আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেন নি। এ নিয়ে গারো নেতৃবৃন্দ ও চলেশের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বনের আদিবাসীদের চাঙা করে রাখা এনজিওগুলোর বগলদাবায় থাকা চলেশের ফাইলও চাপা পড়ে গেছে অন্য ফাইলের ভিড়ে। তাই আগামীকাল ১৮ মার্চ একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা জানান, জোট সরকার ভেষজ গুল্মলতা আর শাল গজারির মধুপুর বনাঞ্চলকে ইকোপার্ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে ‘ফরেস্ট কনজারভেশন অ্যান্ড ইকোট্যুরিজম’ প্রকল্পের আওতায় মধুপুর গড়ের তিন হাজার একর বনভূমির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দেয়াল নির্মিত হলে গারোদের ঐতিহ্যগত অধিকার হারাতে হবে ভেবে তাঁরা আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা চলেশ রিছিল। ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি আদিবাসীরা বিক্ষোভ মিছিলে বনরক্ষী ও পুলিশ গুলি চালালে পীরেন স্নাল নামের এক গারো যুবক নিহত হন। আহত হন ২৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এই ঘটনার পর আন্দোলন তীব্রতর হলে জোট সরকার প্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সারা দেশে মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মধুপুরের কাকরাইদ এলাকায় বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে সেনাক্যাম্প স্থাপন করে। এই সুযোগে বন বিভাগ প্রাচীর নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বন বিভাগ দ্রুত গতিতে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন গারো নেতারা। প্রথমে দৈনিক সমকাল ও পরের দিন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদটি প্রকাশ করলে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় শুরু হয়। এমন পরিস্থিতি সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সি এস করিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সেনা শাসনের সময় বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এই পরাজয়কে সহজভাবে নিতে পারেনি। তাই আন্দোলনকারীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চলেশ রিছিলসহ আন্দোলনকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ময়মনসিংহের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধুপুর যাওয়ার সময় চলেশ রিছিল, প্রতাব জাম্বিল, তুহিন হাদিমা, পীরেন সিমসাংকে বেলা ২টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা। তাঁদের আটক করে মধুপুরের বিএডিসির সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে চলেশ রিছিল বিকেলের দিকে নিথর হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তৎকালীন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘চলেশকে গ্রেপ্তার করতে গেলে দৌড়ে পালানোর সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।’
এ ঘটনায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালীন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ময়নাতদন্তের পর ১৯ মার্চ চলেশের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। ২০ মার্চ তাঁকে সমাহিত করার পর চলেশ রিছিলের প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বন বিভাগের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন।
মধুপুর থানা-পুলিশ ওই এজাহার নিয়ম মাফিক গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ডভুক্ত করেনি। কারণ হিসেবে ওসি রিয়াজ উদ্দিন উল্লেখ করেছিলেন, ‘যেহেতু ইউডি মামলা হয়েছে, তাই একই ঘটনায় অপর মামলা রেকর্ডভুক্ত করা যায় না।’
এদিকে গারো রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য করার পূর্বে চলেশের গোসল করানো হয়। এই কাজে সম্পৃক্ত শষিণ দালবত, জয়ন বাজি ও কলেশ রিছিল ২৪ মার্চ লিখিতভাবে চলেশের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা উপস্থাপন করেন।
তাঁরা উল্লেখ করেন, ‘চলেশের হাতের ওপরের অংশ সম্পূর্ণ চুরমার করা হয়েছে। হাতের তালুতে ছিদ্র ছিল। হাত ও পায়ের আঙুলে নখ ছিল না। পিঠের পুরো অংশ এবং নিতম্বে আঘাতের কারণে রক্তের জমাট ছিল। অণ্ডকোষ মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। হাঁটুর নিচে অসংখ্য আঘাতের দাগ ও দুটি পায়ের তালু ছিল কালো।’
এই ঘটনায় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা সোচ্চার হয়ে উঠে। আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) পক্ষ থেকে যৌথ অনুসন্ধান চলে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ৫ মে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিউদ্দিনের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। তিনি তদন্ত করেন। চলেশের লাশ দ্বিতীয় দফায় উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রফিউদ্দিনের সেই তদন্ত কার্যক্রমের ফলাফল আজও আলোর মুখ দেখেনি।
দীর্ঘ ১৭ বছরে আন্দোলন থেমে গেছে। মামলা আজও রেকর্ডভুক্ত হয়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। শুধুমাত্র বেসরকারি সংস্থাগুলোর তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলেশ রিছিলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ ছিল। দুই হাতের হাড় ও সব আঙুল ভাঙা ছিল। হাত পায়ের বেশ কয়েকটি নখ ওপড়ানো ছিল।’
গারো স্টুডেন্ট ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল বলেন, ‘আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হলো। মামলা হলো না। আমরা চাই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখুক। সরকার হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচারের আওতায় আনুক। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করুক।’
চলেশের প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বলেন, ‘খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ইউজিন হোমরিক বেঁচে থাকলে হয়তো চলেশের বিচারের একটা ব্যবস্থা হতো। আমি এবার মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। ১৮ মার্চ পারিবারিকভাবে প্রার্থনা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।’
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, ‘চলেশ রিছিল হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারাও বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। আজ তাঁরা নীরব। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাপারে উদাসীন।’
মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক দিন আগের। থানায় কখনো কোনো কাজই ঝুলিয়ে রাখা হয় না। তদন্ত করে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলেশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে ওই সময়ই আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা বিষয়টি অবহিত নই।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেন নি। এ নিয়ে গারো নেতৃবৃন্দ ও চলেশের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বনের আদিবাসীদের চাঙা করে রাখা এনজিওগুলোর বগলদাবায় থাকা চলেশের ফাইলও চাপা পড়ে গেছে অন্য ফাইলের ভিড়ে। তাই আগামীকাল ১৮ মার্চ একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা জানান, জোট সরকার ভেষজ গুল্মলতা আর শাল গজারির মধুপুর বনাঞ্চলকে ইকোপার্ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে ‘ফরেস্ট কনজারভেশন অ্যান্ড ইকোট্যুরিজম’ প্রকল্পের আওতায় মধুপুর গড়ের তিন হাজার একর বনভূমির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দেয়াল নির্মিত হলে গারোদের ঐতিহ্যগত অধিকার হারাতে হবে ভেবে তাঁরা আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা চলেশ রিছিল। ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি আদিবাসীরা বিক্ষোভ মিছিলে বনরক্ষী ও পুলিশ গুলি চালালে পীরেন স্নাল নামের এক গারো যুবক নিহত হন। আহত হন ২৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এই ঘটনার পর আন্দোলন তীব্রতর হলে জোট সরকার প্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সারা দেশে মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মধুপুরের কাকরাইদ এলাকায় বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে সেনাক্যাম্প স্থাপন করে। এই সুযোগে বন বিভাগ প্রাচীর নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বন বিভাগ দ্রুত গতিতে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন গারো নেতারা। প্রথমে দৈনিক সমকাল ও পরের দিন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদটি প্রকাশ করলে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় শুরু হয়। এমন পরিস্থিতি সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সি এস করিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সেনা শাসনের সময় বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এই পরাজয়কে সহজভাবে নিতে পারেনি। তাই আন্দোলনকারীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চলেশ রিছিলসহ আন্দোলনকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ময়মনসিংহের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধুপুর যাওয়ার সময় চলেশ রিছিল, প্রতাব জাম্বিল, তুহিন হাদিমা, পীরেন সিমসাংকে বেলা ২টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা। তাঁদের আটক করে মধুপুরের বিএডিসির সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে চলেশ রিছিল বিকেলের দিকে নিথর হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তৎকালীন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘চলেশকে গ্রেপ্তার করতে গেলে দৌড়ে পালানোর সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।’
এ ঘটনায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালীন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ময়নাতদন্তের পর ১৯ মার্চ চলেশের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। ২০ মার্চ তাঁকে সমাহিত করার পর চলেশ রিছিলের প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বন বিভাগের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন।
মধুপুর থানা-পুলিশ ওই এজাহার নিয়ম মাফিক গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ডভুক্ত করেনি। কারণ হিসেবে ওসি রিয়াজ উদ্দিন উল্লেখ করেছিলেন, ‘যেহেতু ইউডি মামলা হয়েছে, তাই একই ঘটনায় অপর মামলা রেকর্ডভুক্ত করা যায় না।’
এদিকে গারো রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য করার পূর্বে চলেশের গোসল করানো হয়। এই কাজে সম্পৃক্ত শষিণ দালবত, জয়ন বাজি ও কলেশ রিছিল ২৪ মার্চ লিখিতভাবে চলেশের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা উপস্থাপন করেন।
তাঁরা উল্লেখ করেন, ‘চলেশের হাতের ওপরের অংশ সম্পূর্ণ চুরমার করা হয়েছে। হাতের তালুতে ছিদ্র ছিল। হাত ও পায়ের আঙুলে নখ ছিল না। পিঠের পুরো অংশ এবং নিতম্বে আঘাতের কারণে রক্তের জমাট ছিল। অণ্ডকোষ মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। হাঁটুর নিচে অসংখ্য আঘাতের দাগ ও দুটি পায়ের তালু ছিল কালো।’
এই ঘটনায় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা সোচ্চার হয়ে উঠে। আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) পক্ষ থেকে যৌথ অনুসন্ধান চলে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ৫ মে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিউদ্দিনের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। তিনি তদন্ত করেন। চলেশের লাশ দ্বিতীয় দফায় উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রফিউদ্দিনের সেই তদন্ত কার্যক্রমের ফলাফল আজও আলোর মুখ দেখেনি।
দীর্ঘ ১৭ বছরে আন্দোলন থেমে গেছে। মামলা আজও রেকর্ডভুক্ত হয়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। শুধুমাত্র বেসরকারি সংস্থাগুলোর তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলেশ রিছিলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ ছিল। দুই হাতের হাড় ও সব আঙুল ভাঙা ছিল। হাত পায়ের বেশ কয়েকটি নখ ওপড়ানো ছিল।’
গারো স্টুডেন্ট ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল বলেন, ‘আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হলো। মামলা হলো না। আমরা চাই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখুক। সরকার হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচারের আওতায় আনুক। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করুক।’
চলেশের প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বলেন, ‘খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ইউজিন হোমরিক বেঁচে থাকলে হয়তো চলেশের বিচারের একটা ব্যবস্থা হতো। আমি এবার মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। ১৮ মার্চ পারিবারিকভাবে প্রার্থনা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।’
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, ‘চলেশ রিছিল হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারাও বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। আজ তাঁরা নীরব। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাপারে উদাসীন।’
মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক দিন আগের। থানায় কখনো কোনো কাজই ঝুলিয়ে রাখা হয় না। তদন্ত করে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলেশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে ওই সময়ই আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা বিষয়টি অবহিত নই।’

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৯ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আনিস আলমগীরের ডিবি কার্যালয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি সদস্যরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আনিস আলমগীর।
ডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়েই রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আনিস আলমগীরের ডিবি কার্যালয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি সদস্যরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আনিস আলমগীর।
ডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়েই রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্র
১৭ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৯ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
৩৩ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এর পর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ (গতকাল রোববার) এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল (আজ সোমবার) দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এর পর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ (গতকাল রোববার) এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল (আজ সোমবার) দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্র
১৭ মার্চ ২০২৪
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
৩৩ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।
ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।
ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্র
১৭ মার্চ ২০২৪
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৯ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
৩৩ মিনিট আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’
তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’
তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের অধিকার আদায়ের নেতা চলেশ রিছিলের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৮ মার্চ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্র
১৭ মার্চ ২০২৪
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৯ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে