববার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হলেও সকালে আবারও ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক দুই সদস্য আব্দুল গণি ও কবির হোসেন জানান, গতকাল কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে বিএসএফ বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।
বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগেও একই এলাকায় পরপর দুবার বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তবে বিজিবির হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
০৫ জুলাই ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার...
১৩ মিনিট আগে
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
০৫ জুলাই ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার...
১৩ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত...
১৭ মিনিট আগে