সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৩ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থীপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
৬ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
২৫ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধ
২৫ নভেম্বর ২০২৩
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থীপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
৬ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
২৫ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধ
২৫ নভেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৩ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
২৫ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেসুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধ
২৫ নভেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৩ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থীপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
৬ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেবিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব।
সিলেট-২ আসনে আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লুনা, অর্ণবসহ সাত প্রার্থী। অন্যরা হলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ‘দেওয়াল ঘড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের প্রার্থী ও সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী ও বিশ্বনাথ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যারিস্টার আব্দুস শহিদ।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব।
সিলেট-২ আসনে আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লুনা, অর্ণবসহ সাত প্রার্থী। অন্যরা হলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ‘দেওয়াল ঘড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের প্রার্থী ও সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী ও বিশ্বনাথ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যারিস্টার আব্দুস শহিদ।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধ
২৫ নভেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৩ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থীপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
৬ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
২৫ মিনিট আগে