কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ফেসবুকে কল রেকর্ডটি শেয়ার দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখেন, ‘ইটনা উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকের আপাদমস্তক কুকর্ম:-চালের ডিলার, তারুণ্যের মেলা ও বিভিন্ন ইজারার প্রলোভন দেখিয়ে দুই চামচা পটল ও ফরহাদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর একটা কল রেকর্ড নিম্নে উপস্থাপন করা হলো। অতিদ্রুত দুর্নীতিবাজ সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ তার সহযোগীদের তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক গত বছরের ২০ নভেম্বর ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৫ এপ্রিল সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের আগ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস আবু বকর সিদ্দিক ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বপালনকালে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি বিক্রয়কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১৮ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডটির এক প্রান্তে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল ও অপর প্রান্তে মিজানুর রহমান মজনু নামের একজন ডিলার লাইসেন্সপ্রত্যাশী রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফাঁস হওয়া ৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে ফজলুর রহমান পটলকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন মেসেজটা দেওয়ার লাইগাই ফোন দিছিলাম। লাইসেন্সটা এই সপ্তাহে ফাইনাল অইবো বিষ্যুদবারের মধ্যে প্রকাশ অইব। বুঝতেই তো আছেন, খুব কম্পিটিশান চলছে, বিভিন্ন ভাবে। এহন আপনের এইটা তো আমরা গেছিলাম সরেজমিন, আপনের সাথে একটা পরিচিতিও আছে। কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, যতটুক করতে পারি। এখন অফিসকে একটা এলআর বলছিলাম না! একটা এলআর দিতে হবে। আপনে দিতেও রাজি আছেন বলছিলেন-হ্যাঁ ঠিক আছে জানায়েন। এহন এক লক্ষ টাকা এলআর অফিসকে এলআর বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে হবে আর কি।’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এলআর দিতে সম্মতি জানানোর পর ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘কিন্তু এইটা কালকের মধ্যে পেইড কইরা দিতে অইবো। কালকে সন্ধ্যা।’ তখন লাইসেন্সপ্রত্যাশী বলেন, ‘কালকের মধ্যে তো ঝামেলা।’ তখন ফজলুর রহমান আরেকজন লাইসেন্সপ্রত্যাশীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সুধীর চৌধুরী তো কিছু বলে নাই। পরে তো সে আউট অইয়া যাইবো গা।’
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির কথোপকথন শুনে ধারণা করা যায়, এটি গত ২৫ মার্চ রাতের। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মিজানুর রহমান মজনু উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনিও এটি ২৫ মার্চ রাতের ফোনালাপ বলে নিশ্চিত করেছেন। মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘মো. ফজলুর রহমান পটল ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর মেসেজের কথা বলে লাইসেন্সের জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। অডিও রেকর্ডটি যে কেউ শুনলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। উনার চাহিদামাফিক আমি ২৬ মার্চে ঘুষের ১ লাখ টাকা দিতে পারিনি। এর ফলে ২৭ মার্চ ডিলারের তালিকায় আমার নাম রাখা হয়নি।’
তবে অডিও রেকর্ডের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘রেকর্ডটি শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ এডিট করা। এ ধরনের কোনো কথা কারও সঙ্গে হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি চক্রান্ত।’
এ ব্যাপারে সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের লাভের অংশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খাওয়ার টাকা চেয়েছিলেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ওই কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ফেসবুকে কল রেকর্ডটি শেয়ার দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখেন, ‘ইটনা উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকের আপাদমস্তক কুকর্ম:-চালের ডিলার, তারুণ্যের মেলা ও বিভিন্ন ইজারার প্রলোভন দেখিয়ে দুই চামচা পটল ও ফরহাদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর একটা কল রেকর্ড নিম্নে উপস্থাপন করা হলো। অতিদ্রুত দুর্নীতিবাজ সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ তার সহযোগীদের তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক গত বছরের ২০ নভেম্বর ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৫ এপ্রিল সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের আগ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস আবু বকর সিদ্দিক ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বপালনকালে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি বিক্রয়কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১৮ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডটির এক প্রান্তে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল ও অপর প্রান্তে মিজানুর রহমান মজনু নামের একজন ডিলার লাইসেন্সপ্রত্যাশী রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফাঁস হওয়া ৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে ফজলুর রহমান পটলকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন মেসেজটা দেওয়ার লাইগাই ফোন দিছিলাম। লাইসেন্সটা এই সপ্তাহে ফাইনাল অইবো বিষ্যুদবারের মধ্যে প্রকাশ অইব। বুঝতেই তো আছেন, খুব কম্পিটিশান চলছে, বিভিন্ন ভাবে। এহন আপনের এইটা তো আমরা গেছিলাম সরেজমিন, আপনের সাথে একটা পরিচিতিও আছে। কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, যতটুক করতে পারি। এখন অফিসকে একটা এলআর বলছিলাম না! একটা এলআর দিতে হবে। আপনে দিতেও রাজি আছেন বলছিলেন-হ্যাঁ ঠিক আছে জানায়েন। এহন এক লক্ষ টাকা এলআর অফিসকে এলআর বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে হবে আর কি।’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এলআর দিতে সম্মতি জানানোর পর ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘কিন্তু এইটা কালকের মধ্যে পেইড কইরা দিতে অইবো। কালকে সন্ধ্যা।’ তখন লাইসেন্সপ্রত্যাশী বলেন, ‘কালকের মধ্যে তো ঝামেলা।’ তখন ফজলুর রহমান আরেকজন লাইসেন্সপ্রত্যাশীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সুধীর চৌধুরী তো কিছু বলে নাই। পরে তো সে আউট অইয়া যাইবো গা।’
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির কথোপকথন শুনে ধারণা করা যায়, এটি গত ২৫ মার্চ রাতের। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মিজানুর রহমান মজনু উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনিও এটি ২৫ মার্চ রাতের ফোনালাপ বলে নিশ্চিত করেছেন। মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘মো. ফজলুর রহমান পটল ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর মেসেজের কথা বলে লাইসেন্সের জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। অডিও রেকর্ডটি যে কেউ শুনলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। উনার চাহিদামাফিক আমি ২৬ মার্চে ঘুষের ১ লাখ টাকা দিতে পারিনি। এর ফলে ২৭ মার্চ ডিলারের তালিকায় আমার নাম রাখা হয়নি।’
তবে অডিও রেকর্ডের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘রেকর্ডটি শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ এডিট করা। এ ধরনের কোনো কথা কারও সঙ্গে হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি চক্রান্ত।’
এ ব্যাপারে সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের লাভের অংশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খাওয়ার টাকা চেয়েছিলেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ওই কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ফেসবুকে কল রেকর্ডটি শেয়ার দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখেন, ‘ইটনা উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকের আপাদমস্তক কুকর্ম:-চালের ডিলার, তারুণ্যের মেলা ও বিভিন্ন ইজারার প্রলোভন দেখিয়ে দুই চামচা পটল ও ফরহাদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর একটা কল রেকর্ড নিম্নে উপস্থাপন করা হলো। অতিদ্রুত দুর্নীতিবাজ সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ তার সহযোগীদের তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক গত বছরের ২০ নভেম্বর ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৫ এপ্রিল সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের আগ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস আবু বকর সিদ্দিক ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বপালনকালে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি বিক্রয়কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১৮ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডটির এক প্রান্তে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল ও অপর প্রান্তে মিজানুর রহমান মজনু নামের একজন ডিলার লাইসেন্সপ্রত্যাশী রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফাঁস হওয়া ৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে ফজলুর রহমান পটলকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন মেসেজটা দেওয়ার লাইগাই ফোন দিছিলাম। লাইসেন্সটা এই সপ্তাহে ফাইনাল অইবো বিষ্যুদবারের মধ্যে প্রকাশ অইব। বুঝতেই তো আছেন, খুব কম্পিটিশান চলছে, বিভিন্ন ভাবে। এহন আপনের এইটা তো আমরা গেছিলাম সরেজমিন, আপনের সাথে একটা পরিচিতিও আছে। কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, যতটুক করতে পারি। এখন অফিসকে একটা এলআর বলছিলাম না! একটা এলআর দিতে হবে। আপনে দিতেও রাজি আছেন বলছিলেন-হ্যাঁ ঠিক আছে জানায়েন। এহন এক লক্ষ টাকা এলআর অফিসকে এলআর বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে হবে আর কি।’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এলআর দিতে সম্মতি জানানোর পর ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘কিন্তু এইটা কালকের মধ্যে পেইড কইরা দিতে অইবো। কালকে সন্ধ্যা।’ তখন লাইসেন্সপ্রত্যাশী বলেন, ‘কালকের মধ্যে তো ঝামেলা।’ তখন ফজলুর রহমান আরেকজন লাইসেন্সপ্রত্যাশীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সুধীর চৌধুরী তো কিছু বলে নাই। পরে তো সে আউট অইয়া যাইবো গা।’
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির কথোপকথন শুনে ধারণা করা যায়, এটি গত ২৫ মার্চ রাতের। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মিজানুর রহমান মজনু উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনিও এটি ২৫ মার্চ রাতের ফোনালাপ বলে নিশ্চিত করেছেন। মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘মো. ফজলুর রহমান পটল ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর মেসেজের কথা বলে লাইসেন্সের জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। অডিও রেকর্ডটি যে কেউ শুনলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। উনার চাহিদামাফিক আমি ২৬ মার্চে ঘুষের ১ লাখ টাকা দিতে পারিনি। এর ফলে ২৭ মার্চ ডিলারের তালিকায় আমার নাম রাখা হয়নি।’
তবে অডিও রেকর্ডের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘রেকর্ডটি শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ এডিট করা। এ ধরনের কোনো কথা কারও সঙ্গে হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি চক্রান্ত।’
এ ব্যাপারে সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের লাভের অংশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খাওয়ার টাকা চেয়েছিলেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ওই কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ফেসবুকে কল রেকর্ডটি শেয়ার দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখেন, ‘ইটনা উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকের আপাদমস্তক কুকর্ম:-চালের ডিলার, তারুণ্যের মেলা ও বিভিন্ন ইজারার প্রলোভন দেখিয়ে দুই চামচা পটল ও ফরহাদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর একটা কল রেকর্ড নিম্নে উপস্থাপন করা হলো। অতিদ্রুত দুর্নীতিবাজ সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ তার সহযোগীদের তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক গত বছরের ২০ নভেম্বর ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৫ এপ্রিল সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের আগ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস আবু বকর সিদ্দিক ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বপালনকালে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি বিক্রয়কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১৮ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডটির এক প্রান্তে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল ও অপর প্রান্তে মিজানুর রহমান মজনু নামের একজন ডিলার লাইসেন্সপ্রত্যাশী রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফাঁস হওয়া ৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে ফজলুর রহমান পটলকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন মেসেজটা দেওয়ার লাইগাই ফোন দিছিলাম। লাইসেন্সটা এই সপ্তাহে ফাইনাল অইবো বিষ্যুদবারের মধ্যে প্রকাশ অইব। বুঝতেই তো আছেন, খুব কম্পিটিশান চলছে, বিভিন্ন ভাবে। এহন আপনের এইটা তো আমরা গেছিলাম সরেজমিন, আপনের সাথে একটা পরিচিতিও আছে। কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, যতটুক করতে পারি। এখন অফিসকে একটা এলআর বলছিলাম না! একটা এলআর দিতে হবে। আপনে দিতেও রাজি আছেন বলছিলেন-হ্যাঁ ঠিক আছে জানায়েন। এহন এক লক্ষ টাকা এলআর অফিসকে এলআর বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে হবে আর কি।’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এলআর দিতে সম্মতি জানানোর পর ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘কিন্তু এইটা কালকের মধ্যে পেইড কইরা দিতে অইবো। কালকে সন্ধ্যা।’ তখন লাইসেন্সপ্রত্যাশী বলেন, ‘কালকের মধ্যে তো ঝামেলা।’ তখন ফজলুর রহমান আরেকজন লাইসেন্সপ্রত্যাশীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সুধীর চৌধুরী তো কিছু বলে নাই। পরে তো সে আউট অইয়া যাইবো গা।’
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির কথোপকথন শুনে ধারণা করা যায়, এটি গত ২৫ মার্চ রাতের। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মিজানুর রহমান মজনু উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনিও এটি ২৫ মার্চ রাতের ফোনালাপ বলে নিশ্চিত করেছেন। মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘মো. ফজলুর রহমান পটল ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর মেসেজের কথা বলে লাইসেন্সের জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। অডিও রেকর্ডটি যে কেউ শুনলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। উনার চাহিদামাফিক আমি ২৬ মার্চে ঘুষের ১ লাখ টাকা দিতে পারিনি। এর ফলে ২৭ মার্চ ডিলারের তালিকায় আমার নাম রাখা হয়নি।’
তবে অডিও রেকর্ডের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘রেকর্ডটি শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ এডিট করা। এ ধরনের কোনো কথা কারও সঙ্গে হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি চক্রান্ত।’
এ ব্যাপারে সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের লাভের অংশ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খাওয়ার টাকা চেয়েছিলেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ওই কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
২৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও।
২৮ মিনিট আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
১৮ এপ্রিল ২০২৫
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
২৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও।
২৮ মিনিট আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
১৮ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
২৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও।
২৮ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা। পাশেই বসতবাড়ি ও স্কুল। বিআরবি থেকে অল্প দূরত্বে শীলা নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সততা ইটভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।
মাখল নিগুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাটার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাশাপাশি তিনটি ভাটা রয়েছে। একটিরও ছাড়পত্র নেই। তাহলে তারা কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’ একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাটায় ব্যবহৃত অবৈধ লরির নিচে পড়ে তিন বছর আগে এক শিশু নিহত হয়। ভাটা এই এলাকায় আতঙ্কের নাম। এগুলোর মালিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কৃষকদের জমি থেকে মাটি নিচ্ছেন। এতে কৃষক সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
মাখল নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে ভাটা থেকে ইট বহনকারী লরি। এতে ধুলোবালিতে শ্রেণিকক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় শিশুদের। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল এলাকায় তিনটি ভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
লাইসেন্স নবায়ন না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইট উৎপাদনের কথা জানান বিআরবি ইট ভাটার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, একসময় তাঁদের বৈধ লাইসেন্স ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পর নবায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসন ভেঙে দিলে তাঁদের কিছু করার নেই। সততা ইটভাটার পরিচালক জুয়েল খান বলেন, জীবনের সবটুকু উপার্জন ভাটায় বিনিয়োগ করেছেন। এখন প্রশাসন ভেঙে দিলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই যত দিন সম্ভব ভাটা চালিয়ে যাবেন।
অবৈধভাবে চলা ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিভাগের চার জেলায় ৫৪৩টি ভাটার মধ্যে ৪৫৯টি অবৈধ। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভিযান চালিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা। পাশেই বসতবাড়ি ও স্কুল। বিআরবি থেকে অল্প দূরত্বে শীলা নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সততা ইটভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।
মাখল নিগুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাটার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাশাপাশি তিনটি ভাটা রয়েছে। একটিরও ছাড়পত্র নেই। তাহলে তারা কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’ একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাটায় ব্যবহৃত অবৈধ লরির নিচে পড়ে তিন বছর আগে এক শিশু নিহত হয়। ভাটা এই এলাকায় আতঙ্কের নাম। এগুলোর মালিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কৃষকদের জমি থেকে মাটি নিচ্ছেন। এতে কৃষক সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
মাখল নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে ভাটা থেকে ইট বহনকারী লরি। এতে ধুলোবালিতে শ্রেণিকক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় শিশুদের। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল এলাকায় তিনটি ভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
লাইসেন্স নবায়ন না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইট উৎপাদনের কথা জানান বিআরবি ইট ভাটার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, একসময় তাঁদের বৈধ লাইসেন্স ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পর নবায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসন ভেঙে দিলে তাঁদের কিছু করার নেই। সততা ইটভাটার পরিচালক জুয়েল খান বলেন, জীবনের সবটুকু উপার্জন ভাটায় বিনিয়োগ করেছেন। এখন প্রশাসন ভেঙে দিলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই যত দিন সম্ভব ভাটা চালিয়ে যাবেন।
অবৈধভাবে চলা ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিভাগের চার জেলায় ৫৪৩টি ভাটার মধ্যে ৪৫৯টি অবৈধ। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভিযান চালিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
১৮ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
১৫ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও।
২৮ মিনিট আগেমঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও। দলটি বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে মরিয়া। দুই দলই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো পুনরুদ্ধারে দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী। জামায়াতসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও ভোটার টানতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, দল গঠনের পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের চারটি আসনের সব কটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা জয় পান। পঞ্চম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সব কটি আসনই ধরে রেখেছিলেন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। পরে বিতর্কিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনেও একই ধারা বজায় থাকে। এবার ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকায় ভিন্ন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে সব আসনে জয় পেতে চেষ্টায় আছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
বিএনপির কয়েক মাস আগে তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জামায়াত। এর পর থেকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দলটির প্রার্থীরা। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরাও ভোটের মাঠে রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়)
বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনী আসন ছিল এটি। বিএনপি প্রথম ধাপে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও দ্বিতীয় ধাপে ঘোষণা করেছে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য এস এ জিন্নাহ কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোজাম্মেল হক এবং জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আমিনূল হক দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরের (উত্তর) সদস্য চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক। এ ছাড়া এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকও প্রচারণা শুরু করছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঘিওর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনিও ইতিমধ্যে ভোটের প্রচারণা শুরু করেছেন।
মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর, সিংগাইর ও জেলা সদরের দুটি ইউনিয়ন)
এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাবা শামসুল ইসলাম খান এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য এবং ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক করে আসছেন।
এ আসনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাউদ্দিনও ভোটের মাঠে আছেন। সিপিবির জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদার নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
মানিকগঞ্জ-৩ (সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও সদরের সাতটি ইউনিয়ন)
জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন হচ্ছে মানিকগঞ্জ-৩। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুণার রশিদ খানের বড় মেয়ে।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তরের সহকারী পরিচালক দেলওয়ার হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব নাহিদ মনির এনসিপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তিনিসহ এ আসনে জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় তেমন দেখা যায়নি।

মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও। দলটি বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে মরিয়া। দুই দলই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো পুনরুদ্ধারে দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী। জামায়াতসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও ভোটার টানতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, দল গঠনের পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের চারটি আসনের সব কটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা জয় পান। পঞ্চম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সব কটি আসনই ধরে রেখেছিলেন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। পরে বিতর্কিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনেও একই ধারা বজায় থাকে। এবার ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকায় ভিন্ন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে সব আসনে জয় পেতে চেষ্টায় আছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
বিএনপির কয়েক মাস আগে তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জামায়াত। এর পর থেকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দলটির প্রার্থীরা। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরাও ভোটের মাঠে রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়)
বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনী আসন ছিল এটি। বিএনপি প্রথম ধাপে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও দ্বিতীয় ধাপে ঘোষণা করেছে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য এস এ জিন্নাহ কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোজাম্মেল হক এবং জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আমিনূল হক দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরের (উত্তর) সদস্য চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক। এ ছাড়া এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকও প্রচারণা শুরু করছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঘিওর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনিও ইতিমধ্যে ভোটের প্রচারণা শুরু করেছেন।
মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর, সিংগাইর ও জেলা সদরের দুটি ইউনিয়ন)
এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাবা শামসুল ইসলাম খান এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য এবং ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক করে আসছেন।
এ আসনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাউদ্দিনও ভোটের মাঠে আছেন। সিপিবির জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদার নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
মানিকগঞ্জ-৩ (সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও সদরের সাতটি ইউনিয়ন)
জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন হচ্ছে মানিকগঞ্জ-৩। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুণার রশিদ খানের বড় মেয়ে।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তরের সহকারী পরিচালক দেলওয়ার হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব নাহিদ মনির এনসিপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তিনিসহ এ আসনে জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় তেমন দেখা যায়নি।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কমর্সূচির ডিলার নিয়োগের জন্য এলআর বাবদ ১ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ‘সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’ নামের আইডি থেকে কল রেকর্ডটি ছাড়ার পর সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
১৮ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
২৩ মিনিট আগে