Ajker Patrika

আমেরিকায় পুলিশসহ সবকিছু মেয়রের নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশে এমন নয়: রেহমান সোবহান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৫৬
আমেরিকায় পুলিশসহ সবকিছু মেয়রের নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশে এমন নয়: রেহমান সোবহান

আমেরিকায় মেয়ররা পুলিশ, পানি, যোগাযোগসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেন। বাংলাদেশে এমন হয় না। কাজের ক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের থেকে কম। তাদের কোনো কিছু পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই। এমনটাই মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান। 

আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) কর্তৃক আয়োজিত ‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ণ: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি নজরুল ইসলাম। 

বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিবের সঞ্চালনায় রেহমান সোবহান বলেন, ‘নিউইয়র্ক শহরে মেয়র সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তিনি শহরের যানবাহনব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আমেরিকায় মেয়র তাঁর শহরে পুলিশ থেকে শুরু করে পানি ও অন্যান্য প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেন। বাংলাদেশে এমন হয় না।’ 

অধ্যাপক রেহমান সোবহান জানান, ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের মেয়র ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ ও এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী। মেয়র হানিফের সঙ্গে তিনি শহর পরিকল্পনার কথা বলেন, তবে সেটি হয়নি। পরে সিপিডি একটি ডায়ালগ আয়োজন করে। সেখানে তখনকার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও চার শহরের মেয়রকে আমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে তাঁদের স্থানীয় পৌরসভাভিত্তিক যেসব উন্নয়নকাজ করা দরকার, সেগুলো ভাগ করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তবে তিনি (রেহমান সোবহান) বুঝতে পারেন, মেয়রদের আসলে কোনো ক্ষমতা নেই কিছু পরিবর্তন করার। সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। 

সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকা শহরের ব্যবস্থাপনা মূলত আমলাতান্ত্রিক বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ। এর কারণ, এখানে সীমানা নির্ধারণে জটিল অধিক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এখানে স্থানীয় সরকারের অধীনে সব। এমনকি স্থানীয় সরকার চাইলে তাদের (মেয়র) বাদও দিতে পারে। তাই প্রকৃত দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতা ব্যবহার করার ক্ষেত্র ঢাকা শহরের মেয়রদের হাতে নেই।’ 

রেহমান সোবহান বলেন, এই অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রধান অতিথি হিসেবে মনোনীত করার চেয়ে নতুন সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া সাবের হোসেন চৌধুরীকে আনলে ভালো হতো। মন্ত্রী এসব বিষয় শুনে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। 

রেহমান সোবহান আরও বলেন, ‘এখন মন্ত্রীদের এসইউভি গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। তার মানে এখন এটি এসইউভি দেশ। যখন বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাঁর একটি ১৩০০ সিসির টয়োটা প্রাইভেট কার ছিল। আপনার প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকার ও আপনার সামাজিক প্রতিশ্রুতির দর্শন সাধারণত পরিমাপ করা হয় আপনি কীভাবে পরিবহন ব্যবহার করছেন বাস্তবে, তার পরিপ্রেক্ষিতে। 

ঢাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানকার সব জলাশয় ভরাট করা উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, ‘এর কারণে এত সব সমস্যা তৈরি হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থায়। এখন ৬০ ভাগ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। আমি জানি না, এর মধ্যে কতজন আবাসন উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত।’ 

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে ১৯৭৪ সালে নগরায়ণের হার ছিল ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশে, যা ৫ গুণের বেশি। নগরায়ণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। এখানে নগরায়ণের হার ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই হার সবচেয়ে কম সিলেটে—১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এতে বোঝা যায়, দেশে নগরায়ণের হার অনেক বেশি। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় বাংলাদেশকে নগরকেন্দ্রিক দেশ বলা হবে। 

প্রবন্ধে আরও বলা হয়, ১৯৭৪ থেকে ২০১৭ সময়ে গোটা দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক আনুমানিক ১ দশমিক ২ শতাংশ। সে সময় ঢাকা শহরে তা ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ, সারা দেশ থেকে মানুষ ঢাকা শহরে এসে জড়ো হয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের শহুরে জনসংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ঢাকা শহরের বাসিন্দা। 

আন্তর্জাতিক তুলনায় দেখা যায়, দেশের মোট শহুরে জনসংখ্যার কত শতাংশ বড় বড় শহরে বসবাস করে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশে এই অনুপাত প্রায় ৩২ শতাংশ, যেখানে চীনে মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বড় বড় শহরে বাস করে। ভারতে এই হার ৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। 

মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ দেশের সবচেয়ে বড় শহরটিতে বাস করে, সেই বিবেচনায়ও বাংলাদেশ শীর্ষ দেশের একটি। যেখানে চীনে এই অনুপাত মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতে ২ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে তা ১১ দশমিক ২ শতাংশ। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই যে ৩৬ জন মন্ত্রী হলেন, এর মধ্যে নগর উন্নয়নের দায়িত্বে কে? আরবান শব্দটাই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নেই। আছে স্থানীয় সরকার। মন্ত্রী আগেরজনই। আর আছে রুরাল ডেভেলপমেন্ট। আর আছে গণপূর্ত। এটা কার? গণপূর্ত তো গ্রামেও হয়, শহরেও হয়। এত যে নগরায়ণ হচ্ছে, সেখানে আরবান কে দেখে?’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নুরের আসনে প্রার্থী হওয়ায় হাসান মামুনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
হাসান মামুন ও নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত
হাসান মামুন ও নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জোটপ্রার্থী নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে বহিষ্কারের বিষয়ে হাসান মামুন দাবি করেছেন, তিনি আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর ভাষ্য, ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রুহুল কবির রিজভীর হোয়াটসআপেও দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে হাসান মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন, যা দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছে বিএনপি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান মামুন বলেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়ন দাখিল করেছি। এখন এটার দরকার ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: দ্য হিন্দুর ইলাস্ট্রেশন
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: দ্য হিন্দুর ইলাস্ট্রেশন

‎সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরহুমার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হবে। এ সময় একটি নির্ধারিত রুট ব্যবহার করে মরদেহ বহনকারী কনভয় চলাচল করবে। এ সময় নির্ধারিত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে জনসাধারণকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ‎

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত রুট অনুযায়ী কনভয়টি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, কুড়িল ফ্লাইওভার, নৌ সদর দপ্তর হয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা অতিক্রম করবে। এরপর গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, এয়ারপোর্ট রোড, মহাখালী ফ্লাইওভার, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেট দিয়ে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করবে। ‎

‎মরদেহ বহনকারী কনভয়ের যাতায়াতের সময় সংশ্লিষ্ট সড়কসমূহে সাময়িকভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ কারণে নগরবাসীর চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, নারী–শিশুসহ আটক ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নারী–শিশুসহ ১১ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাদের সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের কুলুমছড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি নতুন গুরগুরি এলাকার অজয় বিশ্বাসকে (৩০) ২২ ডিসেম্বর মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় জামিন পেয়ে তিনি আবার সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে গোয়াইনঘাটের কুলুমছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১০ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের মধ্যে ছয় পুরুষ, চার নারী ও এক শিশু রয়েছে। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে অজয় বিশ্বাসকে আটক করে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অজয় বিশ্বাস ওই ১০ জনকে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়ক সংস্কারের রোলারচাপায় এক ব্যক্তি নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় সড়ক সংস্কারকাজে নিয়োজিত রোলারচাপায় আখতার হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আখতার হোসেন শহরের রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা। বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় শহীদ জব্বার ক্লাব এলাকায় পৌরসভার সড়ক সংস্কারকাজ চলছিল। পার্শ্ববর্তী রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা আখতার হোসেন বাজার করে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। জব্বার ক্লাব এলাকায় পৌঁছলে সড়ক সংস্কারকাজে নিয়োজিত পৌরসভার রোলারের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান। এরপর রোলারচাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই চালক রোলার রেখে পালিয়ে যান।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত