গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে